Kings III 8
1 And it came to pass when Solomon had finished building the house of the Lord and his own house after twenty years, then king Solomon assembled all the elders of Israel in Sion, to bring the ark of the covenant of the Lord out of the city of David, this is Sion,
পরে রাজা শলোমন জেরুশালেমে তাঁর কাছে দাউদ-নগর, অর্থাৎ সিয়োন থেকে সদাপ্রভুর নিয়ম-সিন্দুকটি নিয়ে আসার জন্য ইস্রায়েলের প্রাচীনদের, সমস্ত গোষ্ঠীপতিকে ও ইস্রায়েলী পরিবারের প্রধানদের ডেকে পাঠালেন।
2 in the month of Athanin.
ইস্রায়েলীরা সবাই বছরের সপ্তম মাস, এথানীম মাসে উৎসবের সময় রাজা শলোমনের কাছে একত্রিত হল।
3 And the priests took up the ark,
ইস্রায়েলের প্রাচীনেরা সবাই পৌঁছে যাওয়ার পর যাজকেরা সিন্দুকটি উঠিয়েছিলেন,
4 and the tabernacle of testimony, and the holy furniture that was in the tabernacle of testimony.
এবং তারা সদাপ্রভুর সেই সিন্দুকটি ও সমাগম তাঁবুটি এবং সেখানকার সব পবিত্র আসবাবপত্রাদি নিয়ে এলেন। যাজকেরা ও লেবীয়রা সেগুলি বহন করে এনেছিলেন,
5 And the king and all Israel [were occupied] before the ark, sacrificing sheep [and] oxen, without number.
আর রাজা শলোমন ও তাঁর কাছে একত্রিত হওয়া ইস্রায়েলের সমগ্র জনসমাজ সিন্দুকটির সামনে উপস্থিত হয়ে এত মেষ ও গবাদি পশুবলি দিলেন, যে সেগুলি নথিভুক্ত করে বা গুনে রাখা সম্ভব হয়নি।
6 And the priests bring in the ark into its place, into the oracle of the house, even into the holy of holies, under the wings of the cherubs.
যাজকেরা পরে সদাপ্রভুর নিয়ম-সিন্দুকটি মন্দিরের ভিতরদিকের পীঠস্থানে, অর্থাৎ মহাপবিত্র স্থানে সেটির জন্য ঠিক করে রাখা স্থানে নিয়ে এলেন, এবং দুটি করূবের ডানার নিচে রেখে দিলেন।
7 For the cherubs spread out their wings over the place of the ark, and the cherubs covered the ark and its holy things above.
করূব দুটি সেই সিন্দুক রাখার স্থানের উপর তাদের ডানা মেলে ধরেছিল এবং সেই সিন্দুক ও সেটির হাতলগুলি আড়াল করে রেখেছিল।
8 And the holy staves projected, and the ends of the holy staves appeared out of the holy places in front of the oracle, and were not seen without.
সেই হাতলগুলি এত লম্বা ছিল যে বের হয়ে আসা হাতলের শেষপ্রান্তগুলি ভিতরদিকের পীঠস্থানের সামনে থেকে দেখা যেত, কিন্তু পবিত্রস্থানের বাইরে থেকে দেখা যেত না; আর সেগুলি আজও সেখানেই আছে।
9 There was nothing in the ark except the two tables of stone, the tables of the covenant which Moses put [there] in Choreb, which [tables] the Lord made [as a covenant] with the children of Israel in their going forth from the land of Egypt.
