Lukas 1
1 Nademaal velen ter hand genomen hebben, om in orde te stellen een verhaal van de dingen, die onder ons volkomen zekerheid hebben;
যা কিছু ঘটে গেছে, আমাদের মধ্যে অনেকেই তার একটি বিবরণ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
2 Gelijk ons overgeleverd hebben, die van den beginne zelven aanschouwers en dienaars des Woords geweest zijn;
যাঁরা প্রথম থেকেই সবকিছু চাক্ষুষ দেখেছেন ও বাক্যের পরিচর্যা করেছেন, তাঁরাই সে সমস্ত আমাদের কাছে সমর্পণ করেছেন।
3 Zo heeft het ook mij goed gedacht, hebbende alles van voren aan naarstiglijk onderzocht, vervolgens aan u te schrijven, voortreffelijke Theofilus!
মহামান্য থিয়ফিল, সেইজন্য আমি প্রথম থেকে সবকিছু সযত্নে অনুসন্ধান করে আপনার জন্য একটি সুবিন্যস্ত বিবরণ রচনা করা সংগত বিবেচনা করলাম,
4 Opdat gij moogt kennen de zekerheid der dingen, waarvan gij onderwezen zijt.
যেন আপনি যে শিক্ষা লাভ করেছেন, সে বিষয়ে আপনার জ্ঞান সুনিশ্চিত হয়।
5 In de dagen van Herodes, den koning van Judea, was een zeker priester, met name Zacharias, van de dagorde van Abia; en zijn vrouw was uit de dochteren van Aaron, en haar naam Elizabet.
যিহূদিয়ার রাজা হেরোদের রাজত্বকালে সখরিয় নামে একজন যাজক ছিলেন। তিনি ছিলেন অবিয়ের পুরোহিত অধীনস্থ যাজক-সম্প্রদায়ভুক্ত। তাঁর স্ত্রী ইলিশাবেতও ছিলেন হারোণ বংশীয়।
6 En zij waren beiden rechtvaardig voor God, wandelende in al de geboden en rechten des Heeren, onberispelijk.
তাঁরা উভয়েই ছিলেন ঈশ্বরের দৃষ্টিতে ধার্মিক। তাঁরা প্রভুর সমস্ত আজ্ঞা ও বিধিনিয়ম নির্দোষরূপে পালন করতেন।
7 En zij hadden geen kind, omdat Elizabet onvruchtbaar was, en zij beiden verre op hun dagen gekomen waren.
কিন্তু তাঁরা ছিলেন নিঃসন্তান, কারণ ইলিশাবেত বন্ধ্যা ছিলেন এবং তাঁদের দুজনেরই বেশ বয়স হয়েছিল।
8 En het geschiedde, dat, als hij het priesterambt bediende voor God, in de beurt zijner dagorde.
একদিন সখরিয়ের দলের পালা ছিল এবং তিনি ঈশ্বরের সামনে যাজকীয় পরিচর্যা করছিলেন।
9 Naar de gewoonte der priesterlijke bediening, hem te lote was gevallen, dat hij zoude ingaan in den tempel des Heeren om te reukofferen.
যাজকীয় কাজের রীতি অনুসারে, প্রভুর মন্দিরে গিয়ে ধূপ জ্বালাবার জন্য তিনিই গুটিকাপাতের দ্বারা মনোনীত হয়েছিলেন।
10 En al de menigte des volks was buiten, biddende, ten ure des reukoffers.
সেই ধূপ জ্বালাবার সময় যখন উপস্থিত হল, সমবেত উপাসকেরা তখন বাইরে প্রার্থনা করছিলেন।
11 En van hem werd gezien een engel des Heeren, staande ter rechter zijde van het altaar des reukoffers.
সেই সময় প্রভুর এক দূত ধূপ জ্বালাবার বেদির ডানদিকে দাঁড়িয়ে তাঁর কাছে আবির্ভূত হলেন।
12 En Zacharias, hem ziende, werd ontroerd, en vreze is op hem gevallen.
তাঁকে দেখে সখরিয় বিস্ময়ে বিহ্বল ও ভীত হলেন।
13 Maar de engel zeide tot hem: Vrees niet, Zacharias! want uw gebed is verhoord, en uw vrouw Elizabet zal u een zoon baren, en gij zult zijn naam heten Johannes.
