1 Koningen 22
1 Drie jaren bleef het nu rustig, en was er geen oorlog tussen Aram en Israël.
১অরাম ও ইস্রায়েলের মধ্যে তিন বছর পর্যন্ত কোনো যুদ্ধ হয়নি।
2 Maar toen in het derde jaar koning Josafat van Juda bij den koning van Israël op bezoek was,
২তৃতীয় বছরে যিহূদার রাজা যিহোশাফট ইস্রায়েলের রাজার সঙ্গে দেখা করতে গেলেন।
3 sprak de koning van Israël tot zijn hof: Weet gij wel, dat Rama in Gilad van ons is? En wij blijven maar rustig zitten, in plaats van het den koning van Aram te ontnemen.
৩ইস্রায়েলের রাজা তাঁর দাসদের বললেন, “আপনারা কি জানেন যে, রামোৎ গিলিয়দ আমাদের? অথচ আমরা অরামের রাজার কাছ থেকে সেটা ফিরিয়ে নেবার জন্য কিছুই করছি না।”
4 En hij vroeg Josafat: Wilt gij met mij ten strijde trekken naar Rama in Gilad? En Josafat verzekerde den koning van Israël: Ik en gij zijn één; mijn volk is uw volk en mijn paarden zijn uw paarden!
৪তখন তিনি যিহোশাফটকে বললেন, “আপনি কি যুদ্ধ করবার জন্য আমার সঙ্গে রামোৎ গিলিয়দে যাবেন?” উত্তরে যিহোশাফট ইস্রায়েলের রাজাকে বললেন, “আমি ও আপনি আমার লোক ও আপনার লোক সবাই এক, আর আমার ঘোড়া আপনারই ঘোড়া।”
5 Toch verzocht Josafat den koning van Israël: Vraag echter eerst, wat Jahweh zegt.
৫কিন্তু যিহোশাফট ইস্রায়েলের রাজাকে এই কথাও বললেন, “আজ সদাপ্রভুর পরিকল্পনা জানুন।”
6 Toen ontbood de koning van Israël de profeten, tezamen ongeveer vier honderd man. Hij vroeg hun: Zal ik tegen Rama in Gilad ten strijde trekken, of niet? Zij antwoordden: Trek op; Jahweh levert het aan den koning over.
৬কাজেই ইস্রায়েলের রাজা ভাববাদীদের ডেকে জড়ো করলেন। তাদের সংখ্যা ছিল প্রায় চারশো। তিনি তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “রামোৎ গিলিয়দের বিরুদ্ধে কি আমি যুদ্ধ করতে যাব, না যাব না?” তারা বলল, “যান, কারণ প্রভু ওটা রাজার হাতেই তুলে দেবেন।”
7 Maar Josafat vroeg: Is hier geen profeet van Jahweh meer, dien we kunnen raadplegen?
৭কিন্তু যিহোশাফট বললেন, “এখানে কি সদাপ্রভুর কোনো একটা ভাববাদী নেই যার কাছে আমরা জিজ্ঞাসা করতে পারি?”
8 De koning van Israël antwoordde: Er is nog één man, door wien wij Jahweh kunnen raadplegen. Maar ik heb een hekel aan hem; want hij voorspelt mij nooit iets goeds, altijd maar kwaad. Het is Mikájehoe, de zoon van Jimla. Maar Josafat zei: De koning moet zo iets niet zeggen.
৮উত্তরে ইস্রায়েলের রাজা যিহূদার রাজা যিহোশাফটকে বললেন, “এখনও এমন একজন লোক আছে যার মধ্য দিয়ে আমরা সদাপ্রভুর কাছে জিজ্ঞাসা করতে পারি, সে হল যিম্লের ছেলে মীখায়, কিন্তু আমি তাকে ঘৃণা করি, কারণ সে আমার সম্বন্ধে মঙ্গলের কথা বলে না, শুধু অমঙ্গলের কথাই বলে।” উত্তরে যিহোশাফট বললেন, “রাজা যেন ঐ রকম কথা না বলেন।”
9 Toen riep de koning van Israël een kamerdienaar en zei: Haal vlug Mikájehoe, den zoon van Jimla.
৯তখন ইস্রায়েলের রাজা তাঁর একজন কর্মচারীকে আদেশ করলেন, “তুমি এখনই যিম্লের ছেলে মীখায়কে ডেকে নিয়ে এস।”
10 Intussen waren de koning van Israël en Josafat, de koning van Juda, in ambtsgewaad op hun tronen gaan zitten, op de open plaats bij de poort van Samaria, en bleven al de profeten voor hen profeteren.
