< Genesis 41 >
1 Twee jaren later had ook Farao een droom. Zie, hij stond aan de Nijl.
সম্পূর্ণ দুই বছর যখন পার হয়ে গেল, তখন ফরৌণ একটি স্বপ্ন দেখলেন: তিনি নীলনদের কূলে দাঁড়িয়েছিলেন,
2 Daar klommen uit de Nijl zeven koeien omhoog, prachtig en vet, die in het oevergras gingen weiden.
পরে নদী থেকে সাতটি মসৃণ ও হৃষ্টপুষ্ট গরু উঠে এল, এবং সেগুলি নলখাগড়ার বনে চরছিল।
3 Maar zie, daarna klommen zeven andere koeien uit de Nijl omhoog, lelijk en mager, die naast de eerste gingen staan aan de oever van de Nijl.
এগুলির পরে অন্য আরও সাতটি কুৎসিতদর্শন ও অস্থিচর্মসার গরু, নীলনদ থেকে উঠে এল ও নদীর কূলে চরা সেই গরুগুলির পাশে এসে দাঁড়াল।
4 De lelijke en magere koeien slokten de zeven prachtige en vette koeien op. Toen ontwaakte Farao.
আর যে গরুগুলি কুৎসিত ও অস্থিচর্মসার ছিল, সেগুলি মসৃণ ও হৃষ্টপুষ্ট গরুগুলিকে গিলে ফেলল। পরে ফরৌণ জেগে উঠলেন।
5 Hij sliep weer in, en droomde opnieuw. En zie, zeven aren schoten op uit één halm, zwaar en prachtig.
তিনি আবার ঘুমিয়ে পড়লেন ও দ্বিতীয় একটি স্বপ্ন দেখলেন: সাতটি স্বাস্থ্যকর ও সুন্দর শস্যদানার শিষ একটিমাত্র বৃন্তে বেড়ে উঠছিল।
6 Maar daarna schoten zeven andere aren op, spichtig en door de oostenwind verschroeid.
সেগুলির পরে, আরও সাতটি শস্যদানার শিষ—কৃষকায় ও পূর্বীয় বায়ু দ্বারা ঝলসিত শিষ অঙ্কুরিত হল।
7 En de spichtige aren slokten de dikke en volle op. Toen ontwaakte Farao, en merkte dat het een droom was geweest.
সেই সাতটি কৃষকায় শিষ সাতটি স্বাস্থ্যকর, পূর্ণ শিষকে গিলে ফেলল। পরে ফরৌণ জেগে উঠলেন; তা এক স্বপ্ন ছিল।
8 De volgende morgen was Farao erover verontrust. Hij ontbood alle geleerden en wijzen van Egypte, en verhaalde hun zijn droom. Maar er was niemand, die Farao uitleg kon geven.
সকালবেলায় তাঁর মন অস্থির হয়ে পড়ল, তাই তিনি মিশরের সব জাদুকর ও জ্ঞানীগুণী মানুষজনকে ডেকে পাঠালেন। ফরৌণ তাঁর স্বপ্নের কথা তাঁদের বললেন, কিন্তু কেউই সেগুলি তাঁর জন্য ব্যাখ্যা করে দিতে পারলেন না।
9 Toen sprak de opperschenker tot Farao: Nu moet ik eerlijk mijn schuld bekennen.
তখন সেই প্রধান পানপাত্র বহনকারী ফরৌণকে বলল, “আমার ত্রুটি-বিচ্যূতির কথা আজ আমার মনে পড়ছে।
10 Toen Farao indertijd vertoornd was op zijn dienaren, had hij mij en den hofbakker gevangen gezet in het huis van den overste van de lijfwacht.
