< Acts 17 >

1 When they had passed through Amphipolis and Apollonia, they came to Thessalonica, where there was a Jewish synagogue.
পরে তারা আম্ফিপলি ও আপল্লোনিয়া শহর দিয়ে গিয়ে থিষলনীকী শহরে আসলেন। সেই জায়গায় ইহুদীদের এক সমাজ গৃহ ছিল;
2 As was his custom, Paul went into the synagogue, and on three Sabbaths he reasoned with them from the Scriptures,
আর পৌল তাঁর নিয়ম অনুসারে তাদের কাছে গেলেন এবং তিনটি বিশ্রামবারে তাদের সঙ্গে শাস্ত্রের কথা নিয়ে আলোচনা করলেন, দেখালেন যে,
3 explaining and proving that the Christ had to suffer and rise from the dead. “This Jesus I am proclaiming to you is the Christ,” he declared.
তিনি শাস্ত্রের বাক্য খুলে দেখালেন যে খ্রীষ্টের মৃত্যুভোগ ও মৃতদের মধ্যে থেকে পুনরুত্থান হওয়া জরুরি ছিল এবং এই যে যীশুর বিষয়ে আমি তোমাদের কাছে প্রচার করছি, তিনিই সেই খ্রীষ্ট।
4 Some of the Jews were persuaded and joined Paul and Silas, along with a large number of God-fearing Greeks and quite a few leading women.
তাতে ইহুদীদের মধ্যে কয়েক জন সম্মতি জানালো এবং পৌলের ও সীলের সাথে যোগ দিল; আর ভক্ত গ্রীকদের মধ্যে অনেক লোক ও অনেক প্রধান মহিলারা তাদের সঙ্গে যোগ দিলেন।
5 The Jews, however, became jealous. So they brought in some troublemakers from the marketplace, formed a mob, and sent the city into an uproar. They raided Jason’s house in search of Paul and Silas, hoping to bring them out to the people.
কিন্তু ইহুদীরা হিংসা করে বাজারের কয়েক জন দুষ্ট লোকদের নিয়ে একটি দল তৈরী করে শহরে গোলমাল বাঁধিয়ে দিল এবং যাসোনের বাড়িতে হানা দিয়ে লোকদের সামনে আনার জন্য প্রেরিতদের খুঁজতে লাগল।
6 But when they could not find them, they dragged Jason and some other brothers before the city officials, shouting, “These men who have turned the world upside down have now come here,
কিন্তু তাদের না পাওয়ায় তারা যাসোন এবং কয়েক জন ভাইকে ধরে শহরের কর্মকর্তারা এর সামনে টেনে নিয়ে গেল, চিৎকার করে বলতে লাগল, এই যে লোকেরা সারা জগতে গোলমাল করে বেড়াচ্ছে, এরা এখানেও উপস্থিত হলো;
7 and Jason has welcomed them into his home. They are all defying Caesar’s decrees, saying that there is another king, named Jesus!”
যাসোন এদের আতিথ্য করেছে; আর এরা সকলে কৈসরের নির্দেশের বিরুদ্ধাচরণ করে বলে যীশু নামে আরও একজন রাজা আছেন।
8 On hearing this, the crowd and city officials were greatly disturbed.
যখন এই কথা শুনল তখন সাধারণ মানুষেরা এবং শাসনকর্তারা উত্তেজিত হয়ে উঠল।
9 And they collected bond from Jason and the others, and then released them.
তখন তারা যাসোনের ও আর সবার জামিন নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দিলেন।
10 As soon as night had fallen, the brothers sent Paul and Silas away to Berea. On arriving there, they went into the Jewish synagogue.
১০পরে ভাইয়েরা পৌল ও সীলকে ওই রাত্রিতেই বিরয়া নগরে পাঠিয়ে দিলেন। সেখানে উপস্থিত হয়ে তাড়াতাড়ি ইহুদীদের সমাজ গৃহে গেলেন।
11 Now the Bereans were more noble-minded than the Thessalonians, for they received the message with great eagerness and examined the Scriptures every day to see if these teachings were true.