১০ইস্রায়েলের রাজা ও যিহূদার রাজা যিহোশাফট রাজপোশাক পরে শমরিয়া শহরের ফটকের কাছে খোলা জায়গায় তাঁদের সিংহাসনের উপরে বসে ছিলেন আর ভাববাদীরা সবাই তাঁদের সামনে ভবিষ্যতের কথা বলছিল।
11 Een zekere Sidki-ja, de zoon van Kenaäna, had zich ijzeren horens gemaakt, en zeide: Zo spreekt Jahweh! Hiermee zult gij de Arameën neerstoten tot verdelgens toe.
১১লোহার শিং তৈরী করে নিয়ে কনানার ছেলে সিদিকিয় এই কথা ঘোষণা করল, “সদাপ্রভু বলছেন যে, অরামীয়েরা শেষ হয়ে না যাওয়া পর্যন্ত আপনি এগুলো দিয়েই তাদের গুঁতাতে থাকবেন।”
12 Al de andere profeten profeteerden hetzelfde en riepen: Trek op naar Rama in Gilad! Gij zult zeker slagen; want Jahweh heeft het aan den koning overgeleverd.
১২অন্যান্য ভাববাদীরাও একই রকম কথা বলল। তারা বলল, “রামোৎ গিলিয়দ আক্রমণ করে তা জয় করে নিন, কারণ সদাপ্রভু সেটা রাজার হাতে তুলে দেবেন।”
13 De bode, die Mikájehoe was gaan roepen, zeide tot hem: Zie eens; eenstemmig hebben de profeten den koning een gunstig antwoord gegeven; laat ook uw antwoord zijn als het hunne, en voorspel iets goeds.
১৩যে লোকটি মীখায়কে ডেকে আনতে গিয়েছিল সে তাঁকে বলল, “দেখুন, অন্যান্য ভাববাদীরা সবাই একমুখে রাজার সফলতার কথা বলছেন। আপনার কথাও যেন তাঁদের কথার মতই হয়। আপনি মঙ্গলের কথাই বলবেন।”
14 Maar Mikájehoe zeide: Zo waar Jahweh leeft; wat Jahweh mij zegt, zal ik spreken!
১৪কিন্তু মীখায় বললেন, “জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি যে, সদাপ্রভু আমাকে যা বলবেন আমি কেবল সেই কথাই বলব।”
15 Toen hij nu bij den koning gekomen was, zeide deze tot hem: Mikájehoe, zullen wij naar Rama in Gilad ten strijde trekken of niet? Hij antwoordde hem: Trek op; ge zult zeker slagen; want Jahweh heeft het aan u overgeleverd.
১৫পরে তিনি আসলে রাজা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “মীখায়, আমরা কি রামোৎ গিলিয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যাব, না যাব না?” উত্তরে মীখায় বললেন, “হ্যাঁ, যান, আক্রমণ করে জয়লাভ করুন, সদাপ্রভু তা মহারাজের হাতে দেবেন।”
16 De koning snauwde hem toe: Hoe dikwijls moet ik u bezweren, mij in de naam van Jahweh niets dan de waarheid te zeggen?
১৬রাজা তাঁকে বললেন, “সদাপ্রভুর নামে তুমি সত্যি কথা ছাড়া আর কিছু বলবে না কতবার আমি তোমাকে এই শপথ করতে বলব?”
17 Maar nu sprak hij: Ik zag heel Israël over de bergen verstrooid als schapen zonder herder! En Jahweh sprak: Ze hebben geen heer; laat ze rustig naar huis terugkeren!
