< Ephesians 4 >

1 As a prisoner in the Lord, then, I urge you to walk in a manner worthy of the calling you have received:
অতএব প্রভুতে বন্দি আমি তোমাদেরকে আবেদন করছি, তোমরা যে ডাকে আহুত হয়েছ, তার উপযুক্ত হয়ে চল।
2 with all humility and gentleness, with patience, bearing with one another in love,
সম্পূর্ণ ভদ্র ও ধীরস্থির ভাবে এবং ধৈর্য্যের সাথে চল; প্রেমে একে অন্যের প্রতি ক্ষমাশীল হও,
3 and with diligence to preserve the unity of the Spirit through the bond of peace.
শান্তির যোগবন্ধনে আত্মার ঐক্য রক্ষা করতে যত্নবান হও।
4 There is one body and one Spirit, just as you were called to one hope when you were called;
দেহ এক এবং আত্মা এক; যেমন তোমাদের ডাকের একই প্রত্যাশায় তোমরা আহুত হয়েছ।
5 one Lord, one faith, one baptism;
প্রভু এক, বিশ্বাস এক, বাপ্তিষ্ম এক,
6 one God and Father of all, who is over all and through all and in all.
সবার ঈশ্বরও পিতা এক, তিনি সবার উপরে, সবার কাছে ও সবার মনে আছেন।
7 Now to each one of us grace has been given according to the measure of the gift of Christ.
কিন্তু খ্রীষ্টের দানের পরিমাণ অনুসারে আমাদের প্রত্যেক জনকে অনুগ্রহ দেওয়া হয়েছে।
8 This is why it says: “When He ascended on high, He led captives away, and gave gifts to men.”
এই জন্য কথায় আছে, “তিনি স্বর্গে উঠে বন্দীদেরকে বন্দি করলেন, মানুষদেরকে নানা আশীর্বাদ দান করলেন।”
9 What does “He ascended” mean, except that He also descended to the lower parts of the earth?
“তিনি উঠলেন” এর তাত্পর্য কি? না এই যে, তিনি পৃথিবীর গভীরে নেমেছিলেন।
10 He who descended is the very One who ascended above all the heavens, in order to fill all things.
১০যিনি নেমেছিলেন সেই একই ব্যক্তি যিনি স্বর্গের উপর পর্যন্ত উঠেছেন, যাতে সব কিছুই তাঁর দ্বারা পূর্ণ করতে পারেন।
11 And it was He who gave some to be apostles, some to be prophets, some to be evangelists, and some to be pastors and teachers,
১১আর তিনিই কয়েকজনকে প্রেরিত, ভাববাদী, সুসমাচার প্রচারক এবং কয়েকজনকে পালক ও শিক্ষাগুরু করে দান করেছেন,
12 to equip the saints for works of ministry and to build up the body of Christ,
১২পবিত্রদের তৈরী করার জন্য করেছেন, যেন সেবাকার্য্য সাধন হয়, যেন খ্রীষ্টের দেহকে গেঁথে তোলা হয়,
13 until we all reach unity in the faith and in the knowledge of the Son of God, as we mature to the full measure of the stature of Christ.
১৩যতক্ষণ না আমরা সবাই ঈশ্বরের পুত্রের বিষয়ক বিশ্বাসের ও তত্ত্বজ্ঞানের ঐক্য পর্যন্ত, সিদ্ধ পুরুষের অবস্থা পর্যন্ত, খ্রীষ্টের পূর্ণতার আকারের পরিমাণ পর্যন্ত, না পৌঁছাই;
14 Then we will no longer be infants, tossed about by the waves and carried around by every wind of teaching and by the clever cunning of men in their deceitful scheming.
১৪যেন আমরা আর বালক না থাকি, মানুষদের ঠকামিতে, চালাকিতে, ভুল পথে চালনায়, ঢেউয়ের আঘাতে এবং সে শিক্ষার বাতাসে ইতস্ততঃ পরিচালিত না হই;
15 Instead, speaking the truth in love, we will in all things grow up into Christ Himself, who is the head.
১৫বরং আমরা প্রেমে সত্য বলি এবং সব দিনের তাঁর মধ্যে বেড়ে উঠি যিনি খ্রীষ্টের মস্তক,
16 From Him the whole body, fitted and held together by every supporting ligament, grows and builds itself up in love through the work of each individual part.
১৬যিনি মস্তক, তিনি খ্রীষ্ট, তাঁর থেকে সমস্ত দেহ, প্রত্যেক সন্ধি যে উপকার যোগায়, তাঁর দ্বারা যথাযথ সংলগ্ন ও সংযুক্ত হয়ে প্রত্যেক ভাগের নিজ নিজ পরিমাণ অনুযায়ী কাজ অনুসারে দেহের বৃদ্ধি সাধন করছে, নিজেকেই প্রেমে গেঁথে তোলার জন্য করছে।
17 So I tell you this, and insist on it in the Lord, that you must no longer walk as the Gentiles do, in the futility of their thinking.
