< Jeremia 37 >
1 Sedekias, de zoon van Josias, was door Nabukodonosor, den koning van Babel, tot koning over het land van Juda aangesteld, en regeerde in plaats van Konjáhoe, den zoon van Jojakim.
ব্যাবিলনের রাজা নেবুখাদনেজার, যোশিয়ের পুত্র সিদিকিয়কে যিহূদার রাজা করেন। তিনি যিহোয়াকীমের পুত্র যিহোয়াখীনের স্থানে রাজত্ব করেন।
2 Hij met zijn hovelingen noch het mindere volk luisterden naar de woorden van Jahweh, die door den profeet Jeremias werden verkondigd.
তিনি, তাঁর পরিচারকেরা বা দেশের অন্য কোনো লোক, ভাববাদী যিরমিয়ের মাধ্যমে কথিত সদাপ্রভুর বাক্যের প্রতি কোনো মনোযোগ দেননি।
3 Niettemin zond koning Sedekias eens Jehoekal, den zoon van Sjelemja, en den priester Sefanjáhoe, den zoon van Maäseja, naar den profeet Jeremias met het verzoek: Bid voor ons tot Jahweh, onzen God!
তবুও, রাজা সিদিকিয়, শেলেমিয়ের পুত্র যিহূখলকে, মাসেয়ের পুত্র যাজক সফনিয়কে, এই বার্তা দিয়ে ভাববাদী যিরমিয়ের কাছে প্রেরণ করলেন: “অনুগ্রহ করে আপনি, আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে আমাদের জন্য প্রার্থনা করুন।”
4 Het was in de tijd, dat Jeremias nog niet gevangen was gezet, maar zich vrij onder het volk bewoog,
সেই সময় যিরমিয় লোকদের কাছে যাওয়া-আসার জন্য মুক্ত ছিলেন, কারণ তখনও পর্যন্ত তিনি কারাগারে বদ্ধ হননি।
5 en dat de Chaldeën, die Jerusalem belegerden, van Jerusalem waren weggetrokken, toen ze hoorden, dat er een leger van Farao uit Egypte was opgerukt.
ফরৌণের সৈন্যদল মিশর থেকে সমরাভিযানে বের হয়েছে, জেরুশালেম অবরোধকারী ব্যাবিলনীয়েরা যখন এই কথা শুনল, তারা জেরুশালেম ছেড়ে চলে গেল।
6 Nu werd het woord van Jahweh tot Jeremias gericht:
তারপর, ভাববাদী যিরমিয়ের কাছে সদাপ্রভুর বাক্য উপস্থিত হল:
7 Zo spreekt Jahweh, Israëls God! Dit moet ge den koning van Juda zeggen, die u hierheen heeft gezonden, om mij te raadplegen: Zie, het leger van Farao, dat is uitgetrokken om u te helpen, keert naar zijn land, naar Egypte, terug.
“সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর, এই কথা বলেন: যে আমার কাছে অনুসন্ধান করতে পাঠিয়েছে, সেই যিহূদার রাজাকে তুমি বলো, ‘ফরৌণের যে সৈন্যদল তোমাকে সাহায্য করার জন্য সমরাভিযান করেছে, তারা তাদের স্বদেশ মিশরে ফিরে যাবে।
8 Dan komen de Chaldeën terug; ze zullen deze stad weer belegeren, haar innemen en in vlammen doen opgaan.
তারপর ব্যাবিলনীয়েরা ফিরে আসবে এবং এই নগর আক্রমণ করবে; তারা এই নগর অধিকার করে আগুনে পুড়িয়ে দেবে।’
9 Zo spreekt Jahweh: Maakt uzelf maar niets wijs met te denken: De Chaldeën zijn voorgoed van ons weg; want dat zijn ze niet.
“সদাপ্রভু এই কথা বলেন, তোমরা এই কথা বলে নিজেদের ঠকিয়ো না, ‘ব্যাবিলনীয়েরা নিশ্চয়ই আমাদের ছেড়ে চলে যাবে।’ না, তারা যাবে না!
10 Neen, al zoudt gij het hele leger der Chaldeën verslaan, die tegen u strijden, zodat er maar enkele gewonden in hun tenten bleven liggen, dan zouden die opstaan, en deze stad in vlammen doen opgaan.
যদিও তোমরা সমস্ত ব্যাবিলনীয় সৈন্যদলকে পরাস্ত করতে, যারা তোমাদের আক্রমণ করছে এবং কেবলমাত্র আহত লোকেরা তাদের শিবিরে অবস্থান করত, তবুও তারাই বের হয়ে এসে এই নগর পুড়িয়ে দিত।”
11 Terwijl het leger der Chaldeën dus voor de krijgsmacht van Farao van Jerusalem was weggetrokken,
ফরৌণের সৈন্যদলের কারণে ব্যাবিলনীয় সৈন্যেরা জেরুশালেম ছেড়ে চলে গেলে পর,
12 wilde Jeremias eens Jerusalem uitgaan, en zich naar het land van Benjamin begeven, om daar onder zijn familie een erfenis te verdelen.