সেই সিন্দুকে পাথরের সেই দুটি পাথরের ফলক ছাড়া আর কিছুই ছিল না, যেগুলি ইস্রায়েলীরা মিশর দেশ থেকে বের হয়ে আসার পর সদাপ্রভু তাদের সাথে যেখানে এক নিয়ম স্থাপন করলেন, সেই হোরেবে মোশি সিন্দুকে ভরে রেখেছিলেন।
10 And it came to pass when the priests departed out of the holy place, that the cloud filled the house.
যাজকেরা পবিত্রস্থান থেকে সরে যাওয়ার পর সদাপ্রভুর মন্দিরটি মেঘে পরিপূর্ণ হয়ে গেল।
11 And the priests could not stand to minister because of the cloud, because the glory of the Lord filled the house.
এবং সেই মেঘের কারণে যাজকেরা তাদের পরিচর্যা করে উঠতে পারেননি, যেহেতু সদাপ্রভুর প্রতাপে তাঁর মন্দিরটি পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল।
তখন শলোমন বললেন, “সদাপ্রভু বলেছেন যে তিনি ঘন মেঘের মাঝে বসবাস করবেন;
বাস্তবিকই আমি তোমার জন্য এক দর্শনীয় মন্দির তৈরি করেছি, সেটি এমন এক স্থান, যেখানে তুমি চিরকাল বসবাস করবে।”
14 And the king turned his face, and the king blessed all Israel, (and the whole assembly of Israel stood: )
ইস্রায়েলের সমগ্র জনসমাজ যখন সেখানে দাঁড়িয়েছিল, রাজামশাই তখন তাদের দিকে মুখ ফিরিয়ে তাদের আশীর্বাদ করলেন।
15 and he said, Blessed [be] the Lord God of Israel to-day, who spoke by his mouth concerning David my father, and has fulfilled it with his hands, saying,
পরে তিনি বললেন: “ইস্রায়েলের ঈশ্বর সেই সদাপ্রভুর গৌরব হোক, যিনি নিজের হাতে তাঁর সেই প্রতিজ্ঞাটি পূরণ করেছেন, যেটি তিনি নিজের মুখে আমার বাবা দাউদের কাছে করলেন। কারণ তিনি বললেন,
16 From the day that I brought out my people Israel out of Egypt, I have not chosen a city in [any] one tribe of Israel to build a house, so that my name should be there: but I chose Jerusalem that my name should be there, and I chose David to be over my people Israel.
‘যেদিন আমি আমার প্রজা ইস্রায়েলকে মিশর থেকে বের করে এনেছিলাম, সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত আমার নামের উদ্দেশে মন্দির নির্মাণের জন্য আমি ইস্রায়েলের গোষ্ঠীভুক্ত কোনও নগর মনোনীত করিনি, কিন্তু আমার প্রজা ইস্রায়েলকে শাসন করার জন্য আমি দাউদকে মনোনীত করেছিলাম।’
17 And it was in the heart of my father to build a house to the name of the Lord God of Israel.
“ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর নামে একটি মন্দির নির্মাণ করার বাসনা আমার বাবা দাউদের অন্তরে ছিল।
18 And the Lord said to David my father, Forasmuch as it came into thine heart to build a house to my name, thou didst well that it came upon thine heart.
কিন্তু সদাপ্রভু আমার বাবা দাউদকে বললেন, ‘আমার নামে একটি মন্দির নির্মাণ করার কথা ভেবে তুমি ভালোই করেছ।
19 Nevertheless thou shalt not build the house, but thy son that has proceeded out of thy bowels, he shall build the house to my name.
তবে, তুমি সেই মন্দির নির্মাণ করবে না, কিন্তু তোমার সেই ছেলে, যে তোমারই রক্তমাংস—সেই আমার নামে একটি মন্দির নির্মাণ করবে।’
20 And the Lord has confirmed the word that he spoke, and I am risen up in the place of my father David, and I have sat down on the throne of Israel, as the Lord spoke, and I have built the house to the name of the Lord God of Israel.
“সদাপ্রভু তাঁর করা প্রতিজ্ঞাটি পূরণ করেছেন: আমি আমার বাবা দাউদের স্থলাভিষিক্ত হয়েছি এবং সদাপ্রভুর প্রতিজ্ঞানুসারে এখন আমি ইস্রায়েলের সিংহাসনে বসেছি, এবং ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর নামের উদ্দেশে আমি মন্দিরটি নির্মাণ করেছি।
21 And I have set there a place for the ark, in which is the covenant of the Lord, which the Lord made with our fathers, when he brought them out of the land of Egypt.
