< রোমীয় 14 >
1 বিশ্বাসে যে দুর্বল, বিতর্কিত বিষয়গুলিতে তার সমালোচনা না করেই তাকে গ্রহণ করো।
2 একজন ব্যক্তির বিশ্বাস, তাকে সবকিছুই আহার করার অনুমতি দেয়, কিন্তু অপর ব্যক্তি, যার বিশ্বাস দুর্বল, সে কেবলমাত্র শাকসবজি খায়।
3 যে ব্যক্তি সবকিছুই খায়, সে তাকে অবজ্ঞা না করুক যে সবকিছু খায় না, আবার যে সবকিছু খায় না, সে অপর ব্যক্তিকে দোষী না করুক যে সবকিছু খায়, কারণ ঈশ্বর তাকে গ্রহণ করেছেন।
4 তুমি কে, যে অন্য কোনো ব্যক্তির দাসের বিচার করো? সে তার মনিবের কাছে হয় স্থির থাকবে, নয়তো পতিত হবে। আর সে অবশ্য স্থির থাকবে, কারণ প্রভু তাকে স্থির রাখতে সমর্থ।
5 কোনো ব্যক্তি কোনো একটি দিনকে অন্য দিনের চেয়ে বেশি পবিত্র মনে করে। অন্য একজন সবদিনকেই সমান বলে মনে করে। প্রত্যেক ব্যক্তি তার মনে দৃঢ়প্রত্যয়ী হোক।
6 কেউ যদি কোনো দিনকে বিশিষ্ট বলে মানে, প্রভুর উদ্দেশেই সে তা করে। যে মাংস খায়, সে প্রভুর উদ্দেশেই খায়, যেহেতু সে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেয়।
7 কারণ আমরা কেউই কেবলমাত্র নিজের জন্য জীবনধারণ করি না এবং কেউই শুধু নিজের জন্য মৃত্যুবরণ করি না।
8 আমরা যদি জীবিত থাকি, তাহলে প্রভুর উদ্দেশেই জীবিত থাকি; আবার যদি আমরা মৃত্যুবরণ করি, আমরা প্রভুর উদ্দেশেই মৃত্যুবরণ করি। তাই, আমরা জীবিত থাকি বা মৃত্যুবরণ করি, আমরা প্রভুরই থাকি।
9 এই বিশেষ কারণেই, খ্রীষ্ট মৃত্যুবরণ করলেন ও পুনর্জীবিত হলেন, যেন তিনি মৃত ও জীবিত, উভয়েরই প্রভু হন।
10 তাহলে তুমি কেন অপর বিশ্বাসীর বিচার করো? কিংবা, কেনই বা অপর বিশ্বাসীকে ঘৃণা করো? কারণ আমরা তো সকলেই ঈশ্বরের বিচারাসনের সামনে দাঁড়াব!
11 এরকম লেখা আছে: “প্রভু বলেন, ‘আমার অস্তিত্বের মতোই এ বিষয় নিশ্চিত, প্রত্যেকের জানু আমার সামনে পাতিত হবে, প্রত্যেক জিভ ঈশ্বরের গৌরব স্বীকার করবে।’”
12 সুতরাং, আমাদের প্রত্যেককেই ঈশ্বরের কাছে নিজের নিজের জবাবদিহি করতে হবে।
13 এই কারণে এসো, আমরা পরস্পরের বিচার যেন আর না করি। বরং অপর বিশ্বাসীর চলার পথে কোনো বাধা বা প্রতিবন্ধকতা স্থাপন না করার মানসিকতা গড়ে তোলো।
14 প্রভু যীশুর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরূপে আমি সম্পূর্ণ নিশ্চিত যে, কোনো খাবারই স্বাভাবিকভাবে অশুচি নয়। কিন্তু কেউ যদি কোনো বস্তুকে অশুচি বলে মনে করে, তাহলে তার কাছে সেটা অশুচি।
15 তুমি যা খাও, সেই কারণে তোমার ভাই যদি অস্বস্তি বোধ করে, তাহলে তুমি আর প্রেমপূর্ণ আচরণ করছ না। তোমার খাওয়াদাওয়ার জন্য তোমার ভাইয়ের বিনাশের কারণ হোয়ো না, যার জন্য খ্রীষ্ট মৃত্যুবরণ করেছেন।
16 তুমি যা ভালো মনে করো, সেই বিষয়ে তাকে মন্দ কথা বলার সুযোগ দিয়ো না।
17 কারণ ঈশ্বরের রাজ্য ভোজনপানের বিষয় নয়, কিন্তু ধার্মিকতার, শান্তির ও পবিত্র আত্মায় আনন্দের।
18 কারণ এভাবে যে খ্রীষ্টের সেবা করে, সে ঈশ্বরের প্রীতিপাত্র ও মানুষের কাছেও সমর্থনযোগ্য।
19 সেই কারণে, যা শান্তির পথে চালিত করে ও পরস্পরকে গেঁথে তোলে, তা করার জন্য এসো আমরা সর্বতোভাবে চেষ্টা করি।
20 খাদ্যের কারণে ঈশ্বরের কাজ ধ্বংস কোরো না। সমস্ত খাবারই শুচিশুদ্ধ, কিন্তু কেউ যদি এমন খাবার গ্রহণ করে যা অন্যের বিঘ্ন ঘটায়, তাহলে সেই খাবার গ্রহণ করা অন্যায়।
21 মাংস খাওয়া বা মদ্যপান বা অন্য কোনও কৃতকর্ম, যা অপর বিশ্বাসীর পতনের কারণ হয়, তা না করাই ভালো।
22 তাই, এ সমস্ত বিষয়ে তুমি যা বিশ্বাস করো, তা তোমার ও ঈশ্বরের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখো। ধন্য সেই ব্যক্তি, যে নিজে যা অনুমোদন করে, তার জন্য নিজের প্রতি দোষারোপ করে না।
23 কিন্তু যে ব্যক্তির সন্দেহ আছে, সে যদি আহার করে তাহলে সে দোষী সাব্যস্ত হয়, কারণ তার আহার করা বিশ্বাস থেকে হয় না; আর যা কিছু বিশ্বাস থেকে হয় না, তাই পাপ।