< 1 Kings 15 >
1 Then, in the eighteenth year of the reign of Jeroboam, the son of Nebat, Abijam reigned over Judah.
১নবাটের ছেলে যারবিয়ামের রাজত্বের আঠারো বছরের দিন অবিয়াম যিহূদায় রাজত্ব করতে শুরু করেন।
2 He reigned for three years in Jerusalem. The name of his mother was Maacah, the daughter of Abishalom.
২তিনি তিন বছর যিরূশালেমে রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর মায়ের নাম ছিল মাখা; তিনি অবীশালোমের মেয়ে।
3 And he walked in all the sins of his father, which he had done before him. Neither was his heart perfect with the Lord his God, as was the heart of David, his father.
৩অবিয়ামের বাবা যে সব পাপ করেছিলেন তিনিও সেই সব পাপ করতে থাকলেন। তাঁর পূর্বপুরুষ দায়ূদের মত তাঁর হৃদয় তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রতি ভক্তি ছিল না।
4 But for the sake of David, the Lord his God gave to him a lamp in Jerusalem, so that he might raise up his son after him, and so that he might establish Jerusalem.
৪তবুও দায়ূদের কথা মনে করে তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভু তাঁকে যিরূশালেমে একটা প্রদীপ দিলেন, অর্থাৎ তাঁর সিংহাসনে বসবার জন্য তাঁকে একটা ছেলে দিলেন এবং যিরূশালেমকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করলেন,
5 For David had done what was right in the eyes of the Lord, and he had not declined from all of the things that he had instructed to him, during all the days of his life, except the matter of Uriah, the Hittite.
৫কারণ সদাপ্রভুর চোখে যা ঠিক দায়ূদ তাই করতেন। কেবল হিত্তীয় ঊরিয়ের ব্যাপারটা ছাড়া তাঁর সারা জীবনে তিনি সদাপ্রভুর কোনো আদেশই অমান্য করেননি।
6 Now there was war between Rehoboam and Jeroboam during the entire time of his life.
৬রহবিয়াম ও যারবিয়ামের মধ্যে যে যুদ্ধ আরম্ভ হয়েছিল তা অবিয়ামের সারা জীবন ধরে চলেছিল।
7 And the rest of the words of Abijam, and all that he did, were these not written in the book of the words of the days of the kings of Judah? And there was fighting between Abijam and Jeroboam.
৭অবিয়ামের অন্যান্য কাজ, অর্থাৎ তিনি যা কিছু করেছিলেন তা যিহূদার রাজাদের ইতিহাস নামে বইটিতে কি লেখা নেই? অবিয়াম ও যারবিয়ামের মধ্যে যুদ্ধ হত।
8 And Abijam slept with his fathers, and they buried him in the city of David. And Asa, his son, reigned in his place.
৮পরে অবিয়াম তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে নিদ্রায় গেলেন, আর দায়ূদ শহরে তাঁকে কবর দেওয়া হল। তাঁর জায়গায় তাঁর ছেলে আসা রাজা হলেন।
9 Then, in the twentieth year of Jeroboam, the king of Israel, Asa reigned as king of Judah.
৯ইস্রায়েলের রাজা যারবিয়ামের রাজত্বের কুড়ি বছরের দিনের আসা যিহূদায় রাজত্ব করতে শুরু করলেন।
10 And he reigned for forty-one years in Jerusalem. The name of his mother was Maacah, the daughter of Abishalom.
১০তিনি একচল্লিশ বছর যিরূশালেমে রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর ঠাকুমার নাম ছিল মাখা। তিনি ছিলেন অবীশালোমের মেয়ে।
11 And Asa did what was right before the sight of the Lord, just as his father David did.
১১তাঁর পূর্বপুরুষ দায়ূদের মত আসা সদাপ্রভুর চোখে যা ঠিক তাই করতেন।
12 And he took away the effeminate from the land. And he purged all the filth of the idols, which his fathers had made.
১২তিনি দেশ থেকে পুরুষ বেশ্যাদের তাড়িয়ে দিলেন এবং পূর্বপুরুষদের তৈরী সব মূর্তিগুলোও সরিয়ে দিলেন।
13 Moreover, he also removed his mother, Maacah, from being the leader in the sacrifices of Priapus, and in his sacred grove which she had consecrated. And he destroyed his grotto. And he shattered the very indecent idol, and he burned it at the torrent Kidron.
১৩এমন কি, তিনি তাঁর ঠাকুমা মাখাকেও রাজমাতার পদ থেকে সরিয়ে দিলেন, কারণ তিনি একটা জঘন্য আশেরা মূর্ত্তি তৈরী করিয়েছিলেন। আসা সেই মূর্তিটা কেটে ফেলে কিদ্রোণ উপত্যকায় নিয়ে গিয়ে সেটা পুড়িয়ে দিলেন।
14 But the high places, he did not take away. Yet truly, the heart of Asa was perfect with the Lord during all his days.
১৪উঁচু জায়গাগুলো যদিও তিনি ধ্বংস করেননি তবুও সারা জীবন আসার হৃদয় সদাপ্রভুর প্রতি সম্পূর্ণ অনুগত ছিল।
15 And he brought the things that his father had sanctified and vowed back to the house of the Lord: the silver, and the gold, and the vessels.