আমি সেখানে সেই সিন্দুকটির জন্য স্থান করে রেখেছি, যেখানে সদাপ্রভুর সেই নিয়মটি রাখা আছে, যা তিনি মিশর থেকে আমাদের পূর্বপুরুষদের বের করে আনার সময় তাদের সঙ্গে স্থাপন করলেন।”
22 And Solomon stood up in front of the altar before all the congregation of Israel; and he spread out his hands toward heaven:
পরে শলোমন ইস্রায়েলের সমগ্র জনসমাজের সামনে সদাপ্রভুর উপস্থিতিতে উঠে দাঁড়িয়ে স্বর্গের দিকে তাঁর দু-হাত মেলে ধরলেন
23 and he said, Lord God of Israel, there is no God like thee in heaven above and on the earth beneath, keeping covenant and mercy with thy servant who walks before thee with all his heart;
এবং বললেন: “হে ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু, উপরে স্বর্গে বা নিচে পৃথিবীতে তোমার মতো আর কোনও ঈশ্বর নেই—যারা সর্বান্তঃকরণে তোমার পথে চলতে থাকে, তোমার সেইসব দাসের প্রতি তুমি তোমার প্রেমের নিয়ম পালন করে থাকো।
24 which thou hast kept toward thy servant David my father: for thou hast spoken by thy mouth and thou hast fulfilled it with thine hands, as [at] this day.
আমার বাবা, তথা তোমার দাস দাউদের কাছে করা প্রতিজ্ঞাটি তুমি পূরণ করেছ; নিজের মুখেই তুমি সেই প্রতিজ্ঞাটি করলে এবং নিজের হাতেই তুমি তা রক্ষাও করেছ—যেমনটি কি না আজ দেখা যাচ্ছে।
25 And now, O Lord God of Israel, keep for thy servant David my father, [the promises] which thou hast spoken to him, saying, There shall not be taken from thee a man sitting before me on the throne of Israel, provided only thy children shall take heed to their ways, to walk before me as thou hast walked before me.
“এখন হে ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু, তোমার দাস ও আমার বাবা দাউদের কাছে তোমার করা সেই প্রতিজ্ঞাটি পূরণ করো। যে প্রতিজ্ঞায় তুমি বললে, ‘শুধু যদি তোমার বংশধরেরা আমার সামনে চলার জন্য একটু সতর্ক হয়ে তোমার মতো বিশ্বস্ততাপূর্বক সবকিছু করে, তবে আমার সামনে ইস্রায়েলের সিংহাসনে বসার জন্য তোমার কোনও উত্তরাধিকারীর অভাব হবে না।’
26 And now, O Lord God of Israel, let, I pray thee, thy word to David my father be confirmed.
আর এখন, হে ইস্রায়েলের ঈশ্বর, আমার বাবা তোমার দাস দাউদের কাছে তুমি যে প্রতিজ্ঞা করলে, তা যেন সত্যি হয়।
27 But will God indeed dwell with men upon the earth? if the heaven and heaven of heavens will not suffice thee, how much less even this house which I have built to thy name?
“কিন্তু ঈশ্বর কি সত্যিই পৃথিবীতে বসবাস করবেন? স্বর্গ, এমন কী সর্বোচ্চ স্বর্গও তোমাকে ধারণ করতে পারে না। তবে আমার নির্মাণ করা এই মন্দিরই বা কীভাবে করবে!
28 Yet, O Lord God of Israel, thou shalt look upon my petition, to hear the prayer which thy servant prays to thee in thy presence this day,
তবুও হে আমার ঈশ্বর সদাপ্রভু, তোমার দাসের প্রার্থনায় ও দয়া লাভের জন্য তার করা আজকের দিনে এই অনুরোধের প্রতি মনোযোগ দাও। তোমার উপস্থিতিতে তোমার এই দাস যে ক্রন্দন ও প্রার্থনা করছে, তা তুমি শোনো।
29 that thine eyes may be open toward this house day and night, even toward the place which thou saidst, My name shall be there, to hear the prayer which thy servant prays at this place day and night.
