< Genesis 41 >

1 Twee jaren later had ook Farao een droom. Zie, hij stond aan de Nijl.
দুই বছর পরে ফরৌণ স্বপ্ন দেখলেন।
2 Daar klommen uit de Nijl zeven koeien omhoog, prachtig en vet, die in het oevergras gingen weiden.
দেখ, তিনি নদীর তীরে দাঁড়িয়ে আছেন, আর দেখ, নদী থেকে সাতটি মোটাসোটা সুন্দর গরু উঠল ও খাগড়া বনে চরতে লাগল।
3 Maar zie, daarna klommen zeven andere koeien uit de Nijl omhoog, lelijk en mager, die naast de eerste gingen staan aan de oever van de Nijl.
সেগুলির পরে, দেখ, আর সাতটি রোগা ও বিশ্রী গরু নদী থেকে উঠল ও নদীর তীরে ঐ গরুদের কাছে দাঁড়াল।
4 De lelijke en magere koeien slokten de zeven prachtige en vette koeien op. Toen ontwaakte Farao.
পরে সেই রোগা বিশ্রী গাভীরা ঐ সাতটি মোটাসোটা সুন্দর গরুকে খেয়ে ফেলল। তখন ফরৌণের ঘুম ভেঙে গেল।
5 Hij sliep weer in, en droomde opnieuw. En zie, zeven aren schoten op uit één halm, zwaar en prachtig.
তার পরে তিনি আবার ঘুমিয়ে পড়লে দ্বিতীয় বার স্বপ্ন দেখলেন; দেখ, এক বোঁটাতে সাতটি মোটা ও ভালো শীষ উঠল।
6 Maar daarna schoten zeven andere aren op, spichtig en door de oostenwind verschroeid.
সেগুলির পরে, দেখ, পূর্বীয় বায়ুতে শোষিত অন্য সাতটি ক্ষীণ শীষ উঠল।
7 En de spichtige aren slokten de dikke en volle op. Toen ontwaakte Farao, en merkte dat het een droom was geweest.
আর এই ক্ষীণ শীষগুলি ঐ সাতটি মোটা পরিপক্ক শীষকে খেয়ে ফেলল। পরে ফরৌণের ঘুম ভেঙে গেল, আর দেখ, ওটা স্বপ্নমাত্র।
8 De volgende morgen was Farao erover verontrust. Hij ontbood alle geleerden en wijzen van Egypte, en verhaalde hun zijn droom. Maar er was niemand, die Farao uitleg kon geven.
পরে সকালে তাঁর মন অস্থির হল; আর তিনি লোক পাঠিয়ে মিশরের সব জাদুকর ও সেখানকার সব জ্ঞানীকে ডাকলেন; আর ফরৌণ তাঁদের কাছে সেই স্বপ্নবৃত্তান্ত বললেন, কিন্তু তাঁদের মধ্যে কেউই ফরৌণকে তার অর্থ বলতে পারলেন না।
9 Toen sprak de opperschenker tot Farao: Nu moet ik eerlijk mijn schuld bekennen.
তখন প্রধান পানপাত্রবাহক ফরৌণকে অনুরোধ করল, “আজ আমার দোষ মনে পড়ছে।”
10 Toen Farao indertijd vertoornd was op zijn dienaren, had hij mij en den hofbakker gevangen gezet in het huis van den overste van de lijfwacht.
১০ফরৌণ নিজের দুই দাসের প্রতি, আমার ও প্রধান রুটিওয়ালার প্রতি, রেগে গিয়ে আমাদেরকে রক্ষক-সেনাপতির বাড়িতে কারাবদ্ধ করেছিলেন।
11 Daar hadden wij in dezelfde nacht een droom; ieder van ons had een droom met eigen betekenis.
১১আর সে ও আমি এক রাতে স্বপ্ন দেখেছিলাম এবং দুই জনের স্বপ্নের দুই প্রকার অর্থ হল।
12 Nu was daar bij ons een hebreeuwse jongeman, een slaaf van den overste van de lijfwacht. We vertelden hem onze dromen, en hij legde ze voor ons uit, iedere droom met zijn eigen zin.
