< সখরিয় ভাববাদীর বই 1 >

1 দারিয়াবসের রাজত্বের দ্বিতীয় বছরের অষ্টম মাসে, সদাপ্রভুর বাক্য বেরিখিয়ের ছেলে ভাববাদী সখরিয়ের কাছে এল, বেরিখিয় ছিল ইদ্দোর ছেলে।
দারিয়াবসের দ্বিতীয় বছরের অষ্টম মাসে সদাপ্রভুর এই বাক্য ইদ্দোরের নাতি, বেরিখিয়ের ছেলে সখরিয় ভাববাদীর কাছে উপস্থিত হল।
2 “সদাপ্রভু তোমার পূর্বপুরুষদের উপর ভীষণ রেগে ছিলেন।
সদাপ্রভু তোমাদের পূর্বপুরুষদের উপর খুবই রেগে ছিলেন।
3 অতএব লোকদের বলো, সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু এই কথা বলেন ‘আমার দিকে ফেরো,’ সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু ঘোষণা করেন, ‘আর আমিও তোমাদের দিকে ফিরব,’ সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু বলেন।
সেইজন্য তুমি এই লোকদের বল, বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তোমরা আমার দিকে ফেরো!” বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, তাতে আমিও তোমাদের দিকে ফিরব।
4 তোমাদের পূর্বপুরুষদের মতো হোয়ো না, যাদের কাছে আগেকার ভাববাদীরা ঘোষণা করেছিল সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু এই কথা বলেন ‘তোমাদের মন্দ পথ এবং তোমাদের মন্দ অভ্যাস থেকে ফেরো।’ কিন্তু তারা আমার কথা শোনেনি বা মনোযোগ দেয়নি, এই কথা সদাপ্রভু ঘোষণা করেন।
তোমরা তোমাদের পূর্বপুরুষদের মত হোয়ো না, তাদের কাছে পূর্বের ভাববাদীরা ঘোষণা করে বলত, “বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, তোমরা তোমাদের মন্দ পথ ও মন্দ কাজ থেকে ফেরো।” কিন্তু তারা তা শুনত না, আমার কথায় কান দিত না, এ সদাপ্রভু বলেন।
5 তোমাদের পূর্বপুরুষেরা এখন কোথায়? তারা এবং ভাববাদীরা কি চিরকাল বেঁচে থাকে?
“তোমাদের পূর্বপুরুষেরা কোথায়? এবং ভাববাদীরা কি চিরকাল বেঁচে থাকে?
6 কিন্তু আমি আমার দাস ভাববাদীদের যেসব আদেশ দিয়েছিলাম, আমার সেই বাক্য এবং আদেশ অনুসারে কি তোমাদের পূর্বপুরুষেরা করেনি? “তখন তারা মন ফিরিয়ে বলেছিল, ‘সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু আমাদের পথ এবং অভ্যাসের জন্য যা প্রাপ্য তাই তিনি আমাদের প্রতি করেছেন, যেমন তিনি করতে মনস্থির করেছিলেন।’”
কিন্তু আমি আমার দাস ভাববাদীদের যা কিছু আদেশ দিয়েছিলাম, আমার সেই সমস্ত কথা ও নিয়ম কি তোমাদের পূর্বপুরুষদের নাগাল পায় নি? তখন তারা ফিরে এসে বলল, ‘বাহিনীদের সদাপ্রভু আমাদের আচার-ব্যবহার অনুসারে আমাদের প্রতি যেমন ব্যবহার করবেন বলে ঠিক করেছিলেন, আমাদের প্রতি ঠিক তেমনি ব্যবহার করেছেন’।”
