< Richteren 19 >
1 In de tijd, dat er geen koning in Israël was, had zich een leviet in het achterland van het gebergte van Efraïm als vreemdeling gevestigd. Hij had zich een bijzit uit Betlehem van Juda genomen;
সেই সময় ইস্রায়েলে কোনও রাজা ছিলেন না। ইফ্রয়িমের পার্বত্য প্রদেশের প্রত্যন্ত এলাকায় একজন লেবীয় বসবাস করত। সে যিহূদার বেথলেহেম থেকে এক উপপত্নী এনেছিল।
2 maar zijn bijzit was hem ontrouw geworden, en van hem weggelopen naar het huis van haar vader in Betlehem van Juda, waar ze vier maanden verbleef.
কিন্তু সেই মহিলাটি তার প্রতি অবিশ্বস্ত হল। সে তাকে ত্যাগ করে যিহূদার বেথলেহেমে তার বাবা-মার ঘরে ফিরে গেল। সেখানে চার মাস থাকার পর,
3 Toen ging haar man met zijn knecht en een span ezels op weg, en reisde haar achterna, om eens op haar gemoed te werken en haar terug te brengen. Zodra hij bij het huis van haar vader kwam, en de vader van het meisje hem zag, ging deze hem verheugd tegemoet.
তার স্বামী তাকে ফিরে আসার জন্য রাজি করাতে তার কাছে গেল। তার সাথে ছিল তার দাস ও দুটি গাধা। সেই লোকটির উপপত্নী তাকে নিজের বাবা-মার ঘরে নিয়ে গেল, এবং তার বাবা যখন সেই লেবীয়কে দেখল, তখন সে সানন্দে তাকে অভ্যর্থনা জানাল।
4 En omdat zijn schoonvader, de vader van het meisje, er bij hem nu zo op aandrong, bleef hij drie dagen bij hem. En ze aten, dronken en overnachtten daar.
তার শ্বশুরমশাই, সেই মেয়েটির বাবা, তাকে সেখানে থেকে যেতে অনুরোধ করায় সে তিন দিন তার সঙ্গে থাকল এবং ভোজনপান করল ও সেখানে রাত কাটাল।
5 En toen ze op de vierde dag ‘s morgens vroeg zich gereed maakten, en hij opstond om te vertrekken, zei de vader van het meisje tot zijn schoonzoon: Neem eerst nog een stukje brood, dan kunt ge daarna vertrekken.
চতুর্থ দিন ভোরবেলায় উঠে সে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হল, কিন্তু সেই মেয়েটির বাবা তার জামাইকে বলল, “কিছু খেয়ে নিজেকে চাঙ্গা করে নাও; পরে যেতে পারো।”
6 Zo bleven ze. Maar nadat ze tezamen gegeten en gedronken hadden, zei de vader van het meisje tot den man: Toe, besluit nu, nog één nacht te blijven; neem het er maar eens goed van.
অতএব তারা দুজনে একসঙ্গে বসে ভোজনপান করল। তারপর সেই মেয়েটির বাবা বলল, “দয়া করে আজকের রাতটিও থেকে যাও ও একটু আরাম করে নাও।”
7 En toen de man zich toch gereed maakte, om te vertrekken, drong zijn schoonvader er zo bij hem op aan, dat hij er nog een nacht bleef.
আর সেই লোকটি যখন যাওয়ার জন্য উঠে দাঁড়াল, তখন তার শ্বশুরমশাই তাকে অনুরোধ জানাল, তাই সে সেই রাতটিও সেখানে থেকে গেল।
8 Ook de vijfde dag stond hij ‘s morgens vroeg op, om op pad te gaan; maar weer zei de vader van het meisje: Doe u eerst nog te goed, en wacht dan tot de dag ten einde loopt. Maar toen ze tezamen gegeten hadden,
পঞ্চম দিন সকালবেলায়, সে যখন যাওয়ার জন্য উঠল, তখন সেই মেয়েটির বাবা বলল, “জলখাবার খেয়ে নাও। দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করো!” অতএব তারা দুজনে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করল।
9 en de man aanstalten maakte, om met zijn bijzit en zijn knecht te vertrekken, zei zijn schoonvader, de vader van het meisje, tot hem: Zie, de dag spoedt reeds ten einde; breng dus hier de nacht nog door, en neem het er nog eens van; dan kunt ge u morgenvroeg voor uw tocht gereed maken, en naar huis gaan.