এই মন্দিরের প্রতি যেন দিনরাত তোমার চোখ খোলা থাকে, যেখানকার বিষয়ে তুমি বললে, ‘আমার নাম সেখানে বজায় থাকবে,’ যেন এই স্থানটির দিকে চেয়ে তোমার দাস যে প্রার্থনা করবে তা তুমি শুনতে পাও।
30 And thou shalt hearken to the prayer of thy servant, and of thy people Israel, which they shall pray toward this place; and thou shalt hear in thy dwelling-place in heaven, and thou shalt do and be gracious.
তোমার এই দাস ও তোমার প্রজা ইস্রায়েল যখন এই স্থানটির দিকে তাকিয়ে প্রার্থনা করবে তখন তুমি তাদের মিনতি শুনো। স্বর্গ থেকে, তোমার সেই বাসস্থান থেকে তুমি তা শুনো; এবং শুনে তাদের ক্ষমাও কোরো।
31 Whatsoever trespasses any [one] shall commit against his neighbour, —and if he shall take upon him an oath so that he should swear, and he shall come and make confession before thine altar in this house,
“যখন কেউ তার প্রতিবেশীর প্রতি কোনও অন্যায় করবে ও তাকে শপথ করতে বলা হবে এবং সে এই মন্দিরে রাখা তোমার এই যজ্ঞবেদির সামনে এসে শপথ করবে,
32 then shalt thou hear from heaven, and do, and thou shalt judge thy people Israel, that the wicked should be condemned, to recompense his way upon his head; and to justify the righteous, to give to him according to his righteousness.
তখন তুমি স্বর্গ থেকে তা শুনে সেইমতোই কাজ কোরো। তোমার দাসদের বিচার কোরো, দোষীকে শাস্তি দিয়ো ও তার কৃতকর্মের ফল তার মাথায় চাপিয়ে দিয়ো, এবং নিরপরাধের পক্ষসমর্থন করে, তার নিষ্কলুষতা অনুসারে তার প্রতি আচরণ কোরো।
33 When thy people Israel falls before enemies, because they shall sin against thee, and they shall return and confess to thy name, and they shall pray and supplicate in this house,
“যখন তোমার প্রজা ইস্রায়েল তোমার বিরুদ্ধে পাপ করার কারণে শত্রুর কাছে পরাজিত হয়ে আবার তোমার কাছে ফিরে এসে তোমার নামের গৌরব করবে, ও এই মন্দিরে তোমার কাছে প্রার্থনা ও মিনতি করবে,
34 then shalt thou hear from heaven, and be gracious to the sins of thy people Israel, and thou shalt restore them to the land which thou gavest to their fathers.
তখন স্বর্গ থেকে তুমি তা শুনো ও তোমার প্রজা ইস্রায়েলের পাপ ক্ষমা কোরো এবং তাদের সেই দেশে ফিরিয়ে এনো, যেটি তুমি তাদের পূর্বপুরুষদের দিয়েছিলে।
35 When the heaven is restrained, and there is no rain, because they shall sin against thee, and the shall pray toward this place, and they shall make confession to thy name, and shall turn from their sins when thou shalt have humbled them,
“তোমার প্রজারা তোমার বিরুদ্ধে পাপ করার কারণে যখন আকাশের দ্বার রুদ্ধ হয়ে যাবে ও বৃষ্টি হবে না, আর যখন তারা এই স্থানটির দিকে তাকিয়ে প্রার্থনা করবে ও তোমার নামের প্রশংসা করবে এবং তুমি যেহেতু তাদের কষ্ট দিয়েছ, তাই তারা তাদের পাপপথ থেকে ফিরে আসবে,
36 then thou shalt hear from heaven, and be merciful to the sins of thy servant and of thy people Israel; for thou shalt shew them the good way to walk in it, and thou shalt give rain upon the earth which thou hast given to thy people for an inheritance.