১১থিষলনীকীর ইহুদীদের থেকে এরা ভদ্র ছিল; কারণ এরা সম্পূর্ণ ইচ্ছার সঙ্গে বাক্য শুনছিল এবং সত্য কিনা তা জানার জন্য প্রতিদিন শাস্ত্র বিচার করতে লাগল।
12 As a result, many of them believed, along with quite a few prominent Greek women and men.
১২এর ফলে তাদের মধ্যে অনেক ভদ্র এবং গ্রীকদের মধ্যেও অনেকে সম্ভ্রান্ত মহিলা ও পুরুষ বিশ্বাস করলেন
13 But when the Jews from Thessalonica learned that Paul was also proclaiming the word of God in Berea, they went there themselves to incite and agitate the crowds.
১৩কিন্তু থিষীলনীর ইহুদীরা যখন জানতে পারল যে, বিরয়াতেও পৌলের মাধ্যমে ঈশ্বরের বাক্য প্রচার হয়েছে, তখন তারা সেখানেও এসে লোকেদের অস্থির ও উত্তেজিত করে তুলতে লাগল।
14 The brothers immediately sent Paul to the coast, but Silas and Timothy remained in Berea.
১৪তখন ভাইয়েরা তাড়াতাড়ি পৌলকে সমুদ্র পর্যন্ত যাওয়ার জন্য পাঠালেন; আর সীল ও তীমথিয় সেখানে থাকলেন।
15 Those who escorted Paul brought him to Athens and then returned with instructions for Silas and Timothy to join him as soon as possible.
১৫আর যারা পৌলকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিল, তারা আথীনী পর্যন্ত নিয়ে গেল; আর তাঁরা যেমন পৌলকে ছেড়ে চলে গেল, তারা তাঁর কাছ থেকে সীল এবং তীমথির অতি শীঘ্র তাঁর কাছে যাতে আসতে পারে তার জন্য আদেশ পেল।
16 While Paul was waiting for them in Athens, he was deeply disturbed in his spirit to see that the city was full of idols.
১৬পৌল যখন তাঁদের অপেক্ষায় আথানীতে ছিলেন, তখন শহরের নানা জায়গায় প্রতিমা মূর্ত্তি দেখে তাঁর আত্মা উতপ্ত হয়ে উঠল।
17 So he reasoned in the synagogue with the Jews and God-fearing Gentiles, and in the marketplace with those he met each day.
১৭এর ফলে তিনি সমাজঘরে যিহূদী ও ভক্ত লোকদের কাছে এবং বাজারে প্রতিদিন যাদের সঙ্গে দেখা হত, তাদের কাছে যীশুর বিষয়ে কথা বলতেন
18 Some Epicurean and Stoic philosophers also began to debate with him. Some of them asked, “What is this babbler trying to say?” Others said, “He seems to be advocating foreign gods.” They said this because Paul was proclaiming the good news of Jesus and the resurrection.
১৮আবার ইপিকুরের ও স্তোয়িকীরের কয়েক জন দার্শনিক পৌলের সাথে তর্ক বিতর্ক করতে লাগল। আবার কেউ কেউ বলল, “এ বাচালটা কি বলতে চায়?” আবার কেউ কেউ বলল, ওকে অন্য দেবতাদের প্রচারক বলে মনে হয়; কারণ তিনি যীশু ও পুনরুত্থান বিষয়ে সুসমাচার প্রচার করতেন।
19 So they took Paul and brought him to the Areopagus, where they asked him, “May we know what this new teaching is that you are presenting?
১৯পরে তারা পৌলের হাত ধরে আরেয়পাগে নিয়ে গিয়ে বলল, আমরা কি জানতে পারি, এই যে নতুন শিক্ষা আপনি প্রচার করছেন, এটা কি ধরনের?
20 For you are bringing some strange notions to our ears, and we want to know what they mean.”
২০কারণ আপনি কিছু অদ্ভুত কথা আমাদের বলেছেন; এর ফলে আমরা জানতে চাই, এ সব কথার মানে কি।
21 Now all the Athenians and foreigners who lived there spent their time doing nothing more than hearing and articulating new ideas.
২১কারণ আথীনী শহরের সকল লোক ও সেখানকার বসবাসকারী বিদেশীরা শুধু নতুন কোনো কথা বলা বা শোনা ছাড়া অন্য কিছুতে দিন নষ্ট করত না।
22 Then Paul stood up in the meeting of the Areopagus and said, “Men of Athens, I see that in every way you are very religious.
২২তখন পৌল আরেয়পাগের মাঝখানে দাঁড়িয়ে বললেন, “হে আথানীয় লোকেরা দেখছি, তোমরা সব বিষয়ে বড়ই দেবতাভক্ত।”
23 For as I walked around and examined your objects of worship, I even found an altar with this inscription: TO AN UNKNOWN GOD. Therefore what you worship as something unknown, I now proclaim to you.