কিন্তু দূত তাঁকে বললেন, “সখরিয়, ভয় পেয়ো না, ঈশ্বর তোমার প্রার্থনা শুনেছেন। তোমার স্ত্রী ইলিশাবেত তোমার জন্য এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেবেন। তুমি তার নাম রাখবে, যোহন।
14 En u zal blijdschap en verheuging zijn, en velen zullen zich over zijn geboorte verblijden.
সে তোমার আনন্দ ও উল্লাসের কারণ হবে এবং তার জন্মে অনেক মানুষ উল্লসিত হবে,
15 Want hij zal groot zijn voor den Heere; noch wijn, noch sterken drank zal hij drinken, en hij zal met den Heiligen Geest vervuld worden, ook van zijner moeders lijf aan.
কারণ প্রভুর দৃষ্টিতে সে হবে মহান। সে কখনও দ্রাক্ষারস, বা অন্য কোনো উত্তেজক পানীয় গ্রহণ করবে না এবং জন্মমুহূর্ত থেকেই সে পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হবে।
16 En hij zal velen der kinderen Israels bekeren tot den Heere, hun God.
ইস্রায়েলের বহু মানুষকে সে তাদের প্রভু ঈশ্বরের কাছে ফিরিয়ে আনবে।
17 En hij zal voor Hem heengaan, in den geest en de kracht van Elias, om te bekeren de harten der vaderen tot de kinderen, en de ongehoorzamen tot de voorzichtigheid der rechtvaardigen, om den Heere te bereiden een toegerust volk.
ভাববাদী এলিয়ের আত্মা ও পরাক্রমে সে প্রভুর অগ্রগামী হবে; সকল পিতৃহৃদয়কে তাদের সন্তানের দিকে ফিরিয়ে আনবে, অবাধ্যদের ধার্মিকদের প্রজ্ঞাপথে নিয়ে আসবে—প্রভুর জন্য এক প্রজাসমাজকে প্রস্তুত করে তুলবে।”
18 En Zacharias zeide tot den engel: Waarbij zal ik dat weten? Want ik ben oud, en mijn vrouw is verre op haar dagen gekomen.
সখরিয় দূতকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আমি কী করে এ বিষয়ে সুনিশ্চিত হব? কারণ আমি বৃদ্ধ, আমার স্ত্রীরও অনেক বয়স হয়েছে।”
19 En de engel antwoordde en zeide tot hem: Ik ben Gabriel, die voor God sta, en ben uitgezonden, om tot u te spreken, en u deze dingen te verkondigen.
দূত উত্তর দিলেন, “আমি গ্যাব্রিয়েল, ঈশ্বরের সামনে দাঁড়িয়ে থাকি। এই শুভবার্তা ব্যক্ত করার জন্য ও তোমার সঙ্গে কথা বলার জন্য আমাকে তোমার কাছে পাঠানো হয়েছে।
20 En zie, gij zult zwijgen, en niet kunnen spreken, tot op den dag, dat deze dingen geschied zullen zijn; om dies wil, dat gij mijn woorden niet geloofd hebt, welke vervuld zullen worden op hun tijd.
কিন্তু তুমি আমার কথা বিশ্বাস করলে না, যদিও সেকথা যথাসময়ে সত্য হয়ে উঠবে। এজন্য তুমি বোবা হয়ে যাবে এবং যতদিন না এই ঘটনা ঘটে, তুমি কথা বলতে পারবে না।”
21 En het volk was wachtende op Zacharias, en zij waren verwonderd, dat hij zo lang vertoefde in den tempel.
এদিকে সখরিয়ের জন্য অপেক্ষায় লোকেরা অবাক হয়ে ভাবছিল, তিনি মন্দিরে কেন এত দেরি করছেন।
22 En als hij uitkwam, kon hij tot hen niet spreken; en zij bekenden, dat hij een gezicht in den tempel gezien had. En hij wenkte hun toe, en bleef stom.
বাইরে বেরিয়ে এসে তিনি তাদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে পারলেন না। তারা উপলব্ধি করল, তিনি মন্দিরে কোনো দর্শন লাভ করেছেন, কারণ তিনি ক্রমাগত ইঙ্গিতে তাদের বোঝাচ্ছিলেন, কিন্তু কথা বলতে পারছিলেন না।
23 En het geschiedde, als de dagen zijner bediening vervuld waren, dat hij naar zijn huis ging.
তাঁর পরিচর্যার কাজ সম্পূর্ণ হলে তিনি ঘরে ফিরে গেলেন।
24 En na die dagen werd Elizabet, zijn vrouw, bevrucht; en zij verborg zich vijf maanden, zeggende:
এরপরে তাঁর স্ত্রী ইলিশাবেত অন্তঃসত্ত্বা হলেন এবং পাঁচ মাস গোপনে অবস্থান করলেন।
25 Alzo heeft mij de Heere gedaan, in de dagen, in welke Hij mij aangezien heeft, om mijn versmaadheid onder de mensen weg te nemen.
