John 10
1 Verily, verily, I say to you, He that enters not in by the door to the fold of the sheep, but mounts up elsewhere, he is a thief and a robber;
পরে যীশু বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যে ব্যক্তি সদর দরজা দিয়ে মেষদের খোঁয়াড়ে প্রবেশ না করে অন্য কোনো দিক দিয়ে ডিঙিয়ে আসে, সে চোর ও দস্যু।
2 but he that enters in by the door is [the] shepherd of the sheep.
যে সদর দরজা দিয়ে প্রবেশ করে, সেই তার মেষদের পালক।
3 To him the porter opens; and the sheep hear his voice; and he calls his own sheep by name, and leads them out.
পাহারাদার তার জন্য দরজা খুলে দেয় এবং মেষ তার গলার স্বর শোনে। সে নিজের মেষদের নাম ধরে ডেকে তাদের বাইরে নিয়ে যায়।
4 When he has put forth all his own, he goes before them, and the sheep follow him, because they know his voice.
নিজের সব মেষকে বাইরে নিয়ে এসে সে তাদের সামনে সামনে এগিয়ে চলে। তার মেষেরা তাকে অনুসরণ করে, কারণ তারা তার কণ্ঠস্বর চেনে।
5 But they will not follow a stranger, but will flee from him, because they know not the voice of strangers.
কিন্তু তারা কখনও কোনো অপরিচিত ব্যক্তিকে অনুসরণ করবে না; বরং, তারা তার কাছ থেকে ছুটে পালাবে, কারণ অপরিচিত লোকের গলার স্বর তারা চেনে না।”
6 This allegory spoke Jesus to them, but they did not know what it was [of] which he spoke to them.
যীশু এই রূপকটি ব্যবহার করলেন, কিন্তু তিনি তাদের কী বললেন, তারা তা বুঝতে পারল না।
7 Jesus therefore said again to them, Verily, verily, I say to you, I am the door of the sheep.
তাই যীশু তাদের আবার বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, আমিই মেষদের দ্বার।
8 All whoever came before me are thieves and robbers; but the sheep did not hear them.
যারা আমার আগে এসেছিল, তারা সবাই ছিল চোর ও দস্যু, তাই মেষেরা তাদের ডাকে কান দেয়নি।
9 I am the door: if any one enter in by me, he shall be saved, and shall go in and shall go out and shall find pasture.
আমিই দ্বার, আমার মধ্য দিয়ে যে প্রবেশ করবে, সে রক্ষা পাবে। সে ভিতরে আসবে ও বাইরে যাবে, আর চারণভূমির সন্ধান পাবে।
10 The thief comes not but that he may steal, and kill, and destroy: I am come that they might have life, and might have [it] abundantly.
চোর আসে কেবল চুরি, হত্যা ও ধ্বংস করতে, কিন্তু আমি এসেছি যেন তারা জীবন পায় এবং তা পূর্ণরূপেই পায়।
11 I am the good shepherd. The good shepherd lays down his life for the sheep:
“আমিই উৎকৃষ্ট মেষপালক। উৎকৃষ্ট মেষপালক মেষদের জন্য তাঁর প্রাণ সমর্পণ করেন।
12 but he who serves for wages, and who is not the shepherd, whose own the sheep are not, sees the wolf coming, and leaves the sheep and flees; and the wolf seizes them and scatters the sheep.
বেতনজীবী লোক মেষপালক নয়, সে মেষপালের মালিকও নয়। তাই সে নেকড়ে বাঘকে আসতে দেখে, মেষদের ছেড়ে পালিয়ে যায়। নেকড়ে তখন মেষপালকে আক্রমণ করে ছিন্নভিন্ন করে দেয়।
13 Now he who serves for wages flees because he serves for wages, and is not himself concerned about the sheep.
বেতনজীবী বলেই সে পালিয়ে যায়, মেষপালের জন্য কোনো চিন্তা করে না।
14 I am the good shepherd; and I know those that are mine, and am known of those that are mine,
“আমিই উৎকৃষ্ট মেষপালক, আমার মেষদের আমি জানি ও আমার নিজেরা আমাকে জানে—
15 as the Father knows me and I know the Father; and I lay down my life for the sheep.
