< শলোমনের পরমগীত 2 >
1 আমি শারোণের গোলাপ, উপত্যকায় ফুটে থাকা লিলি।
2 তরুণীদের মধ্যে আমার প্রেমিকা ঠিক যেন কাঁটাগাছের মধ্যে ফুটে থাকা লিলি ফুল।
3 তরুণদের মধ্যে আমার প্রেমিক ঠিক যেন অরণ্যের বৃক্ষরাজির মধ্যে একটি আপেল গাছ। তাঁর ছায়ায় বসলে আমার আনন্দ হয়, তাঁর ফলের স্বাদ আমার মুখে মিষ্টি লাগে।
4 তিনি আমাকে ভোজসভায় নিয়ে গেলেন, তখন যেন তাঁর পতাকাই হয়ে উঠল প্রেম।
5 তোমরা আমাকে কিশমিশ দিয়ে সবল করো, আপেল দিয়ে চনমনে করে তোল, কেননা প্রেম আমাকে মূর্চ্ছিত করেছে।
6 তাঁর বাম বাহু আমার মস্তকের নিচে, আর তাঁর ডান বাহু আমাকে আলিঙ্গন করে।
7 জেরুশালেমের কন্যারা, মাঠের গজলা হরিণীদের এবং হরিণশাবকদের দিব্যি দিয়ে আমি তোমাদের বলছি, যতক্ষণ না বাসনা জেগে উঠছে, ততক্ষণ প্রেমকে জাগিও না বা তাকে উত্তেজিত কোরো না।
8 ওই শোনো! এ যে আমার প্রেমিক! ওই দেখো, পর্বতমালা পেরিয়ে, লম্ফঝম্প সহকারে পাহাড় টপকে তিনি আসছেন।
9 আমার প্রেমিক গজলা হরিণের বা হরিণশাবকের মতো। ওই দেখো! উনি দাঁড়িয়ে আছেন আমাদের প্রাচীরের পশ্চাতে, গবাক্ষ দিয়ে অপলকে দেখছেন, জাফরির মধ্যে দিয়ে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন।
10 আমার প্রেমিক মুখ খুললেন এবং আমাকে বললেন, “প্রিয়তমা আমার, ওগো আমার সুন্দরীশ্রেষ্ঠা, উঠে পড়ো এবং আমার সঙ্গে চলো।
11 চেয়ে দেখো! শীতকাল চলে গেছে; বারিধারাও সমাপ্ত হয়েছে এবং বিদায় নিয়েছে।
12 মাঠে মাঠে ফুল ফুটেছে; গান গাওয়ার ঋতু এসেছে, আমাদের দেশে এখন ঘুঘুর ডাক শোনা যাচ্ছে।
13 ডুমুর গাছের ফল পুষ্ট হয়েছে; মুকুলিত দ্রাক্ষালতা বাতাসে তার সৌরভ ছড়াচ্ছে। উঠে এসো, চলো, প্রিয়া আমার। আমার সুন্দরীশ্রেষ্ঠা, চলে এসো আমার সঙ্গে।”
14 আমার কপোতের অবস্থান যেন শৈলের ফাটলে, যেন পাহাড়ি এলাকার গুপ্ত স্থানে, আমাকে দেখতে দাও তোমার মুখশ্রী, আমাকে শুনতে দাও তোমার কণ্ঠস্বর; কেননা তোমার মুখশ্রী লাবণ্যময়, তোমার কণ্ঠস্বর মধুর।
15 তোমরা আমাদের জন্য সেইসব শিয়ালদের ধরো, সেইসব ক্ষুদ্র শিয়ালদের, যারা দ্রাক্ষাক্ষেত্রকে, আমাদের মুকুলিত দ্রাক্ষাক্ষেত্রকে তছনছ করে দেয়।
16 আমার প্রেমিক শুধু আমার এবং আমিও শুধু তাঁর; লিলিফুলের মাঝে তাঁর পদচারণ।
17 দিন শেষ হওয়ার আগে এবং ছায়া মুছে যাওয়ার আগে, ওগো আমার প্রিয়তম, ফিরে এসো এবং রুক্ষ পর্বতের গজলা হরিণ বা হরিণশাবকের মতো হয়ে ওঠো।