ফরৌণ একবার তাঁর দাসদের উপর ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন, এবং তিনি আমাকে ও প্রধান রুটিওয়ালাকে পাহারাদারদের দলপতির বাড়িতে বন্দি করে রেখেছিলেন।
11 Daar hadden wij in dezelfde nacht een droom; ieder van ons had een droom met eigen betekenis.
একই রাতে আমরা দুজনেই একটি করে স্বপ্ন দেখেছিলাম, এবং প্রত্যেকটি স্বপ্নেরই নিজস্ব এক অর্থ ছিল।
12 Nu was daar bij ons een hebreeuwse jongeman, een slaaf van den overste van de lijfwacht. We vertelden hem onze dromen, en hij legde ze voor ons uit, iedere droom met zijn eigen zin.
সেখানে পাহারাদারদের দলপতির দাস, এক হিব্রু যুবক আমাদের সঙ্গেই ছিল। আমরা তাকে আমাদের স্বপ্নগুলি বলেছিলাম, এবং সে আমাদের জন্য সেগুলি ব্যাখ্যা করে দিয়েছিল, প্রত্যেককে তার স্বপ্নের অর্থ জানিয়েছিল।
13 En zoals hij het ons had uitgelegd, is het gebeurd. Men heeft mij in mijn ambt hersteld, hem hing men op.
আর যেভাবে সে আমাদের কাছে সেগুলি ব্যাখ্যা করে দিয়েছিল, ঠিক সেভাবেই তা ঘটল: আমি আমার পদে পুনর্বহাল হলাম, এবং অন্যজনকে শূলে চড়ানো হল।”
14 Toen liet Farao Josef roepen. Men haalde hem vlug uit de gevangenis; en nadat hij zich geschoren had en andere kleren had aangetrokken, begaf hij zich naar Farao.
অতএব ফরৌণ যোষেফকে ডেকে পাঠালেন, এবং তাঁকে তাড়াতাড়ি অন্ধকূপ থেকে নিয়ে আসা হল। চুল-দাড়ি কামিয়ে ও পোশাক পরিবর্তন করে তিনি ফরৌণের সামনে এলেন।
15 En Farao sprak Josef toe: Ik heb een droom gehad, en er is niemand, die hem kan uitleggen. Nu heb ik over u horen zeggen, dat gij een droom kunt uitleggen, zodra ge hem hoort.
ফরৌণ যোষেফকে বললেন, “আমি একটি স্বপ্ন দেখেছি, এবং কেউই সেটির ব্যাখ্যা করতে পারছে না। কিন্তু আমি তোমার বিষয়ে শুনেছি যে তুমি যখন কোনও স্বপ্নের কথা শোনো, তখন তা ব্যাখ্যা করে দিতে পারো।”
16 Josef gaf Farao ten antwoord: Ik zelf kan niets; maar God zal Farao openbaren, wat hem tot heil strekt.
“আমি তা করতে পারি না,” যোষেফ ফরৌণকে উত্তর দিলেন, “কিন্তু ফরৌণের ইচ্ছানুসারে ঈশ্বরই তাঁকে উত্তর দেবেন।”
17 Toen sprak Farao tot Josef: In mijn droom stond ik aan de oever van de Nijl.
তখন ফরৌণ যোষেফকে বললেন, “আমার স্বপ্নে আমি যখন নীলনদের কূলে দাঁড়িয়েছিলাম,
18 En zie, uit de Nijl klommen zeven koeien omhoog, vet en prachtig, die in het oevergras gingen weiden.
তখন নদী থেকে সাতটি হৃষ্টপুষ্ট ও মসৃণ গরু উঠে এল, এবং সেগুলি নলখাগড়ার বনে চরছিল।
19 Maar zie, daarna klommen zeven andere koeien omhoog, schraal, erg lelijk en mager; zo lelijk, als ik ze in heel Egypte nog nooit heb gezien.