১৭অতএব আমি এই বলছি, ও প্রভুতে দৃঢ়রূপে আদেশ করছি, তোমরা আর অযিহুদিদের মত জীবন যাপন করো না; তারা নিজ নিজ মনের অসার ভাবে চলে;
18 They are darkened in their understanding and alienated from the life of God because of the ignorance that is in them due to the hardness of their hearts.
১৮তাদের মনে অন্ধকার পড়ে আছে, ঈশ্বরের জীবনের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে, আন্তরিক অজ্ঞানতার কারণে, হৃদয়ের কঠিনতা প্রযুক্ত হয়েছে।
19 Having lost all sense of shame, they have given themselves over to sensuality for the practice of every kind of impurity, with a craving for more.
১৯তারা অসাড় হয়ে নিজেদের লোভে সব রকম অশুচি কাজ করার জন্য নিজেদেরকে ব্যাভিচারে সমর্পণ করেছে।
20 But this is not the way you came to know Christ.
২০কিন্তু তোমরা খ্রীষ্টের সম্বন্ধে এই রকম শিক্ষা পাও নি;
21 Surely you heard of Him and were taught in Him—in keeping with the truth that is in Jesus—
২১তাঁরই বাক্য ত শুনেছ এবং যীশুতে যে সত্য আছে, সেই অনুসারে তাঁতেই শিক্ষিত হয়েছ;
22 to put off your former way of life, your old self, which is being corrupted by its deceitful desires;
২২যেন তোমরা পুরানো আচরণ সম্বন্ধে সেই পুরানো মানুষকে ত্যাগ কর, যা প্রতারণার নানারকম অভিলাষ মতে ভ্রষ্ট হয়ে পড়ছে;
23 to be renewed in the spirit of your minds;
২৩নিজ নিজ মনের আত্মা যেন ক্রমশঃ নতুন হয়ে ওঠ,
24 and to put on the new self, created to be like God in true righteousness and holiness.
২৪সেই নতুন মানুষকে নির্ধারণ কর, যা সত্যের পবিত্রতায় ও ধার্ম্মিকতায় ঈশ্বরের সাদৃশ্যে সৃষ্ট হয়েছে।
25 Therefore each of you must put off falsehood and speak truthfully to his neighbor, for we are all members of one another.
২৫অতএব তোমরা, যা মিথ্যে, তা ছেড়ে প্রত্যেকে নিজ নিজ প্রতিবেশীর সঙ্গে সত্যি কথা বলো; কারণ আমরা একে অন্যের অঙ্গ।
26 “Be angry, yet do not sin.” Do not let the sun set upon your anger,
২৬রেগে গেলেও পাপ করো না; সূর্য্য অস্ত যাওয়ার আগে তোমাদের রাগ শান্ত হোক;
27 and do not give the devil a foothold.
২৭আর শয়তানকে জায়গা দিও না।
28 He who has been stealing must steal no longer, but must work, doing good with his own hands, that he may have something to share with the one in need.
২৮চোর আর চুরি না করুক, বরং নিজ হাত ব্যবহার করে সৎ ভাবে পরিশ্রম করুক, যেন গরিবকে দেবার জন্য তার হাতে কিছু থাকে।
29 Let no unwholesome talk come out of your mouths, but only what is helpful for building up the one in need and bringing grace to those who listen.
২৯তোমাদের মুখ থেকে কোন রকম বাজে কথা বের না হোক, কিন্তু দরকারে গেঁথে তোলার জন্য ভালো কথা বের হোক, যেন যারা শোনে, তাদেরকে আশীর্বাদ দান করা হয়।
30 And do not grieve the Holy Spirit of God, in whom you were sealed for the day of redemption.
৩০আর ঈশ্বরের সেই পবিত্র আত্মাকে দুঃখিত করো না, যার দ্বারা তোমার মুক্তির দিনের র অপেক্ষায় মুদ্রাঙ্কিত হয়েছ।
31 Get rid of all bitterness, rage and anger, outcry and slander, along with every form of malice.
৩১সব রকম বাজে কথা, রোষ, রাগ, ঝগড়া, ঈশ্বরনিন্দা এবং সব রকম হিংসা তোমাদের মধ্যে থেকে দুর হোক।
32 Be kind and tenderhearted to one another, forgiving each other just as in Christ God forgave you.
৩২তোমরা একে অপরে মধুর স্বভাব ও কমল মনের হও, একে অপরকে ক্ষমা কর, যেমন ঈশ্বরও খ্রীষ্টে তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন।

< Ephesians 4 >