Lukas 9
1 En Zijn twaalf discipelen samengeroepen hebbende, gaf Hij hun kracht en macht over al de duivelen, en om ziekten te genezen.
যীশু সেই বারোজনকে আহ্বান করে মন্দ-আত্মা তাড়ানোর এবং রোগনিরাময় করার ক্ষমতা ও অধিকার তাদের দিলেন।
2 En Hij zond hen heen, om te prediken het Koninkrijk Gods, en de kranken gezond te maken.
তিনি ঈশ্বরের রাজ্যের বিষয়ে প্রচার ও পীড়িতদের আরোগ্য দান করার জন্য তাঁদের পাঠালেন।
3 En Hij zeide tot hen: Neemt niets mede tot den weg, noch staven, noch male, noch brood, noch geld; noch iemand van u zal twee rokken hebben.
তিনি তাঁদের বললেন, “যাত্রার উদ্দেশে তোমরা সঙ্গে কিছুই নিয়ো না; ছড়ি, থলি, কোনো খাবার, টাকাপয়সা, অতিরিক্ত পোশাক, কোনো কিছুই না।
4 En in wat huis gij ook zult ingaan, blijft aldaar, en gaat van daar uit.
যে বাড়িতে তোমরা প্রবেশ করবে, সেই নগর পরিত্যাগ না করা পর্যন্ত তোমরা সেখানেই থেকো।
5 En zo wie u niet zullen ontvangen, uitgaande van die stad, schudt ook het stof af van uw voeten, tot een getuigenis tegen hen.
লোকে তোমাদের স্বাগত না জানালে, তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণস্বরূপ, তাদের নগর পরিত্যাগ করার সময় তোমাদের পায়ের ধুলো ঝেড়ে ফেলো।”
6 En zij, uitgaande, doorgingen al de vlekken, verkondigende het Evangelie, en genezende de zieken overal.
সেইমতো তাঁরা যাত্রা করলেন এবং গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ঘুরে সুসমাচার প্রচার করলেন, সর্বত্র লোকদের রোগনিরাময় করলেন।
7 En Herodes, de viervorst, hoorde al de dingen, die van Hem geschiedden; en was twijfelmoedig, omdat van sommigen gezegd werd, dat Johannes van de doden was opgestaan;
সামন্তরাজ হেরোদ এসব ঘটনার কথা শুনতে পেলেন। তিনি খুব বিচলিত হয়ে পড়লেন, কারণ কেউ কেউ বলছিল যে, যোহন মৃত্যুলোক থেকে উত্থিত হয়েছেন।
8 En van sommigen, dat Elias verschenen was; en van anderen, dat een profeet van de ouden was opgestaan.
অন্যেরা বলছিল, এলিয় আবির্ভূত হয়েছেন; আবার কেউ কেউ বলছিল, প্রাচীনকালের কোনো ভাববাদী পুনর্জীবিত হয়েছেন।
9 En Herodes zeide: Johannes heb ik onthoofd; wie is nu Deze, van Welken ik zulke dingen hoor? En hij zocht Hem te zien.
কিন্তু হেরোদ বললেন, “আমিই তো যোহনের মাথা কেটেছিলাম, তাহলে কে এই ব্যক্তি, যাঁর সম্পর্কে আমি এত কথা শুনছি?” তিনি যীশুকে দেখার চেষ্টা করতে লাগলেন।
10 En de apostelen, wedergekeerd zijnde, verhaalden Hem al wat zij gedaan hadden. En Hij nam hen mede en vertrok alleen in een woeste plaats der stad, genaamd Bethsaida.
প্রেরিতশিষ্যেরা ফিরে এসে যীশুকে তাঁদের কাজের বিবরণ দিলেন। তিনি তখন তাঁদের সঙ্গে নিয়ে বেথসৈদা নগরের দিকে একান্তে যাত্রা করলেন।
11 En de scharen, dat verstaande, volgden Hem; en Hij ontving ze, en sprak tot hen van het Koninkrijk Gods; en die genezing van node hadden, maakte Hij gezond.
