< Romans 8 >

1 Consequently nothing is condemnation now to those in Christ Jesus, who walk not according to flesh but according to Spirit.
অতএব, এখন যারা খ্রীষ্ট যীশুতে আছে, তাদের প্রতি কোনও শাস্তি নেই,
2 For the law of the Spirit of life in Christ Jesus freed me from the law of sin and of death.
কারণ খ্রীষ্ট যীশুতে জীবনের আত্মার যে বিধান, তা আমাকে পাপ ও মৃত্যুর বিধান থেকে মুক্ত করেছে।
3 For the impotence of the law, in that it was weak because of the flesh, God, having sent his own Son in a form of flesh of sin, and concerning sin, condemned sin in the flesh,
বিধান রক্তমাংসের দ্বারা দুর্বল হওয়াতে যা করতে পারেনি, ঈশ্বর তা করেছেন। তিনি তাঁর নিজ পুত্রকে পাপময় মানবদেহের সাদৃশ্যে পাপার্থক বলিরূপে উৎসর্গ করার জন্য পাঠিয়ে তাই সম্পাদন করেছেন। এভাবে তিনি পাপময় মানুষের রক্তমাংসে পাপের শাস্তি দিলেন,
4 so that the justice of the law might be fulfilled in us, those who walk not according to flesh, but according to Spirit.
যেন বিধানের ধার্মিক দাবি আমাদের মধ্যে সম্পূর্ণ সিদ্ধ হয়। কারণ আমরা পাপময় প্রকৃতি অনুযায়ী জীবনযাপন করি না কিন্তু আত্মার বশ্যতাধীন হয়ে করি।
5 For those who are according to flesh think about the things of the flesh, but those according to Spirit the things of the Spirit.
যারা পাপময় প্রকৃতি অনুযায়ী জীবনযাপন করে, সেই প্রকৃতি যা চায়, তার উপর তারা তাদের মনোনিবেশ করে। কিন্তু যারা পবিত্র আত্মার বশে জীবনযাপন করে, তাদের মন পবিত্র আত্মা যা চান, তার প্রতিই নিবিষ্ট থাকে।
6 For the mentality of the flesh is death, but the mentality of the Spirit is life and peace.
রক্তমাংসের উপরে নিবদ্ধ মানসিকতার পরিণাম হল মৃত্যু, কিন্তু পবিত্র আত্মার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত মানিসকতা হল জীবন ও শান্তি।
7 Because the mentality of the flesh is enmity against God, for it is not submissive to the law of God, for neither is it able.
রক্তমাংসের মানসিকতা হল ঈশ্বরের বিরুদ্ধে শত্রুতা। তা ঈশ্বরের বিধানের প্রতি বশীভূত থাকে না, আর তেমন করতেও পারে না।
8 And those who are in flesh cannot please God.
যারা রক্তমাংসের স্বভাব দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, তারা ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করতে পারে না।
9 But ye are not in flesh but in Spirit, if indeed the Spirit of God dwells in you. But if any man does not have the Spirit of Christ, this man is not of him.
তোমরা অবশ্য রক্তমাংসের দ্বারা নয়, কিন্তু পবিত্র আত্মা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, যদি ঈশ্বরের আত্মা তোমাদের মধ্যে বাস করেন। আর যার মধ্যে খ্রীষ্টের আত্মা নেই, সে খ্রীষ্টের নয়।
10 And if Christ is in you, the body is indeed dead because of sin, but the spirit is life because of righteousness.
কিন্তু খ্রীষ্ট যদি তোমাদের মধ্যে থাকেন, পাপের কারণে তোমাদের শরীর মৃত হলেও ধার্মিকতার কারণে তোমাদের আত্মা জীবিত।
11 But if the Spirit of him who raised up Jesus from the dead dwells in you, he who raised up the Christ from the dead will also give life to your mortal bodies through his Spirit that dwells in you.
যিনি যীশুকে মৃতলোক থেকে উত্থাপিত করেছেন, তাঁর আত্মা যদি তোমাদের মধ্যে বাস করেন, তাহলে যিনি খ্রীষ্টকে মৃতলোক থেকে উত্থাপিত করেছেন, তিনি তোমাদের নশ্বর শরীরকেও তাঁর আত্মার মাধ্যমে সঞ্জীবিত করবেন, যিনি তোমাদের অন্তরে বাস করেন।
12 So then, brothers, we are debtors, not to the flesh to live according to flesh.
অতএব ভাইবোনেরা, আমাদের আইনগত এক বাধ্যবাধকতা আছে—তা কিন্তু রক্তমাংসের বশে জীবনযাপন করার জন্য নয়।
13 For if ye live according to flesh, ye are going to die, but if in spirit ye kill the deeds of the body, ye will live.
কারণ তোমরা যদি রক্তমাংসের বশ্যতাধীনে জীবনযাপন করো, তোমাদের মৃত্যু হবে; কিন্তু পবিত্র আত্মার দ্বারা যদি শরীরের অপকর্মগুলি ধ্বংস করো, তোমরা জীবিত থাকবে।
14 For as many as are led by the Spirit of God, these are sons of God.
কারণ যারা ঈশ্বরের আত্মা দ্বারা চালিত হয়, তারাই ঈশ্বরের পুত্র।
15 For ye did not receive a spirit of bondage again for fear, but ye received a spirit of adoption, whereby we cry, Abba, Father.
