< 2 Chronicles 25 >
1 Amaziah was twenty-five years old when he had begun to reign. And he reigned for twenty-nine years in Jerusalem. The name of his mother was Jehoaddan, from Jerusalem.
১অমৎসিয় পঁচিশ বছর বয়সে রাজত্ব করতে শুরু করেন এবং ঊনত্রিশ বছর যিরূশালেমে রাজত্ব করেন; তাঁর মায়ের নাম ছিল যিহোয়দ্দন, তিনি ছিলেন যিরূশালেমের মেয়ে।
2 And he accomplished good in the sight of the Lord. Yet truly, not with a perfect heart.
২সদাপ্রভুর চোখে যা ভাল অমৎসিয় তাই করতেন ঠিকই, তবে সমস্ত মন দিয়ে তা করতেন না।
3 And when he saw himself to be strengthened in his rule, he cut the throats of the servants who had killed his father, the king.
৩পরে রাজ্যটি শক্তভাবে তাঁর অধীনে আনবার পর যে দাসেরা রাজাকে, অর্থাৎ তাঁর বাবাকে মেরে ফেলেছিল তাদের তিনি হত্যা করলেন।
4 But he did not put to death their sons, just as it was written in the book of the law of Moses, where the Lord instructed, saying: “The fathers shall not be slain because of the sons, nor the sons because of their fathers. Instead, each one shall die for his own sin.”
৪কিন্তু তিনি তাদের সন্তানদের হত্যা করলেন না, ব্যবস্থার গ্রন্থে, মোশির বইয়ে সদাপ্রভুর যে আদেশ লেখা আছে, সেইমতই কাজ করলেন, যেমন, “সন্তানদের জন্য বাবা, কিম্বা বাবার জন্য সন্তান মারা যাবে না, কিন্তু প্রত্যেকেই তার নিজের পাপে মরবে।”
5 And then Amaziah gathered together Judah, and he organized them by families, and tribunes, and centurions, throughout all of Judah and Benjamin. And he numbered them from twenty years old and upward. And he found three hundred thousand young men, who could go forth to battle, and who could hold spear and shield.
৫পরে অমৎসিয় যিহূদাকে জড়ো করে সমস্ত, যিহূদা ও সমস্ত বিন্যামীনের পূর্বপুরুষদের বংশ অনুসারে সহস্রপতি ও শতপতিদের অধীনে লোকদের দাঁড় করালেন এবং কুড়ি বছর ও তার থেকে বেশী বয়সের লোকদের গণনা করে দেখলেন, যুদ্ধে যাবার জন্য তিন লক্ষ উপযুক্ত লোক রয়েছে, যারা বর্শা ও ঢাল ব্যবহার করতে সক্ষম।
6 Also, he hired for pay from Israel one hundred thousand experienced men, for one hundred talents of silver.
৬আর তিনি একশো তালন্ত রূপা মজুরী দিয়ে ইস্রায়েল থেকে এক লক্ষ বলবান বীর নিলেন।
7 Then a man of God came to him, and he said: “O king, let not the army of Israel go forth with you. For the Lord is not with Israel, nor with all the sons of Ephraim.
৭কিন্তু ঈশ্বরের একজন লোক এসে তাঁকে বললেন, “হে রাজা, ইস্রায়েলের সৈন্যদল তোমার সঙ্গে যেন না যায়; কারণ ইস্রায়েলের সঙ্গে, অর্থাৎ সমস্ত ইফ্রয়িম সন্তানদের সঙ্গে সদাপ্রভু থাকেন না।
8 But if you think that a war stands by the strength of the army, God will cause you to be overwhelmed by the enemies. For indeed, it belongs to God to assist, and to put to flight.”
৮তুমি গিয়ে যুদ্ধ কর এবং যুদ্ধে জয়ী হও; শত্রুর কাছে ঈশ্বর তোমাকে পরাজিত করবেন, কারণ সাহায্য করবার অথবা পরাজিত করবার ক্ষমতা ঈশ্বরের আছে।”
9 And Amaziah said to the man of God, “Then what will become of the one hundred talents, which I gave to the soldiers of Israel?” And the man of God responded to him, “The Lord has that from which he is able to give much more than this to you.”
৯তখন অমৎসিয় ঈশ্বরের লোককে বললেন, “ভাল, কিন্তু সেই ইস্রায়েলীয় সৈন্যদলকে যে একশো তালন্ত রূপা দিয়েছি, তার জন্য কি করা যায়?” ঈশ্বরের লোক বললেন, “সদাপ্রভু তোমাকে এর থেকে আরও অনেক বেশী দিতে পারেন।”
10 And so, Amaziah separated the army, which had come to him from Ephraim, so that they would return to their place. But having become very angry against Judah, they returned to their own region.