সেগুলির পিছু পিছু, অন্য সাতটি গরু উঠে এল—অস্থিসার ও খুব কুৎসিত এবং কৃষকায়। সমগ্র মিশর দেশে আমি এরকম কুৎসিত গরু কখনও দেখিনি।
20 De magere en lelijke koeien slokten de zeven eerste, de vette, op.
সেই কৃষকায়, কুৎসিত গরুগুলি সেই সাতটি হৃষ্টপুষ্ট গরুকে খেয়ে ফেলল।
21 Ze kwamen in haar buik terecht, maar men merkte er niets van; ze bleven even lelijk als vroeger. Toen werd ik wakker.
কিন্তু সেগুলি খেয়ে ফেলার পরও, কেউই বলতে পারেনি যে তারাই এ কাজ করেছিল; আগের মতো তখনও সেগুলিকে কুৎসিতই দেখাচ্ছিল। পরে আমি জেগে উঠলাম।
22 Opnieuw zag ik in mijn droom. Zie, zeven aren schoten op uit één halm, vol en prachtig.
“আমার স্বপ্নে আমি একই বৃন্তে বেড়ে ওঠা শস্যদানার সাতটি পূর্ণ ও স্বাস্থ্যকর শিষ দেখেছিলাম।
23 Maar daarna schoten zeven andere aren op, dor, spichtig en door de oostenwind verschroeid.
সেগুলির পিছু পিছু, আরও সাতটি শিষ অঙ্কুরিত হল—শুকনো ও কৃষকায় ও পূর্বীয় বায়ু দ্বারা ঝলসিত।
24 En de spichtige aren slokten de zeven prachtige op. Ik heb het aan de geleerden verhaald, maar niemand kon mij uitleg geven.
শস্যদানার সেই কৃষকায় শিষগুলি সেই সাতটি সুন্দর শিষকে গিলে ফেলল। আমি একথা জাদুকরদের বললাম, কিন্তু তাদের মধ্যে কেউই আমার কাছে তা ব্যাখ্যা করে দিতে পারেনি।”
25 Nu sprak Josef tot Farao: De dromen van Farao zijn één. God heeft Farao geopenbaard, wat Hij van plan is te doen.
তখন যোষেফ ফরৌণকে বললেন, “ফরৌণের স্বপ্নগুলি এক ও অনুরূপ। ঈশ্বর ফরৌণের কাছে প্রকাশ করে দিয়েছেন তিনি কী করতে চলেছেন।
26 De zeven vette koeien betekenen zeven jaren; de zeven vette aren eveneens zeven jaren. Het is maar één droom.
সাতটি সুন্দর গরু হল সাত বছর এবং সাতটি সুন্দর শস্যদানার শিষ হল সাত বছর; এ হল এক ও অনুরূপ স্বপ্ন।
27 Ook de zeven magere en lelijke koeien, die na haar omhoog klommen, betekenen zeven jaren, en de zeven spichtige aren, door de oostenwind verschroeid, eveneens zeven jaren van hongersnood.
যে সাতটি কৃষকায়, কুৎসিত গরু পরে উঠে এল সেগুলি সাত বছর, এবং পূর্বীয় বায়ু দ্বারা ঝলসিত শস্যদানার সাতটি রুগ্ন অখাদ্য শিষও তাই: সেগুলি হল সাত বছরের দুর্ভিক্ষ।
28 Dit bedoelde ik, toen ik tot Farao zeide, dat God aan Farao heeft getoond, wat Hij van plan is te doen.
“আমি ফরৌণকে যেমনটি বললাম তা ঠিক এরকম: ঈশ্বর যা করতে চলেছেন তা তিনি ফরৌণকে দেখিয়েছেন।
29 Zie, er gaan voor Egypte zeven jaren van grote overvloed komen.
মিশর দেশে অতিপ্রাচুর্যময় সাতটি বছর আসতে চলেছে,
30 Daarna zullen er zeven jaren van hongersnood aanbreken, waarin heel de overvloed van Egypte zal worden vergeten, en hongersnood het land zal teisteren.