১২তখন সে জায়গায় রক্ষক-সেনাপতির দাস এক জন ইব্রীয় যুবক আমাদের সঙ্গে ছিল; তাকে স্বপ্নবৃত্তান্ত বললে সে আমাদেরকে তার অর্থ বলল; উভয়ের স্বপ্নের অর্থ বলল।
13 En zoals hij het ons had uitgelegd, is het gebeurd. Men heeft mij in mijn ambt hersteld, hem hing men op.
১৩আর সে আমাদেরকে যেমন অর্থ বলেছিল, সেরকমই ঘটল; মহারাজ আমাকে আগের পদে নিযুক্ত করলেন ও তাকে ফাঁসি দিলেন।
14 Toen liet Farao Josef roepen. Men haalde hem vlug uit de gevangenis; en nadat hij zich geschoren had en andere kleren had aangetrokken, begaf hij zich naar Farao.
১৪তখন ফরৌণ যোষেফকে ডেকে পাঠালে লোকেরা কারাকুয়ো থেকে তাঁকে তাড়াতাড়ি আনল। পরে তিনি চুল-দাড়ি কেটে অন্য পোশাক পরে ফরৌণের কাছে উপস্থিত হলেন।
15 En Farao sprak Josef toe: Ik heb een droom gehad, en er is niemand, die hem kan uitleggen. Nu heb ik over u horen zeggen, dat gij een droom kunt uitleggen, zodra ge hem hoort.
১৫তখন ফরৌণ যোষেফকে বললেন, “আমি এক স্বপ্ন দেখেছি, তার অর্থ করতে পারে, এমন কেউ নেই। কিন্তু তোমার বিষয়ে আমি শুনেছি যে, তুমি স্বপ্ন শুনলে অর্থ করতে পার।”
16 Josef gaf Farao ten antwoord: Ik zelf kan niets; maar God zal Farao openbaren, wat hem tot heil strekt.
১৬যোষেফ ফরৌণকে উত্তর করলেন, “তা আমার পক্ষে অসম্ভব, ঈশ্বরই ফরৌণকে সঠিক উত্তর দেবেন।”
17 Toen sprak Farao tot Josef: In mijn droom stond ik aan de oever van de Nijl.
১৭তখন ফরৌণ যোষেফকে বললেন, “দেখ, আমি স্বপ্নে নদীর তীরে দাঁড়িয়েছিলাম।
18 En zie, uit de Nijl klommen zeven koeien omhoog, vet en prachtig, die in het oevergras gingen weiden.
১৮আর দেখ, নদী থেকে সাতটি মোটাসোটা গরু উঠে খাগড়া বনে চরতে লাগল।
19 Maar zie, daarna klommen zeven andere koeien omhoog, schraal, erg lelijk en mager; zo lelijk, als ik ze in heel Egypte nog nooit heb gezien.
১৯সেগুলির পরে, দেখ, রোগা ও বিশ্রী গাভী উঠল; আমি সমস্ত মিশর দেশে সেই ধরনের বিশ্রী গাভী কখনও দেখিনি।
20 De magere en lelijke koeien slokten de zeven eerste, de vette, op.
২০আর এই রোগা ও বিশ্রী গরুরা সেই আগের মোটাসোটা সাতটি গরুকে খেয়ে ফেলল।
21 Ze kwamen in haar buik terecht, maar men merkte er niets van; ze bleven even lelijk als vroeger. Toen werd ik wakker.
২১কিন্তু তারা এদের খেয়ে ফেললে পর, খেয়ে ফেলেছে, এমন মনে হল না, কারণ এরা আগের মতো বিশ্রীই থাকল।
22 Opnieuw zag ik in mijn droom. Zie, zeven aren schoten op uit één halm, vol en prachtig.
২২তখন আমার ঘুম ভেঙে গেল। পরে আমি আর এক স্বপ্ন দেখলাম; আর দেখ, একটি বোঁটায় সম্পূর্ণ ভালো সাতটি শীষ উঠল।
23 Maar daarna schoten zeven andere aren op, dor, spichtig en door de oostenwind verschroeid.
২৩আর দেখ, সেগুলির পরে শুকনো, ক্ষীণ ও পুর্বীয় বায়ুতে শুকনো সাতটি শীষ উঠল।
24 En de spichtige aren slokten de zeven prachtige op. Ik heb het aan de geleerden verhaald, maar niemand kon mij uitleg geven.