7 দারিয়াবসের রাজত্বের দ্বিতীয় বছরের এগারো মাসের, অর্থাৎ শবাট মাসের, চব্বিশ দিনের দিন সদাপ্রভুর বাক্য বেরিখিয়ের ছেলে ভাববাদী সখরিয়ের কাছে এল, বেরিখিয় ছিল ইদ্দোর ছেলে।
দারিয়াবসের দ্বিতীয় বছরের এগারো মাস অর্থাৎ শবাট মাসের, চব্বিশ দিনের র দিন সদাপ্রভুর বাক্য ইদ্দোরের নাতি, বেরিখিয়ের ছেলে সখরিয় ভাববাদীর কাছে প্রকাশিত হল।
8 রাতের বেলায় আমি একটি দর্শন দেখলাম, এবং আমি দেখলাম একজন লোক একটি লাল ঘোড়ায় চড়ে আছে। সে একটি খাদের ভিতরে মেদি গাছগুলির মধ্যে দাঁড়িয়েছিল। তার পিছনে লাল, বাদামি এবং সাদা ঘোড়া ছিল।
রাতের বেলায় আমি একটা দর্শন পেলাম, আর দেখ, লাল ঘোড়ায় আরোহী একজন ব্যক্তি, তিনি উপত্যকায় গুলমেঁদি গাছগুলোর মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছেন এবং তাঁর পিছনে ছিল লাল, বাদামী ও সাদা রঙের ঘোড়া।
9 আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “হে আমার প্রভু, এগুলি কী?” যে স্বর্গদূত আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি আমাকে বললেন, “সেগুলি কী তা আমি তোমাকে দেখাব।”
তখন আমি বললাম, “হে আমার প্রভু, এরা কারা?” তাতে একজন স্বর্গদূত যিনি আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন উত্তরে তিনি বললেন, “এরা কে তা আমি তোমাকে দেখাব।”
10 তখন যে লোকটি মেদি গাছগুলির মধ্যে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি ব্যাখ্যা করলেন, “সারা পৃথিবীতে ঘুরে দেখবার জন্য সদাপ্রভু এগুলিকে পাঠিয়েছেন।”
১০আর যিনি গুলমেঁদি গাছগুলোর মাঝখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি আমাকে বললেন, “সারা পৃথিবীতে ঘুরে দেখার জন্য সদাপ্রভু এদেরকে পাঠিয়েছেন।”
11 আর সদাপ্রভুর যে দূত মেদি গাছগুলির মধ্যে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁকে ঘোড়াসওয়ারেরা বলল, “আমরা সারা পৃথিবীতে ঘুরে দেখলাম যে, সমগ্র জগতে সুস্থিরতা ও শান্তি বিরাজমান।”
১১তখন তাঁরা গুলমেঁদি গাছগুলোর মাঝখানে সদাপ্রভুর যে দূত দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁকে বললেন, “আমরা সারা পৃথিবীতে ঘুরে দেখলাম যে, সমস্ত পৃথিবী বিশ্রামে ও শান্তিতে রয়েছে।”
12 তখন সদাপ্রভুর দূত বললেন, “সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু, তুমি জেরুশালেম ও যিহূদার নগরগুলির উপর এই যে সত্তর বছর অসন্তুষ্ট হয়ে রয়েছ তাদের উপর আর কত কাল তুমি মমতা না করে থাকবে?”
১২তখন সদাপ্রভুর দূত বললেন, “হে বাহিনীদের সদাপ্রভু, তুমি এই যে সত্তর বছর রেগে আছ, সেই যিরূশালেম ও যিহূদার অন্যান্য শহরগুলোর উপর দয়া দেখাতে আর কত দিন তুমি দেরি করবে?”