যেমন পিতা আমাকে জানেন ও আমি পিতাকে জানি—আর মেষদের জন্য আমি আমার প্রাণ সমর্পণ করি।
16 And I have other sheep which are not of this fold: those also I must bring, and they shall hear my voice; and there shall be one flock, one shepherd.
এই খোঁয়াড়ের বাইরেও আমার অন্য মেষ আছে। তারা আমার কণ্ঠস্বর শুনবে। তখন একটি পাল এবং একজন পালক হবে।
17 On this account the Father loves me, because I lay down my life that I may take it again.
আমার পিতা এজন্য আমাকে প্রেম করেন, কারণ আমি আমার প্রাণ সমর্পণ করি, যেন আবার তা পুনরায় গ্রহণ করি।
18 No one takes it from me, but I lay it down of myself. I have authority to lay it down and I have authority to take it again. I have received this commandment of my Father.
কেউ আমার কাছ থেকে তা কেড়ে নিতে পারে না। আমি স্বেচ্ছায় আমার প্রাণ সমর্পণ করি। সমর্পণ করার অধিকার এবং তা ফিরে পাওয়ারও অধিকার আমার আছে। আমার পিতার কাছ থেকে আমি এই আদেশ লাভ করেছি।”
19 There was a division again among the Jews on account of these words;
একথায় ইহুদিদের মধ্যে আবার মতভেদ দেখা দিল।
20 but many of them said, He has a demon and raves; why do ye hear him?
তাদের অনেকেই বলল, “ওকে ভূতে পেয়েছে; তাই ও পাগলের মতো কথা বলছে। ওর কথা শুনছ কেন?”
21 Others said, These sayings are not [those] of one that is possessed by a demon. Can a demon open blind people's eyes?
কিন্তু অন্যেরা বলল, “এসব কথা তো ভূতের পাওয়া লোকের নয়! ভূত কি অন্ধদের চোখ খুলে দিতে পারে?”
22 Now the feast of the dedication was celebrating at Jerusalem, and it was winter.
এরপর জেরুশালেমে মন্দির-উৎসর্গের পর্ব এসে গেল। তখন শীতকাল।
23 And Jesus walked in the temple in the porch of Solomon.
যীশু মন্দির চত্বরে শলোমনের বারান্দায় হেঁটে বেড়াচ্ছিলেন।
24 The Jews therefore surrounded him, and said to him, Until when dost thou hold our soul in suspense? If thou art the Christ, say [so] to us openly.
ইহুদিরা তাঁকে ঘিরে ধরে বলল, “আর কত দিন তুমি আমাদের অনিশ্চয়তার মধ্যে রাখবে? তুমি যদি খ্রীষ্ট হও, সেকথা আমাদের স্পষ্ট করে বলো!”
25 Jesus answered them, I told you, and ye do not believe. The works which I do in my Father's name, these bear witness concerning me:
উত্তরে যীশু বললেন, “আমি বলা সত্ত্বেও তোমরা বিশ্বাস করোনি। আমার পিতার নামে সম্পাদিত অলৌকিক কাজই আমার পরিচয় বহন করে।
26 but ye do not believe, for ye are not of my sheep, as I told you.