১৭উত্তরে মীখায় বললেন, “আমি দেখলাম, ইস্রায়েলীয়েরা সবাই রাখালহীন ভেড়ার মত পাহাড়ের উপরে ছড়িয়ে পড়েছে। তাই সদাপ্রভু বললেন, ‘এদের কোনো প্রভু নেই, কাজেই তারা শান্তিতে যে যার বাড়িতে চলে যাক’।”
18 Toen zei de koning van Israël tot Josafat: Heb ik het u niet gezegd? Hij voorspelt mij nooit iets goeds, altijd maar kwaad.
১৮তখন ইস্রায়েলের রাজা যিহোশাফটকে বললেন, “আমি কি আপনাকে আগেই বলি নি যে, সে আমার সম্বন্ধে অমঙ্গল ছাড়া মঙ্গলের কথা বলবে না?”
19 Maar Mikájehoe sprak: Dat is niet waar! Luister niettemin naar het woord van Jahweh! Ik zag Jahweh op zijn troon, met het hemelse heir rechts en links om Hem heen.
১৯মীখায় বলতে লাগলেন, “আপনি সদাপ্রভুর কথা শুনুন। আমি দেখলাম, সদাপ্রভু তাঁর সিংহাসনে বসে আছেন এবং তাঁর ডান ও বাঁ দিকে সমস্ত স্বর্গদূতেরা রয়েছেন।
20 Jahweh vroeg: Wie wil Achab overhalen, naar Rama in Gilad op te trekken, om daar te sneuvelen? En de een zei zus, de ander zo.
২০তখন সদাপ্রভু বললেন, ‘রামোৎ গিলিয়দ আক্রমণ করবার জন্য কে আহাবকে ভুলিয়ে সেখানে নিয়ে যাবে যাতে সে মারা যায়?’ তখন এক একজন এক এক কথা বললেন।
21 Toen trad er een geest naar voren, ging voor Jahweh staan en zeide: Ik wil hem overhalen. Jahweh vroeg hem: Hoe?
২১তখন একটি আত্মা এগিয়ে আসলো, সদাপ্রভুর সামনে দাঁড়ালো এবং বলল, ‘আমি তাকে ভুলিয়ে নিয়ে যাব।’
22 Hij antwoordde: Ik ga een leugengeest worden in de mond van al zijn profeten. Toen sprak Jahweh: Ge moogt hem bewerken, en ge zult slagen ook; ga heen en doe het.
২২সদাপ্রভু জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কেমন করে করবে?’ সে বলল, ‘আমি গিয়ে তার সব ভাববাদীদের মুখে মিথ্যা বলবার আত্মা হব।’ সদাপ্রভু বললেন, ‘তুমিই তাকে ভুলিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। এখন যাও এবং তুমি গিয়ে তাই কর।’
23 Welnu, thans heeft Jahweh een leugengeest in de mond van al uw profeten gelegd, omdat Jahweh uw verderf heeft besloten.
২৩এইজন্যই সদাপ্রভু এখন আপনার এই সব ভাববাদীদের মুখে মিথ্যা বলবার আত্মা দিয়েছেন। তোমার সর্বনাশ হবার জন্য সদাপ্রভু আদেশ দিয়েছেন।”
24 Maar nu trad Sidki-jáhoe, de zoon van Kenaäna, vooruit, gaf Mikájehoe een slag in het gezicht, en zeide: Wat; zou de geest van Jahweh mij hebben verlaten, om te spreken tot u?
২৪তখন কনানার ছেলে সিদিকিয় গিয়ে মীখায়ের গালে চড় মেরে বলল, “সদাপ্রভুর আত্মা তোর সঙ্গে কথা বলবার জন্য আমার কাছ থেকে বেরিয়ে কোন পথে গিয়েছিলেন?”
25 Mikájehoe antwoordde: Dat zult ge gewaar worden, wanneer ge van huis tot huis zult vluchten, om u te verbergen.
২৫মীখায় বললেন, “দেখ, যেদিন তুমি নিজেকে লুকাবার জন্য ভিতরের ঘরে গিয়ে ঢুকবে সেই দিন তুমি তা জানতে পারবে।”
26 Nu sprak de koning van Israël: Neem Mikájehoe gevangen, en breng hem bij de stadsvoogd Amon en bij prins Joasj.
২৬ইস্রায়েলের রাজা তখন এই বললেন, “মীখায়কে শহরের শাসনকর্ত্তা আমোন ও রাজপুত্র যোয়াশের কাছে আবার পাঠিয়ে দাও।
27 Zeg hun: De koning beveelt, hem gevangen te houden en hem slecht eten en drinken te geven, tot hij ongedeerd terugkomt.
