Job 28
1 Zeker, er is een plaats, waaruit het zilver komt, Een oord, waar het goud wordt gewassen,
রুপোর জন্য খনি আছে ও একটি স্থান আছে যেখানে সোনা শোধন করা হয়।
2 Het ijzer uit de bodem gehaald, De steen tot koper gesmolten;
ভূগর্ভ থেকে লোহা উত্তোলন করা হয়, ও আকরিক থেকে তামা বিগলিত করা হয়।
3 Waar men in de uiterste duisternis doordringt, En de diepste plekken doorvorst. In de rotsen, duister en somber.
নশ্বর মানুষ অন্ধকার নিকাশ করে; তারা সবচেয়ে অন্ধকারে থাকা আকরিক পাওয়ার জন্য সর্বাধিক দূরবর্তী গর্তের খোঁজ করে।
4 Worden schachten gehakt door een volk, dat er niet hoort, Dat door de wandelaars wordt vergeten, Daar ver van de mensen hangt en zweeft;
লোকালয় থেকে বহুদূরে অবস্থিত এমন স্থানে তারা খাদ কাটে, যেখানে মানুষের পদচিহ্ন পড়েনি; অন্যান্য মানুষজনের কাছ থেকে দূরে সরে গিয়ে তারা দুলতে ও ঝুলতে থাকে।
5 En de aarde, waaruit het brood ontspruit, Wordt in haar ingewanden omgewoeld als door vuur.
যে মাটি থেকে খাদ্য উৎপন্ন হয়, তার তলদেশ আগুন দ্বারা রূপান্তরিত হয়ে যায়;
6 Haar rotsen zijn de plaats van saffier, Haar stof bevat goud;
সেখানকার পাষাণ-পাথরগুলিতে নীলকান্তমণি পাওয়া যায়, ও সেখানকার ধুলোয় দলা দলা সোনা মিশে থাকে।
7 De arend kent er de weg niet heen, Het valkenoog bespeurt hem niet;
কোনও শিকারি পাখি সেই গুপ্ত পথ চেনে না, কোনও বাজপাখির চোখ তা দেখেনি।
8 De roofdieren betreden hem niet, De luipaard gaat er niet heen.
উদ্ধত পশুরা তার উপরে পা ফেলে না, ও কোনও সিংহ সেখানে শিকারের সন্ধানে ঘুরে বেড়ায় না।
9 De mens slaat zijn hand aan de harde steen, Woelt de bergen om van hun grondslag af,
মানুষজন তাদের হাত দিয়ে সেই অতি কঠিন পাষাণ-পাথরে হামলা চালায় ও পর্বত-মূল উন্মুক্ত করে দেয়।
10 Breekt gangen in de rotsen uit, Niets kostbaars ontsnapt aan zijn oog;
তারা পাষাণ-পাথর খুঁড়ে সুড়ঙ্গ তৈরি করে; সেখানকার সব মণিরত্ন তাদের চোখে পড়ে।
11 Hij zoekt de bronnen der stromen af, En brengt wat verborgen lag aan het licht.
তারা নদীর উৎসস্থলের খোঁজ করে ও লুকানো বস্তুগুলি প্রকাশ্যে আনে।
12 Maar de wijsheid, waar is zij te vinden, En waar is het oord van het inzicht?
কিন্তু প্রজ্ঞা কোথায় পাওয়া যাবে? বুদ্ধি-বিবেচনা কোথায় থাকে?