তিনি বললেন, “প্রভু আমার জন্য এ কাজ করেছেন। এই সময়ে তিনি আমার প্রতি করুণা প্রদর্শন করেছেন, লোকসমাজ থেকে আমার অপবাদ দূর করেছেন।”
26 En in de zesde maand werd de engel Gabriel van God gezonden naar een stad in Galilea, genaamd Nazareth;
ছয় মাস পরে ঈশ্বর তাঁর দূত গ্যাব্রিয়েলকে গালীল প্রদেশের নাসরৎ-নগরে এক কুমারীর কাছে পাঠালেন।
27 Tot een maagd, die ondertrouwd was met een man, wiens naam was Jozef, uit den huize Davids; en de naam der maagd was Maria.
তিনি দাউদ বংশের যোষেফ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বাগদত্তা হয়েছিলেন। সেই কুমারী কন্যার নাম ছিল মরিয়ম।
28 En de engel tot haar ingekomen zijnde, zeide: Wees gegroet, gij begenadigde; de Heere is met u; gij zijt gezegend onder de vrouwen.
দূত তাঁর কাছে গিয়ে বললেন, “মহান অনুগ্রহের অধিকারিণী, তোমাকে অভিনন্দন! প্রভু তোমার সঙ্গে আছেন।”
29 En als zij hem zag, werd zij zeer ontroerd over dit zijn woord, en overleide, hoedanig deze groetenis mocht zijn.
তাঁর কথা শুনে মরিয়ম অত্যন্ত বিচলিত হলেন এবং অবাক হয়ে ভাবলেন, এ কী ধরনের অভিবাদন হতে পারে!
30 En de engel zeide tot haar: Vrees niet, Maria, want gij hebt genade bij God gevonden.
কিন্তু দূত তাঁকে বললেন, “মরিয়ম, ভয় পেয়ো না। তুমি ঈশ্বরের অনুগ্রহ লাভ করেছ।
31 En zie, gij zult bevrucht worden, en een Zoon baren, en zult Zijn naam heten JEZUS.
তুমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে এক পুত্রের জন্ম দেবে, আর তুমি তাঁর নাম রাখবে যীশু।
32 Deze zal groot zijn, en de Zoon des Allerhoogsten genaamd worden; en God, de Heere, zal Hem den troon van Zijn vader David geven.
তিনি মহান হবেন ও পরাৎপরের পুত্র নামে আখ্যাত হবেন। প্রভু ঈশ্বর তাঁর পিতা দাউদের সিংহাসন তাঁকে দেবেন
33 En Hij zal over het huis Jakobs Koning zijn in der eeuwigheid, en Zijns Koninkrijks zal geen einde zijn. (aiōn g165)
এবং তিনি যাকোব বংশে চিরকাল রাজত্ব করবেন। তাঁর রাজত্বের কখনও অবসান হবে না।” (aiōn g165)
34 En Maria zeide tot den engel: Hoe zal dat wezen, dewijl ik geen man bekenne?
মরিয়ম দূতকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তা কী করে হবে? আমি যে কুমারী!”
35 En de engel, antwoordende, zeide tot haar: De Heilige Geest zal over u komen, en de kracht des Allerhoogsten zal u overschaduwen; daarom ook, dat Heilige, Dat uit u geboren zal worden, zal Gods Zoon genaamd worden.
উত্তর দিয়ে দূত তাঁকে বললেন, “পবিত্র আত্মা তোমার উপরে অবতরণ করবেন ও পরাৎপরের শক্তি তোমাকে আবৃত করবে। তাই যে পবিত্র পুরুষ জন্মগ্রহণ করবেন, তিনি ঈশ্বরের পুত্র বলে আখ্যাত হবেন।
36 En zie, Elizabet, uw nicht, is ook zelve bevrucht, met een zoon, in haar ouderdom; en deze maand is haar, die onvruchtbaar genaamd was, de zesde.