পরে যখন সেই লোকটি তার উপপত্নী ও তার দাসকে সাথে নিয়ে যাওয়ার জন্য উঠল, তখন তার শ্বশুরমশাই—সেই মেয়েটির বাবা বলল, “দেখো, সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। রাতটুকু এখানেই কাটিয়ে যাও; দিন প্রায় ফুরিয়েই এল। এখানে থেকে একটু আরাম করে নাও। আগামীকাল ভোরবেলায় উঠে তোমরা ঘরের দিকে রওনা হয়ে যেতে পারো।”
10 Maar nu wilde de man niet meer overnachten; hij stond op en ging heen, en kwam met zijn span ezels, zijn bijzit en zijn knecht tot bij Jeboes, of Jerusalem.
কিন্তু, আর একটি রাত সেখানে কাটাতে রাজি না হয়ে, সেই লোকটি উঠে জিন পরানো দুটি গাধা ও তার উপপত্নীকে সঙ্গে নিয়ে যিবূষের (অর্থাৎ, জেরুশালেমের) দিকে চলে গেল।
11 Toen ze nu bij Jeboes waren, neigde de dag ten einde. Daarom zei de knecht tot zijn heer: Kom, we moesten hier maar naar de stad der Jeboesieten afslaan, en daar de nacht doorbrengen.
তারা যিবূষের কাছে পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই বেলা প্রায় গড়িয়ে গেল ও দাস তার মনিবকে বলল, “আসুন, যিবূষীয়দের এই নগরে থেমে রাত কাটানো যাক।”
12 Doch zijn heer antwoordde hem: Neen, we slaan niet af naar die stad van vreemde mensen, die geen Israëlieten zijn; laten we maar tot Giba doorgaan.
তার মনিব উত্তর দিল, “না। আমরা এমন কোনো নগরে প্রবেশ করব না, যেখানকার লোকেরা ইস্রায়েলী নয়। আমরা গিবিয়ার দিকে এগিয়ে যাব।”
13 En hij zei tot zijn knecht: Kom, we zullen een andere plaats zien te bereiken, en in Giba of Rama overnachten.
সে আরও বলল, “এসো, গিবিয়ায় বা রামায় পৌঁছে, সেগুলির মধ্যে কোনো একটি স্থানে রাত কাটানো যাক।”
14 Ze gingen dus verder, en vervolgden hun weg. En toen ze dicht bij Giba waren, dat tot Benjamin behoort, ging de zon onder.
অতএব তারা এগিয়ে গেল, এবং বিন্যামীনের অন্তর্গত গিবিয়ার কাছে তারা পৌঁছানোমাত্রই সূর্য অস্ত গেল।
15 Nu sloegen ze van de weg af, om Giba te bereiken en er te overnachten. Daar aangekomen, zette hij zich op het stadsplein neer; want er was niemand, die hem voor de nacht in zijn huis opnam.
রাত কাটানোর জন্য তারা সেখানে থামল। তারা নগরের চকে গিয়ে বসল, কিন্তু রাতে থাকার জন্য কেউই তাদের ঘরে নিয়ে গেল না।
16 Maar in de avond kwam er een oude man van zijn werk uit het veld. Het was iemand uit het bergland van Efraïm, die slechts als vreemdeling te Giba verblijf hield; want alle inwoners van die plaats waren Benjamieten.
সেই সন্ধ্যায় ইফ্রয়িমের পার্বত্য প্রদেশের অধিবাসী, গিবিয়ায় বসবাসকারী একজন বৃদ্ধ ভদ্রলোক ক্ষেতে কাজ করে ফিরে আসছিলেন। (সেই স্থানের অধিবাসীরা বিন্যামীনীয় ছিল)
17 Toen de grijsaard opzag en den reiziger op het stadsplein bemerkte, vroeg hij: Waar gaat ge heen, en waar komt ge vandaan?
