Hebrews 3
1 Therefore, holy brothers, partakers of a heavenly calling, consider the Apostle and High Priest of our confession: Jesus,
অতএব, পবিত্র ভাইবোনেরা, তোমরা যারা স্বর্গীয় আহ্বানের অংশীদার, আমরা যাঁকে স্বীকার করি প্রেরিত ও মহাযাজকরূপে, সেই যীশুর প্রতি তোমাদের সব চিন্তাভাবনা নিবদ্ধ করো।
2 who was faithful to him who appointed him, as also Moses was in all his house.
ঈশ্বরের সমস্ত গৃহে মোশি যেমন বিশ্বস্ত ছিলেন, যীশুও তেমনই তাঁর নিয়োগকর্তার প্রতি বিশ্বস্ত ছিলেন।
3 For he has been counted worthy of more glory than Moses, because he who built the house has more honor than the house.
বাড়ির চেয়ে বাড়ির নির্মাতা যেমন বেশি সম্মানের অধিকারী, যীশুও তেমনই মোশির চেয়ে বেশি সম্মানের যোগ্য বলে নিশ্চিত হয়েছেন।
4 For every house is built by someone; but he who built all things is God.
কারণ প্রত্যেক গৃহ কারও দ্বারা নির্মিত হয়, কিন্তু ঈশ্বর সবকিছুর নির্মাতা।
5 Moses indeed was faithful in all his house as a servant, for a testimony of those things which were afterward to be spoken,
“ঈশ্বরের সমস্ত গৃহে মোশি দাসের মতো বিশ্বস্ত ছিলেন,” ভবিষ্যতে যা বলা হবে, সে বিষয়ে তিনি সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।
6 but Christ is faithful as a Son over his house. We are his house, if we hold fast our confidence and the glorying of our hope firm to the end.
কিন্তু খ্রীষ্ট, ঈশ্বরের গৃহের উপরে, তাঁর পুত্রের মতো বিশ্বস্ত। যদি আমরা সাহস ও প্রত্যাশা শেষ পর্যন্ত ধারণ করে থাকি, যার জন্য আমরা গর্ব করি, তাহলে তাঁর গৃহ আমরাই।
7 Therefore, even as the Holy Spirit says, “Today if you will hear his voice,
অতএব, “আজ যদি তোমরা তাঁর কণ্ঠস্বর শোনো,
8 do not harden your hearts as in the rebellion, in the day of the trial in the wilderness,
তাহলে তোমাদের হৃদয় কঠিন কোরো না; যেমন মরুপ্রান্তরে পরীক্ষাকালে, তোমরা বিদ্রোহ করেছিলে;
9 where your fathers tested me and tried me, and saw my deeds for forty years.
যেখানে তোমাদের পূর্বপুরুষেরা আমাকে পরীক্ষা করেছিল; আর যাচাই করেছিল, যদিও চল্লিশ বছর ধরে আমি যা করেছিলাম, তারা সব দেখেছিল।
10 Therefore I was displeased with that generation, and said, ‘They always err in their heart, but they did not know my ways.’
তাই, ওই প্রজন্মের প্রতি আমি ক্রুদ্ধ হয়েছিলাম এবং আমি বলেছিলাম, ‘তাদের হৃদয় সবসময় বিপথগামী হয় আর তারা আমার পথগুলি জানে না।’
11 As I swore in my wrath, ‘They will not enter into my rest.’”
তাই আমার ক্রোধে আমি এক শপথ নিয়েছিলাম, ‘আমার বিশ্রামে তারা আর কোনোদিন প্রবেশ করবে না।’”
12 Beware, brothers, lest perhaps there might be in any one of you an evil heart of unbelief, in falling away from the living God;
ভাইবোনেরা, দেখো, তোমাদের কারও হৃদয়ে যেন পাপ ও অবিশ্বাস না থাকে, যা জীবন্ত ঈশ্বরের কাছ থেকে তোমাদের দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়।
13 but exhort one another day by day, so long as it is called “today”, lest any one of you be hardened by the deceitfulness of sin.
কিন্তু প্রতিদিন পরস্পরকে উৎসাহিত করো, যতক্ষণ আজ বলে দিনটি অভিহিত হয়, যেন পাপের ছলনায় তোমাদের কারও হৃদয় কঠিন হয়ে না পড়ে।
14 For we have become partakers of Christ, if we hold the beginning of our confidence firm to the end,
প্রথমে যেমন ছিল, যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের বিশ্বাস সুদৃঢ় রাখতে পারি, তাহলে আমরা খ্রীষ্টের সহভাগী হয়েছি।
15 while it is said, “Today if you will hear his voice, do not harden your hearts, as in the rebellion.”
যেমন যথার্থই বলা হয়েছে, “আজ যদি তোমরা তাঁর কণ্ঠস্বর শোনো, তাহলে তোমাদের হৃদয়কে কঠিন কোরো না, যেমন বিদ্রোহ-কালে তোমরা করেছিলে।”
16 For who, when they heard, rebelled? Was not it all those who came out of Egypt led by Moses?
যারা শুনে বিদ্রোহ করেছিল, তারা কারা? মোশি যাদের মিশর থেকে বের করে এনেছিলেন, তারাই কি নয়?
17 With whom was he displeased forty years? Was not it with those who sinned, whose bodies fell in the wilderness?
আর চল্লিশ বছর ধরে তিনি কাদের প্রতি ক্রুদ্ধ ছিলেন? যারা পাপ করেছিল, মরুপ্রান্তরে যাদের শবদেহ পতিত হয়েছিল, তাদেরই উপর নয় কি?
18 To whom did he swear that they would not enter into his rest, but to those who were disobedient?
আর কাদের বিরুদ্ধে ঈশ্বর শপথ করেছিলেন, যে তারা কখনও তাঁর বিশ্রামে প্রবেশ করবে না, যারা অবাধ্য হয়েছিল, তাদেরই বিরুদ্ধে নয় কি?
19 We see that they were not able to enter in because of unbelief.
তাই আমরা দেখতে পাই যে, অবিশ্বাসের জন্যই তারা প্রবেশ করতে পারেনি।