13 De mens kent er de weg niet heen, In het land der levenden bevindt ze zich niet.
কোনও নশ্বর মানুষ তার মূল্য হৃদয়ঙ্গম করতে পারে না; জীবিতদের দেশে তা পাওয়া যায় না।
14 De afgrond roept: In mij is ze niet! De zee herhaalt: Ze is niet bij mij!
অগাধ জলরাশি বলে, “আমাতে তা নেই” সমুদ্র বলে, “আমার কাছেও তা নেই।”
15 Zij wordt niet gekocht voor het fijnste goud, Geen zilver gewogen, om haar te betalen;
খাঁটি সোনা দিয়ে তা কেনা যায় না, তার মূল্য রুপো দিয়েও মেপে দেওয়া যায় না।
16 Zij wordt niet geschat tegen goud van Ofir, Tegen kostbare onyx, noch saffier;
ওফীরের সোনা দিয়ে, মূল্যবান গোমেদক বা নীলকান্তমণি দিয়েও তা কেনা যায় না।
17 Geen goud, geen glaswerk kan haar evenaren, Geen gouden vaas is haar prijs.
তার সাথে সোনা বা স্ফটিকের তুলনা করা যায় না, সোনা-মানিকের বিনিময়ে তা পাওয়া যায় না।
18 Paarlen en kristal zijn naast haar niet in tel, Het vinden der wijsheid gaat dat van koralen te boven;
প্রবাল ও জ্যাসপারের কথাই ওঠে না; প্রজ্ঞার মূল্য পদ্মরাগমণির চেয়েও বেশি।
19 Topaas van Koesj kan het niet bij haar halen, Het zuiverst goud weegt niet tegen haar op.
তার সাথে কূশ দেশের পোখরাজের তুলনা করা যায় না; খাঁটি সোনা দিয়েও তা কেনা যায় না।
20 De wijsheid, waar komt zij vandaan; Het inzicht, waar is zijn plaats?
তবে প্রজ্ঞা কোথা থেকে আসে? বুদ্ধি-বিবেচনা কোথায় থাকে?
21 Zij ligt verborgen voor het oog van al wat leeft, Verscholen voor de vogels in de lucht;
প্রত্যেক সজীব প্রাণীর চোখে তা অজ্ঞাত থাকে, আকাশের পাখিদের কাছেও তা অদৃশ্য থাকে।
22 De onderwereld en dood roepen uit: Onze oren hebben enkel van haar bij geruchte gehoord.
বিনাশ ও মৃত্যু বলে, “আমাদের কানে শুধু এক গুজব পৌঁছেছে।”
23 Het is God, die de weg naar haar kent, Hij alleen weet, waar zij toeft.
ঈশ্বরই প্রজ্ঞার কাছে পৌঁছানোর রাস্তা জানেন ও একমাত্র তিনিই জানেন তা কোথায় থাকে,
24 Want Hij blikte tot aan de grenzen der aarde, Zag al wat onder de hemel bestond:
যেহেতু তিনি পৃথিবীর প্রান্ত পর্যন্ত দেখেন ও আকাশমণ্ডলের নিচে যা যা আছে, তিনি সবকিছু দেখেন।
25 Toen Hij het gewicht van de wind bepaalde, De maat voor het water bestemde;
যখন তিনি বাতাসের প্রভাব প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন ও জলরাশির মাপ নির্দিষ্ট করে দিয়েছিলেন,
26 Toen Hij de regen zijn wet gaf, En de donder zijn weg.
যখন তিনি বর্ষার জন্য এক আদেশ জারি করেছিলেন ও বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝোড়ো বৃষ্টির জন্য এক পথ স্থির করেছিলেন,
27 Toen aanschouwde Hij haar en verkondigde haar, Kende Hij haar en doorgrondde haar;
তখন তিনি প্রজ্ঞার দিকে তাকিয়েছিলেন ও তার মূল্য নির্দিষ্ট করে দিয়েছিলেন; তিনি তাকে অনুমোদন দিয়েছিলেন ও তার পরীক্ষা নিয়েছিলেন।
28 Maar Hij sprak tot den mens: Zie, de vreze des Heren is wijsheid, En het kwade te mijden is inzicht!
আর তিনি মানবজাতিকে বললেন, “সদাপ্রভুর ভয়—সেটিই হল প্রজ্ঞা, ও মন্দকে এড়িয়ে চলাই হল বুদ্ধি-বিবেচনা।”
