< রোমীয় 1 >
1 পৌল, খ্রীষ্ট যীশুর একজন ক্রীতদাস, প্রেরিতশিষ্যরূপে আহূত ও ঈশ্বরের সুসমাচার প্রচারের জন্য নিযুক্ত—
2 পবিত্র শাস্ত্রগ্রন্থে তাঁর ভাববাদীদের দ্বারা পূর্ব থেকেই তিনি যে সুসমাচারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন,
3 তা তাঁর পুত্র-বিষয়ক, যিনি তাঁর মানব প্রকৃতির দিক থেকে ছিলেন দাউদের একজন বংশধর।
4 কিন্তু যিনি পবিত্রতার আত্মার মাধ্যমে মৃতলোক থেকে পুনরুত্থানের দ্বারা সপরাক্রমে ঈশ্বরের পুত্ররূপে ঘোষিত হয়েছেন: তিনি যীশু খ্রীষ্ট, আমাদের প্রভু।
5 তাঁর মাধ্যমে ও তাঁর নামের গুণে, আমরা অনুগ্রহ পেয়েছি ও প্রেরিতশিষ্য হওয়ার আহ্বান পেয়েছি, যেন বিশ্বাস থেকে যে বাধ্যতা আসে তার প্রতি সব অইহুদি জাতির মধ্য থেকে লোকদের আহ্বান করি।
6 আবার তোমরাও তাদের অন্তর্ভুক্ত, যারা যীশু খ্রীষ্টের আপনজন হওয়ার জন্য আহূত হয়েছ।
7 রোমে, ঈশ্বর যাদের ভালোবেসেছেন ও যারা পবিত্রগণ হওয়ার জন্য আহূত, তাদের সবার প্রতি: আমাদের পিতা ঈশ্বরের ও প্রভু যীশু খ্রীষ্টের কাছ থেকে অনুগ্রহ ও শান্তি তোমাদের প্রতি বর্তুক।
8 সর্বপ্রথম, আমি যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে, তোমাদের সকলের জন্য আমার ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিই, কারণ তোমাদের বিশ্বাসের কথা জগতের সর্বত্র শোনা যাচ্ছে।
9 যে ঈশ্বরকে তাঁর পুত্রের সুসমাচারের জন্য আমি সমস্ত অন্তর দিয়ে সেবা করি, তিনিই আমার সাক্ষী যে আমি কীভাবে আমার প্রার্থনায় প্রতিনিয়ত তোমাদের স্মরণ করি;
10 আবার, আমি প্রার্থনা করি যে ঈশ্বরের ইচ্ছায় তোমাদের কাছে আমার আসার পথ যেন উন্মুক্ত হয়।
11 আমি তোমাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য ব্যাকুল হয়ে আছি, যেন আমি তোমাদের কাছে কোনো আত্মিক বরদান প্রদান করে তোমাদের শক্তিশালী করে তুলতে পারি—
12 অর্থাৎ, তোমাদের ও আমার বিশ্বাসের দ্বারা যেন আমরা পারস্পরিক অনুপ্রাণিত হতে পারি।
13 ভাইবোনেরা, আমি চাই না তোমাদের কাছে একথা অজানা থাকুক যে, তোমাদের কাছে আসার জন্য আমি বহুবার পরিকল্পনা করেছি, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কিছু না কিছু আমার যাওয়ার পক্ষে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যান্য অইহুদি জাতির মধ্যে আমি যেমন ফল লাভ করেছি, তেমন তোমাদের মধ্যেও যেন ফল লাভ করতে পারি।
14 গ্রিক ও যারা গ্রিক নয়, জ্ঞানী অথবা মূর্খ, উভয়েরই কাছে আমি ঋণী।
15 এই কারণেই তোমরা যারা রোম নগরে বাস করছ, তোমাদের কাছে সুসমাচার প্রচার করার জন্য আমি এত উৎসুক।
16 আমি সুসমাচারের জন্য লজ্জাবোধ করি না, কারণ যারা বিশ্বাস করে, তাদের সকলের পরিত্রাণ লাভের জন্য এ হল ঈশ্বরের পরাক্রম: প্রথমত, ইহুদিদের জন্য, পরে অইহুদিদের জন্যও।
17 কারণ সুসমাচারে ঈশ্বর থেকে এক ধার্মিকতা প্রকাশিত হয়েছে—প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বিশ্বাসের দ্বারা এক ধার্মিকতা, যেমন লেখা আছে, “ধার্মিক ব্যক্তি বিশ্বাসের দ্বারাই জীবিত থাকবে।”