তখন স্বর্গ থেকে তুমি তা শুনো ও তোমার দাসদের, তোমার প্রজা ইস্রায়েলের পাপ ক্ষমা কোরো। সঠিক জীবনযাপনের পথ তুমি তাদের শিক্ষা দিয়ো, এবং যে দেশটি তুমি তোমার প্রজাদের এক উত্তরাধিকাররূপে দিয়েছ, সেই দেশে তুমি বৃষ্টি পাঠিয়ো।
37 If there should be famine, if there should be death, because there should be blasting, locust, or if there be mildew, and if their enemy oppress them in [any] one of their cities, [with regard to] every calamity, every trouble,
“যখন দেশে দুর্ভিক্ষ বা মহামারি দেখা দেবে, অথবা ফসল ক্ষেতে মড়ক লাগবে বা ছাতারোগ লাগবে, পঙ্গপাল বা ফড়িং হানা দেবে, অথবা শত্রুরা তাদের যে কোনো নগরে তাদের যখন অবরুদ্ধ করে রাখবে, যখন এরকম কোনও বিপত্তি বা রোগজ্বালার প্রকোপ পড়বে,
38 every prayer, every supplication whatever shall be made by any man, as they shall know each the plague of his heart, and shall spread abroad his hands to this house,
তোমার প্রজা ইস্রায়েলের মধ্যে কেউ যদি প্রার্থনা বা মিনতি উৎসর্গ করে—তাদের নিজেদের অন্তরের দুর্দশা অনুভব করে এই মন্দিরের দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়—
39 then shalt thou hearken from heaven, out of thine established dwelling-place, and shalt be merciful, and shalt do, and recompense to [every] man according to his ways, as thou shalt know his heart, for thou alone knowest the heart of all the children of men:
তবে তখন তুমি স্বর্গ থেকে, তোমার বাসস্থান থেকে তা শুনো। তাদের ক্ষমা কোরো, ও প্রত্যেকের সাথে তাদের কৃতকর্মানুসারে আচরণ কোরো, যেহেতু তুমি তো তাদের অন্তর জানো (কারণ একমাত্র তুমিই প্রত্যেক মানুষের হৃদয়ের খবর রাখো),
40 that they may fear thee all the days that they live upon the land, which thou hast given to our fathers.
যে দেশটি তুমি আমাদের পূর্বপুরুষদের দিয়েছিলে, সেখানে যতদিন তারা বেঁচে থাকবে, যেন তোমাকে ভয় করে চলতে পারে।
41 And for the stranger who is not of thy people,
“যে তোমার প্রজা ইস্রায়েলের অন্তর্ভুক্ত নয়, এমন কোনও বিদেশি
42 when they shall come and pray toward this place,
তোমার মহানামের ও তোমার পরাক্রমী হাতের এবং তোমার প্রসারিত বাহুর কথা শুনে যখন দূরদেশ থেকে আসবে—তারা যখন এসে এই মন্দিরের দিকে তাকিয়ে প্রার্থনা করবে,
43 then shalt thou hear [them] from heaven, out of thine established dwelling-place, and thou shalt do according to all that the stranger shall call upon thee for, that all the nations may know thy name, and fear thee, as [do] thy people Israel, and may know that thy name has been called on this house which I have builded.
তখন তুমি স্বর্গ থেকে, তোমার সেই বাসস্থান থেকে তা শুনো। সেই বিদেশি তোমার কাছে যা চাইবে, তা তাকে দিয়ো, যেন পৃথিবীর সব মানুষজন তোমার নাম জানতে পারে ও তোমাকে ভয় করে, ঠিক যেভাবে তোমার নিজস্ব প্রজা ইস্রায়েল করে এসেছে, এবং তারা যেন এও জানতে পারে যে এই যে ভবনটি আমি তৈরি করেছি, তা তোমার নাম বহন করে চলেছে।
44 [If it be] that thy people shall go forth to war against their enemies in the way by which thou shalt turn them, and pray in the name of the Lord toward the city which thou hast chosen, and the house which I have built to thy name,
“তোমার প্রজারা যখন তাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করবে, তুমি তাদের যেখানেই পাঠাও না কেন, ও এই যে নগর ও মন্দিরটি আমি তোমার নামের উদ্দেশে নির্মাণ করেছি, সেদিকে চেয়ে তারা সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করবে,
45 then shalt thou hear from heaven their supplication and their prayer, and shalt execute judgment for them.
