রূতের বিবরণ 1
1 বিচারকরা যখন দেশ শাসন করছিলেন সেই সময় দেশে দুর্ভিক্ষ হয়। যিহূদিয়ার বেথলেহেম থেকে একটি লোক তার স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে কিছুদিনের জন্য মোয়াব দেশে থাকবে বলে সেখানে যায়।
| در زمانی که داوران بر قوم اسرائیل حکومت می‌کردند، سرزمین اسرائیل دچار خشکسالی شد. مردی از اهالی افراته به نام الیملک که در بیت‌لحم یهودا زندگی می‌کرد، در اثر این خشکسالی از وطن خود به سرزمین موآب کوچ کرد. زن او نعومی و دو پسرش مَحلون و کِلیون نیز همراه او بودند. |
2 সেই লোকটির নাম ছিল ইলীমেলক, তার স্ত্রীর নাম নয়মী এবং তাঁর দুই পুত্রের নাম মহলোন ও কিলিয়োন। তারা যিহূদিয়ার বেথলেহেমের অধিবাসী ইফ্রাথীয় ছিল। তারা মোয়াব দেশে গিয়া বসবাস করতে লাগল।
3 কিন্তু ঘটনাক্রমে নয়মীর স্বামী ইলীমেলক মারা গেল। তাই সে দুই ছেলে নিয়ে একা বসবাস করতে লাগল।
| در طی اقامتشان در موآب، الیملک درگذشت و نعومی با دو پسرش تنها ماند. |
4 নয়মীর দুই ছেলে মোয়াবের মেয়েদের বিয়ে করল। সেই দুই মোয়াবীয় মহিলার নাম ছিল অর্পা ও রূত। মোয়াব দেশে এরা দশ বছর থাকার পর,
| پسران نعومی با دو دختر موآبی به نامهای عرفه و روت ازدواج کردند. ده سال بعد محلون و کلیون نیز مردند. بدین ترتیب نعومی، هم شوهر و هم پسرانش را از دست داد و تنها ماند. |
5 নয়মীর দুই ছেলে মহলোন ও কিলিয়োনও মারা গেল। তাই নয়মী স্বামী ও দুই ছেলে হারিয়ে একা হয়ে গেল।
6 এরপর নয়মী তার দুই ছেলের স্ত্রীদের নিয়ে মোয়াব দেশ থেকে ফিরে আসার জন্য তৈরি হল। মোয়াব দেশে থাকার সময় সে শুনেছিল যে সদাপ্রভু দুর্ভিক্ষের সময় তাঁর লোকদের খাবার জুগিয়েছেন।
| او تصمیم گرفت با دو عروسش به زادگاه خود یعنی سرزمین یهودا بازگردد، زیرا شنیده بود که خداوند به قوم خود برکت داده و محصول زمین دوباره فراوان شده است. اما وقتی به راه افتادند، تصمیم نعومی عوض شد |
7 তাই নয়মী তার দুই পুত্রবধূকে নিয়ে যিহূদা দেশের রাস্তার দিকে গেল।
8 কিন্তু নয়মী তার দুই পুত্রবধূকে বলল, “তোমরা যে যার মায়ের বাড়িতে ফিরে যাও। সদাপ্রভু তোমাদের দয়া দেখান, যেমন তোমরা যারা মারা গেছে তাদের উপর ও আমার উপর দয়া দেখিয়েছ।
| و به عروسهایش گفت: «شما همراه من نیایید. به خانهٔ پدری خود بازگردید. خداوند به شما برکت بدهد همان‌گونه که شما به من و پسرانم خوبی کردید. |
9 সদাপ্রভু তোমাদের দুজনকে নিজের নিজের স্বামীর ঘর পেতে সাহায্য করুন!” তারপর সে তাদের চুমু খেল আর তারা জোরে জোরে কাঁদতে লাগল
| امیدوارم به لطف خداوند بتوانید بار دیگر شوهر کنید و خوشبخت شوید.» سپس نعومی آنها را بوسید و آنها گریستند |
10 এবং তারা নয়মীকে বলল, “না, আমরা তোমার সঙ্গে তোমার লোকদের কাছে ফিরে যাব।”
| و به نعومی گفتند: «ما می‌خواهیم همراه تو نزد قوم تو بیاییم.» |
11 কিন্তু নয়মী বলল, “বাছা তোমরা ফিরে যাও। কেন তোমরা আমার সঙ্গে যাবে? আমার সঙ্গে আর কি কোনও ছেলে আছে যে তোমাদের স্বামী হতে পারবে?
| ولی نعومی در جواب آنها گفت: «ای دخترانم بهتر است برگردید. چرا می‌خواهید همراه من بیایید؟ مگر من می‌توانم صاحب پسران دیگری شوم که برای شما شوهر باشند؟ |
12 বাছা, ফিরে যাও। কারণ আমি যে বৃদ্ধা, বিয়ে করে আরেকটি স্বামী পাওয়ার বয়স আর নেই। যদি আমার আশাও থাকে, যদি আজ রাতেই আমি বিয়ে করে স্বামী পাই এবং ছেলেদের জন্ম দিই,
| ای دخترانم، نزد قوم خود بازگردید، زیرا از من گذشته است که بار دیگر شوهر کنم. حتی اگر همین امشب شوهر کنم و صاحب پسرانی شوم، |
13 তারা যতদিন পর্যন্ত না বড়ো হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত তোমরা কি তাদের জন্য বিয়ে না করে অপেক্ষা করবে? না বাছা, এরকম করা তোমাদের থেকে আমার জন্য খুবই শক্ত কাজ। কারণ সদাপ্রভু আমার বিরোধী হয়েছেন!”