২৭তাদের বল রাজা বলেছেন এই লোকটিকে যেন জেলে রাখা হয় এবং রাজা নিরাপদে ফিরে না আসা পর্যন্ত তাকে অল্প জল আর অল্প রুটি ছাড়া যেন আর কিছু দেওয়া না হয়।”
28 Maar Mikájehoe sprak: Als gij ongedeerd terugkomt, heeft Jahweh niet door mij gesproken.
২৮তখন মীখায় বললেন, “যদি আপনি সত্যিই নিরাপদে ফিরে আসেন তবে জানবেন সদাপ্রভু আমার মধ্য দিয়ে কথা বলেন নি।” তারপর তিনি আবার বললেন, “আপনারা সবাই আমার কথাটা শুনে রাখুন।”
29 Zo trok dus de koning van Israël, met koning Josafat van Juda, naar Rama in Gilad.
২৯এর পরে ইস্রায়েলের রাজা ও যিহূদার রাজা যিহোশাফট রামোৎ গিলিয়দ আক্রমণ করতে গেলেন।
30 Maar de koning van Israël zei tot Josafat: Ik wil verkleed de strijd ingaan, doch gij kunt uw eigen kleren wel aanhouden. Hierop verkleedde de koning van Israël zich, voor hij ten strijde trok.
৩০আহাব যিহোশাফটকে বললেন, “আমাকে যাতে লোকেরা চিনতে না পারে সেইজন্য আমি অন্য পোশাক পরে যুদ্ধে যোগ দেব, কিন্তু আপনি আপনার রাজপোশাকই পরুন।” এই বলে ইস্রায়েলের রাজা অন্য পোশাক পরে যুদ্ধ করতে গেলেন।
31 Nu had de koning van Aram zijn twee en dertig bevelhebbers van de strijdwagens de opdracht gegeven: Valt niemand aan, wie het ook zij, maar alleen den koning van Israël.
৩১অরামের রাজা তাঁর রথগুলোর বত্রিশজন সেনাপতিকে এই আদেশ দিয়ে রেখেছিলেন, “একমাত্র ইস্রায়েলের রাজা ছাড়া আপনারা ছোট কি বড় আর কারও সঙ্গে যুদ্ধ করবেন না।”
32 Toen zij nu Josafat zagen, dachten ze: Dat is zeker de koning van Israël. En ze vielen op hem aan. Maar Josafat hief een krijgsgeschreeuw aan,
৩২রথের সেনাপতিরা যিহোশাফটকে দেখে ভেবেছিলেন যে, “তিনি নিশ্চয়ই ইস্রায়েলের রাজা।” কাজেই তাঁরা ফিরে তাঁকে আক্রমণ করতে গেলেন কিন্তু যিহোশাফট চেঁচিয়ে উঠলেন।
33 waardoor ze bemerkten, dat hij de koning van Israël niet was. Daarom lieten zij hem met rust.
৩৩এতে সেনাপতিরা বুঝলেন যে, তিনি ইস্রায়েলের রাজা নন সেইজন্য তাঁরা আর তাঁর পিছনে তাড়া করলেন না।
34 Intussen richtte iemand op goed geluk af zijn boog, en trof den koning van Israël tussen de voegen van het pantser. Deze beval toen zijn wagenmenner: Wend de teugels, en breng mij van het slagveld; want ik ben gewond.
৩৪কিন্তু একজন লোক লক্ষ্য স্থির না করেই তার ধনুকে টান দিয়ে ইস্রায়েলের রাজার বুক ও পেটের বর্মের মাঝামাঝি ফাঁকা জায়গায় আঘাত করে বসল। তখন রাজা তাঁর রথ চালককে বললেন, “রথ ঘুরিয়ে তুমি যুদ্ধের জায়গা থেকে আমাকে বাইরে নিয়ে চল। কারণ আমি আঘাত পেয়েছি।”
35 Maar omdat de strijd toen juist op zijn hevigst was, moest de koning tegenover de Arameën rechtop in zijn wagen blijven staan, ofschoon het bloed uit zijn wonde in de bak van de wagen neersijpelde. Tegen de avond echter stierf hij.