তখন তুমি স্বর্গ থেকে তাদের প্রার্থনা ও মিনতি শুনো, এবং তাদের পক্ষসমর্থন কোরো।
46 [If it be] that they shall sin against thee, (for there is not a man who will not sin, ) and thou shalt bring them and deliver them up before their enemies, and they that take [them] captive shall carry [them] to a land far or near,
“তারা যখন তোমার বিরুদ্ধে পাপ করবে—কারণ এমন কেউ নেই যে পাপ করে না—আর তুমি তাদের প্রতি ক্রুদ্ধ হবে ও তাদেরকে তাদের সেই শত্রুদের হাতে তুলে দেবে, যারা তাদের নিজেদের দেশে বন্দি করে নিয়ে যাবে, তা সে বহুদূরে অথবা কাছেও হতে পারে;
47 and they shall turn their hearts in the land whither they have been carried captives, and turn in the land of their sojourning, and supplicate thee, saying, We have sinned, we have done unjustly, we have transgressed,
এবং সেই দেশে বন্দি জীবন কাটাতে কাটাতে যদি তাদের মন পরিবর্তন হয়, ও তারা অনুতাপ করে ও তাদের সেই বন্দিদশার দেশে থাকতে থাকতেই যদি তারা তোমাকে অনুরোধ জানিয়ে বলে, ‘আমরা পাপ করেছি, আমরা অন্যায় করেছি, দুষ্টতামূলক আচরণ করেছি’;
48 and they shall turn to thee with all their heart, and with all their soul, in the land of their enemies whither thou hast carried them captives, and shall pray to thee toward their land which thou hast given to their fathers, and the city which thou hast chosen, and the house which I have built to thy name:
এবং তাদের যে শত্রুরা তাদের বন্দি করল, তাদের সেই দেশে যদি তারা তাদের সব মনপ্রাণ ঢেলে দিয়ে তোমার কাছে ফিরে আসে ও তুমি তাদের পূর্বপুরুষদের যে দেশটি দিয়েছিলে, সেই দেশের ও তুমি যে নগরটি মনোনীত করলে, সেই নগরটির তথা আমি তোমার নামের উদ্দেশে যে মন্দিরটি নির্মাণ করেছি তার দিকে তাকিয়ে যদি তারা তোমার কাছে প্রার্থনা করে;
49 then shalt thou hear from heaven thine established dwelling-place,
তবে তুমি তোমার বাসস্থান সেই স্বর্গ থেকে তাদের প্রার্থনা ও মিনতি শুনো, ও তাদের প্রতি সুবিচার কোরো,
50 and thou shalt be merciful to their unrighteousness wherein they have trespassed against thee, and according to all their transgressions wherewith they have transgressed against thee, and thou shalt cause them to be pitied before them that carried them captives, and they shall have compassion on them:
এবং তোমার সেই প্রজাদের ক্ষমা কোরো, যারা তোমার বিরুদ্ধে পাপ করেছে; তোমার বিরুদ্ধে করা তাদের সব অপরাধ ক্ষমা কোরো, এবং তাদের বন্দিকারীদের মনে এমন ভাব উৎপন্ন কোরো, যেন তারা তাদের প্রতি দয়া দেখায়;
51 for [they are] thy people and thine inheritance, whom thou broughtest out of the land of Egypt, out of the midst of the furnace of iron.
