< 2 Koningen 14 >
1 In het tweede jaar van Joas, den zoon van Joahaz, den koning van Israel, werd Amazia koning, de zoon van Joas, den koning van Juda.
১ইস্রায়েলের রাজা যিহোয়াহসের ছেলে যিহোয়াশের রাজত্বের দ্বিতীয় বছরে যিহূদার রাজা যোয়াশের ছেলে অমৎসিয় রাজত্ব করতে শুরু করলেন।
2 Vijf en twintig jaren was hij oud, toen hij koning werd, en regeerde negen en twintig jaren te Jeruzalem; en de naam zijner moeder was Joaddan van Jeruzalem.
২তাঁর বয়স যখন পঁচিশ বছর ছিল যখন তিনি রাজত্ব করতে শুরু করেন। তিনি যিরূশালেমে ঊনত্রিশ বছর রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর মায়ের নাম ছিল যিহোয়দ্দিন; তিনি যিরূশালেমের বাসিন্দা ছিলেন।
3 En hij deed dat recht was in de ogen des HEEREN, nochtans niet als zijn vader David; hij deed naar alles, wat zijn vader Joas gedaan had.
৩তিনি সদাপ্রভুর চোখে যা ঠিক অমৎসিয় তাই করতেন, তবে তাঁর পূর্বপুরুষ দায়ূদের মত করতেন না। তিনি তাঁর বাবা যোয়াশ যেমন করতেন তিনি সেই মতই সমস্ত কাজ করতেন।
4 Alleenlijk werden de hoogten niet weggenomen; het volk offerde en rookt nog op de hoogten.
৪কিন্তু উঁচু স্থানগুলো তিনি ধ্বংস করলেন না; লোকেরা তখনও সেই উঁচুস্থানে বলি দিত এবং ধূপ জ্বালাত।
5 Het geschiedde nu, als het koninkrijk in zijn hand versterkt was, dat hij zijn knechten sloeg, die den koning, zijn vader, geslagen hadden,
৫পরে রাজ্য তাঁর হাতে এসে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর, যে দাসেরা রাজাকে, অর্থাৎ তাঁর বাবাকে মেরে ফেলেছিল, তিনি তাদেরকে হত্যা করলেন।
6 Doch de kinderen der doodslagers doodde hij niet; gelijk geschreven is in het wetboek van Mozes, waar de HEERE geboden heeft, zeggende: De vaders zullen voor de kinderen niet gedood worden, en de kinderen zullen voor de vaders niet gedood worden; maar een ieder zal om zijn zonde gedood worden.
৬কিন্তু মোশির ব্যবস্থার বইতে যা লেখা আছে সেইমত তিনি তাদের সন্তানদের হত্যা করলেন না। সেই ব্যবস্থার বইতে সদাপ্রভুর এই আদেশ লেখা ছিল, “সন্তানদের জন্য বাবাকে কিম্বা বাবার কারণে সন্তানদের হত্যা করা চলবে না, তবে প্রত্যেককেই তার নিজের নিজের পাপের জন্য মরতে হবে।”
7 Hij sloeg de Edomieten in het Zoutdal tien duizend, en nam Sela in met krijg, en noemde haar naam Jokteel, tot op dezen dag.
৭তিনি লবণ উপত্যকায় দশ হাজার ইদোমীয় লোককে হত্যা করলেন এবং যুদ্ধ করে সেলা দখল করে তার নাম যক্তেল রাখলেন; আজও সেই নাম আছে।
8 Toen zond Amazia boden tot Joas, den zoon van Joahaz, den zoon van Jehu, den koning van Israel, zeggende: Kom, laat ons elkanders aangezicht zien.
৮তখন অমৎসিয় দূত পাঠিয়ে যেহূর নাতি, অর্থাৎ যিহোয়াহসের ছেলে ইস্রায়েলের রাজা যিহোয়াশকে বলে পাঠালেন, “আসুন, যুদ্ধ ক্ষেত্রে আমরা পরস্পরের মুখোমুখি হই।”
9 Maar Joas, de koning van Israel, zond tot Amazia, den koning van Juda, zeggende: De distel, die op den Libanon is, zond tot den ceder, die op den Libanon is, zeggende: Geef uw dochter mijn zoon ter vrouw; maar het gedierte des velds, dat op den Libanon is, ging voorbij, en vertrad den distel.
৯কিন্তু যিহোয়াশ ইস্রায়েলের রাজা দূতের মাধ্যমে উত্তরে দিয়ে যিহূদার রাজা অমৎসিয়র কাছে লোক বা দূত পাঠিয়ে বললেন, “লেবাননের এক শিয়ালকাঁটা লেবাননেরই এরস গাছের কাছে বলে পাঠাল, ‘আমার ছেলের সঙ্গে আপনার মেয়ের বিয়ে দিন।’ কিন্তু লেবাননের একটা বন্য পশু এসে সেই শিয়ালকাঁটাকে পায়ে মাড়িয়ে দিল।
10 Gij hebt de Edomieten dapper geslagen, daarom heeft uw hart u verheven; heb de eer, en blijf in uw huis; want waarom zoudt gij u in het kwade mengen, dat gij vallen zoudt, gij en Juda met u?