কিন্তু লোকেরা সেকথা জানতে পেরে তাঁকে অনুসরণ করল। তিনি তাদের স্বাগত জানিয়ে ঈশ্বরের রাজ্যের বিষয়ে কথা বললেন এবং যাদের সুস্থতা লাভের প্রয়োজন ছিল, তাদের সুস্থ করলেন।
12 En de dag begon te dalen; en de twaalven, tot Hem komende, zeiden tot Hem: Laat de schare van U, opdat zij, heengaande in de omliggende vlekken en in de dorpen, herberg nemen mogen, en spijze vinden; want wij zijn hier in een woeste plaats.
পড়ন্ত বিকেলে সেই বারোজন তাঁর কাছে এসে বললেন, “লোকদের চলে যেতে বলুন, তারা যেন চারদিকের গ্রামে এবং পল্লিতে গিয়ে খাবার ও রাত্রিবাসের সন্ধান করতে পারে, কারণ আমরা এখানে এক প্রত্যন্ত স্থানে আছি।”
13 Maar Hij zeide tot hen: Geeft gij hun te eten. En zij zeiden: Wij hebben niet meer dan vijf broden, en twee vissen; tenzij dan dat wij heengaan en spijs kopen voor al dit volk;
তিনি উত্তর দিলেন, “তোমরাই ওদের কিছু খেতে দাও।” তাঁরা বললেন, “আমাদের কাছে কেবলমাত্র পাঁচটি রুটি ও দুটি মাছ আছে—সব লোককে খাওয়াতে হলে আমাদের গিয়ে খাবার কিনতে হবে।”
14 Want er waren omtrent vijf duizend mannen. Doch Hij zeide tot Zijn discipelen: Doet hen nederzitten bij zaten, elk van vijftig.
(সেখানে প্রায় পাঁচ হাজার পুরুষ ছিল।) তিনি কিন্তু শিষ্যদের বললেন, “প্রত্যেক সারিতে কমবেশি পঞ্চাশ জন করে ওদের বসিয়ে দাও।”
15 En zij deden alzo, en deden hen allen nederzitten.
শিষ্যেরা তাই করলেন, এবং প্রত্যেকে বসে পড়ল।
16 En Hij, de vijf broden en de twee vissen genomen hebbende, zag op naar den hemel, en zegende die, en brak ze, en gaf ze den discipelen, om der schare voor te leggen.
সেই পাঁচটি রুটি ও দুটি মাছ নিয়ে যীশু স্বর্গের দিকে দৃষ্টি দিলেন, ধন্যবাদ দিলেন ও রুটিগুলিকে ভাঙলেন। তারপর তিনি সেগুলি লোকদের পরিবেশন করার জন্য শিষ্যদের হাতে তুলে দিলেন।
17 En zij aten en werden allen verzadigd; en er werd opgenomen, hetgeen hun van de brokken overgeschoten was, twaalf korven.
তারা সকলে খেয়ে পরিতৃপ্ত হল। আর শিষ্যেরা অবশিষ্ট রুটির টুকরো সংগ্রহ করে বারো ঝুড়ি পূর্ণ করলেন।
18 En het geschiedde, als Hij alleen was biddende, dat de discipelen met Hem waren, en Hij vraagde hen, zeggende: Wie zeggen de scharen, dat Ik ben?
একদিন যীশু একান্তে প্রার্থনা করছিলেন। তাঁর শিষ্যেরাও তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তিনি তাঁদের জিজ্ঞাসা করলেন, “আমি কে, এ বিষয়ে লোকেরা কী বলে?”
19 En zij, antwoordende, zeiden: Johannes de Doper; en anderen: Elias; en anderen: Dat enig profeet van de ouden opgestaan is.
তাঁরা উত্তর দিলেন, “কেউ কেউ বলে আপনি বাপ্তিষ্মদাতা যোহন, অন্যেরা বলে এলিয়, আর কেউ কেউ বলে, প্রাচীনকালের কোনও একজন ভাববাদী যিনি পুনর্জীবিত হয়েছেন।”
20 En Hij zeide tot hen: Maar gijlieden, wie zegt gij, dat Ik ben? En Petrus, antwoordende, zeide: De Christus Gods.
“কিন্তু তোমরা কী বলো?” তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা কী বলো, আমি কে?” পিতর উত্তর দিলেন, “আপনি ঈশ্বরের সেই খ্রীষ্ট।”
21 En Hij gebood hun scherpelijk en beval, dat zij dit niemand zeggen zouden;
একথা কারও কাছে প্রকাশ না করার জন্য যীশু দৃঢ়ভাবে তাঁদের সতর্ক করে দিলেন।
22 Zeggende: De Zoon des mensen moet veel lijden, en verworpen worden van de ouderlingen, en overpriesters, en Schriftgeleerden, en gedood en ten derden dage opgewekt worden.