১৫তিনি ও তাঁর বাবা যে সব সোনা, রূপা ও অন্যান্য জিনিস সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র করে রেখেছিলেন সেগুলো তিনি সদাপ্রভুর ঘরে নিয়ে গেলেন।
16 Now there was war between Asa and Baasha, the king of Israel, during all their days.
১৬আসা ও ইস্রায়েলের রাজা বাশার গোটা রাজত্বকাল ধরে তাঁদের মধ্যে যুদ্ধ চলেছিল।
17 And Baasha, the king of Israel, ascended against Judah. And he built up Ramah, so that no one would be able to exit or enter from the side of Asa, the king of Judah.
১৭ইস্রায়েলের রাজা বাশা যিহূদার লোকদের বিরুদ্ধে গিয়ে রামা শহরটা দুর্গের মত করে গড়ে তুলতে লাগলেন যাতে কেউ যিহূদার রাজা আসার কাছে যাওয়া আসা করতে না পারে।
18 And so, Asa took all the silver and the gold which had remained in the treasuries of the house of the Lord, and in the treasuries of the house of the king, and he gave it into the hands of his servants. And he sent them to Benhadad, the son of Tabrimmon, the son of Hezion, the king of Syria, who was living in Damascus, saying:
১৮সদাপ্রভুর ঘরে এবং নিজের রাজবাড়ীর ভান্ডারে যে সব সোনা ও রূপা ছিল আসা সেগুলো সব বের করে নিলেন। সেগুলো তাঁর কর্মচারীদের হাতে দিয়ে অরামের রাজা বিনহদদের কাছে পাঠিয়ে দিলেন। বিনহদদ ছিলেন টব্রিম্মোণের ছেলে হিষিয়োণের নাতি। তিনি তখন দম্মেশকে রাজত্ব করছিলেন। আসা তাঁকে বলে পাঠালেন,
19 “There is a pact between me and you, and between my father and your father. For this reason, I have sent to you gifts of silver and of gold. And I ask you to go and break your pact with Baasha, the king of Israel, so that he may withdraw from me.”
১৯“আমার ও আপনার বাবার মত আসুন, আমরাও আমাদের মধ্যে একটা চুক্তি করি। আমি আপনাকে এই সব সোনা ও রূপো উপহার পাঠালাম। ইস্রায়েলের রাজা বাশার সঙ্গে আপনি এখন চুক্তি ভেঙে ফেলুন, তাতে সে আমার কাছ থেকে চলে যাবে।”
20 Benhadad, acquiescing to king Asa, sent the leaders of his army against the cities of Israel. And they struck Ijon, and Dan, and Abel, the house of Maacah, and all of Chinneroth, that is, all the land of Naphtali.
২০রাজা আসার কথায় বিনহদদ রাজি হয়ে তাঁর সেনাপতিদের ইস্রায়েলের শহরগুলোর বিরুদ্ধে পাঠিয়ে দিলেন। তিনি ইয়োন, দান, আবেল বৈৎ-মাখা ও সমস্ত কিন্নেরৎ এবং তার সঙ্গে নপ্তালি এলাকাটা দখল করে নিলেন।
21 And when Baasha had heard this, he ceased from fortifying Ramah, and he returned to Tirzah.
২১বাশা এই কথা শুনে রামা শহর গড়ে তুলবার কাজ বন্ধ করে তির্সাতে ফিরে গেলেন।
22 Then king Asa sent an announcement to all of Judah, saying, “Let no one be excused.” And they took away the stones from Ramah, and its timber, with which Baasha had fortified it. And from these things, king Asa built up Geba of Benjamin and Mizpah.
২২তারপর রাজা আসা যিহূদার সকলের উপর একটা ঘোষণা করলেন, কাউকে বাদ দিলেন না। তাতে লোকেরা রামায় বাশার ব্যবহার করা পাথর ও কাঠ সব নিয়ে গেল। রাজা আসা সেই সব দিয়ে বিন্যামীনের গেবা ও মিস্পা শহর দুর্গের মত করে গড়ে তুললেন।
23 Now all the rest of the words of Asa, and his entire strength, and all that he did, and the cities that he built, were these not written in the book of the words of the days of the kings of Judah? Yet truly, in the time of his old age, he was afflicted in his feet.