৩৫সারা দিন ধরে ভীষণ যুদ্ধ চলল আর রাজাকে অরামীয়দের মুখোমুখি করে রথের মধ্যে বসিয়ে রাখা হল। তাঁর ক্ষত থেকে রক্ত ঝরে রথের মেঝের উপর পড়তে লাগল আর সন্ধ্যাবেলার দিকে তিনি মারা গেলেন।
36 En nog voor zonsondergang ging de kreet door het leger: Iedereen terug naar zijn stad, iedereen terug naar zijn land;
৩৬সূর্য্য ডুবে যাবার দিন সৈন্যদলের মধ্যে এই কথা ঘোষণা করা হল, “তোমরা প্রত্যেকেই নিজের নিজের শহরে ও নিজের নিজের বাড়িতে ফিরে যাও।”
37 de koning is dood! In Samaria aangekomen, begroef men den koning;
৩৭এই ভাবে ইস্রায়েলের রাজা মারা গেলেন এবং তাঁকে শমরিয়াতে আনা হল। লোকেরা তাঁকে সেখানেই কবর দিল।
38 en toen men de wagen uitspoelde bij de vijver van Samaria, waar lichtekooien aan het baden waren, likten de honden zijn bloed op. Zo werd het woord vervuld, dat Jahweh gesproken had.
৩৮শমরিয়ার পুকুরের ধারে তাঁর রথটা ধোওয়া হল এবং সদাপ্রভুর ঘোষণা অনুসারে কুকুরেরা সেখানে তাঁর রক্ত চেটে খেল (বেশ্যারা সেই পুকুরে স্নান করল)।
39 De verdere geschiedenis van Achab, met al wat hij deed, ook de bouw van het ivoren paleis en de versterking der steden, is beschreven in het boek der kronieken van de koningen van Israël.
৩৯আহাবের অন্যান্য সমস্ত কাজের কথা, অর্থাৎ তিনি যা কিছু করেছিলেন সেই সব কথা, হাতীর দাঁতের কাজ করা যে রাজবাড়ী তিনি তৈরী করেছিলেন তার কথা এবং যে শহরগুলো তিনি শক্তিশালী করে গড়ে তুলেছিলেন সেগুলোর কথা ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস বইটিতে কি লেখা নেই?
40 Achab ging bij zijn vaderen te ruste, en zijn zoon Achazja volgde hem op.
৪০আহাব তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে নিদ্রায় গেলেন; আর তাঁর জায়গায় তাঁর ছেলে অহসিয় রাজা হলেন।
41 In het vierde jaar der regering van Achab over Israël werd Josafat, de zoon van Asa, koning van Juda.
৪১ইস্রায়েলের রাজা আহাবের রাজত্বের চার বছরের দিন আসার ছেলে যিহোশাফট যিহূদা দেশের রাজা হয়েছিলেন।
42 Josafat was vijf en dertig jaar oud, toen hij koning werd, en hij regeerde vijf en twintig jaar te Jerusalem. Zijn moeder heette Azoeba, en was de dochter van Sjilchi.
৪২যিহোশাফট পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে রাজত্ব শুরু করেন এবং পঁচিশ বছর যিরূশালেমে রাজত্ব করেন। তাঁর মায়ের নাম অসুরা, তিনি শিল্হিরের মেয়ে।
43 In alles volgde hij het voorbeeld van zijn vader Asa, zonder daarvan af te wijken; zo deed hij wat recht was in de ogen van Jahweh. Alleen werden de offerhoogten niet afgeschaft, zodat het volk er bleef offeren en wierook branden.