২৪আর এই ক্ষীণ শীষগুলি সেই ভালো সাতটি শীষকে গ্রাস করল। এই স্বপ্ন আমি জাদুকরদেরকে বললাম, কিন্তু কেউই এর অর্থ আমাকে বলতে পারল না।”
25 Nu sprak Josef tot Farao: De dromen van Farao zijn één. God heeft Farao geopenbaard, wat Hij van plan is te doen.
২৫তখন যোষেফ ফরৌণকে বললেন, “ফরৌণের স্বপ্ন এক; ঈশ্বর যা করতে প্রস্তুত হয়েছেন, তাই ফরৌণকে জানিয়েছেন।
26 De zeven vette koeien betekenen zeven jaren; de zeven vette aren eveneens zeven jaren. Het is maar één droom.
২৬ঐ সাতটি ভালো গরু সাত বছর এবং ঐ সাতটি ভালো শীষও সাত বছর; স্বপ্ন এক।
27 Ook de zeven magere en lelijke koeien, die na haar omhoog klommen, betekenen zeven jaren, en de zeven spichtige aren, door de oostenwind verschroeid, eveneens zeven jaren van hongersnood.
২৭আর তার পরে যে সাতটি রোগা ও বিশ্রী গরু উঠল, তারাও সাত বছর এবং পুর্বীয় বায়ুতে শুকনো যে সাতটি অপুষ্ট শীষ উঠল, তা দূর্ভিক্ষের সাত বছর হবে।”
28 Dit bedoelde ik, toen ik tot Farao zeide, dat God aan Farao heeft getoond, wat Hij van plan is te doen.
২৮আমি ফরৌণকে এটাই বললাম; “ঈশ্বর যা করতে প্রস্তুত হয়েছেন, তা ফরৌণকে দেখিয়েছেন।
29 Zie, er gaan voor Egypte zeven jaren van grote overvloed komen.
২৯দেখুন, সমস্ত মিশর দেশে সাত বছর প্রচুর শস্য হবে।
30 Daarna zullen er zeven jaren van hongersnood aanbreken, waarin heel de overvloed van Egypte zal worden vergeten, en hongersnood het land zal teisteren.
৩০তার পরে সাত বছর এমন দূর্ভিক্ষ হবে যে, মিশর দেশে সমস্ত শস্য নষ্ট হবে এবং সেই দূর্ভিক্ষে দেশ ধ্বংস হবে।
31 Dan zal men in het land niets meer van overvloed merken door de hongersnood, die er op volgt; want die zal zeer hevig zijn.
৩১আর সেই পরে আসা দূর্ভিক্ষের জন্য দেশে আগের শস্যপ্রাচুর্য্যতার কথা মনে পড়বে না; কারণ তা খুব কষ্টকর হবে।
32 En dat de droom zich voor Farao herhaald heeft, betekent, dat God het vast heeft besloten en het spoedig ten uitvoer zal brengen.
৩২আর ফরৌণের কাছে দুবার স্বপ্ন দেখাবার ভাব এই; ঈশ্বর এটা স্থির করেছেন এবং ঈশ্বর এটা তাড়াতাড়ি ঘটাবেন।
33 Farao moge dus omzien naar een verstandig en kundig man, en dien over Egypteland aanstellen.
৩৩অতএব এখন ফরৌণ একজন সুবুদ্ধি ও জ্ঞানবান পুরুষের চেষ্টা করে তাঁকে মিশর দেশের উপরে নিযুক্ত করুন।
34 Laat Farao aldus te werk gaan: hij stelle opzichters aan over het land, om in de zeven jaren van overvloed het vijfde deel te heffen van de opbrengst van Egypte.
৩৪আর ফরৌণ এই কাজ করুন; দেশে অধ্যক্ষদের নিযুক্ত করে যে সাত বছর শস্যপ্রাচুর্য্য হবে, সেই দিনের মিশর দেশ থেকে শস্যের পঞ্চমাংশ গ্রহণ করুন।
35 Ze moeten in de goede jaren, die nu gaan komen, allerlei levensmiddelen verzamelen, en in de steden het koren opslaan en bewaren ter beschikking van Farao.
৩৫তাঁরা সেই আগামী ভালো বছরগুলিতে খাবার সংগ্রহ করুন ও ফরৌণের অধীনে নগরে নগরে খাবারের জন্য শস্য সঞ্চয় করুন ও রক্ষা করুন।
36 Dan zullen die levensmiddelen de voorraad vormen voor het land voor de zeven jaren van hongersnood, die over Egypte gaan komen, en zal het land niet van honger te gronde gaan.