২৩আসার অন্যান্য সব কাজ, যুদ্ধে তাঁর জয়ের কথা, তিনি যা কিছু করেছিলেন এবং যে সব শহর তিনি গড়ে তুলেছিলেন তা যিহূদার রাজাদের ইতিহাস নামে বইটিতে কি লেখা নেই? বুড়ো বয়সে আসার পায়ে একটা রোগ হল।
24 And he slept with his fathers, and he was buried with them in the city of David, his father. And Jehoshaphat, his son, reigned in his place.
২৪পরে আসা তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে নিদ্রায় গেলেন এবং তাঁর পূর্বপুরুষ দায়ূদের শহরে তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে তাঁকে কবর দেওয়া হল। তাঁর ছেলে যিহোশাফট তাঁর জায়গায় রাজা হলেন।
25 Yet truly, Nadab, the son of Jeroboam, reigned over Israel, in the second year of Asa, the king of Judah. And he reigned over Israel for two years.
২৫যিহূদার রাজা আসার রাজত্বের দ্বিতীয় বছরে যারবিয়ামের ছেলে নাদব ইস্রায়েলের উপর রাজত্ব করতে শুরু করলেন। তিনি ইস্রায়েলে দুই বছর রাজত্ব করেছিলেন।
26 And he did what is evil in the sight of the Lord. And he walked in the ways of his father and in his sins, by which he caused Israel to sin.
২৬সদাপ্রভুর চোখে যা মন্দ তিনি তাই করতেন। তিনি তাঁর বাবার মত চলতেন, অর্থাৎ তাঁর বাবা ইস্রায়েলীয়দের দিয়ে যেমন পাপ করিয়েছিলেন তিনিও তাই করেছিলেন।
27 Then Baasha, the son of Ahijah, from the house of Issachar, set an ambush against him, and he struck him down at Gibbethon, which is a city of the Philistines. For indeed, Nadab and all of Israel were laying siege to Gibbethon.
২৭ইষাখর গোষ্ঠীর অহিয়ের ছেলে বাশা নাদবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলেন। নাদব ও সমস্ত ইস্রায়েলীয়েরা যখন পলেষ্টীয়দের গিব্বথোন ঘেরাও করেছিল তখন বাশা গিব্বথোনে নাদবকে মেরে ফেললেন।
28 And so Baasha killed him in the third year of Asa, the king of Judah, and he reigned in his place.
২৮যিহূদার রাজা আসার রাজত্বের তৃতীয় বছরে বাশা নাদবকে মেরে ফেলে তাঁর জায়গায় রাজা হলেন।
29 And when he had reigned, he struck down the entire house of Jeroboam. He did not leave behind even one soul from his offspring, until he had wiped him away, in accord with the word of the Lord, which he had spoken by the hand of Ahijah, the Shilonite,
২৯তিনি রাজা হয়েই যারবিয়ামের পরিবারের সবাইকে মেরে ফেললেন। সদাপ্রভু তাঁর দাস শীলোনীয় ভাববাদী অহিয়ের মধ্য দিয়ে যে কথা বলেছিলেন সেই অনুসারে বাশা যারবিয়ামের পরিবারের সবাইকে ধ্বংস করে ফেললেন।
30 because of the sin of Jeroboam, which he had committed, and by which he had caused Israel to sin, and because of the offense by which he had provoked the Lord, the God of Israel.
৩০এর কারণ হল, যারবিয়াম নিজে পাপ করেছিলেন এবং ইস্রায়েলকে দিয়েও পাপ করিয়েছিলেন আর তা করে তিনি ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে অসন্তুষ্ট করে তুলেছিলেন।
31 But the rest of the words of Nadab, and all that he did, were these not written in the book of the words of the days of the kings of Israel?
৩১নাদবের অন্যান্য কাজ, অর্থাৎ তিনি যা কিছু করেছিলেন তা ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস নামে বইটিতে কি লেখা নেই?
32 And there was war between Asa and Baasha, the king of Israel, during all their days.
৩২আসা ও ইস্রায়েলের রাজা বাশার গোটা রাজত্বকাল ধরে তাঁদের মধ্যে যুদ্ধ হয়েছিল।
33 In the third year of Asa, the king of Judah, Baasha, the son of Ahijah, reigned over all of Israel, at Tirzah, for twenty-four years.
৩৩ইস্রায়েলের রাজা বাশা যিহূদার রাজা আসার রাজত্বের তৃতীয় বছরে গোটা ইস্রায়েল দেশের উপরে অহিয়ের ছেলে বাশা তির্সায় রাজত্ব করতে শুরু করেছিলেন। তিনি চব্বিশ বছর রাজত্ব করেছিলেন।
34 And he did evil in the sight of the Lord. And he walked in the ways of Jeroboam, and in his sins, by which he caused Israel to sin.
৩৪তিনি সদাপ্রভুর চোখে যা মন্দ তাই করতেন। তিনি যারবিয়ামের মত চলতেন, অর্থাৎ যারবিয়াম যেমন ইস্রায়েলীয়দের দিয়ে পাপ করিয়েছিলেন তিনিও তাই করেছিলেন।