কিন্তু তার পিছু পিছু দুর্ভিক্ষকবলিত সাতটি বছর আসবে। তখন মিশরের সব প্রাচুর্য মানুষ ভুলে যাবে, এবং দুর্ভিক্ষ দেশটিকে ধ্বংস করে দেবে।
31 Dan zal men in het land niets meer van overvloed merken door de hongersnood, die er op volgt; want die zal zeer hevig zijn.
দেশের প্রাচুর্যকে কেউ মনে রাখবে না, কারণ যে দুর্ভিক্ষ সেটির পিছু পিছু আসতে চলেছে তা খুব ভয়াবহ হবে।
32 En dat de droom zich voor Farao herhaald heeft, betekent, dat God het vast heeft besloten en het spoedig ten uitvoer zal brengen.
ফরৌণকে দুটি আকারে স্বপ্নটি দেওয়ার কারণ হল এই যে বিষয়টি ঈশ্বর দ্বারা অটলভাবে নিশ্চিত হয়ে আছে, এবং অচিরেই ঈশ্বর তা বাস্তবায়িত করবেন।
33 Farao moge dus omzien naar een verstandig en kundig man, en dien over Egypteland aanstellen.
“আর এখন ফরৌণ একজন বিচক্ষণ ও বুদ্ধিমান লোক খুঁজে বের করুন এবং তার হাতে মিশর দেশের দায়িত্ব তুলে দিন।
34 Laat Farao aldus te werk gaan: hij stelle opzichters aan over het land, om in de zeven jaren van overvloed het vijfde deel te heffen van de opbrengst van Egypte.
প্রাচুর্যময় সাত বছর ধরে মিশরে উৎপন্ন শস্যের এক-পঞ্চমাংশ আদায় করার জন্য ফরৌণ সারা দেশে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিয়োগ করুন।
35 Ze moeten in de goede jaren, die nu gaan komen, allerlei levensmiddelen verzamelen, en in de steden het koren opslaan en bewaren ter beschikking van Farao.
তাঁরা আগামী এই সুন্দর বছরগুলিতে যেন খাদ্যশস্য সংগ্রহ করেন এবং ফরৌণের কতৃর্ত্বের অধীনে সেই শস্য মজুত করে যেন নগরগুলিতে খাদ্যভাণ্ডার গড়ে রাখেন।
36 Dan zullen die levensmiddelen de voorraad vormen voor het land voor de zeven jaren van hongersnood, die over Egypte gaan komen, en zal het land niet van honger te gronde gaan.
মিশরের উপর দুর্ভিক্ষকবলিত যে সাতটি বছর নেমে আসতে চলেছে, সেই সময় ব্যবহারের উপযোগী করে দেশের জন্য এই খাদ্যশস্য মজুত করে রাখতে হবে, যেন দেশটি সেই দুর্ভিক্ষ দ্বারা ধ্বংস হয়ে না যায়।”
37 Dit voorstel scheen Farao en heel zijn hof verstandig.
ফরৌণের ও তাঁর সব কর্মকর্তার কাছে সেই পরিকল্পনাটি বেশ ভালো বলে মনে হল।
38 En Farao sprak tot zijn hovelingen: Zou er een man zijn te vinden, in wien Gods geest is als in hem?
অতএব ফরৌণ তাঁদের জিজ্ঞাসা করলেন, “এই লোকটির মতো কাউকে কি আমরা খুঁজে পাব, যার অন্তরে ঈশ্বরের আত্মা আছে?”
39 En Farao zeide tot Josef: Nu God u dat alles heeft geopenbaard, is er niemand zo verstandig en kundig als gij.
পরে ফরৌণ যোষেফকে বললেন, “যেহেতু ঈশ্বর এসব কিছু তোমাকেই জানিয়ে দিয়েছেন, তাই তোমার মতো এত বিচক্ষণ ও জ্ঞানীগুণী আর কেউ নেই।
40 Gij zult dus niet enkel mijn huis besturen, maar heel het volk zal aan uw bevel gehoorzamen, en alleen door mijn troon zal ik boven u staan.
