< Kings IV 8 >
1 And Elisaie spoke to the woman, whose son he [had] restored to life, saying, Arise, and go thou and thy house, and sojourn wherever thou mayest sojourn: for the Lord has called for a famine upon the land; indeed it is come upon the land [for] seven years.
ইত্যবসরে যাঁর ছেলের প্রাণ ইলীশায় ফিরিয়ে দিলেন, সেই মহিলাটিকে তিনি বললেন, “তোমার পরিবার সাথে নিয়ে তুমি কিছু সময়ের জন্য যেখানেই হোক, গিয়ে থাকো, কারণ সদাপ্রভুর বিধানমতে এই দেশে এক দুর্ভিক্ষ আসতে চলেছে, যা সাত বছর স্থায়ী হবে।”
2 And the woman arose, and did according to the word of Elisaie, both she and her house; and they sojourned in the land of the Philistines seven years.
সেই মহিলাটি ঈশ্বরের লোকের কথানুসারে কাজ করার জন্য অগ্রসর হলেন। তিনি ও তাঁর পরিবার ফিলিস্তিনীদের দেশে গিয়ে সাত বছর কাটিয়েছিলেন।
3 And it came to pass after the expiration of the seven years, that the woman returned out of the land of the Philistines to the city; and came to cry to the king for her house and for her lands.
সাত বছর পার হওয়ার পর তিনি ফিলিস্তিনীদের দেশ থেকে ফিরে এলেন এবং তাঁর বাড়ি ও জমি ফেরত পাওয়ার জন্য রাজার কাছে আবেদন জানাতে গেলেন।
4 And the king spoke to Giezi the servant of Elisaie the man of God, saying, Tell me, I pray thee, all the great things which Elisaie has done.
রাজামশাই ঈশ্বরের লোকের দাস গেহসির সাথে কথা বলছিলেন, এবং তিনি বললেন, “ইলীশায় যেসব বড়ো বড়ো কাজ করেছেন সে বিষয়ে আমায় কিছু বলো।”
5 And it came to pass, as he was telling the king how he had restored to life the dead son, behold, the woman whose son Elisaie restored to life [came] crying to the king for her house and for her lands. And Giezi said, My lord, O king, this [is] the woman, and this [is] her son, whom Elisaie restored to life.
ঠিক যে মুহূর্তে গেহসি রাজাকে বলছিল, কীভাবে ইলীশায় মৃত মানুষকে প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছেন, সেই মুহূর্তে, সেই মহিলাটি তাঁর বাড়ি-জমি ফেরত পাওয়ার জন্য রাজার কাছে আবেদন জানাতে এলেন, যাঁর ছেলের প্রাণ ইলীশায় ফিরিয়ে দিলেন। গেহসি বলল, “হে আমার প্রভু মহারাজ, এই সেই মহিলা, আর এই তাঁর সেই ছেলে, যার প্রাণ ইলীশায় ফিরিয়ে দিলেন।”
6 And the king asked the woman, and she told him: and the king appointed her a eunuch, saying, Restore all that was hers, and all the fruits of the field from the day that she left the land until now.
রাজামশাই মহিলাটিকে সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, এবং তিনি তাঁকে সব কথা বলে শুনিয়েছিলেন। পরে তিনি মহিলার ব্যাপারটি দেখার দায়িত্ব একজন কর্মকর্তার হাতে তুলে দিয়ে তাঁকে বললেন, “এই মহিলাটির কাছে যা যা ছিল, সব তাকে ফিরিয়ে দাও, এবং যেদিন সে এই দেশ ছেড়ে গেল, সেদিন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত তার জমি থেকে যা কিছু আয় হয়েছে, সেসবও তাকে ফিরিয়ে দাও।”
7 And Elisaie came to Damascus; and the king of Syria the son of Ader was ill, and they brought him word, saying, The man of God is come hither.
ইলীশায় দামাস্কাসে গেলেন, এবং অরামের রাজা বিন্হদদ তখন অসুস্থ ছিলেন। রাজাকে যখন বলা হল, “ঈশ্বরের লোক এখানে এত দূর পর্যন্ত এসেছেন,”
8 And the king said to Azael, Take in thine hand a present, and go to meet the man of God, and enquire of the Lord by him, saying, Shall I recover of this my disease?
তিনি হসায়েলকে বললেন, “হাতে একটি উপহার নিয়ে তুমি ঈশ্বরের লোকের সাথে দেখা করতে যাও। তাঁর মাধ্যমে সদাপ্রভুর কাছে পরামর্শ চেয়ে নিয়ো; তাঁকে জিজ্ঞাসা কোরো, ‘আমি কি এই রোগ থেকে সুস্থ হব?’”
9 And Azael went to meet him, and he took a present in his hand, and all the good things of Damascus, forty camels' load, and came and stood before him, and said to Elisaie, Thy son the son of Ader, the king of Syria, has sent me to thee to enquire, saying, Shall I recover of this my disease?