| آیا تا بزرگ شدن آنها صبر خواهید کرد و با کس دیگری ازدواج نخواهید نمود؟ نه، دخترانم! وضع من بسیار تلخ‌تر از وضع شماست، زیرا خداوند خودش دستش را بر من بلند کرده است.» |
14 নয়মীর কথা শুনে, আবার তারা জোরে জোরে চিৎকার করে কাঁদতে লাগল। তারপর অর্পা তার শাশুড়িকে চুমু দিয়ে তার পথে চলে গেল, কিন্তু রূত তাকে ধরে থাকল।
| آنها بار دیگر با صدای بلند گریستند. عرفه مادرشوهرش را بوسید و از او خداحافظی کرد و به خانه بازگشت. اما روت از او جدا نشد. |
15 নয়মী তাকে বলল, “দেখো, তোমার জা তার লোকজনের ও তার দেবতাদের কাছে ফিরে গেল। তাই তুমিও তার সঙ্গে ফিরে যাও।”
| نعومی به روت گفت: «ببین دخترم، زن برادر شوهرت نزد قوم و خدایان خود بازگشت. تو هم همین کار را بکن.» |
16 কিন্তু রূত বলল, “আপনার কাছ থেকে ফিরে যেতে বা আপনাকে ছেড়ে যেতে আর আমাকে অনুরোধ করবেন না। আপনি যেখানে যাবেন আমিও সেখানে যাব। আপনি যেখানে থাকবেন আমিও সেখানে থাকব। আপনার লোকেরা আমার লোক এবং আপনার ঈশ্বর হবেন আমার ঈশ্বর।
| اما روت به او گفت: «مرا مجبور نکن که تو را ترک کنم، چون هر جا بروی با تو خواهم آمد و هر جا بمانی با تو خواهم ماند. قوم تو، قوم من و خدای تو، خدای من خواهد بود. |
17 আপনি যেখানে মরবেন আমিও সেখানে মরব, এবং সেখানেই আমার কবর হবে। তাই সদাপ্রভুই এই বিষয়ে আমার বিচার করে শাস্তি দিন। আর যাই হোক শুধু মৃত্যুই যেন আমাকে আপনার থেকে আলাদা করে।”
| می‌خواهم جایی که تو می‌میری بمیرم و در کنار تو دفن شوم. خداوند بدترین بلا را بر سر من بیاورد، اگر بگذارم چیزی جز مرگ مرا از تو جدا کند.» |
18 যখন নয়মী দেখলো যে, রূত কোনোমতেই তাকে ছেড়ে যাবে না, তাই সে আর কিছু বলল না।
| نعومی چون دید تصمیم روت قطعی است و به هیچ وجه نمی‌شود او را منصرف کرد، دیگر اصرار ننمود. |
19 তাই তারা দুজন চলতে লাগল, যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা বেথলেহেমে পৌঁছাল। তারা যখন বেথলেহেমে পৌঁছাল, তখন তাদের কারণে সমগ্র নগর আলোড়িত হল, এবং মহিলারা বলল, “এ মহিলাটি কি নয়মী?”
| پس هر دو روانهٔ بیت‌لحم شدند. وقتی به آنجا رسیدند تمام اهالی به هیجان آمدند و زنها از همدیگر می‌پرسیدند: «آیا این خود نعومی است؟» |
20 নয়মী তাদের বলল, “আমাকে নয়মী বোলো না। আমাকে মারা বলে ডাকো। কারণ সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আমার জীবনে অনেক সমস্যা নিয়ে এসেছেন।
| نعومی به ایشان گفت: «مرا نعومی (یعنی”خوشحال“) نخوانید. مرا ماره (یعنی”تلخ“) صدا کنید؛ زیرا خدای قادر مطلق زندگی مرا تلخ کرده است. |
21 আমি পরিপূর্ণা হয়ে মোয়াবে গিয়েছিলাম, কিন্তু সদাপ্রভু আমাকে শূন্য করে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছেন। কেন আমাকে নয়মী বলছ? সদাপ্রভু আমার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। সর্বশক্তিমান আমাকে দুঃখভোগ করতে অনুমতি দিয়েছেন।”
| دست پُر رفتم و خداوند مرا دست خالی بازگردانید. برای چه مرا نعومی می‌خوانید، حال آنکه خداوند قادر مطلق روی خود را از من برگردانیده و این مصیبت بزرگ را بر من وارد آورده است؟» |
22 তাই নয়মী তার বউমা মোয়াবীয় রূতের সঙ্গে মোয়াব দেশ থেকে বেথলেহেমে ফিরে এল। যব কাটা শুরু হওয়ার সময় তারা বেথলেহেমে এসে পৌঁছাল।
| (وقتی نعومی و روت از موآب به بیت‌لحم رسیدند، هنگام درو جو بود.) |