৪৩যিহোশাফট সব ব্যাপারেই তাঁর বাবা আসার পথ ধরেই চলতেন, কখনও সেই পথ ছেড়ে যান নি। সদাপ্রভুর চোখে যা ঠিক তিনি তাই করতেন। উঁচু স্থানগুলো ধ্বংস করা হয়নি, লোকেরা সেখানে পশু উৎসর্গ করত ও ধূপ জ্বালাত।
44 Josafat leefde in vrede met den koning van Israël.
৪৪ইস্রায়েলের রাজার সঙ্গে তিনি সন্ধি স্থাপন করেছিলেন।
45 De verdere geschiedenis van Josafat, met de heldendaden, die hij verrichtte, en de oorlogen, die hij voerde, is beschreven in het boek der kronieken van de koningen van Juda.
৪৫যিহোশাফটের অন্যান্য বিবরণ এবং তিনি যে যে কাজ ও যে সব যুদ্ধ করেছিলেন, সে সব যিহূদার রাজাদের ইতিহাস বইটিতে কি লেখা নেই?
46 De verminkten, die tijdens de regering van zijn vader Asa nog waren overgebleven, verwijderde hij uit het land.
৪৬তাঁর বাবা আসার রাজত্বের পরেও যে সব পুরুষ বেশ্যারা বাকি রয়ে গিয়েছিল তিনি দেশ থেকে তাদের দূর করে দিয়েছিলেন।
47 Er was toen geen koning in Edom, maar een stadhouder
৪৭সেই দিন ইদোমে কোনো রাজা ছিল না। একজন প্রতিনিধি সেখানে রাজত্ব করতেন।
48 van koning Josafat. Deze bouwde een Tarsjisjvloot, om daarmee naar Ofir te varen om goud. Maar hij voer niet uit, daar de vloot schipbreuk leed bij Esjon-Géber.
৪৮যিহোশাফট সোনা ওফীরে নিয়ে যাবার জন্য কতগুলো বড় বড় তর্শীশ জাহাজ তৈরী করলেন, কিন্তু সেগুলোর আর যাওয়া হল না, কারণ ইৎসিয়োন গেবরে সেগুলো ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।
49 Toen zei Achazja, de zoon van Achab, tot Josafat: Laat mijn volk met het uwe de schepen bemannen; maar Josafat weigerde.
৪৯তখন আহাবের ছেলে অহসিয় যিহোশাফটকে বললেন, “আমার লোকেরা আপনার লোকদের সঙ্গে জাহাজে যাক।” কিন্তু যিহোশাফট রাজি হলেন না।
50 Josafat ging bij zijn vaderen te ruste, en werd in de stad van zijn vader David bij zijn vaderen begraven. Zijn zoon Joram volgde hem op.
৫০পরে যিহোশাফট তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে নিদ্রায় গেলেন এবং তাঁকে তাঁর পূর্বপুরুষ দায়ূদের শহরে তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে কবর দেওয়া হল; তাঁর জায়গায় তাঁর ছেলে যিহোরাম রাজা হলেন।
51 In het zeventiende jaar der regering van Josafat over Juda werd Achazja, de zoon van Achab, te Samaria koning van Israël. Twee jaar regeerde hij over Israël.
৫১যিহূদার রাজা যিহোশাফটের রাজত্বের সতেরো বছরের দিন আহাবের ছেলে অহসিয় শমরিয়াতে ইস্রায়েলের রাজা হলেন। তিনি ইস্রায়েলের উপরে দুই বছর রাজত্ব করেছিলেন।
52 Hij deed wat kwaad was in de ogen van Jahweh, en volgde het wangedrag na van zijn vader en moeder en dat van Jeroboam, den zoon van Nebat, die Israël tot zonde had verleid.
৫২সদাপ্রভুর চোখে যা মন্দ তিনি তাই করতেন। তিনি তাঁর বাবা ও মায়ের মত এবং নবাটের ছেলে যারবিয়ামের মত চলতেন। এই যারবিয়াম যেমন ইস্রায়েলের লোকদের দিয়ে পাপ করিয়েছিলেন অহসিয়ও তাই করেছিলেন।
53 Hij diende Báal en boog zich voor hem neer; zo tergde hij Jahweh, Israëls God, juist zoals zijn vaderen het hadden gedaan.
৫৩তিনি বাল দেবতার সেবা ও পূজা করতেন এবং তাঁর বাবা যেমন করেছিলেন তিনিও তেমনি করে ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে অসন্তুষ্ট করে তুলেছিলেন।