18 যেসব মানুষ তাদের দুষ্টতার দ্বারা সত্যকে চেপে রাখছে, তাদের সমস্ত ভক্তিহীনতা ও দুষ্টতার বিরুদ্ধে স্বর্গ থেকে ঈশ্বরের ক্রোধ প্রকাশিত হচ্ছে।
19 কারণ ঈশ্বর সম্পর্কে যা জানা যেতে পারে, তা তাদের কাছে সুস্পষ্ট, কারণ ঈশ্বর তা তাদের কাছে স্পষ্ট করে দিয়েছেন।
20 এর কারণ হল, জগৎ সৃষ্টি হওয়ার সময় থেকে, ঈশ্বরের অদৃশ্য গুণাবলি—তাঁর অনন্ত পরাক্রম ও ঐশী-চরিত্র—স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হয়েছে। সমস্ত সৃষ্ট বস্তুর মধ্য দিয়ে তা বোঝা যায়, যেন কোনো মানুষ অজুহাত দিতে না পারে। (aïdios )
21 কারণ তারা ঈশ্বরকে জানলেও, ঈশ্বর বলে তাঁর মহিমাকীর্তন করেনি, তাঁকে ধন্যবাদও দেয়নি, কিন্তু তাদের ভাবনাচিন্তা অসার হয়ে পড়েছে এবং তাদের মূর্খ হৃদয় অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়েছে।
22 যদিও তারা নিজেদের বিজ্ঞ বলে দাবি করে, কিন্তু তারা মূর্খে পরিণত হয়েছে।
23 তারা নশ্বর মানুষ, পশুপাখি ও সরীসৃপের মতো দেখতে প্রতিমূর্তির সঙ্গে অক্ষয় ঈশ্বরের মহিমার পরিবর্তন করেছে।
24 সেই কারণে ঈশ্বর, অশুদ্ধ যৌনাচারের প্রতি তাদের হৃদয়কে পাপপূর্ণ অভিলাষে সমর্পণ করলেন, যেন পরস্পরের দ্বারা তাদের শরীরের মর্যাদাহানি হয়।
25 তারা ঈশ্বরের সত্যের পরিবর্তে এক মিথ্যাকে বেছে নিল। তারা স্রষ্টার উপাসনা না করে সৃষ্ট বস্তুর উপাসনা ও সেবা করেছে—সেই স্রষ্টাই চিরতরে প্রশংসিত হোন। আমেন। (aiōn )
26 এই কারণে, ঈশ্বর তাদের ঘৃণ্য কামনাবাসনার সমর্পণ করেছেন। এমনকি, তাদের নারীরাও স্বাভাবিক শারীরিক সম্পর্ক ত্যাগ করে অস্বাভাবিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।
27 একইভাবে, পুরুষেরাও নারীদের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক ত্যাগ করে পরস্পরের প্রতি সমকামী হওয়ার আগুনে জ্বলে উঠেছে। পুরুষেরা অন্য পুরুষদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছে এবং তাদের বিকৃত আচরণের জন্য তারা যোগ্য শাস্তি লাভ করেছে।
28 শুধু তাই নয়, তারা যেহেতু ঐশ্বরিক জ্ঞানকে মান্য করার প্রয়োজন বোধ করেনি, তিনি তাদের ভ্রষ্ট মানসিকতার কবলে সমর্পণ করেছেন, যেন তারা অনৈতিক কাজ করে।
29 তারা সব ধরনের দুষ্টতা, মন্দতা, লোভ ও বিকৃতরুচিতে পূর্ণ হয়েছে। তারা ঈর্ষা, নরহত্যা, বিবাদ, প্রতারণা ও বিদ্বেষের মানসিকতায় পরিপূর্ণ।
30 তারা গুজব রটনাকারী, পরনিন্দুক, ঈশ্বরঘৃণাকারী, অশিষ্ট, উদ্ধত ও দাম্ভিক; তারা দুষ্কর্মের নতুন পন্থা খুঁজে বের করে, তারা তাদের বাবা-মার অবাধ্য হয়;
31 তারা নির্বোধ, বিশ্বাসইীন, হৃদয়হীন ও নির্মম।
32 যদিও তারা ঈশ্বরের ন্যায়বিচার জানে যে, যারা এসব কাজ করে তারা মৃত্যুর যোগ্য, তবুও তারা কেবলমাত্র যে সেরকম আচরণ করে শুধু তাই নয়, কিন্তু যারা সেই ধরনের আচরণ অভ্যাস করে, তাদেরও অনুমোদন করে।