১০তাতে অমৎসিয় তাদের অর্থাৎ ইফ্রয়িম থেকে তাঁর কাছে আসা সেই সৈন্যদলকে বাড়ি পাঠাবার জন্য আলাদা করলেন; কাজেই যিহূদার বিরুদ্ধে তাদের ক্রোধ জ্বলে উঠল, তারা রেগে আগুন হয়ে নিজের জায়গায় ফিরে গেল।
11 Then Amaziah confidently led forth his people. And he went away to the Valley of the Salt Pits, and he struck down ten thousand of the sons of Seir.
১১পরে অমৎসিয় নিজেকে শক্তিশালী করলেন এবং তাঁর লোকেদের বের করে লবণ উপত্যকায় গিয়ে সেয়ীর সন্তানদের দশ হাজার লোককে হত্যা করলেন।
12 And the sons of Judah captured another ten thousand of the men. And they led them to the precipice of a certain rock. And they threw them from the summit, and they were all broken apart.
১২আর যিহূদার সন্তানরা তাদের দশ হাজার জীবিত লোককে বন্দি করে পাহাড়ের চূড়ায় নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে নীচে ফেলে দিল, এতে তারা সবাই একেবারে থেঁৎলে গেল।
13 But the army that Amaziah had sent away, so that they would not go with him into battle, spread out among the cities of Judah, from Samaria as far as Beth-horon. And having killed three thousand, they took away much plunder.
১৩কিন্তু অমৎসিয় নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করতে না দিয়ে যে সৈন্যদল কে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন, তারা শমরিয়া থেকে বৈৎ-হোরোণ পর্যন্ত যিহূদার নগর আক্রমণ করে তাদের তিন হাজার লোককে আঘাত করল এবং অনেক জিনিস লুট করে নিয়ে গেল।
14 Truly, after the slaughter of the Edomites, and when the gods of the sons of Seir were brought, Amaziah chose them as gods for himself. And he was adoring them, and burning incense to them.
১৪ইদোমীয়দের হত্যা করে ফিরে আসবার পর অমৎসিয় সেয়ীর সন্তানদের প্রতিমাগুলি সঙ্গে করে নিয়ে আসলেন, নিজের দেবতা হিসাবে তাদের স্থাপন করলেন এবং তাদেরকে প্রণাম করতে ও তাদের উদ্দেশ্যে ধূপ জ্বালাতে লাগলেন।
15 For this reason, the Lord became angry against Amaziah, and he sent a prophet to him, who would say to him, “Why have you adored gods who did not free their own people from your hand?”
১৫এতে অমৎসিয়ের উপর সদাপ্রভুর ক্রোধ জ্বলে উঠল, তিনি একজন ভাববাদীকে তাঁর কাছে পাঠালেন; ভাববাদী তাঁকে বললেন, “ঐ লোকদের যে দেবতারা নিজের হাত থেকে তাদের প্রজাদেরকে উদ্ধার করে নি, আপনি তাদের কেন খোঁজ করেছন?”
16 And after he spoke these things, he responded to him: “Are you the counselor of the king? Be quiet! Otherwise I will put you to death.” And departing, the prophet said, “I know that God has decided to kill you, because you have done this evil, and also because you have not agreed to my counsel.”
১৬তাঁর এই কথার উত্তরে রাজা তাকে বললেন, “আমরা কি তোমাকে রাজার মন্ত্রীর পদে নিযুক্ত করেছি? তুমি থামবে নাকি মার খাবে?” তখন সেই ভাববাদী থামলেন, তবুও বললেন, “আমি জানি, ঈশ্বর আপনাকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করেছেন, কারণ আপনি এই কাজ করেছেন, আর আমার পরামর্শ শোনেন নি।”
17 And so Amaziah, the king of Judah, undertaking a very wicked counsel, sent to Joash, the son of Jehoahaz, the son of Jehu, the king of Israel, saying: “Come, let us see one another.”
১৭পরে যিহূদার রাজা অমৎসিয় পরামর্শ করে যেহূর নাতি যিহোয়াহসের ছেলে ইস্রায়েলের রাজা যোয়াশের কাছে বলে পাঠালেন, “আসুন, আমরা মুখোমুখি হই।”
18 But he sent back messengers, saying: “The thistle which is in Lebanon sent to the cedar of Lebanon, saying: ‘Give your daughter to my son as wife.’ And behold, the beasts that were in the forest of Lebanon passed through, and they trampled the thistle.