হসায়েল সাথে করে চল্লিশটি উটের পিঠে চাপিয়ে দামাস্কাসের ভালো ভালো পণ্যসামগ্রীসমৃদ্ধ উপহার নিয়ে ইলীশায়ের সাথে দেখা করতে গেলেন। তিনি ভিতরে ঢুকে ইলীশায়ের সামনে দাঁড়িয়ে বললেন, “আপনার ছেলে অরামের রাজা বিন্হদদ আমাকে এই প্রশ্ন করতে পাঠিয়েছেন, ‘আমি কি এই রোগ থেকে সুস্থ হব?’”
10 And Elisaie said, Go, say, Thou shalt certainly live; yet the Lord has shewed me that thou shalt surely die.
ইলীশায় উত্তর দিলেন, “তাঁকে গিয়ে বলুন, ‘আপনি অবশ্যই সুস্থ হবেন।’ তা সত্ত্বেও, সদাপ্রভু আমার কাছে প্রকাশ করে দিয়েছেন যে আসলে তিনি মারা যাবেন।”
11 And he stood before him, and fixed [his countenance] till he was ashamed: and the man of God wept.
হসায়েল অপ্রস্তুতে না পড়া পর্যন্ত ইলীশায় একদৃষ্টিতে তাঁর দিকে তাকিয়েছিলেন। পরে ঈশ্বরের লোক কাঁদতে শুরু করলেন।
12 And Azael said, Why does my lord weep? And he said, Because I know all the evil that thou wilt do to the children of Israel: thou wilt utterly destroy their strong holds with fire, and thou wilt slay their choice men with the sword, and thou wilt dash their infants [against the ground], and their women with child thou wilt rip up.
“আমার প্রভু কাঁদছেন কেন?” হসায়েল জিজ্ঞাসা করলেন। “যেহেতু আমি জানি আপনি ইস্রায়েলীদের কত ক্ষতি করবেন,” তিনি উত্তর দিলেন। “আপনি তাদের সুরক্ষিত স্থানগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেবেন, তরোয়ালের যন্ত্রণায় তাদের যুবক ছেলেদের হত্যা করবেন, তাদের ছোটো ছোটো শিশুদের মাটিতে আছড়ে ফেলে দেবেন, এবং তাদের অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের টান মেরে চিরে ফেলবেন।”
13 And Azael said, Who is thy servant? a dead dog, that he should do this thing? And Elisaie said, The Lord has shewn me thee ruling over Syria.
হসায়েল বললেন, “আপনার এই দাস, যে কি না এক কুকুরমাত্র, সে কীভাবে এই কৃতিত্ব দেখাবে?” “সদাপ্রভু আমায় দেখিয়ে দিয়েছেন যে আপনি অরামের রাজা হবেন,” ইলীশায় উত্তর দিলেন।
14 And he departed from Elisaie, and went in to his lord; and he said to him, What said Elisaie to thee? and he said, He said to me, Thou shalt surely live.
তখন হসায়েল ইলীশায়কে ছেড়ে তাঁর মনিবের কাছে ফিরে গেলেন। বিন্হদদ যখন তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “ইলীশায় তোমাকে কী বলেছেন?” হসায়েল উত্তর দিলেন, “তিনি আমায় বলেছেন, আপনি অবশ্যই সুস্থ হয়ে যাবেন।”
15 And it came to pass on the next day that he took a thick cloth, and dipped it in water, and put it on his face, and he died: and Azael reigned in his stead.
কিন্তু তার পরের দিন তিনি মোটা একটি কাপড় জলে ভিজিয়ে নিয়ে রাজার মুখে সেটি এমনভাবে চেপে ধরেছিলেন যে রাজা মারা গেলেন। পরে রাজারূপে হসায়েল তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
16 In the fifth year of Joram son of Achaab king of Israel, and while Josaphat was king of Juda, Joram the son of Josaphat king of Juda began to reign.
আহাবের ছেলে ইস্রায়েলের রাজা যোরামের রাজত্বের পঞ্চম বছরে যিহোশাফট যখন যিহূদার রাজা ছিলেন, তখনই যিহোশাফটের ছেলে যিহোরাম যিহূদার রাজারূপে রাজত্ব করতে শুরু করলেন।
17 Thirty and two years old was he when he began to reign, and he reigned eight years in Jerusalem.
বত্রিশ বছর বয়সে তিনি রাজা হলেন, এবং আট বছর তিনি জেরুশালেমে রাজত্ব করলেন।
18 And he walked in the way of the kings of Israel, as did the house of Achaab; for the daughter of Achaab was his wife: and he did that which was evil in the sight of the Lord.
আহাবের বংশের মতো তিনিও ইস্রায়েলের রাজাদের পথেই চলেছিলেন, কারণ তিনি আহাবের এক মেয়েকে বিয়ে করলেন। সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা মন্দ, তিনি তাই করলেন।
19 But the Lord would not destroy Juda for David his servant's sake, as he said he would give a light to him and to his sons continually.