২৩কারণ বেড়ানোর দিন তোমাদের উপাসনার জিনিস দেখতে দেখতে একটি বেদি দেখলাম, যার উপর লেখা আছে, “অজানা দেবতার উদ্দেশ্যে” অতএব তোমরা যে অজানা দেবতার আরাধনা করছ, তাঁকে আমি তোমাদের কাছে প্রচার করছি।
24 The God who made the world and everything in it is the Lord of heaven and earth and does not live in temples made by human hands.
২৪ঈশ্বর যিনি জগত ও তাঁর মধ্যেকার সব বস্তু তৈরী করেছেন। তিনিই স্বর্গের ও পৃথিবীর প্রভু, সুতরাং মানুষের হাত দিয়ে তৈরী মন্দিরে বাস করেন না;
25 Nor is He served by human hands, as if He needed anything, because He Himself gives everyone life and breath and everything else.
২৫কোনো কিছু অভাবের কারণে মানুষের সাহায্যও নেন না, তিনিই সবাইকে জীবন ও শ্বাস সব কিছুই দিয়েছেন।
26 From one man He made every nation of men, that they should inhabit the whole earth; and He determined their appointed times and the boundaries of their lands.
২৬আর তিনি একজন মানুষ থেকে মানুষের সকল জাতি উত্পন্ন, তিনি বসবাসের জন্য এই পৃথিবী দিয়েছেন; তিনি বসবাসের জন্য দিন সীমা নির্ধারণ করেছেন;
27 God intended that they would seek Him and perhaps reach out for Him and find Him, though He is not far from each one of us.
২৭যেন তারা ঈশ্বরের খোঁজ করে, যদি কোনোও খুঁজে খুঁজে তাঁর দেখা পায়; অথচ তিনি আমাদের কারও কাছ থেকে দূরে নয়।
28 ‘For in Him we live and move and have our being.’ As some of your own poets have said, ‘We are His offspring.’
২৮কারণ ঈশ্বরেতেই আমারা জীবিত, আমাদের গতি ও সত্তা; যেমন তোমাদের কয়েক জন কবিও বলেছেন, “কারণ আমরাও তাঁর বংশধর।”
29 Therefore, being offspring of God, we should not think that the Divine Being is like gold or silver or stone, an image formed by man’s skill and imagination.
২৯এর ফলে আমরা যখন ঈশ্বর সন্তান, তখন ঈশ্বরীয় স্বভাবকে মানুষের শিল্প ও কল্পনা অনুসারে তৈরী সোনার কি রূপার কি পাথরের সঙ্গে তুলনা করা আমাদের উচিত নয়।
30 Although God overlooked the ignorance of earlier times, He now commands all people everywhere to repent.
৩০ঈশ্বর সেই অজ্ঞানতার দিন কে উপেক্ষা করেছেন, কিন্তু এখন সব জায়গার সব মানুষকে মন পরিবর্তন করতে নির্দেশ দিলেন।
31 For He has set a day when He will judge the world with justice by the Man He has appointed. He has given proof of this to everyone by raising Him from the dead.”
৩১কারণ তিনি একটি দিন ঠিক করেছেন, যে দিনের নিজের মনোনীত ব্যক্তির দ্বারা পৃথিবীর লোককে বিচার করবেন; আর এই সবের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ দিয়েছেন; ফলে মৃতদের মধ্যে থেকে তাঁকে উঠিয়েছেন।
32 When they heard about the resurrection of the dead, some began to mock him, but others said, “We want to hear you again on this topic.”
৩২তখন মৃতদের পুনরুত্থানের কথা শুনে কেউ কেউ উপহাস করতে লাগল; কিন্তু কেউ কেউ বলল, আপনার কাছে এই বিষয়ে আরও একবার শুনব।
33 At that, Paul left the Areopagus.
৩৩এই ভাবে পৌল তাদের কাছ থেকে চলে গেলেন।
34 But some joined him and believed, including Dionysius the Areopagite, a woman named Damaris, and others who were with them.
৩৪কিন্তু কিছু ব্যক্তি তাঁর সঙ্গ নিয়ে যীশুকে বিশ্বাস করল; তাদের মধ্যে আরেয়পাগীর দিয়নুষিয় এবং দামারি নামে একজন মহিলা ও আরোও কয়েক জন ছিলেন।

< Acts 17 >