তিনি বললেন, “মনুষ্যপুত্রকে বিভিন্ন বিষয়ে দুঃখভোগ করতে হবে; প্রাচীনবর্গ, মহাযাজকবৃন্দ ও শাস্ত্রবিদরা তাঁকে প্রত্যাখ্যান করবে। তাঁকে হত্যা করা হবে এবং তৃতীয় দিনে তাঁর পুনরুত্থান হবে।”
23 En Hij zeide tot allen: Zo iemand achter Mij wil komen, die verloochene zichzelven, en neme zijn kruis dagelijks op, en volge Mij.
তারপর তিনি তাঁদের সবাইকে বললেন, “কেউ যদি আমাকে অনুসরণ করতে চায়, সে অবশ্যই নিজেকে অস্বীকার করবে, প্রতিদিন তার ক্রুশ তুলে নেবে ও আমাকে অনুসরণ করবে।
24 Want zo wie zijn leven behouden wil, die zal het verliezen; maar zo wie zijn leven verliezen zal, om Mijnentwil, die zal het behouden.
কারণ কেউ যদি তার প্রাণরক্ষা করতে চায়, সে তা হারাবে, কিন্তু কেউ যদি আমার কারণে তার প্রাণ হারায়, সে তা লাভ করবে।
25 Want wat baat het een mens, die de gehele wereld zou winnen, en zichzelven verliezen, of schade zijns zelfs lijden?
মানুষ যদি সমস্ত জগতের অধিকার লাভ করে ও তার নিজের প্রাণ হারায়, বা জীবন থেকে বঞ্চিত হয়, তাতে তার কী লাভ হবে?
26 Want zo wie zich Mijns en Mijner woorden zal geschaamd hebben, diens zal de Zoon des mensen Zich schamen, wanneer Hij komen zal in Zijn heerlijkheid, en in de heerlijkheid des Vaders, en der heilige engelen.
কেউ যদি আমার ও আমার বাক্যের জন্য লজ্জাবোধ করে, মনুষ্যপুত্র যখন তাঁর নিজের মহিমায় ও তাঁর পিতা এবং পবিত্র স্বর্গদূতদের মহিমায় আসবেন, তিনিও তার জন্য লজ্জাবোধ করবেন।
27 En Ik zeg u waarlijk: Er zijn sommigen dergenen, die hier staan, die den dood niet zullen smaken, totdat zij het Koninkrijk Gods zullen gezien hebben.
“আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, এখানে যারা দাঁড়িয়ে আছে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ ঈশ্বরের রাজ্যের দর্শন না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর আস্বাদ লাভ করবে না।”
28 En het geschiedde, omtrent acht dagen na deze woorden, dat Hij medenam Petrus, en Johannes, en Jakobus, en klom op den berg, om te bidden.
একথা বলার প্রায় আট দিন পরে যীশু পিতর, যোহন ও যাকোবকে সঙ্গে নিয়ে প্রার্থনা করার জন্য এক পর্বতে উঠলেন।
29 En als Hij bad, werd de gedaante Zijns aangezichts veranderd, en Zijn kleding wit en zeer blinkende.
প্রার্থনাকালে তাঁর মুখের রূপের পরিবর্তন হল এবং তাঁর পোশাক বিদ্যুতের মতো উজ্জ্বল হয়ে উঠল।
30 En ziet, twee mannen spraken met Hem, welke waren Mozes en Elias.
দুজন পুরুষ, মোশি ও এলিয়, হঠাৎই আবির্ভূত হয়ে যীশুর সঙ্গে কথা বলতে লাগলেন।
31 Dewelke, gezien zijnde in heerlijkheid, zeiden Zijn uitgang, dien Hij zoude volbrengen te Jeruzalem.
তাঁরা মহিমাময় রূপ নিয়ে আবির্ভূত হয়ে যীশুর সঙ্গে তাঁর আসন্ন প্রস্থানের বিষয়ে আলোচনা করছিলেন, যা তিনি জেরুশালেমে সম্পন্ন করতে চলেছিলেন।
32 Petrus nu, en die met hem waren, waren met slaap bezwaard; en ontwaakt zijnde, zagen zij Zijn heerlijkheid, en de twee mannen, die bij Hem stonden.