তা সত্ত্বেও, সদাপ্রভু তাঁর দাস দাউদের খাতিরে যিহূদাকে ধ্বংস করতে চাননি। দাউদ ও তাঁর বংশধরদের জন্য এক প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখার প্রতিজ্ঞা তিনি করলেন।
20 In his days Edom revolted from under the hand of Juda, and they made a king over themselves.
যিহোরামের রাজত্বকালে, ইদোমীয়েরা যিহূদার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বসেছিল ও নিজেদের জন্য একজন রাজা ঠিক করে নিয়েছিল।
21 And Joram went up to Sior, and all the chariots that were with him: and it came to pass after he had arisen, that he smote Edom who compassed him about, and the captains of the chariots; and the people fled to their tents.
তাই যিহোরাম তাঁর সব রথ নিয়ে সায়ীরে গেলেন। ইদোমীয়রা তাঁকে ও তাঁর রথগুলির দায়িত্বে থাকা সেনাপতিদের ঘিরে ধরেছিল, কিন্তু তিনি রাতের অন্ধকারে উঠে শত্রুপক্ষের ব্যূহভেদ করে চলে গেলেন; অবশ্য তাঁর সৈন্যদল ঘরে পালিয়ে গেল।
22 Yet Edom revolted from under the hand of Juda till this day. Then Lobna revolted at that time.
আজও পর্যন্ত ইদোম যিহূদার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়েই আছে। সেই একই সময়ে লিব্নাও বিদ্রোহ করে বসেছিল।
23 And the rest of the acts of Joram, and all that he did, behold, are not these written in the book of the chronicles of the kings of Juda?
যিহোরামের রাজত্বকালের অন্যান্য সব ঘটনা, আর তিনি যা যা করলেন, তার বিবরণ কি যিহূদার রাজাদের ইতিহাস-গ্রন্থে লেখা নেই?
24 So Joram slept with his fathers, and was buried with his fathers in the city of his father David: and Ochozias his son reigned in his stead.
যিহোরাম তাঁর পূর্বপুরুষদের সাথে চিরবিশ্রামে শায়িত হলেন এবং তাদেরই সাথে তাঁকে দাউদ-নগরে কবর দেওয়া হল। তাঁর ছেলে অহসিয় রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
25 In the twelfth year of Joram son of Achaab king of Israel, Ochozias son of Joram began to reign.
আহাবের ছেলে ইস্রায়েলের রাজা যোরামের রাজত্বের দ্বাদশ বছরে যিহূদার রাজা যিহোরামের ছেলে অহসিয় রাজত্ব করতে শুরু করলেন।
26 Twenty and two years old [was] Ochozias when he began to reign, and he reigned one year in Jerusalem: and the name of his mother [was] Gotholia, daughter of Ambri king of Israel.
অহসিয় বাইশ বছর বয়সে রাজা হলেন, এবং জেরুশালেমে তিনি এক বছর রাজত্ব করলেন। তাঁর মায়ের নাম অথলিয়া। তিনি ইস্রায়েলের রাজা অম্রির নাতনি ছিলেন।
27 And he walked in the way of the house of Achaab, and did that which was evil in the sight of the Lord, as did the house of Achaab.
অহসিয় আহাব কুলের পথেই চলেছিলেন এবং আহাব কুলের মতো তিনিও সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা যা মন্দ, তাই করলেন, কারণ বিয়ের সূত্র ধরে তিনি আহাব কুলের সাথে আত্মীয়তার সম্পর্কে বাঁধা পড়েছিলেন।
28 And he went with Joram the son of Achaab to war against Azael king of the Syrians in Remmoth Galaad; and the Syrians wounded Joram.
আহাবের ছেলে যোরামের সাথে মিলে অহসিয় রামোৎ-গিলিয়দে অরামের রাজা হসায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গেলেন। অরামীয়রা যোরামকে ক্ষতবিক্ষত করল;
29 And king Joram returned to be healed in Jezrael of the wounds with which they wounded him in Remmoth, when he fought with Azael king of Syria. And Ochozias son of Joram went down to see Joram the son of Achaab in Jezrael, because he was sick.
তাই অরামের রাজা হসায়েলের সাথে যুদ্ধ করার সময় রামোৎ-এ অরামীয়রা রাজা যোরামকে যে আঘাত দিয়েছিল, সেই যন্ত্রণা থেকে সুস্থ হওয়ার জন্য তিনি যিষ্রিয়েলে ফিরে গেলেন। পরে যিহোরামের ছেলে যিহূদার রাজা অহসিয় আহাবের ছেলে যোরামকে দেখতে যিষ্রিয়েলে নেমে গেলেন, কারণ তিনি আহত অবস্থায় পড়েছিলেন।