যখন সেই বৃদ্ধ ভদ্রলোক চোখ তুলে নগরের চকে সেই পথিককে দেখতে পেলেন, তখন তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কোথায় যাচ্ছ? তুমি আসছই বা কোথা থেকে?”
18 Hij antwoordde hem: We zijn op weg van Betlehem van Juda naar het achterland van het gebergte van Efraïm; daar kom ik vandaan. Ik ben naar Betlehem van Juda geweest, en ga nu naar huis. Maar er is niemand, die me gastvrijheid wil verlenen,
সে উত্তর দিল, “আমরা যিহূদার অন্তর্গত বেথলেহেম থেকে ইফ্রয়িমের পার্বত্য প্রদেশের এক প্রত্যন্ত এলাকায় যাচ্ছি, যা আমার বাসস্থান। আমি যিহূদার অন্তর্গত বেথলেহেমে গিয়েছিলাম, আর এখন আমি সদাপ্রভুর মন্দিরে যাচ্ছি। রাতে থাকার জন্য কেউ আমাকে ঘরে নিয়ে যায়নি।
19 ofschoon ik stro en voer heb voor onze ezels, brood en wijn voor mezelf, voor uw dienstmaagd en den jongen, dien uw dienaar bij zich heeft, en het ons dus aan niets ontbreekt.
আমাদের গাধাগুলির জন্য আমাদের কাছে খড় ও পশুখাদ্য আছে এবং আপনার দাসেদের—আমার, স্ত্রীলোকটির ও আমাদের সঙ্গী এই যুবকটির জন্যও রুটি ও দ্রাক্ষারস আছে। আমাদের কোনো কিছুরই অভাব নেই।”
20 Toen zei de oude man: Vrede zij u; op mij rust de plicht, u van het nodige te voorzien; in geen geval moogt ge op het plein overnachten.
“আমার বাড়িতে তোমাদের সাদর আমন্ত্রণ জানাচ্ছি,” সেই বৃদ্ধ ভদ্রলোক বললেন। “তোমাদের যা যা প্রয়োজন সেসব আমাকেই সরবরাহ করতে দাও। তোমরা শুধু চকে রাত কাটিয়ো না।”
21 Hij bracht hem dus naar zijn huis, en gaf de ezels te vreten; en ze wasten hun voeten, aten en dronken.
অতএব তিনি তাদের তাঁর বাড়িতে নিয়ে গেলেন এবং গাধাগুলিকে খাবার দিলেন। পা ধোয়ার পর, তারাও ভোজনপান করল।
22 Maar terwijl ze zich te goed deden, omsingelden de inwoners der stad, een ras van Belialskinderen, het huis, begonnen op de deur te bonzen, en riepen tot den grijzen eigenaar van het huis: Breng den man, die uw huis is binnengegaan, naar buiten; we willen gemeenschap met hem houden.
তারা যখন একটু আরাম করছিল, তখন নগরের কয়েকজন দুষ্টলোক সেই বাড়িটি ঘিরে ধরল। দরজায় ধাক্কা দিতে দিতে, তারা চিৎকার করে সেই গৃহকর্তা বৃদ্ধ ভদ্রলোককে বলল, “তোমার বাড়িতে যে লোকটি এসেছে, তাকে বের করে আনো, যেন আমরা তার সঙ্গে যৌন সহবাস করতে পারি।”
23 Doch de eigenaar van het huis ging naar hen toe en zei hun: Neen, broeders, dat kwaad moogt ge niet doen. Die man is nu eenmaal mijn gast, en ge moogt dus zo iets schandelijks niet doen.