৩৬এই ভাবে মিশর দেশে যে দূর্ভিক্ষ হবে, সেই দূর্ভিক্ষের সাত বছরের জন্য সেই খাবার দেশের জন্য সঞ্চিত থাকবে, তাতে দূর্ভিক্ষে দেশ ধ্বংস হবে না।”
37 Dit voorstel scheen Farao en heel zijn hof verstandig.
৩৭তখন ফরৌণের ও তাঁর সব দাসের দৃষ্টিতে এই কথা ভালো মনে হল।
38 En Farao sprak tot zijn hovelingen: Zou er een man zijn te vinden, in wien Gods geest is als in hem?
৩৮আর ফরৌণ নিজের দাসদেরকে বললেন, “এর তুল্য পুরুষ, যাঁর অন্তরে ঈশ্বরের আত্মা আছেন, এমন আর কাকে পাব?”
39 En Farao zeide tot Josef: Nu God u dat alles heeft geopenbaard, is er niemand zo verstandig en kundig als gij.
৩৯তখন ফরৌণ যোষেফকে বললেন, “ঈশ্বর তোমাকে এই সব জানিয়েছেন, অতএব তোমার মতো সুবুদ্ধি ও জ্ঞানবান কেউই নেই।
40 Gij zult dus niet enkel mijn huis besturen, maar heel het volk zal aan uw bevel gehoorzamen, en alleen door mijn troon zal ik boven u staan.
৪০তুমিই আমার বাড়ির পরিচালক হও; আমার সমস্ত প্রজা তোমার কথায় চলবে, কেবল সিংহাসনে আমি তোমার থেকে বড় থাকব।”
41 En Farao vervolgde tot Josef: Hiermee stel ik u aan over heel het land van Egypte!
৪১ফরৌণ যোষেফকে আরও বললেন, “দেখ, আমি তোমাকে সমস্ত মিশর দেশের ওপরে নিযুক্ত করলাম।”
42 En Farao trok de zegelring van zijn vinger, stak die aan de hand van Josef, trok hem een kostbaar linnen gewaad aan, en hing hem een gouden keten om de hals.
৪২পরে ফরৌণ হাত থেকে নিজের আংটি খুলে যোষেফের হাতে দিলেন, তাঁকে কার্পাসের ভালো কাপড় পরালেন এবং তাঁর গলায় সোনার হার দিলেন।
43 Daarna liet hij hem zijn eigen wagen bestijgen, de beste op een na, en men riep voor hem uit: Op de knieën! Zo stelde Farao Josef aan over heel het land van Egypte.
৪৩আর তাঁকে নিজের দ্বিতীয় রথে আরোহণ করালেন এবং লোকেরা তাঁর আগে আগে “হাঁটু পাত, হাঁটু পাত বলে ঘোষণা করল।” এই ভাবে তিনি সমস্ত মিশর দেশের পরিচালকের পদে নিযুক্ত হলেন।
44 En hij zeide tot hem: Ik blijf Farao; maar buiten uw wil zal niemand hand of voet verroeren in heel het land van Egypte.
৪৪আর ফরৌণ যোষেফকে বললেন, “আমি ফরৌণ, তোমার আদেশ ছাড়া সমস্ত মিশর দেশের কোনো লোক হাত কিংবা পা তুলতে পারবে না।”
45 Farao gaf Josef de naam Safenat-Panéach, en schonk hem Asenat, de dochter van Poti-Féra, den priester van On, tot vrouw.
৪৫আর ফরৌণ যোষেফের নাম “সাফনৎ-পানেহ” রাখলেন এবং তার সঙ্গে ওন নগর-নিবাসী পোটীফেরঃ নামে যাজকের আসনৎ নামের মেয়ের বিয়ে দিলেন। পরে যোষেফ মিশর দেশের মধ্যে যাতায়াত করতে লাগলেন
46 Josef was dertig jaar oud, toen hij in dienst trad van Farao, den koning van Egypte. Nu ging Josef van Farao heen, en doorreisde heel het land van Egypte.
৪৬যোষেফ ত্রিশ বছর বয়সে মিশর-রাজ ফরৌণের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পরে যোষেফ ফরৌণের কাছ থেকে চলে গিয়ে মিশর দেশের সব জায়গায় ভ্রমণ করলেন।
47 En terwijl het land in de zeven jaren van overvloed volop droeg,
৪৭আর প্রচুর শস্য ফলনের সেই সাত বছর ভূমিতে প্রচুর পরিমাণ শস্য জন্মাল।
48 verzamelde hij in die zeven jaren, dat er overvloed was in Egypte, allerlei levensmiddelen. Hij stapelde ze op in de steden; in iedere stad sloeg hij de oogst op van de velden rondom.
