< রোমীয় 10 >
1 ভাইবোনেরা, ইস্রায়েলীদের জন্য আমার হৃদয়ের আকাঙ্ক্ষা ও ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা এই যে তারা যেন পরিত্রাণ পায়।
2 কারণ তাদের বিষয়ে আমি সাক্ষ্য দিতে পারি যে, তারা ঈশ্বরের জন্য প্রবল উদ্যমী, কিন্তু তাদের উদ্যম জ্ঞানের উপরে ভিত্তি করে গড়ে ওঠেনি।
3 তারা যেহেতু ঈশ্বর থেকে আগত ধার্মিকতার কথা জানত না এবং তারা নিজেদের ধার্মিকতা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল তাই তারা ঈশ্বরের ধার্মিকতার বশীভূত হয়নি।
4 খ্রীষ্টই হচ্ছেন বিধানের পূর্ণতা, যেন যারা বিশ্বাস করে তাদের সকলে ধার্মিক বলে গণ্য হয়।
5 বিধানের দ্বারা যে ধার্মিকতা সে সম্পর্কে মোশি এভাবে বর্ণনা করেছেন: “যে ব্যক্তি এইসব পালন করবে, সে এগুলির দ্বারা জীবিত থাকবে।”
6 কিন্তু বিশ্বাস দ্বারা যে ধার্মিকতা, তা বলে, “তুমি তোমার মনে মনে বোলো না, ‘কে স্বর্গে আরোহণ করবে?’” (অর্থাৎ, খ্রীষ্টকে নামিয়ে আনার জন্য),
7 “অথবা, ‘কে অতলে নেমে যাবে?’” (অর্থাৎ, খ্রীষ্টকে মৃতলোক থেকে তুলে আনার জন্য)। (Abyssos )
8 কিন্তু এ কী কথা বলে? “সেই বাক্য তোমাদের খুব কাছেই আছে; তা তোমাদের মুখে ও তোমাদের হৃদয়ে রয়েছে,” এর অর্থ, বিশ্বাসেরই এই বার্তা আমরা ঘোষণা করছি:
9 যদি তুমি “যীশুই প্রভু,” বলে মুখে স্বীকার করো ও হৃদয়ে বিশ্বাস করো যে, ঈশ্বর তাঁকে মৃতলোক থেকে উত্থাপিত করেছেন, তাহলে তুমি পরিত্রাণ পাবে।
10 কারণ হৃদয়েই তুমি বিশ্বাস করো ও ধার্মিক বলে গণ্য হও এবং তোমার মুখে তা স্বীকার করো ও পরিত্রাণ পাও।
11 শাস্ত্র যেমন বলে, “যে কেউ তাঁর উপরে বিশ্বাস করে, সে কখনও লজ্জিত হবে না।”
12 কারণ ইহুদি ও অইহুদির মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই; সেই একই প্রভু সকলের প্রভু এবং যতজন তাঁকে ডাকে, তাদের সকলকে তিনি পর্যাপ্ত আশীর্বাদ করেন।
13 কারণ, “যে কেউ প্রভুর নামে ডাকবে, সেই পরিত্রাণ পাবে।”
14 তাহলে, যাঁর উপরে তারা বিশ্বাস করেনি তারা কীভাবে তাঁকে ডাকবে? আর যাঁর কথাই তারা শোনেনি, কীভাবে তাঁর উপর বিশ্বাস স্থাপন করবে? আবার কেউ তাদের কাছে প্রচার না করলে তারা কীভাবে শুনতে পাবে?
15 আর তারা প্রচারই বা কীভাবে করবে, যদি তারা প্রেরিত না হয়? যেমন লেখা আছে, “যারা সুসমাচার প্রচার করে, তাদের চরণ কতই না সুন্দর!”
16 কিন্তু ইস্রায়েলীরা সকলেই সেই সুসমাচার গ্রহণ করেনি। কারণ যিশাইয় বলেছেন, “হে প্রভু, আমাদের দেওয়া সংবাদ কে বিশ্বাস করেছে?”
17 সুতরাং, সুসমাচারের প্রচার শুনে বিশ্বাস উৎপন্ন হয় ও প্রচার হয় খ্রীষ্টের বাক্য দ্বারা।
18 কিন্তু আমি জিজ্ঞাসা করি, তারা কি শোনেনি? অবশ্যই তারা শুনেছিল: “তাদের কণ্ঠস্বর সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে, তাদের বাক্য পৃথিবীর প্রান্তসীমায় পৌঁছায়।”
19 আমি আবার জিজ্ঞাসা করি: ইস্রায়েল জাতি কি বুঝতে পারেনি? প্রথমত, মোশি বলেন, “যারা কোনো প্রজা নয় তাদের দ্বারা আমি তোমাদের ঈর্ষাকাতর করে তুলব; যে জাতি কিছু বোঝে না তাদের দ্বারা আমি তাদের ক্রুদ্ধ করব।”
20 আবার যিশাইয় সাহসিকতার সঙ্গে বলেছেন, “যারা আমার অন্বেষণ করেনি, তারা আমাকে খুঁজে পেয়েছে, যারা কখনও আমার সন্ধান করেনি, তাদের কাছে আমি নিজেকে প্রকাশ করেছি।”
21 কিন্তু ইস্রায়েল জাতি সম্পর্কে তিনি বলেছেন, “এক অবাধ্য ও একগুঁয়ে জাতির প্রতি, সারাদিন আমি, আমার দু-হাত বাড়িয়ে রেখেছিলাম।”