কিন্তু তোমরা তা বিশ্বাস করো না, কারণ তোমরা আমার পালের মেষ নও।
27 My sheep hear my voice, and I know them, and they follow me;
আমার মেষেরা আমার কণ্ঠস্বর শোনে, আমি তাদের জানি, আর তারা আমাকে অনুসরণ করে।
29 My Father who has given [them] to me is greater than all, and no one can seize out of the hand of my Father.
আমার পিতা, যিনি তাদের আমাকে দিয়েছেন, তিনি সবার চেয়ে মহান। আমার পিতার হাত থেকে কেউ তাদের কেড়ে নিতে পারে না।
30 I and the Father are one.
আমি ও পিতা, আমরা এক।”
31 The Jews therefore again took stones that they might stone him.
ইহুদিরা তাঁকে আবার পাথর ছুঁড়ে মারার জন্য পাথর তুলে নিল।
32 Jesus answered them, Many good works have I shewn you of my Father; for which work of them do ye stone me?
কিন্তু যীশু তাদের বললেন, “পিতার দেওয়া শক্তিতে আমি তোমাদের অনেক মহৎ অলৌকিক কাজ দেখিয়েছি। সেগুলির মধ্যে কোনটির জন্য তোমরা আমাকে পাথর মারতে চাইছ?”
33 The Jews answered him, For a good work we stone thee not, but for blasphemy, and because thou, being a man, makest thyself God.
ইহুদিরা বলল, “এসব কোনো কারণের জন্যই নয়, কিন্তু ঈশ্বরনিন্দার জন্য আমরা তোমাকে পাথর মারতে উদ্যত হয়েছি, কারণ তুমি একজন সামান্য মানুষ হয়েও নিজেকে ঈশ্বর বলে দাবি করছ।”
34 Jesus answered them, Is it not written in your law, I said, Ye are gods?
যীশু তাদের বললেন, “তোমাদের বিধানপুস্তকে কি লেখা নেই, ‘আমি বলেছি, তোমরা “ঈশ্বর”’?
35 If he called them gods to whom the word of God came (and the scripture cannot be broken),
যাদের কাছে ঈশ্বরের বাক্য প্রকাশিত হয়েছিল, তিনি যদি তাদের ‘ঈশ্বর’ নামে অভিহিত করে থাকেন—এবং শাস্ত্রের তো পরিবর্তন হতে পারে না—
36 do ye say of him whom the Father has sanctified and sent into the world, Thou blasphemest, because I said, I am Son of God?
তাহলে পিতা যাকে তাঁর আপনজনরূপে পৃথক করে জগতে পাঠিয়েছেন, তাঁর বিষয়ে কী বলবে? তবে ‘আমি ঈশ্বরের পুত্র,’ একথা বলার জন্য কেন তোমরা আমাকে ঈশ্বরনিন্দার অভিযোগে অভিযুক্ত করছ?
37 If I do not the works of my Father, believe me not;
আমার পিতা যা করেন, আমি যদি সে কাজ না করি, তাহলে তোমরা আমাকে বিশ্বাস কোরো না।
38 but if I do, even if ye believe not me, believe the works, that ye may know [and believe] that the Father is in me and I in him.
কিন্তু আমি যদি তা করি, তোমরা আমাকে বিশ্বাস না করলেও, সেই অলৌকিক কাজগুলিকে বিশ্বাস করো, যেন তোমরা জানতে ও বুঝতে পারো যে, পিতা আমার মধ্যে ও আমি পিতার মধ্যে আছি।”
39 They sought therefore again to take him; and he went away from out of their hand
তারা আবার তাঁকে বন্দি করার চেষ্টা করল, কিন্তু তিনি তাদের কবল এড়িয়ে গেলেন।
40 and departed again beyond the Jordan to the place where John was baptising at the first: and he abode there.
এরপর যীশু জর্ডন নদীর অপর পারে ফিরে গেলেন, যেখানে যোহন আগে লোকেদের বাপ্তিষ্ম দিতেন। তিনি সেখানে থেকে গেলেন এবং বহু লোক তাঁর কাছে এল।
41 And many came to him, and said, John did no sign; but all things which John said of this [man] were true.
তারা বলল, “যোহন কখনও চিহ্নকাজ সম্পাদন না করলেও, এই মানুষটির বিষয়ে তিনি যথার্থ কথাই বলেছেন।”
42 And many believed on him there.
সেখানে বহু মানুষ যীশুতে বিশ্বাস স্থাপন করল।