তুমিই আমার প্রাসাদের দায়িত্ব সামলাবে, এবং আমার সব প্রজাকে তোমার আদেশের অধীন হতে হবে। শুধুমাত্র সিংহাসনের ক্ষেত্রে আমি তোমার চেয়ে মহত্তর হব।”
41 En Farao vervolgde tot Josef: Hiermee stel ik u aan over heel het land van Egypte!
অতএব ফরৌণ যোষেফকে বললেন, “আমি এতদ্বারা তোমার হাতে সম্পূর্ণ মিশর দেশের দায়িত্ব সমর্পণ করে দিলাম।”
42 En Farao trok de zegelring van zijn vinger, stak die aan de hand van Josef, trok hem een kostbaar linnen gewaad aan, en hing hem een gouden keten om de hals.
পরে ফরৌণ নিজের আঙুল থেকে তাঁর সিলমোহরের আংটিটি খুলে যোষেফের আঙুলে পরিয়ে দিলেন। তিনি তাঁকে মিহি মসিনার আলখাল্লা দিয়ে সুসজ্জিত করলেন এবং তাঁর গলায় সোনার এক হার পরিয়ে দিলেন।
43 Daarna liet hij hem zijn eigen wagen bestijgen, de beste op een na, en men riep voor hem uit: Op de knieën! Zo stelde Farao Josef aan over heel het land van Egypte.
তিনি তাঁকে পদমর্যাদায় তাঁর দ্বিতীয় প্রধান করে একটি রথে চড়িয়ে দিলেন এবং লোকজন তাঁর সামনে চিৎকার করতে লাগল, “রাস্তা করে দাও!” এভাবে তিনি যোষেফের হাতে সম্পূর্ণ মিশর দেশের দায়িত্ব তুলে দিলেন।
44 En hij zeide tot hem: Ik blijf Farao; maar buiten uw wil zal niemand hand of voet verroeren in heel het land van Egypte.
পরে ফরৌণ যোষেফকে বললেন, “আমি ফরৌণ, কিন্তু তোমার আদেশ ছাড়া সমগ্র মিশরে কেউ হাত বা পা ওঠাবে না।”
45 Farao gaf Josef de naam Safenat-Panéach, en schonk hem Asenat, de dochter van Poti-Féra, den priester van On, tot vrouw.
ফরৌণ যোষেফের নাম রাখলেন সাফনৎ-পানেহ এবং তাঁর স্ত্রী হওয়ার জন্য তিনি ওনের যাজক পোটীফেরের মেয়ে আসনৎকে দান করলেন। আর যোষেফ সমগ্র মিশর দেশ জুড়ে ঘুরে বেড়ালেন।
46 Josef was dertig jaar oud, toen hij in dienst trad van Farao, den koning van Egypte. Nu ging Josef van Farao heen, en doorreisde heel het land van Egypte.
ত্রিশ বছর বয়সে যোষেফ মিশরের রাজা ফরৌণের কাজে যোগ দিলেন। আর যোষেফ ফরৌণের সামনে থেকে চলে গেলেন এবং সমগ্র মিশর জুড়ে ঘুরে বেড়ালেন।
47 En terwijl het land in de zeven jaren van overvloed volop droeg,
প্রাচুর্যময় সাত বছর জমিতে প্রচুর ফসল উৎপন্ন হল।
48 verzamelde hij in die zeven jaren, dat er overvloed was in Egypte, allerlei levensmiddelen. Hij stapelde ze op in de steden; in iedere stad sloeg hij de oogst op van de velden rondom.
প্রাচুর্যময় সেই সাত বছর ধরে মিশরে যত খাদ্যশস্য উৎপন্ন হল, যোষেফ সেসব সংগ্রহ করলেন ও নগরগুলিতে মজুত করে রাখলেন। প্রত্যেকটি নগরের চারপাশের জমিতে উৎপন্ন খাদ্যশস্য তিনি সেইসব নগরেই রেখে দিলেন।
49 En Josef hoopte het koren op als het zand aan de zee; zo ontzaggelijk veel, dat men ophield met meten, omdat het niet meer te meten was.