প্রকৃতপক্ষে, তোমরা যে আত্মাকে গ্রহণ করেছ, তিনি তোমাদের ভয়ে জীবন কাটানোর জন্য ক্রীতদাস করেন না; কিন্তু তোমরা দত্তকপুত্র হওয়ার আত্মা লাভ করেছ। তাঁরই দ্বারা আমরা ডেকে উঠি “আব্বা! পিতা” বলে।
16 The Spirit itself testifies with our spirit, that we are children of God.
পবিত্র আত্মা স্বয়ং আমাদের আত্মার সঙ্গে সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, আমরা ঈশ্বরের সন্তান।
17 And if children, also heirs, heirs indeed of God, and joint-heirs with Christ; if indeed we suffer jointly, so that we may also be glorified jointly.
এখন, যদি আমরা সন্তান হই, তাহলে আমরা উত্তরাধিকারীও—ঈশ্বরের উত্তরাধিকারী ও খ্রীষ্টের সঙ্গে সহ-উত্তরাধিকারী। কিন্তু যদি আমরা তাঁর মহিমার অংশীদার হতে চাই তবে তাঁর কষ্টভোগেরও অংশীদার হতে হবে।
18 For I reckon that the sufferings of the present time are not comparable to the glory that is going to be revealed for us.
আমি এরকম মনে করি যে, আমাদের মধ্যে যে মহিমার প্রকাশ ঘটবে, আমাদের বর্তমানকালের কষ্টভোগের সঙ্গে তার কোনো তুলনা হতে পারে না।
19 For the eager expectation of the creation is waiting for the manifestation of the sons of God.
ঈশ্বরের পুত্রগণের প্রকাশ পাওয়ার প্রতীক্ষায় সমস্ত সৃষ্টি সাগ্রহে অপেক্ষা করে আছে।
20 For the creation was made subject to futility, not willingly, but because of him who subjected it in hope.
কারণ সৃষ্টি অলীকতার বশীভূত হয়েছিল, তার নিজের ইচ্ছায় নয়, কিন্তু যিনি বশীভূত করেছিলেন, তাঁর ইচ্ছায়;
21 Because the creation itself will also be freed from the bondage of corruption into the liberty of the glory of the children of God.
প্রত্যাশা ছিল এই যে, সৃষ্টি স্বয়ং অবক্ষয়ের বাঁধন থেকে মুক্ত হবে এবং ঈশ্বরের সন্তানদের গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতায় অংশীদার হবে।
22 For we know that the whole creation is groaning and travailing together until now.
আমরা জানি যে, সমস্ত সৃষ্টি বর্তমানকাল পর্যন্ত সন্তান প্রসবের যন্ত্রণার মতো আর্তনাদ করছে।
23 And not only so, but also ourselves who have the first fruit of the Spirit. And we ourselves groan within ourselves, waiting for adoption, the redemption of our body.
শুধু তাই নয়, কিন্তু আমরা নিজেরাও, যারা আত্মার প্রথম ফল পেয়েছি, আমাদের দত্তকপুত্র হয়ে স্বীকৃতি পাওয়ার গভীর প্রতীক্ষায় ও শরীরের মুক্তির জন্য অন্তরে আর্তনাদ করছি।
24 For we were saved to hope. But hope that is seen is not hope. For what is seen, why also hope for that?
কারণ এই প্রত্যাশাতেই আমরা পরিত্রাণ লাভ করেছি। কিন্তু যে প্রত্যাশা দৃষ্টিগোচর, তা আদৌ কোনো প্রত্যাশা নয়। যার ইতিমধ্যে কিছু আছে, তার জন্য কেন সে প্রত্যাশা করবে?
25 But if we hope for what we do not see, we wait through patience.
কিন্তু যা আমাদের নেই, তার জন্য যদি আমরা প্রত্যাশা করি, তাহলে তার জন্য ধৈর্যসহ প্রতীক্ষা করি।
26 And likewise also the Spirit helps our weaknesses, for we know not what we would pray for as we ought, but the Spirit itself intercedes for us with inexpressible groanings.
একইভাবে পবিত্র আত্মা আমাদের দুর্বলতায় আমাদের সাহায্য করেন। সঠিক কী প্রার্থনা করতে হয়, তা আমরা জানি না, কিন্তু পবিত্র আত্মা স্বয়ং আমাদের পক্ষে আর্তস্বরে প্রার্থনা করেন, যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।
27 And he who searches the hearts knows what is the mentality of the Spirit, because he appeals to God for the sanctified.