13 তখন যে স্বর্গদূত আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন সদাপ্রভু তাঁকে অনেক মঙ্গলের ও সান্ত্বনার কথা বললেন।
১৩তখন যে স্বর্গদূত আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন সদাপ্রভু তাঁকে অনেক মঙ্গলের ও সান্ত্বনার কথা বললেন।
14 তখন যে স্বর্গদূত আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি আমাকে বললেন, “তুমি এই কথা ঘোষণা করো: সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু এই কথা বলেন ‘জেরুশালেম ও সিয়োনের জন্য আমি অন্তরে খুব উদ্যোগী হয়েছি,
১৪আর যে স্বর্গদূত আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন, তিনি আমাকে বললেন, “এই কথা ঘোষণা কর যে, বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, যিরূশালেমের জন্য ও সিয়োনের জন্য আমি অন্তরে খুব জ্বালা বোধ করছি।”
15 কিন্তু নিশ্চিন্তে থাকা জাতিগুলির উপরে আমি ভীষণ অসন্তুষ্ট হয়েছি। আমি কেবল অল্প অসন্তুষ্ট হয়েছিলাম, কিন্তু জাতিরা তাদের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল।’
১৫নিশ্চিন্তে থাকা সেই সব জাতির উপরে আমি ভীষণ রেগে গিয়েছি, কারণ আমি যখন অল্প রেগে গিয়েছিলাম তখন তারা আরো বেশি কষ্ট দিয়েছিল।
16 “অতএব, সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘আমি জেরুশালেমকে মমতা করার জন্য ফিরে আসব, এবং সেখানে আবার আমার গৃহ পুনর্নির্মিত হবে। আর জেরুশালেম নির্মাণের জন্য মাপ নেওয়া হবে,’ সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু এই কথা ঘোষণা করেন।
১৬এই জন্য সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “আমি যিরূশালেমকে দয়া করার জন্য ফিরে আসব। সেখানে আমার গৃহ আবার তৈরী হবে,” এই কথা বাহিনীদের সদাপ্রভু বলেন এবং যিরূশালেম শহরকে মাপা হবে।
17 “আরও ঘোষণা করো: সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘আমার নগরগুলি আবার মঙ্গলে উপচে পড়বে, এবং সদাপ্রভু আবার সিয়োনকে সান্ত্বনা দেবেন এবং জেরুশালেমকে মনোনীত করবেন।’”
১৭আবার, ঘোষণা করে, বল, বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, আমার শহরগুলোতে আবার মঙ্গল উপচিয়ে পড়বে এবং সদাপ্রভু আবার সিয়োনকে সান্ত্বনা করবেন ও যিরূশালেমকে আবার বেছে নেবেন।
18 তারপর আমি চোখ তুলে দেখলাম, আর সেখানে আমার সামনে চারটি শিং ছিল!
১৮তারপর আমি চোখ তুলে তাকালাম আর চারটি শিং দেখতে পেলাম।
19 যে স্বর্গদূত আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন তাঁকে আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “এগুলি কি?” তিনি উত্তর দিলেন, “এগুলি সেই শিং যা যিহূদা, ইস্রায়েল এবং জেরুশালেমকে ছিন্নভিন্ন করেছে।”
১৯তখন যে স্বর্গদূত আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, “এগুলো কি?” তিনি আমাকে বললেন, “এগুলো সেই শিং যা যিহূদা, ইস্রায়েল ও যিরূশালেমকে ছিন্নভিন্ন করেছে।”
20 সদাপ্রভু তারপর আমাকে চারজন কারিগরকে দেখালেন।
২০তারপরে সদাপ্রভু আমাকে চারজন মিস্ত্রীকে দেখালেন।
21 আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “এরা কী করতে আসছে?” তিনি উত্তর দিলেন, “সেই শিংগুলি হল সেইসব জাতির শক্তি যারা যিহূদার লোকদের এমনভাবে ছিন্নভিন্ন করেছে যে, তারা কেউ মাথা তুলতে পারেনি, কিন্তু সেইসব জাতিকে ভয় দেখাবার জন্য ও তাদের শক্তি ধ্বংস করবার জন্য এই কারিগরেরা এসেছে।”
২১আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “এরা কি করতে এসেছে?” তিনি বললেন, “এই শিংগুলো যিহূদাকে এমনভাবে ছিন্নভিন্ন করেছে যে, কেউই মাথা তুলতে পারে নি, কিন্তু যে সব জাতিরা যিহূদা দেশকে ছিন্নভিন্ন করার জন্য শিং উঠিয়েছে, তাদেরকে ভয় দেখানোর জন্য ও তাদের শিংগুলি নিচে ফেলে দেওয়ার জন্য এই মিস্ত্রীরা এসেছে।”

< সখরিয় ভাববাদীর বই 1 >