কারণ তারা যে তোমার সেই প্রজা ও উত্তরাধিকার, যাদের তুমি মিশর থেকে, সেই লোহা গলানো চুল্লি থেকে বের করে নিয়ে এসেছিলে।
52 And let thine eyes and thine ears be opened to the supplication of thy servant, and to the supplication of thy people Israel, to hearken to them in all things for which they shall call upon thee.
“তোমার চোখ তোমার দাসের মিনতির প্রতি ও তোমার প্রজা ইস্রায়েলের মিনতির প্রতিও খোলা থাকুক, এবং তারা যখনই তোমার কাছে কেঁদে উঠবে, তুমি যেন তা শুনতে পাও।
53 Because thou hast set them apart for an inheritance to thyself out of all the nations of the earth, as thou spokest by the hand of thy servant Moses, when thou broughtest our fathers out of the land of Egypt, O Lord God.
কারণ তুমি তাদের তোমার নিজস্ব উত্তরাধিকার হওয়ার জন্য জগতের সব জাতির মধ্যে থেকে আলাদা করে বেছে নিয়েছ, ঠিক যেভাবে তুমি, হে সার্বভৌম সদাপ্রভু, আমাদের পূর্বপুরুষদের মিশর থেকে বের করে আনার সময় তোমার দাস মোশির মাধ্যমে ঘোষণা করলে।”
54 And it came to pass when Solomon had finished praying to the Lord all this prayer and supplication, that he rose up from before the altar of the Lord, [after] having knelt upon his knees, and his hands [were] spread out towards heaven.
সদাপ্রভুর কাছে এইসব প্রার্থনা ও মিনতি উৎসর্গ করা সমাপ্ত হয়ে যাওয়ার পর শলোমন সদাপ্রভুর সেই যজ্ঞবেদির সামনে থেকে উঠে দাঁড়িয়েছিলেন, যেখানে তিনি নতজানু হয়ে স্বর্গের দিকে দু-হাত প্রসারিত করে রেখেছিলেন।
55 And he stood, and blessed all the congregation of Israel with a loud voice, saying,
তিনি উঠে দাঁড়িয়ে জোর গলায় সমগ্র ইস্রায়েলী জনতাকে আশীর্বাদ করে বললেন:
56 Blessed [be] the Lord this day, who has given rest to his people Israel, according to all that he said: there has not failed one word among all his good words which he spoke by the hand of his servant Moses.
“সেই সদাপ্রভুর গৌরব হোক, যিনি তাঁর প্রতিজ্ঞানুসারে তাঁর প্রজা ইস্রায়েলকে বিশ্রাম দিয়েছেন। তিনি তাঁর দাস মোশির মাধ্যমে যত ভালো ভালো প্রতিজ্ঞা করলেন, তার একটিও ব্যর্থ হয়নি।
57 May the Lord our God be with us, as he was with our fathers; let him not desert us nor turn from us,
আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু যেমন আমাদের পূর্বপুরুষদের সঙ্গে সঙ্গে ছিলেন, তেমনি তিনি আমাদেরও সঙ্গে সঙ্গে থাকুন; তিনি যেন আমাদের না ছাড়েন বা আমাদের পরিত্যাগ না করেন।
58 that he may turn our hearts toward him to walk in all his ways, and to keep all his commandments, and his ordinances which he commanded our fathers.
তাঁর প্রতি বাধ্যতায় চলার জন্য ও তিনি আমাদের পূর্বপুরুষদের যে যে আদেশ, বিধিবিধান ও নিয়মকানুন দিলেন, সেগুলি পালন করার জন্য তিনি যেন আমাদের অন্তর তাঁর প্রতি ফিরিয়ে আনেন।
59 And let these words, which I have prayed before the Lord our God, [be] near to the Lord our God day and night, to maintain the cause of thy servant, and the cause of thy people Israel for ever.