পিতর ও তাঁর সঙ্গীরা ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু যখন তাঁরা সম্পূর্ণ জেগে উঠলেন, তাঁরা যীশুর মহিমান্বিত রূপ এবং তাঁর সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা দুই ব্যক্তিকে দেখতে পেলেন।
33 En het geschiedde, als zij van Hem afscheidden, zo zeide Petrus tot Jezus: Meester, het is goed, dat wij hier zijn; en laat ons drie tabernakelen maken, voor U een, en voor Mozes een, en voor Elias een; niet wetende, wat hij zeide.
যখন তাঁরা যীশুকে ছেড়ে চলে যেতে উদ্যত হলেন, তখন পিতর যীশুকে বললেন, “প্রভু, এখানে থাকা আমাদের পক্ষে ভালোই হবে। এখানে আমরা তিনটি তাঁবু নির্মাণ করি, একটি আপনার জন্য, একটি মোশির জন্য, ও একটি এলিয়ের জন্য।” (তিনি কী বলছেন, তা নিজেই বুঝতে পারলেন না।)
34 Als hij nu dit zeide, kwam een wolk, en overschaduwde hen; en zij werden bevreesd, als die in de wolk ingingen.
তিনি একথা বলছেন, এমন সময় একখণ্ড মেঘ এসে তাঁদের ঢেকে ফেলল। যখন তাঁরা মেঘে ঢাকা পড়লেন, তখন তাঁরা অত্যন্ত ভয়ভীত হলেন।
35 En er geschiedde een stem uit de wolk, zeggende: Deze is Mijn geliefde Zoon; hoort Hem!
তখন মেঘের ভিতর থেকে একটি স্বর ধ্বনিত হল, “ইনিই আমার পুত্র, আমার মনোনীত, তোমরা এঁর কথা শোনো।”
36 En als de stem geschiedde, zo werd Jezus alleen gevonden. En zij zwegen stil, en verhaalden in die dagen niemand iets van hetgeen zij gezien hadden.
সেই স্বর ধ্বনিত হওয়ার পর, তাঁরা দেখলেন যীশু একা দাঁড়িয়ে আছেন। শিষ্যেরা নিজেদের মধ্যেই সেকথা গোপন করে রাখলেন, তাঁরা কী দেখেছেন, সে সম্বন্ধে তাঁরা কারও কাছেই প্রকাশ করলেন না।
37 En het geschiedde des daags daaraan, als zij van den berg afkwamen, dat Hem een grote schare in het gemoet kwam.
পরদিন তাঁরা পর্বত থেকে নেমে আসার পর একদল লোক তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করল।
38 En ziet, een man van de schare riep uit, zeggende: Meester, ik bid U, zie toch mijn zoon aan; want hij is mij een eniggeborene.
সকলের মধ্য থেকে এক ব্যক্তি তাঁকে উচ্চকণ্ঠে বলল, “গুরুমহাশয়, মিনতি করছি, আপনি আমার ছেলেটির দিকে দয়া করে একবার দেখুন, সে আমার একমাত্র সন্তান।
39 En zie, een geest neemt hem, en van stonde aan roept hij, en hij scheurt hem, dat hij schuimt, en wijkt nauwelijks van hem, en verplettert hem.
একটি আত্মা তার উপর ভর করেছে। সে হঠাৎ চিৎকার করে ওঠে। সেই আত্মা তাকে আছড়ে ফেলে এবং এমনভাবে মোচড় দেয় যে, তার মুখ দিয়ে ফেনা বের হতে থাকে। সে তাকে যন্ত্রণায় ক্ষতবিক্ষত করে দিচ্ছে, কিছুতেই তাকে ছেড়ে যায় না।
40 En ik heb Uw discipelen gebeden, dat zij hem zouden uitwerpen, en zij hebben niet gekund.
আমি আপনার শিষ্যদের কাছে মিনতি করেছিলাম যেন তাঁরা সেই আত্মাকে তাড়িয়ে দেন, কিন্তু তাঁরা ব্যর্থ হয়েছেন।”
41 En Jezus, antwoordende, zeide: O ongelovig en verkeerd geslacht, hoe lang zal Ik nog bij ulieden zijn, en ulieden verdragen? Breng uw zoon hier.