৪৮মিশর দেশে উপস্থিত সেই সাত বছরে সব শস্য সংগ্রহ করে তিনি প্রতি নগরে সঞ্চয় করলেন; যে নগরের চার সীমায় যে শস্য হল, সেই নগরে তা সঞ্চয় করলেন।
49 En Josef hoopte het koren op als het zand aan de zee; zo ontzaggelijk veel, dat men ophield met meten, omdat het niet meer te meten was.
৪৯এই ভাবে যোষেফ সমুদ্রের বালির মতো এমন প্রচুর শস্য সংগ্রহ করলেন যে, তা মাপা বন্ধ করলেন, কারণ তা পরিমাপের বাইরে ছিল।
50 Nog eer het jaar van de hongersnood kwam, kreeg Josef twee zonen, die Asenat, de dochter van Poti-Féra, den priester van On, hem baarde.
৫০দূর্ভিক্ষ বছরের আগে যোষেফের দুই ছেলে জন্মাল; ওন-নিবাসী পোটীফেরঃ যাজকের মেয়ে আসনৎ তাঁর জন্য তাদেরকে প্রসব করলেন।
51 Josef noemde den oudste Manasse; want God heeft me al mijn ellende en heel mijn vaderlijk huis doen vergeten.
৫১আর যোষেফ তাদের বড় ছেলের নাম মনঃশি [ভুলে যাওয়া] রাখলেন, কারণ তিনি বললেন, “ঈশ্বর আমার সমস্ত দুঃখের ও আমার বাবার বংশের স্মৃতি ভুলিয়ে দিয়েছেন।”
52 Den tweede noemde hij Efraïm; want God heeft mij vruchtbaar gemaakt in het land van mijn ongeluk.
৫২পরে দ্বিতীয় ছেলের নাম ইফ্রয়িম [ফলবান্‌] রাখলেন, কারণ তিনি বললেন, “আমার দুঃখভোগের দেশে ঈশ্বর আমাকে ফলবান করেছেন।”
53 Toen nu de zeven jaren van overvloed, die in Egypte heerste, ten einde waren,
৫৩পরে মিশর দেশে উপস্থিত শস্যপ্রাচুর্য্যের সাত বছর শেষ হল
54 braken de zeven jaren van hongersnood aan, zoals Josef voorspeld had. In alle landen was er gebrek, maar in heel het land van Egypte was brood.
৫৪এবং যোষেফ যেমন বলেছিলেন, সেই অনুসারে দূর্ভিক্ষের সাত বছর আরম্ভ হল। সব দেশে দূর্ভিক্ষ হল, কিন্তু সমস্ত মিশর দেশে খাবার ছিল।
55 En toen ook heel Egypte honger begon te krijgen, en het volk tot Farao om brood riep, zeide Farao tot alle Egyptenaren: Gaat tot Josef, en doet wat hij u zegt.
৫৫পরে সমস্ত মিশর দেশে দূর্ভিক্ষ হলে প্রজারা ফরৌণের কাছে খাবারের জন্য কাঁদল, তাতে ফরৌণ মিশরীয়দের সবাইকে বললেন, “তোমরা যোষেফের কাছে যাও; তিনি তোমাদেরকে যা বলেন, তাই কর।”
56 En toen er hongersnood heerste over het hele land, opende Josef de graanschuren, en verkocht het koren aan de Egyptenaren. En ofschoon er ook in Egypte hongersnood woedde,
৫৬তখন সমস্ত দেশেই দূর্ভিক্ষ হয়েছিল। আর যোষেফ সব জায়গার গোলা খুলে মিশরীয়দের কাছে শস্য বিক্রি করতে লাগলেন; আর মিশর দেশে দূর্ভিক্ষ প্রবল হয়ে উঠল
57 kwamen alle landen naar Egypte, om van Josef koren te kopen; want de hongersnood teisterde ook de hele wereld.
৫৭এবং সবদেশের লোক মিশর দেশে যোষেফের কাছে শস্য কিনতে এল, কারণ সবদেশেই দূর্ভিক্ষ প্রবল হয়েছিল।

< Genesis 41 >