< Nehemiah 2 >
1 And it came about in the month Nisan, in the twentieth year of Artaxerxes the king, when wine was before him, that I took up the wine and gave it to the king. Now I had never before been sad when the king was present.
১অর্তক্ষস্ত রাজার রাজত্বের কুড়ি বছরের নীসন মাসে রাজার সামনে আঙ্গুর রস থাকাতে আমি সেই আঙ্গুর রস নিয়ে রাজাকে দিলাম। তার আগে আমি তাঁর সামনে কখনও দুঃখিত হইনি।
2 And the king said to me, Why is your face sad, seeing that you are not ill? this is nothing but sorrow of heart. Then I was full of fear;
২রাজা আমাকে বললেন, “তোমার তো অসুখ হয়নি, তবে মুখ কেন দুঃখিত দেখাচ্ছে? এ তো মনের কষ্ট ছাড়া আর কিছু নয়।” তখন আমি খুব ভয় পেলাম।
3 And said to the king, May the king be living for ever: is it not natural for my face to be sad, when the town, the place where the bodies of my fathers are at rest, has been made waste and its doorways burned with fire?
৩আর আমি রাজাকে বললাম, “মহারাজ দীর্ঘজীবী হোন। আমি কেন দুঃখিত হব না? যে শহর আমার পূর্বপুরুষদের কবরস্থান, তা ধ্বংস হয়ে গেছে ও তার দরজা সব আগুনে পুড়ে গেছে।”
4 Then the king said to me, What is your desire? So I made prayer to the God of heaven.
৪তখন রাজা আমাকে বললেন, “তুমি কি চাও?” তখন আমি স্বর্গের ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলাম।
5 And I said to the king, If it is the king's pleasure, and if your servant has your approval, send me to Judah, to the town where the bodies of my fathers are at rest, so that I may take in hand the building of it.
৫আর রাজাকে বললাম, “মহারাজ যদি খুশী হয়ে থাকেন এবং আপনার দাস যদি আপনার চোখে দয়া পেয়ে থাকে, তবে আপনি আমাকে যিহূদায়, আমার পূর্বপুরুষদের কবরের শহরে, যেতে অনুমতি দিন, যেন আমি তা তৈরী করি।”
6 And the king said to me (the queen being seated by his side), How long will your journey take, and when will you come back? So the king was pleased to send me, and I gave him a fixed time.
৬তখন রাজা-রাণীও তাঁর পাশে বসে ছিলেন-আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার যেতে কতদিন লাগবে? আর কবে ফিরে আসবে?” এই ভাবে রাজা খুশি হয়ে আমাকে বিদায় দিলেন, আর আমি তার কাছে দিন জানালাম।
7 Further, I said to the king, If it is the king's pleasure, let letters be given to me for the rulers across the river, so that they may let me go through till I come to Judah;
৭আর আমি রাজাকে বললাম, “যদি মহারাজ খুশী হয়, তবে নদীর পারের শাসনকর্তারা যেন যিহূদায় আমার না আসা পর্যন্ত আমার যাওয়ায় সাহায্য করেন, এই জন্য তাঁদের নামে আমাকে চিঠি দিতে আদেশ দিক।
8 And a letter to Asaph, the keeper of the king's park, so that he may give me wood to make boards for the doors of the tower of the house, and for the wall of the town, and for the house which is to be mine. And the king gave me this, for the hand of my God was on me.
৮আর মন্দিরের পাশে অবস্থিত দুর্গের দরজার ও শহরের দেওয়ালের ও আমার ঘরে ঢোকার দরজার কড়িকাঠের জন্য রাজার বন রক্ষক আসফ যেন আমাকে কাঠ দেন, এই জন্য তাঁর নামেও একটি চিঠি দিতে আদেশ দিক।” তাতে আমার উপরে আমার ঈশ্বরের মঙ্গলময় হাত থাকায় রাজা আমাকে সে সমস্ত দিলেন।
9 Then I came to the rulers of the lands across the river and gave them the king's letters. Now the king had sent with me captains of the army and horsemen.
৯পরে আমি নদীর পারে অবস্থিত শাসনকর্ত্তাদের কাছে এসে রাজার চিঠি তাঁদেরকে দিলাম। রাজা সেনাপতিদেরকে ও ঘোড়াচালকদেরকে আমার সঙ্গে পাঠিয়েছিলেন।
10 And Sanballat the Horonite and Tobiah the servant, the Ammonite, hearing of it, were greatly troubled because a man had come to the help of the children of Israel.