যীশু উত্তর দিলেন, “ওহে অবিশ্বাসী ও বিপথগামী প্রজন্ম, আমি আর কত কাল তোমাদের সঙ্গে থাকব ও তোমাদের সহ্য করব? তোমার ছেলেটিকে এখানে নিয়ে এসো।”
42 En nog, als hij naar Hem toekwam, scheurde hem de duivel, en verscheurde hem; maar Jezus bestrafte den onreinen geest, en maakte het kind gezond, en gaf hem zijn vader weder.
ছেলেটি যখন আসছিল, এমন সময় সেই ভূত তাকে মাটিতে আছাড় দিয়ে মুচড়ে ধরল। কিন্তু যীশু মন্দ-আত্মাটিকে ধমক দিলেন, ছেলেটিকে সুস্থ করলেন এবং তাকে তার বাবার কাছে ফিরিয়ে দিলেন।
43 En zij werden allen verslagen over de grootdadigheid Gods. En als zij allen zich verwonderden over al de dingen, die Jezus gedaan had, zeide Hij tot Zijn discipelen:
ঈশ্বরের এই মহিমা দেখে তারা সকলে অভিভূত হয়ে পড়ল। যীশুর কার্যকলাপ যখন সবাইকে বিস্মিত করে দিল, তিনি তাঁর শিষ্যদের বললেন,
44 Legt gij deze woorden in uw oren: Want de Zoon des mensen zal overgeleverd worden in der mensen handen.
“আমি তোমাদের যা বলতে চলেছি, তা মন দিয়ে শোনো। মনুষ্যপুত্র মানুষদের হাতে বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হতে চলেছেন।”
45 Maar zij verstonden dit woord niet, en het was voor hen verborgen, alzo dat zij het niet begrepen; en zij vreesden van dat woord Hem te vragen.
তাঁরা কিন্তু একথার অর্থ বুঝতে পারলেন না। বিষয়টি তাঁদের কাছে গুপ্ত রাখা হয়েছিল বলে, তাঁরা তা উপলব্ধি করতে পারলেন না। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতেও তাঁরা ভয় পেলেন।
46 En er rees een overlegging onder hen, namelijk, wie van hen de meeste ware.
পরে শিষ্যদের মধ্যে এক বিতর্কের সূচনা হল, তাদের মধ্যে কে শ্রেষ্ঠ?
47 Maar Jezus, ziende de overlegging hunner harten, nam een kindeken, en stelde dat bij Zich;
যীশু তাঁদের মনোভাব জানতে পেরে একটি শিশুকে কাছে টেনে নিয়ে নিজের পাশে দাঁড় করালেন।
48 En zeide tot hen: Zo wie dit kindeken ontvangen zal in Mijn Naam, die ontvangt Mij; en zo wie Mij ontvangen zal, ontvangt Hem, Die Mij gezonden heeft. Want die de minste onder u allen is, die zal groot zijn.
তারপর তিনি তাঁদের বললেন, “যে আমার নামে এই শিশুটিকে স্বাগত জানায়, সে আমাকেই স্বাগত জানায়। যে আমাকে গ্রহণ করে, সে তাঁকেই গ্রহণ করে যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন। কারণ তোমাদের সকলের মধ্যে যে নগণ্য, সেই হল শ্রেষ্ঠ।”
49 En Johannes antwoordde en zeide: Meester! wij hebben een gezien, die in Uw Naam de duivelen uitwierp, en wij hebben het hem verboden, omdat hij U met ons niet volgt.
যোহন বললেন, “প্রভু, আমরা একজনকে আপনার নামে ভূত তাড়াতে দেখে, তাকে সে কাজ করতে বারণ করেছিলাম, কারণ সে আমাদের কেউ নয়।”
50 En Jezus zeide tot hem: Verbied het niet; want wie tegen ons niet is, die is voor ons.
যীশু বললেন, “তাকে নিষেধ কোরো না, কারণ যে তোমাদের বিপক্ষে নয়, সে তোমাদের সপক্ষে।”
51 En het geschiedde, als de dagen Zijner opneming vervuld werden, zo richtte Hij Zijn aangezicht, om naar Jeruzalem te reizen.