১০তুমি ইদোমকে আক্রমণ করেছ এবং তোমার হৃদয় সত্যিই গর্বিত হয়েছে। নিজের জয়ের জন্য গর্ব কর, কিন্তু নিজের গৃহে থাকো। কারণ তুমি কেন নিজের বিপদের কারণ হবে? আর তার সঙ্গে ডেকে আনবে নিজের ও যিহূদার ধ্বংস?”
11 Doch Amazia hoorde niet; daarom toog Joas, de koning van Israel, op, zodat hij en Amazia, de koning van Juda, elkanders aangezicht zagen te Beth-Semes, dat in Juda is.
১১কিন্তু অমৎসিয় সেই কথা শুনলেন না। তাই ইস্রায়েলের রাজা যিহোয়াশ আক্রমণ করলেন। তিনি ও যিহূদার রাজা অমৎসিয় যিহূদার বৈৎ-শেমশে একে অপরের মুখোমুখি হলেন।
12 En Juda werd geslagen voor het aangezicht van Israel, en zij vloden, een iegelijk in zijn tenten.
১২ইস্রায়েলের কাছে যিহূদা হেরে গেল এবং প্রত্যেকে নিজের বাড়িতে পালিয়ে গেল।
13 En Joas, de koning van Israel, greep Amazia, den koning van Juda, den zoon van Joas, den zoon van Ahazia, te Beth-Semes, en kwam te Jeruzalem; en hij brak aan den muur van Jeruzalem, van de poort van Efraim tot aan de Hoekpoort, vierhonderd ellen.
১৩ইস্রায়েলের রাজা যিহোয়াশ বৈৎ-শেমশে অহসিয়ের নাতি, অর্থাৎ যোয়াশের ছেলে যিহূদার রাজা অমৎসিয়কে ধরলেন। তারপর যিহোয়াশ যিরূশালেমে গিয়ে সেখানকার দেয়ালের ইফ্রয়িমের ফটক থেকে কোণের ফটক পর্যন্ত প্রায় চারশো হাত ভেঙে দিলেন।
14 En hij nam al het goud, en het zilver, en al de vaten, die gevonden werden in het huis des HEEREN, en in de schatten van des konings huis, mitsgaders gijzelaars; en hij keerde weder naar Samaria.
১৪তিনি সোনা ও রূপা এবং অন্যান্য জিনিসপত্র যা সদাপ্রভুর গৃহে পাওয়া গিয়েছিল এবং রাজবাড়ীর ধনভান্ডারে যে সব মূল্যবান জিনিস ছিল তা সবই নিয়ে গেলেন। তিনি জামিন হিসাবে কতগুলো লোককে নিয়ে শমরিয়াতে ফিরে গেলেন।
15 Het overige nu der geschiedenissen van Joas, wat hij gedaan heeft, en zijn macht, en hoe hij gestreden heeft tegen Amazia, den koning van Juda, zijn die niet geschreven in het boek der kronieken der koningen van Israel?
১৫যিহোয়াশের করা অবশিষ্ট অন্যান্য সমস্ত কাজের কথা, যুদ্ধে তাঁর জয়ের কথা এবং যিহূদার রাজা কেমন করে অমৎসিয়ের বিরুদ্ধে তিনি যুদ্ধ করেছিলেন সেই সব ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস নামক বইটিতে কি লেখা নেই?
16 En Joas ontsliep met zijn vaderen, en werd te Samaria begraven bij de koningen van Israel; en zijn zoon Jerobeam werd koning in zijn plaats.
১৬পরে যিহোয়াশ তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে নিদ্রায় গেলেন এবং তাঁকে শমরিয়াতে ইস্রায়েলের রাজাদের সঙ্গে কবর দেওয়া হল এবং তাঁর ছেলে যারবিয়াম তাঁর পদে রাজা হলেন।
17 Amazia nu, de zoon van Joas, koning van Juda, leefde na den dood van Joas, den zoon van Joahaz, den koning van Israel, vijftien jaren.
১৭ইস্রায়েলের রাজা যিহোয়াহসের ছেলে যিহোয়াশের মৃত্যুর পর যিহূদার রাজা যোয়াশের ছেলে অমৎসিয় আরও পনেরো বছর বেঁচে ছিলেন।
18 Het overige nu der geschiedenissen van Amazia, is dat niet geschreven in het boek der kronieken der koningen van Juda?
১৮অমৎসিয়ের অন্যান্য সমস্ত অবশিষ্ট কাজের কথা যিহূদার রাজাদের ইতিহাস নামে বইটিতে কি লেখা নেই?
19 En zij maakten een verbintenis tegen hem te Jeruzalem, dat hij vluchtte naar Lachis; maar zij zonden hem na tot Lachis, en doodden hem aldaar.