আর তোমার আত্মীয় ইলিশাবেতও বৃদ্ধ বয়সে সন্তানের মা হতে চলেছেন। যাকে সকলে বন্ধ্যা বলে জানত, এখন তাঁর ছয় মাস চলছে।
37 Want geen ding zal bij God onmogelijk zijn.
কারণ ঈশ্বর যা বলেন তা সবসময় সত্যি হয়।”
38 En Maria zeide: Zie, de dienstmaagd des Heeren; mij geschiede naar uw woord. En de engel ging weg van haar.
মরিয়ম উত্তর দিলেন, “আমি প্রভুর দাসী। আপনি যে রকম বললেন, আমার প্রতি সেরকমই হোক।” এরপর দূত তাঁকে ছেড়ে চলে গেলেন।
39 En Maria, opgestaan zijnde in diezelfde dagen, reisde met haast naar het gebergte, in een stad van Juda;
তখন মরিয়ম যিহূদিয়ার পার্বত্য অঞ্চলের এক নগরের দিকে দ্রুত বেরিয়ে পড়লেন।
40 En kwam in het huis van Zacharias, en groette Elizabet.
সেখানে এসে তিনি সখরিয়ের বাড়িতে প্রবেশ করে ইলিশাবেতকে অভিনন্দন জানালেন।
41 En het geschiedde, als Elizabet de groetenis van Maria hoorde, zo sprong het kindeken op in haar buik; en Elizabet werd vervuld met den Heiligen Geest;
ইলিশাবেত যখন মরিয়মের অভিনন্দন শুনলেন, তাঁর গর্ভে শিশুটি লাফ দিয়ে উঠল এবং ইলিশাবেত পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হলেন।
42 En riep uit met een grote stem, en zeide: Gezegend zijt gij onder de vrouwen, en gezegend is de vrucht uws buiks!
উচ্ছ্বসিত স্বরে তিনি বলে উঠলেন, “নারীকুলে তুমি ধন্য, আর যে শিশুকে তুমি গর্ভে ধারণ করবে, সেও ধন্য।
43 En van waar komt mij dit, dat de moeder mijns Heeren tot mij komt?
আর আমার প্রতিই বা এত অনুগ্রহের কারণ কী যে, আমার প্রভুর মা আমার কাছে এসেছেন?
44 Want zie, als de stem uwer groetenis in mijn oren geschiedde, zo sprong het kindeken van vreugde op in mijn buik.
তোমার অভিনন্দন আমার কানে প্রবেশ করা মাত্র, আমার গর্ভের শিশুটি আনন্দে নেচে উঠল।
45 En zalig is zij, die geloofd heeft; want de dingen, die haar van den Heere gezegd zijn, zullen volbracht worden.
ধন্য সেই নারী, যে বিশ্বাস করেছে, প্রভুর প্রতিশ্রুতি তাঁর জীবনে সার্থক হয়ে উঠবে।”
46 En Maria zeide: Mijn ziel maakt groot den Heere;
তখন মরিয়ম বললেন, “আমার প্রাণ প্রভুর মহিমাকীর্তন করে,
47 En mijn geest verheugt zich in God, mijn Zaligmaker;
আমার পরিত্রাতা ঈশ্বরে আমার আত্মা উল্লাস করে।
48 Omdat Hij de nederheid Zijner dienstmaagd heeft aangezien; want zie, van nu aan zullen mij zalig spreken al de geslachten.
কারণ তিনি তাঁর এই দীনদরিদ্র দাসীর প্রতি দৃষ্টিপাত করেছেন। এখন থেকে পুরুষ-পরম্পরা আমাকে ধন্য বলে অভিহিত করবে।