স্বর্গে যাওয়ার কাল সন্নিকট হলে, যীশু স্থিরসংকল্প হয়ে জেরুশালেমের দিকে যাত্রা করলেন।
52 En Hij zond boden uit voor Zijn aangezicht; en zij, heengereisd zijnde, kwamen in een vlek der Samaritanen, om voor Hem herberg te bereiden.
তিনি তাঁর বার্তাবহদের আগেই পাঠিয়ে দিলেন। তাঁরা যীশুর জন্য সবকিছুর আয়োজন সম্পূর্ণ করতে শমরীয়দের এক গ্রামে প্রবেশ করলেন।
53 En zij ontvingen Hem niet, omdat Zijn aangezicht was als reizende naar Jeruzalem.
কিন্তু তিনি জেরুশালেম দিকে যাচ্ছিলেন বলে সেখানকার অধিবাসীরা কেউ তাঁকে স্বাগত জানাল না।
54 Als nu Zijn discipelen, Jakobus en Johannes, dat zagen, zeiden zij: Heere, wilt Gij, dat wij zeggen, dat vuur van den hemel nederdale, en dezen verslinde, gelijk ook Elias gedaan heeft?
এই দেখে তাঁর দুজন শিষ্য, যাকোব ও যোহন জিজ্ঞাসা করলেন, “প্রভু, আপনি কি চান যে, আমরা ওদের ধ্বংস করার জন্য আকাশ থেকে আগুন নেমে আসতে বলি, যেমন এলিয় করেছিলেন?”
55 Maar Zich omkerende, bestrafte Hij hen, en zeide: Gij weet niet van hoedanigen geest gij zijt.
কিন্তু যীশু তাঁদের দিকে ফিরে তিরস্কার করলেন।
56 Want de Zoon des mensen is niet gekomen om der mensen zielen te verderven, maar om te behouden. En zij gingen naar een ander vlek.
এরপর তাঁরা অন্য গ্রামে চলে গেলেন।
57 En het geschiedde op den weg, als zij reisden, dat een tot Hem zeide: Heere, ik zal U volgen, waar Gij ook heengaat.
তাঁরা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন, সেই সময় একজন তাঁকে বলল, “আপনি যেখানে যাবেন আমিও আপনার সঙ্গে সেখানে যাব।”
58 En Jezus zeide tot hem: De vossen hebben holen, en de vogelen des hemels nesten; maar de Zoon des mensen heeft niet, waar Hij het hoofd nederlegge.
উত্তরে যীশু বললেন, “শিয়ালদের গর্ত আছে, আকাশের পাখিদের বাসা আছে, কিন্তু মনুষ্যপুত্রের মাথা রাখার কোনও স্থান নেই।”
59 En Hij zeide tot een anderen: Volg Mij. Doch hij zeide: Heere, laat mij toe, dat ik heenga, en eerst mijn vader begrave.
তারপর তিনি অন্য একজনকে বললেন, “আমাকে অনুসরণ করো।” কিন্তু সে উত্তর দিল, “প্রভু, প্রথমে আমাকে গিয়ে আমার পিতাকে সমাধি দিয়ে আসার অনুমতি দিন।”
60 Maar Jezus zeide tot hem: Laat de doden hun doden begraven; doch gij, ga heen en verkondig het Koninkrijk Gods.
যীশু তাকে বললেন, “মৃতরাই তাদের মৃতদের সমাধি দিক। কিন্তু তুমি গিয়ে ঈশ্বরের রাজ্যের কথা ঘোষণা করো।”
61 En ook een ander zeide: Heere, ik zal U volgen; maar laat mij eerst toe, dat ik afscheid neme van degenen, die in mijn huis zijn.
আরও একজন বলল, “প্রভু, আমি আপনাকে অনুসরণ করব। কিন্তু আমাকে ফিরে গিয়ে প্রথমে পরিবারের কাছ থেকে বিদায় নিতে অনুমতি দিন।”
62 En Jezus zeide tot hem: Niemand, die zijn hand aan den ploeg slaat, en ziet naar hetgeen achter is, is bekwaam tot het Koninkrijk Gods.
যীশু উত্তর দিলেন, “লাঙ্গলে হাত দিয়ে যে পিছনে ফিরে তাকায়, সে ঈশ্বরের রাজ্যের সেবাকাজের উপযুক্ত নয়।”