প্রচুর খাদ্যশস্য, সমুদ্রের বালুকণার মতো করে যোষেফ মজুত করে ফেললেন; তা পরিমাণে এত বেশি ছিল যে তিনি হিসেব রাখা বন্ধ করে দিলেন, কারণ তা অসম্ভব হয়ে পড়েছিল।
50 Nog eer het jaar van de hongersnood kwam, kreeg Josef twee zonen, die Asenat, de dochter van Poti-Féra, den priester van On, hem baarde.
দুর্ভিক্ষকবলিত বছরগুলি এসে পড়ার আগেই, ওনের যাজক পোটীফেরের মেয়ে আসনতের মাধ্যমে যোষেফের দুই ছেলে জন্মেছিল।
51 Josef noemde den oudste Manasse; want God heeft me al mijn ellende en heel mijn vaderlijk huis doen vergeten.
যোষেফ তাঁর বড়ো ছেলের নাম রাখলেন মনঃশি এবং বললেন, “যেহেতু ঈশ্বর আমাকে আমার সব দুঃখকষ্ট ও আমার বাবার পুরো পরিবারকেই ভুলিয়ে দিয়েছেন।”
52 Den tweede noemde hij Efraïm; want God heeft mij vruchtbaar gemaakt in het land van mijn ongeluk.
দ্বিতীয় ছেলের নাম তিনি রাখলেন ইফ্রয়িম এবং বললেন “যেহেতু ঈশ্বর আমাকে আমার দুঃখের দেশে ফলপ্রসূ করেছেন।”
53 Toen nu de zeven jaren van overvloed, die in Egypte heerste, ten einde waren,
মিশরে প্রাচুর্যময় সাত বছর সমাপ্ত হল,
54 braken de zeven jaren van hongersnood aan, zoals Josef voorspeld had. In alle landen was er gebrek, maar in heel het land van Egypte was brood.
এবং দুর্ভিক্ষকবলিত সাত বছর শুরু হল, যোষেফ ঠিক যেমনটি বলেছিলেন। অন্যান্য দেশেও দুর্ভিক্ষ হল, কিন্তু সমগ্র মিশর দেশে খাদ্যদ্রব্য ছিল।
55 En toen ook heel Egypte honger begon te krijgen, en het volk tot Farao om brood riep, zeide Farao tot alle Egyptenaren: Gaat tot Josef, en doet wat hij u zegt.
সমগ্র মিশরে যখন দুর্ভিক্ষের অনুভূতি শুরু হল, তখন প্রজারা ফরৌণের কাছে খাদ্যদ্রব্যের জন্য কান্নাকাটি করল। তখন ফরৌণ সব মিশরবাসীকে বললেন, “যোষেফের কাছে যাও ও সে যা বলবে তাই করো।”
56 En toen er hongersnood heerste over het hele land, opende Josef de graanschuren, en verkocht het koren aan de Egyptenaren. En ofschoon er ook in Egypte hongersnood woedde,
দুর্ভিক্ষ যখন সমগ্র দেশে ছড়িয়ে পড়ল, তখন যোষেফ সব আড়ত খুলে দিলেন ও মিশরীয়দের কাছে খাদ্যশস্য বিক্রি করলেন, কারণ সমগ্র মিশর জুড়ে দুর্ভিক্ষ ভয়াবহ রূপ ধারণ করল।
57 kwamen alle landen naar Egypte, om van Josef koren te kopen; want de hongersnood teisterde ook de hele wereld.
সমগ্র জগৎ মিশরে যোষেফের কাছে খাদ্যশস্য কিনতে এল, কারণ দুর্ভিক্ষ সর্বত্র ভয়াবহ রূপ ধারণ করল।