যিনি আমাদের সকলের হৃদয় অনুসন্ধান করেন, তিনি পবিত্র আত্মার মানসিকতা জানেন, কারণ পবিত্র আত্মা ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুযায়ীই পবিত্রগণের জন্য মিনতি করেন।
28 And we know that all things work together for good to those who love God, who are the called according to purpose.
আর আমরা জানি যে, যারা ঈশ্বরকে ভালোবাসে, যারা তাঁর ইচ্ছা অনুসারে আহূত, তিনি সব বিষয়ে তাদের মঙ্গলসাধনের জন্য কাজ করেন।
29 Because whom he foreknew, he also predestined to be of similar nature of the form of his Son, in order for him to be the firstborn son among many brothers.
কারণ ঈশ্বর যাদের পূর্ব থেকে জানতেন, তিনি তাদের তাঁর পুত্রের প্রতিমূর্তির সাদৃশ্য দান করবেন বলে নির্দিষ্ট করে রেখেছিলেন, যেন তিনি অনেক ভাইয়ের মধ্যে প্রথমজাত হন।
30 And whom he predestined, these he also called, and whom he called, these he also made righteous, and whom he made righteous, these he also glorified.
আবার যাদের তিনি পূর্ব থেকে নির্দিষ্ট করেছিলেন, তাদের তিনি আহ্বানও করলেন, যাদের আহ্বান করলেন, তিনি তাদের নির্দোষ প্রতিপন্ন করলেন, আর যাদের নির্দোষ প্রতিপন্ন করলেন, তাদের মহিমান্বিতও করলেন।
31 What then will we say to these things? If God is for us, who is against us?
এসবের প্রত্যুত্তরে তাহলে আমরা কী বলব? ঈশ্বর যদি আমাদের পক্ষে থাকেন, তাহলে কে আমাদের বিরোধী হতে পারে?
32 He who did not even spare his own Son, but delivered him up for us all, how will he not also give us all things with him?
যিনি তাঁর নিজ পুত্রকেও নিষ্কৃতি দেননি, কিন্তু আমাদের সকলের জন্য তাঁকে সমর্পণ করেছেন—তিনি কি তাঁর সঙ্গে সবকিছুই অনুগ্রহপূর্বক আমাদের দান করবেন না?
33 Who will accuse against the chosen of God? God is he who makes righteous.
ঈশ্বর যাদের মনোনীত করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে কে অভিযোগ করবে? ঈশ্বরই তাদের নির্দোষ প্রতিপন্ন করেন।
34 Who is he who will condemn? It is Christ who died, but more, who also was raised up, who also is at the right hand of God, who also appeals for us.
কে তাহলে দোষী সাব্যস্ত করবে? খ্রীষ্ট যীশু, যিনি মৃত্যুবরণ করেছেন—তার চেয়েও বড়ো কথা, যাঁকে জীবনে উত্থাপিত করা হয়েছিল—তিনি ঈশ্বরের ডানদিকে উপস্থিত আছেন এবং আমাদের জন্য অনুরোধও করছেন।
35 Who will separate us from the love of Christ? Will tribulation, or restriction, or persecution, or famine, or nakedness, or peril, or sword?
খ্রীষ্টের প্রেম থেকে কে আমাদের বিচ্ছিন্ন করবে? কষ্ট-সংকট, না দুর্দশা, না নির্যাতন, না দুর্ভিক্ষ, না নগ্নতা, না বিপদ, না তরোয়াল—এর কোনোটিই নয়?
36 Just as it is written, For thy sake we are killed the whole day long. We are considered as sheep of slaughter.
যেমন লেখা আছে, “তোমার জন্য আমরা প্রতিনিয়ত মৃত্যুর মুখোমুখি হই, বলির মেষের মতো আমাদের গণ্য করা হয়।”
37 But in all these things we are more than conquerors through him who loved us.
না, যিনি আমাদের প্রেম করেছেন, তাঁরই মাধ্যমে আমরা এসব বিষয়ে বিজয়ীর থেকেও বেশি বিজয়ী হয়েছি।
38 For I am persuaded that neither death, nor life, nor agents, nor principal positions, nor powers, nor things that have come, nor things that are coming,
কারণ আমি নিশ্চিতরূপে জানতে পেরেছি যে, মৃত্যু বা জীবন, স্বর্গদূতেরা বা ভূতেরা, বর্তমান বা ভাবীকালের কোনো বিষয়, না কোনো পরাক্রম,
39 nor height, nor depth, nor any other creation, will be able to separate us from the love of God in Christ Jesus our Lord.
ঊর্ধ্বলোক বা অধোলোক বা সমস্ত সৃষ্টির অন্য কোনো বিষয়, কোনো কিছুই আমাদের প্রভু, খ্রীষ্ট যীশুতে অবস্থিত ঈশ্বরের প্রেম থেকে আমাদের বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না।

< Romans 8 >