যিরমিয় নগর ত্যাগ করে বিন্যামীন গোষ্ঠীভুক্ত এলাকায় তাঁর সম্পত্তির দখল নেওয়ার জন্য সেখানকার লোকদের কাছে রওনা হলেন।
13 Maar toen de profeet Jeremias bij de Benjaminpoort was gekomen, hield de wachtmeester, een zekere Jiri-ja, de zoon van Sjelemja, zoon van Chananja, hem aan, en zeide: Ge wilt overlopen naar de Chaldeën!
কিন্তু যখন তিনি বিন্যামীন-দ্বারে পৌঁছালেন, তখন হনানিয়ের পুত্র, শেলিমিয়ের পুত্র, রক্ষীদলের সেনাপতি যিরিয় তাঁকে গ্রেপ্তার করলেন এবং বললেন, “আপনি ব্যাবিলনীয়দের পক্ষে যোগ দিতে যাচ্ছেন!”
14 Jeremias antwoordde: Dat is gelogen; ik loop niet over naar de Chaldeën! Maar zonder naar Jeremias te luisteren, greep Jiri-ja hem vast, en bracht hem voor de aanvoerders.
যিরমিয় বললেন, “সেই কথা সত্যি নয়। আমি ব্যাবিলনীয়দের পক্ষে যোগ দিতে যাচ্ছি না।” কিন্তু যিরিয় তাঁর কথা শুনতে চাইলেন না; পরিবর্তে, তিনি যিরমিয়কে গ্রেপ্তার করে রাজকর্মচারীদের কাছে নিয়ে গেলেন।
15 De aanvoerders, die woedend op Jeremias waren, lieten hem geselen, en zetten hem gevangen in het huis van den schrijver Jehonatan, dat men tot kerker had ingericht.
তারা যিরমিয়ের প্রতি ক্রুদ্ধ হল। তারা তাঁকে প্রহার করে সচিব যোনাথনের গৃহে কারাবন্দি করল। তারা সেই গৃহকে কারাগারে পরিণত করেছিল।
16 Men bracht Jeremias in een gewelfde kelder, waar hij lange tijd verbleef.
যিরমিয়কে এক ভূগর্ভস্থ অন্ধকূপে রাখা হল। সেখানে তিনি অনেক দিন থাকলেন।
17 Eens liet koning Sedekias hem halen, om hem in zijn paleis in het geheim te ondervragen. Hij zeide: Is er soms een woord van Jahweh? Jeremias antwoordde: Ja! En hij vervolgde: Gij zult in de macht van den koning van Babel worden overgeleverd!
তারপর, রাজা সিদিকিয় লোক পাঠিয়ে তাঁকে রাজপ্রাসাদে নিয়ে এলেন। সেখানে তিনি তাঁকে গোপনে জিজ্ঞাসা করলেন, “সদাপ্রভুর কাছ থেকে কোনো বাক্য আছে কি?” যিরমিয় উত্তর দিলেন, “হ্যাঁ, আপনি ব্যাবিলনের রাজার হাতে সমর্পিত হবেন।”
18 En Jeremias voegde koning Sedekias nog toe: Wat heb ik tegen u, uw hovelingen en dit volk toch misdaan, dat gij mij in de gevangenis zet?
তারপর যিরমিয়, রাজা সিদিকিয়কে বললেন, “আমি আপনার বা আপনার কর্মচারীদের বা এই লোকদের বিরুদ্ধে কী অপরাধ করেছি যে, আপনি আমাকে কারারুদ্ধ করেছেন?
19 Waar zijn nu uw profeten, die u hebben voorspeld: De koning van Babel rukt niet op tegen u en tegen dit land!
আপনার সেই ভাববাদীরা কোথায়, যারা ভাব বাক্য করেছিল, ‘ব্যাবিলনের রাজা আপনাকে বা এই দেশকে আক্রমণ করবেন না’?
20 Wees mij terwille, mijn heer en koning, en laat mijn smeken gehoor bij u vinden: Stuur mij niet terug naar het huis van den schrijver Jehonatan; anders zal ik daar sterven.
কিন্তু এখন, আমার প্রভু রাজা, আপনি দয়া করে শুনুন। আপনার কাছে আমাকে এই অনুরোধ রাখতে দিন, আপনি আমাকে সচিব যোনাথনের গৃহে আর ফেরত পাঠাবেন না, নইলে আমি সেখানে মারা পড়ব।”
21 Toen zette men Jeremias op last van koning Sedekias gevangen in de gevangen-hof, en gaf hem dagelijks een brood uit de Bakkerstraat, totdat er geen brood in de stad meer was. Zo bleef Jeremias dus in de gevangen-hof.
রাজা সিদিকিয় তখন আদেশ দিলেন, যিরমিয়কে রক্ষীদের প্রাঙ্গণে রাখার জন্য এবং বললেন, তাকে যেন রুটিওয়ালাদের সরণি থেকে প্রতিদিন রুটি দেওয়া হয়, যতক্ষণ না নগর থেকে সমস্ত রুটি শেষ হয়। এইভাবে যিরমিয় রক্ষীদের প্রাঙ্গণে থেকে গেলেন।