১০আর হোরোণীয় শহরবাসী সন্বল্লট ও অম্মোনীয় দাস টোবিয় যখন খবর পেল, তখন ইস্রায়েলীয়দের সাহায্যের জন্য একজন যে লোক এসেছে, এটা বুঝতে পেরে তারা খুব অসন্তুষ্ট হল।
11 So I came to Jerusalem and was there three days.
১১আর আমি যিরূশালেমে এসে সেই জায়গায় তিন দিন থাকলাম।
12 And in the night I got up, taking with me a small band of men; I said nothing to any man of what God had put into my heart to do for Jerusalem: and I had no beast with me but the one on which I was seated.
১২পরে আমি ও আমার সঙ্গী কিছু লোক, আমরা রাতে উঠলাম; কিন্তু যিরূশালেমের জন্য যা করতে ঈশ্বর আমার মনে ইচ্ছা দিয়েছিলেন, তা কাউকেও বলিনি এবং আমি যে পশুর ওপরে চড়েছিলাম, সেটা ছাড়া আর কোনো পশু আমার সঙ্গে ছিল না।
13 And I went out by night, through the doorway of the valley, and past the dragon's water-spring as far as the place where waste material was put, viewing the walls of Jerusalem which were broken down, and the doorways which had been burned with fire.
১৩আমি রাতে উপত্যকার দরজা দিয়ে বের হয়ে নাগকুয়ো ও সার দরজা পর্যন্ত গেলাম এবং যিরূশালেমের ভাঙ্গা দেওয়াল ও আগুনে পুড়ে যাওয়া দরজা সব দেখলাম।
14 Then I went on to the door of the fountain and to the king's pool: but there was no room for my beast to get through.
১৪আর উনুই দরজা ও রাজার পুকুর পর্যন্ত গেলাম, কিন্তু সেই জায়গায় আমার বাহন পশুর যাবার জায়গা ছিল না।
15 Then in the night, I went up by the stream, viewing the wall; then turning back, I went in by the door in the valley, and so came back.
১৫তখন আমি রাতে স্রোতের ধার দিয়ে উপরে উঠে দেওয়াল দেখলাম, আর ফিরে উপত্যকার দরজা দিয়ে ঢুকলাম, পরে ফিরে আসলাম।
16 And the chiefs had no knowledge of where I had been or what I was doing; and I had not then said anything to the Jews or to the priests or the great ones or the chiefs or the rest of those who were doing the work.
১৬কিন্তু আমি কোন জায়গায় গেলাম, কি করলাম, তা শাসনকর্তারা জানত না এবং সেই দিন পর্যন্ত আমি ইহুদীদের কি যাজকদের কি প্রধান লোকদেরকে শাসনকর্তাদেরকে কি অন্য কর্মচারীদেরকে কাউকেও তা বলি নি।
17 Then I said to them, You see what a bad condition we are in; how Jerusalem is a waste, and its doorways burned with fire: come, let us get to work, building up the wall of Jerusalem, so that we may no longer be put to shame.
১৭পরে আমি তাদেরকে বললাম, “আমরা কেমন খারাপ অবস্থায় আছি, তা তোমরা দেখছ; যিরূশালেম ধ্বংস হয়ে গেছে ও তার দরজা সব আগুনে পুড়ে আছে; এস, আমরা যিরূশালেমের দেওয়াল তৈরী করি, যেন আর মর্যাদাহীন না থাকি।”
18 Then I gave them an account of how the hand of my God was on me, helping me; and of the king's words which he had said to me. And they said, Let us get to work on the building. So they made their hands strong for the good work.
১৮পরে আমার উপরে বিস্তারিত ঈশ্বরের মঙ্গলময় হাতের কথা এবং আমার প্রতি বলা রাজার কথা তাদেরকে জানালাম। তাতে তারা বলল, “চল, আমরা উঠে গিয়ে গাঁথি।” এই ভাবে তারা সেই ভাল কাজের জন্য নিজের নিজের হাত শক্তিশালী করল।
19 But Sanballat the Horonite and Tobiah the servant, the Ammonite, and Geshem the Arabian, hearing of it, made sport of us, laughing at us and saying, What are you doing? will you go against the king?
১৯কিন্তু হোরোণীয় সন্বল্লট, অম্মোনীয় দাস টোবিয় ও আরবীয় গেশম্ এই কথা শুনে আমাদের বিদ্রূপ ও উপহাস করে বলল, “তোমরা এ কি কাজ করছ? তোমরা কি রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবে?”
20 Then answering them I said, The God of heaven, he will be our help; so we his servants will go on with our building: but you have no part or right or any name in Jerusalem.
২০তখন আমি উত্তরে তাদেরকে বললাম, “যিনি স্বর্গের ঈশ্বর, তিনিই আমাদেরকে সফল করবেন; অতএব তাঁর দাস আমরা উঠে গাঁথব; কিন্তু যিরূশালেমে তোমাদের কোনো অংশ কি অধিকার কি স্মৃতিচিহ্ন নেই।”