১৯যিরূশালেমে অমৎসিয়ের বিরুদ্ধে তারা ষড়যন্ত্র করলো এবং তিনি লাখীশে পালিয়ে গেলেন, কিন্তু তারা তার পিছনে পিছনে লাখীশে লোক পাঠালো এবং সেখানে তাঁকে হত্যা করলো।
20 En zij brachten hem op paarden; en hij werd te Jeruzalem begraven, bij zijn vaderen, in de stad Davids.
২০তাঁর দেহটা তারা ঘোড়ার পিঠে করে যিরূশালেমে ফিরিয়ে আনল এবং তাঁকে দায়ূদ-শহরে তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে কবর দিল।
21 En het ganse volk van Juda nam Azaria (die nu zestien jaren oud was), en maakten hem koning in plaats van zijn vader Amazia.
২১তারপর যিহূদার সমস্ত লোক অসরিয়কে যার বয়স ষোলো বছর ছিল তাঁকে নিয়ে তাঁর বাবা অমৎসিয়ের জায়গায় রাজা করল।
22 Die bouwde Elath, en bracht haar weder aan Juda, nadat de koning met zijn vaderen ontslapen was.
২২অমৎসিয় তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে নিদ্রায় যাবার পর পরে অসরিয় এলৎ শহরটি পুনরায় তৈরী করলেন এবং তা যিহূদার অধীনে করলেন।
23 In het vijftiende jaar van Amazia, den zoon van Joas, den koning van Juda, werd te Samaria koning, Jerobeam, de zoon van Joas, koning van Israel, en regeerde een en veertig jaren.
২৩যিহূদার রাজা যোয়াশের ছেলে অমৎসিয়ের রাজত্বের পনেরো বছরের দিন ইস্রায়েলের রাজা যিহোয়াশের ছেলে যারবিয়াম শমরিয়াতে রাজত্ব করতে শুরু করেন এবং তিনি একচল্লিশ বছর রাজত্ব করেছিলেন।
24 En hij deed dat kwaad was in de ogen des HEEREN; hij week niet van alle zonden van Jerobeam, den zoon van Nebat, die Israel zondigen deed.
২৪সদাপ্রভুর চোখে যা কিছু মন্দ তিনি তাই করতেন এবং নবাটের ছেলে যারবিয়াম যে সব পাপ ইস্রায়েলকে দিয়ে করিয়েছিলেন তিনি সেই সব পাপ করতে ছাড়লেন না।
25 Hij bracht ook weder de landpale van Israel van den ingang van Hamath, tot aan de zee van het vlakke veld; naar het woord des HEEREN, des Gods van Israel, dat Hij gesproken had door den dienst van Zijn knecht Jona, den zoon van Amitthai, den profeet, die van Gath-hefer was.
২৫ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু তাঁর দাস গাৎ-হেফরের অমিত্তয়ের ছেলে যোনা ভাববাদীর মধ্য দিয়ে যে কথা বলেছিলেন সেই কথা অনুযায়ী যারবিয়াম হমাৎ এলাকা থেকে অরাবার সমুদ্র পর্যন্ত আগে ইস্রায়েলের রাজ্যের যে সীমা ছিল তা পুনরায় নিজের হাতে ফিরিয়ে এনেছিলেন।
26 Want de HEERE zag, dat de ellende van Israel zeer bitter was, en dat er geen opgeslotenen noch verlatenen waren, en dat Israel geen helper had.
২৬কারণ, সদাপ্রভু দেখেছিলেন যে ইস্রায়েলের স্বাধীন মানুষ কিম্বা দাস সবাই ভীষণভাবে কষ্ট পাচ্ছে; কেউ তাদের সাহায্য করবার মত ছিল না।
27 En de HEERE had niet gesproken, dat Hij den naam van Israel van onder den hemel verdelgen zou; maar Hij verloste hen door de hand van Jerobeam, den zoon van Joas.
২৭ফলে সদাপ্রভু বললেন যে তিনি আকাশের নীচ থেকে ইস্রায়েলের নাম মুছে ফেলবেন না। সেইজন্য তিনি যিহোয়াশের ছেলে যারবিয়ামের মধ্য দিয়ে তাদের উদ্ধার করলেন।
28 Het overige nu der geschiedenissen van Jerobeam, en al wat hij gedaan heeft, en zijn macht, hoe hij gekrijgd heeft, en hoe hij Damaskus en Hamath, tot Juda behorende, aan Israel wedergebracht heeft, zijn die niet geschreven in het boek der kronieken der koningen van Israel?
২৮যারবিয়ামের অন্যান্য সমস্ত অবশিষ্টের কাজের কথা, যুদ্ধে তাঁর জয়ের কথা এবং এক দিন যিহূদার অধিকারে থাকা দম্মেশক ও হমাৎ কিভাবে তিনি ইস্রায়েলের জন্য আবার অধিকার করে নিয়েছিলেন সেই কথা ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস নামে বইটিতে কি লেখা নেই?
29 En Jerobeam ontsliep met zijn vaderen, met de koningen van Israel; en zijn zoon Zacharia werd koning in zijn plaats.
২৯পরে যারবিয়াম তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে নিদ্রায় গেলে, ইস্রায়েলের রাজাদের কাছে চলে গেলেন এবং তাঁর ছেলে সখরিয় তাঁর জায়গায় রাজা হলেন।