১৮তখন ইস্রায়েলের রাজা যোয়াশ যিহূদার রাজা অমৎসিয়ের বলে পাঠালেন, “লিবানোনের শিয়ালকাঁটা লিবানোনেরই এরস গাছের কাছে বলে পাঠালেন, ‘আমার ছেলের সঙ্গে তোমার মেয়ের বিয়ে দাও;’ তারপর লিবানোনের একটি বুনো জন্তু এসে সেই শিয়ালকাঁটাকে পায়ে মাড়িয়ে দিল।
19 You said, ‘I struck down Edom.’ And for this reason, your heart is lifted up with pride. Settle in your own house. Why do you provoke evil against yourself, so that you may fall, and then Judah with you?”
১৯তুমি বলছ, ‘দেখ, আমি ইদোমকে আঘাত করেছি;’ মনে মনে এই কথা ভেবে আপনি গর্ব করছেন; এখন তুমি ঘরে বসে থাক, অমঙ্গলের সঙ্গে বিরোধ করতে কেন এগিয়ে যাবে এবং তুমি ও যিহূদা, উভয়ে কেন ধ্বংস হবে?”
20 Amaziah was not willing to listen to him, because it was the will of the Lord that he be delivered into the hands of the enemies, because of the gods of Edom.
২০কিন্তু অমৎসিয় সেই কথা শুনলেন না, কারণ লোকেরা ইদোমের দেবতাদের খোঁজ করেছিল বলে তারা যেন শত্রুদের হাতে ধরা পড়ে, তাই এটা ঈশ্বর থেকে হল।
21 And so Joash, the king of Israel, ascended, and they presented themselves within the sight of one another. Now Amaziah, the king of Judah, was in Beth-shemesh of Judah.
২১পরে ইস্রায়েলের রাজা যোয়াশ যুদ্ধে গেলেন এবং যিহূদার দখলে থাকা বৈৎ-শেমশে তিনি ও যিহূদার রাজা অমৎসিয় একে অন্যের মুখোমুখি হলেন।
22 And Judah fell before Israel. And each one fled to his own tent.
২২তখন ইস্রায়েলের কাছে যিহূদা সম্পূর্ণভাবে হেরে গেল, প্রত্যেকে নিজের নিজের তাঁবুতে পালিয়ে গেল।
23 Then Joash, the king of Israel, captured Amaziah, the king of Judah, the son of Joash, the son of Jehoahaz, at Beth-shemesh, and he led him to Jerusalem. And he destroyed its walls, from the gate of Ephraim as far as the gate of the corner, four hundred cubits.
২৩আর ইস্রায়েলের রাজা যোয়াশ বৈৎ-শেমশে যিহোয়াহসের নাতি, যোয়াশের ছেলে, যিহূদার রাজা অমৎসিয়কে বন্দী করে যিরূশালেমে আনলেন এবং ইফ্রয়িমের দরজা থেকে কোণের দরজা পর্যন্ত যিরূশালেমের চারশো হাত লম্বা প্রাচীর ভেঙে ফেললেন।
24 Also, he brought back to Samaria all the gold and silver, and all the vessels, which he had found in the house of God, and with Obededom in the treasuries of the king’s house, as well as sons for hostages.
২৪আর ঈশ্বরের গৃহে ওবেদ-ইদোমের দখলে যত সোনা, রূপা ও পাত্র পাওয়া গিয়েছিল, সে সমস্ত এবং রাজবাড়ীর ধন-সম্পদ ও জামিন হিসাবে কতগুলি মানুষকে নিয়ে শমরিয়াতে ফিরে গেলেন।
25 Then Amaziah, the son of Joash, the king of Judah, lived for fifteen years after the death of Joash, the son of Jehoahaz, the king of Israel.
২৫ইস্রায়েলের রাজা যিহোয়াহসের ছেলে যোয়াশের মৃত্যুর পরে যিহূদার রাজা যোয়াশের ছেলে অমৎসিয় আরও পনেরো বছর বেঁচে ছিলেন।
26 Now the rest of the words of Amaziah, the first and the last, have been written in the book of the kings of Judah and Israel.
২৬অমৎসিয়ের বাকি কাজের কথা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত “যিহূদা ও ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস” নামে বইটিতে কি লেখা নেই?
27 And after he withdrew from the Lord, they set up an ambush against him in Jerusalem. But since he had fled into Lachish, they sent and killed him in that place.
২৭অমৎসিয় সদাপ্রভুর পথে চলা থেকে সরে যাওয়ার পর লোকেরা যিরূশালেমে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করল, এতে তিনি লাখীশে পালিয়ে গেলেন, কিন্তু তারা তাঁর পিছনে পিছনে লাখীশে লোক পাঠিয়ে সেখানে তাঁকে হত্যা করল।
28 And having carried him back upon horses, they buried him with his fathers in the City of David.
২৮পরে ঘোড়ার পিঠে করে তাঁকে এনে যিহূদার নগরে তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে তাঁর কবর দিল।