49 Want grote dingen heeft aan mij gedaan Hij, Die machtig is, en heilig is Zijn Naam.
কারণ যিনি পরাক্রমী, যিনি আমার জন্য কত মহৎ কাজ সাধন করেছেন— তাঁর নাম পবিত্র।
50 En Zijn barmhartigheid is van geslacht tot geslacht over degenen, die Hem vrezen.
যারা তাঁকে ভয় করে, তাদেরই জন্য পুরুষ-পরম্পরায় তাঁর করুণার হাত প্রসারিত।
51 Hij heeft een krachtig werk gedaan door Zijn arm; Hij heeft verstrooid de hoogmoedigen in de gedachten hunner harten.
তাঁর বাহু সব পরাক্রম কাজ সাধন করেছে; যারা অন্তরের গভীরতম ভাবনায় গর্বিত, তিনি তাদের ছত্রভঙ্গ করেছেন।
52 Hij heeft machtigen van de tronen afgetrokken, en nederigen heeft Hij verhoogd.
শাসকদের তিনি সিংহাসনচ্যূত করেছেন, কিন্তু বিনম্রদের উন্নত করেছেন।
53 Hongerigen heeft Hij met goederen vervuld; en rijken heeft Hij ledig weggezonden.
তিনি উত্তম দ্রব্যে ক্ষুধার্তদের তৃপ্ত করেছেন, কিন্তু ধনীদের রিক্ত হাতে বিদায় করেছেন।
54 Hij heeft Israel, Zijn knecht, opgenomen, opdat Hij gedachtig ware der barmhartigheid.
আপন করুণার কথা স্মরণ করে, তিনি তাঁর সেবক ইস্রায়েলকে সহায়তা দান করেছেন।
55 (Gelijk Hij gesproken heeft tot onze vaderen, namelijk tot Abraham, en zijn zaad) in eeuwigheid. (aiōn g165)
যেমন আমাদের পিতৃপুরুষদের কাছে বলেছিলেন, অব্রাহাম ও তাঁর বংশধরদের প্রতি চিরতরে করুণা প্রদান করেছেন।” (aiōn g165)
56 En Maria bleef bij haar omtrent drie maanden, en keerde weder tot haar huis.
মরিয়ম প্রায় তিন মাস ইলিশাবেতের কাছে রইলেন, তারপর তিনি বাড়িতে ফিরে এলেন।
57 En de tijd van Elizabet werd vervuld, dat zij baren zoude, en zij baarde een zoon.
প্রসবের সময় পূর্ণ হলে, ইলিশাবেত এক পুত্রসন্তানের জন্ম দিলেন।
58 En die daar rondom woonden, en haar magen hoorden, dat de Heere Zijn barmhartigheid grotelijks aan haar bewezen had, en waren met haar verblijd.
তাঁর প্রতিবেশী এবং আত্মীয়পরিজনেরা শুনল যে, প্রভু তাঁর প্রতি মহৎ করুণা প্রদর্শন করেছেন, আর তারাও তাঁর আনন্দের অংশীদার হল।
59 En het geschiedde, dat zij op den achtsten dag kwamen, om het kindeken te besnijden, en noemden het Zacharias, naar den naam zijns vaders.
অষ্টম দিনে তারা শিশুটিকে সুন্নত করার জন্য এসে তার পিতার নাম অনুসারে শিশুটির নাম সখরিয় রাখতে চাইল।
60 En zijn moeder antwoordde en zeide: Niet alzo, maar hij zal Johannes heten.
কিন্তু তার মা বলে উঠলেন, “না, ওর নাম হবে যোহন।”
61 En zij zeiden tot haar: Er is niemand in uw maagschap, die met dien naam genaamd wordt.
তারা তাঁকে বলল, “কেন? আপনার আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে কারও তো এই নাম নেই!”
62 En zij wenkten zijn vader, hoe hij wilde, dat hij genaamd zou worden.
তখন তারা তার পিতার কাছে ইশারায় জানতে চাইল, তিনি শিশুটির কী নাম রাখতে চান।
63 En als hij een schrijftafeltje geeist had, schreef hij, zeggende: Johannes is zijn naam. En zij verwonderden zich allen.
তিনি একটি লিপিফলক চেয়ে নিলেন এবং সবাইকে অবাক করে দিয়ে লিখলেন, “ওর নাম যোহন।”
64 En terstond werd zijn mond geopend, en zijn tong losgemaakt; en hij sprak, God lovende.
সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মুখ খুলে গেল, জিভের জড়তা চলে গেল, আর তিনি কথা বলতে লাগলেন ও ঈশ্বরের প্রশংসায় মুখর হলেন।
65 En er kwam vrees over allen, die rondom hen woonden; en in het gehele gebergte van Judea werd veel gesproken van al deze dingen.
প্রতিবেশীরা সবাই ভীত হল এবং যিহূদিয়ার সমস্ত পার্বত্য অঞ্চলের লোকেরা এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে লাগল।
66 En allen, die het hoorden, namen het ter harte, zeggende: Wat zal toch dit kindeken wezen? En de hand des Heeren was met hem.