আর আমি সদাপ্রভুর সামনে যে প্রার্থনাটি করেছি তার এক-একটি কথা যেন দিনরাত আমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছাকাছি থাকে, যেন তিনি প্রতিদিনের চাহিদা অনুসারে তাঁর দাসের ও তাঁর প্রজা ইস্রায়েলের প্রতি সুবিচার করলেন,
60 that all the nations of the earth may know that the Lord God, he [is] God, and there is none beside.
যেন পৃথিবীর সব লোকজন জানতে পারে যে সদাপ্রভুই ঈশ্বর ও তিনি ছাড়া আর কেউ ঈশ্বর নয়।
61 And let our hearts be perfect toward the Lord our God, to walk also holily in his ordinances, and to keep his commandments, as at this day.
আর তোমাদের অন্তর যেন আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর বিধিবিধান অনুসারে চলার ও তাঁর আদেশের বাধ্য হওয়ার জন্য তাঁর প্রতি পুরোপুরি সমর্পিত থাকে, যেমনটি এসময় হয়েছে।”
62 And the king and all the children of Israel offered sacrifice before the Lord.
পরে রাজামশাই ও তাঁর সঙ্গে সঙ্গে ইস্রায়েলীরা সবাই সদাপ্রভুর সামনে বলি উৎসর্গ করলেন।
63 And king Solomon offered for the sacrifices of peace-offering which he sacrificed to the Lord, two and twenty thousand oxen, and hundred and twenty thousand sheep: and the king and all the children of Israel dedicated the house of the Lord.
শলোমন সদাপ্রভুর কাছে এই মঙ্গলার্থক-নৈবেদ্য উৎসর্গ করলেন: 22,000-টি গবাদি পশু ও 1,20,000-টি মেষ ও ছাগল। এইভাবে রাজা ও ইস্রায়েলী সবাই সদাপ্রভুর মন্দিরটি উৎসর্গ করলেন।
64 In that day the king consecrated the middle of the court in the front of the house of the Lord; for there he offered the whole-burnt-offering, and the sacrifices, and the fat of the peace-offerings, because the brazen altar which was before the Lord [was too] little to bear the whole-burnt-offering and the sacrifices of peace-offerings.
সেদিনই রাজামশাই সদাপ্রভুর মন্দিরের সামনের দিকের প্রাঙ্গণের মাঝের অংশটুকুও উৎসর্গ করে দিলেন, এবং সেখানে তিনি হোমবলি, শষ্য-বলি ও মঙ্গলার্থক-নৈবেদ্যের চর্বি উৎসর্গ করলেন, কারণ সদাপ্রভুর সামনে রাখা ব্রোঞ্জের যজ্ঞবেদিটি হোমবলি, শষ্য-বলি ও মঙ্গলার্থক-নৈবেদ্যের চর্বি ধারণ করার পক্ষে বড়োই ছোটো হয়ে গেল।
65 And Solomon kept the feast in that day, and all Israel with him, even a great assembly from the entering in of Hemath to the river of Egypt, before the Lord our God in the house which he built, eating and drinking, and rejoicing before the Lord our God seven days.
অতএব শলোমন সেই সময় উৎসব পালন করলেন, এবং তাঁর সাথে সমস্ত ইস্রায়েলও পালন করল—সে এক বিশাল জনতা, হমাতের প্রবেশদ্বার থেকে মিশরের নির্ঝরিণী পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকার লোকজন সেখানে উপস্থিত হল। আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে তারা সাত দিন ও আরও সাত দিন, মোট চোদ্দো দিন ধরে উৎসব উদ্যাপন করল।
66 And on the eighth day he sent away the people: and they blessed the king, and each departed to his tabernacle rejoicing, and [their] heart [was] glad because of the good things which the Lord had done to his servant David, and to Israel his people.
পরদিন তিনি লোকজনকে ফেরত পাঠিয়ে দিলেন। তারা রাজামশাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে ও সদাপ্রভু তাঁর দাস দাউদ ও তাঁর প্রজা ইস্রায়েলের প্রতি যেসব মঙ্গল করেছেন, তার জন্য খুশিমনে আনন্দ করতে করতে যে যার ঘরে ফিরে গেল।