সেই গৃহকর্তা বাইরে বের হয়ে তাদের বললেন, “ওহে বন্ধুরা, না, না, এত নীচ হোয়ো না। যেহেতু এই লোকটি আমার অতিথি, তাই এরকম জঘন্য কাজ কোরো না।
24 Neen, ik zal mijn dochter, die nog maagd is, met zijn bijzit naar buiten brengen; die kunt ge verkrachten, en met haar doen, wat ge wilt; maar met dien man moogt ge die schandelijke dingen niet doen.
দেখো, এই আমার কুমারী মেয়ে, ও সেই লোকটির উপপত্নী। আমি এখনই তাদের তোমাদের কাছে বের করে আনব, তোমরা তাদের ভোগ করতে পারো এবং তাদের নিয়ে যা ইচ্ছা তাই করো। কিন্তু এই লোকটির প্রতি এ ধরনের কোনও জঘন্য কাজ কোরো না।”
25 Toen die lieden maar niet naar hem wilden luisteren, nam de man zelf zijn bijzit, en liet haar de straat opgaan naar hen toe. Ze hielden gemeenschap met haar, en koelden heel de nacht tot de morgen aan haar hun lust; eerst toen de dageraad aanbrak, lieten ze haar gaan.
কিন্তু সেই লোকেরা তাঁর কথা শুনতে চাইল না। তাই সেই লেবীয় লোকটি তার উপপত্নীকে নিয়ে তাকে বাইরে তাদের কাছে পাঠিয়ে দিল, আর তারা সারারাত ধরে তাকে ধর্ষণ করল ও তার উপর নির্যাতন চালাল, এবং ভোরবেলায় তাকে ছেড়ে দিল।
26 Bij het aanbreken van de morgen kwam de vrouw terug; maar voor het huis van den man, bij wien haar heer te gast was, zonk ze neer, en bleef daar liggen tot het dag was.
ভোরবেলায় সেই মহিলাটি উঠে যে বাড়িতে তার স্বামী ছিল সেখানে ফিরে গেল, ও দিনের আলো না ফোটা পর্যন্ত দোরগোড়ায় পড়ে রইল।
27 Toen nu haar heer ‘s morgens opstond en de huisdeur opende, om naar buiten te gaan en zijn weg te vervolgen, lag daar zijn bijzit voor de deur van het huis met haar handen op de drempel.
তার স্বামী সকালবেলায় উঠে বাড়ির দরজা খুলল এবং যাওয়ার জন্য বাইরে এসে দেখল, তার উপপত্নী সেই বাড়ির দরজায় পড়ে আছে ও গোবরাটে তার হাত ছড়িয়ে রেখেছে।
28 Hij sprak tot haar: Sta op, laten we maar verder gaan. Maar hij kreeg geen antwoord; ze was dood. Toen legde hij haar op zijn ezel, maakte zich klaar, en ging naar zijn woonplaats.
সে তাকে বলল, “ওঠো; যাওয়া যাক।” কিন্তু কোনও উত্তর পাওয়া গেল না। তখন সেই লোকটি তাকে গাধার পিঠে চাপিয়ে ঘরের দিকে রওনা হল।
29 Thuis gekomen, greep hij een mes, nam zijn bijzit, sneed haar langs de beenderen in twaalf stukken, en zond haar heel het gebied van Israël door.
ঘরে ফিরে এসে, সে একটি ছুরি নিয়ে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ধরে ধরে তার উপপত্নীর দেহটি বারো টুকরো করে, সেগুলি ইস্রায়েলের সব এলাকায় পাঠিয়ে দিল।
30 En iedereen, die het zag, zeide: Nooit is zo iets gebeurd of gezien, van de dag, dat de Israëlieten uit Egypteland trokken, tot heden toe. Denkt er over na, beraadt u en spreekt.
যারা যারা তা দেখল, তারা প্রত্যেকে নিজেদের মধ্যে বলাবলি করল, “ইস্রায়েলীরা মিশর থেকে বের হয়ে আসার পর থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত এ ধরনের ঘটনা কখনও দেখা যায়নি বা ঘটেওনি। ভাবা যায়! আমাদের কিছু একটা করতেই হবে! তাই চিৎকার করে ওঠো!”