যারা শুনল, তারা প্রত্যেকেই বিস্মিত হয়ে বলাবলি করল, “এই শিশুটি তাহলে ভবিষ্যতে কী হবে?” কারণ প্রভুর হাত ছিল তার সহায়।
67 En Zacharias, zijn vader, werd vervuld met den Heiligen Geest, en profeteerde, zeggende:
তখন তার পিতা সখরিয় পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ হয়ে ভাববাণী করলেন। তিনি বললেন:
68 Geloofd zij de Heere, de God Israels, want Hij heeft bezocht, en verlossing te weeg gebracht Zijn volke;
“প্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বরের নাম প্রশংসিত হোক, কারণ তিনি এসে তাঁর প্রজাদের মুক্ত করেছেন।
69 En heeft een hoorn der zaligheid ons opgericht, in het huis van David, Zijn knecht;
তিনি তাঁর দাস দাউদের বংশে আমাদের জন্য এক ত্রাণশৃঙ্গ তুলে ধরেছেন,
70 Gelijk Hij gesproken heeft door den mond Zijner heilige profeten, die van het begin der wereld geweest zijn; (aiōn g165)
(বহুকাল আগে তাঁর পবিত্র ভাববাদীদের মাধ্যমে তিনি যেমন বলেছিলেন), (aiōn g165)
71 Namelijk een verlossing van onze vijanden, en van de hand al dergenen, die ons haten;
যেন আমরা আমাদের সব শত্রুর কবল থেকে উদ্ধার পাই, যারা আমাদের ঘৃণা করে, তাদের হাত থেকে রক্ষা পাই,
72 Opdat Hij barmhartigheid deed aan onze vaderen, en gedachtig ware aan Zijn heilig verbond;
আমাদের পিতৃপুরুষদের প্রতি করুণা প্রদর্শন এবং তাঁর পবিত্র নিয়ম স্মরণ করার জন্য,
73 En aan den eed, dien Hij Abraham, onzen vader, gezworen heeft, om ons te geven.
আমাদের পিতা অব্রাহামের কাছে তিনি যা শপথ করেছিলেন:
74 Dat wij, verlost zijnde uit de hand onzer vijanden, Hem dienen zouden zonder vreze.
তিনি আমাদের সব শত্রুর হাত থেকে আমাদের নিস্তার করবেন, যেন নির্ভয়ে তাঁর সেবা করতে আমাদের সক্ষম করেন,
75 In heiligheid en gerechtigheid voor Hem, al de dagen onzes levens.
যেন তাঁর সামনে পবিত্রতায় ও ধার্মিকতায় আমরা তাঁর সেবা করে যাই।
76 En gij, kindeken, zult een profeet des Allerhoogsten genaamd worden; want gij zult voor het aangezicht des Heeren heengaan, om Zijn wegen te bereiden;
“আর তুমি, আমার শিশুসন্তান, তুমি পরাৎপরের ভাববাদী বলে আখ্যাত হবে, কারণ প্রভুর পথ প্রস্তুতির জন্য তুমি তাঁর অগ্রগামী হবে;
77 Om Zijn volk kennis der zaligheid te geven, in vergeving hunner zonden,
তাঁর প্রজাবৃন্দকে, তাদের পাপসমূহ ক্ষমার মাধ্যমে পরিত্রাণের জ্ঞান দেওয়ার জন্য।
78 Door de innerlijke bewegingen der barmhartigheid onzes Gods, met welke ons bezocht heeft de Opgang uit de hoogte;
আমাদের ঈশ্বরের স্নেহময় করুণার গুণে, স্বর্গ থেকে আমাদের মাঝে স্বর্গীয় জ্যোতির উদয় হবে।
79 Om te verschijnen dengenen, die gezeten zijn in duisternis en schaduw des doods; om onze voeten te richten op den weg des vredes.
যারা অন্ধকারে, মৃত্যুচ্ছায়ায় বসবাস করছে, তাদের উপর আলো বিকীর্ণ করতে, আমাদের পা শান্তির পথে চালিত করতে।”
80 En het kindeken wies op, en werd gesterkt in den geest, en was in de woestijnen, tot den dag zijner vertoning aan Israel.
আর বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সেই শিশু আত্মাতে বলীয়ান হয়ে উঠলেন এবং ইস্রায়েলের জনসমক্ষে আত্মপ্রকাশ না করা পর্যন্ত, তিনি মরুপ্রান্তরে বসবাস করলেন।
