< প্রকাশিত বাক্য 7 >
1 এরপরে আমি দেখলাম চারজন স্বর্গদূত, তাঁরা পৃথিবীর চার কোণে দাঁড়িয়ে আছেন এবং তাঁরা পৃথিবীর চার বায়ুকে পিছন দিকে টেনে ধরে রেখেছেন, যেন ভূমিতে বা সমুদ্রে বা কোনো গাছের উপরে বাতাস প্রবাহিত না হয়।
[Καὶ] μετὰ τοῦτο εἶδον τέσσαρας ἀγγέλους ἑστῶτας ἐπὶ τὰς τέσσαρας γωνίας τῆς γῆς, κρατοῦντας τοὺς τέσσαρας ἀνέμους τῆς γῆς, ἵνα μὴ πνέῃ ἄνεμος ἐπὶ τῆς γῆς, μήτε ἐπὶ τῆς θαλάσσης, μήτε ἐπί τι δένδρον.
2 তারপর আমি আর একজন স্বর্গদূতকে পূর্বদিক থেকে আসতে দেখলাম, তাঁর কাছে ছিল জীবন্ত ঈশ্বরের সিলমোহর। তিনি সেই চার স্বর্গদূত, যাঁদের ভূমি ও সমুদ্রের উপর অনিষ্ট করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল তাঁদের উদ্দেশে উচ্চস্বরে বললেন:
καὶ εἶδον ἄλλον ἄγγελον ἀναβαίνοντα ἀπὸ ἀνατολῆς ἡλίου, ἔχοντα σφραγῖδα θεοῦ ζῶντος· καὶ ἔκραξεν φωνῇ μεγάλῃ τοῖς τέσσαρσιν ἀγγέλοις, οἷς ἐδόθη αὐτοῖς ἀδικῆσαι τὴν γῆν καὶ τὴν θάλασσαν,
3 “আমরা যতক্ষণ না আমাদের ঈশ্বরের দাসগণের কপালে সিলমোহর দিয়ে ছাপ দিতে পারি, ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা ভূমি বা সমুদ্র বা গাছগুলির প্রতি কোনো অনিষ্ট কোরো না।”
λέγων, Μὴ ἀδικήσητε τὴν γῆν, μήτε τὴν θάλασσαν, μήτε τὰ δένδρα, ἄχρις σφραγίσωμεν τοὺς δούλους τοῦ θεοῦ ἡμῶν ἐπὶ τῶν μετώπων αὐτῶν.
4 পরে আমি ওই সিলমোহরাঙ্কিত লোকদের সংখ্যার কথা শুনতে পেলাম। তারা ছিল ইস্রায়েলের সমস্ত গোষ্ঠীর 1,44,000 জন।
καὶ ἤκουσα τὸν ἀριθμὸν τῶν ἐσφραγισμένων· ἑκατὸν τεσσεράκοντα τέσσαρες χιλιάδες ἐσφραγισμένοι ἐκ πάσης φυλῆς υἱῶν Ἰσραήλ·
5 যিহূদা গোষ্ঠী থেকে মোহরাঙ্কিত 12,000 জন, রূবেণ গোষ্ঠী থেকে 12,000 জন, গাদ গোষ্ঠী থেকে 12,000 জন,
ἐκ φυλῆς Ἰούδα, δώδεκα χιλιάδες ἐσφραγισμένοι· ἐκ φυλῆς Ῥουβήν, δώδεκα χιλιάδες. ἐκ φυλῆς Γάδ, δώδεκα χιλιάδες·
6 আশের গোষ্ঠী থেকে 12,000 জন, নপ্তালি গোষ্ঠী থেকে 12,000 জন, মনঃশি গোষ্ঠী থেকে 12,000 জন,
ἐκ φυλῆς Ἀσήρ, δώδεκα χιλιάδες· ἐκ φυλῆς Νεφθαλείμ, δώδεκα χιλιάδες· ἐκ φυλῆς Μανασσῆ, δώδεκα χιλιάδες·
7 শিমিয়োন গোষ্ঠী থেকে 12,000 জন, লেবি গোষ্ঠী থেকে 12,000 জন, ইষাখর গোষ্ঠী থেকে 12,000 জন,
ἐκ φυλῆς Συμεών, δώδεκα χιλιάδες· ἐκ φυλῆς Λευεί, δώδεκα χιλιάδες· ἐκ φυλῆς Ἰσσαχάρ, δώδεκα χιλιάδες·
8 সবূলূন গোষ্ঠী থেকে 12,000 জন, যোষেফ গোষ্ঠী থেকে 12,000 জন, বিন্যামীন গোষ্ঠী থেকে 12,000 জন মোহরাঙ্কিত হল।
ἐκ φυλῆς Ζαβουλών, δώδεκα χιλιάδες· ἐκ φυλῆς Ἰωσήφ, δώδεκα χιλιάδες· ἐκ φυλῆς Βενιαμείν, δώδεκα χιλιάδες ἐσφραγισμένοι.
9 এরপর আমি তাকিয়ে দেখলাম, আর আমার সামনে প্রত্যেক দেশের, গোষ্ঠীর, জাতির ও ভাষাভাষী লোকের এক বিশাল জনারণ্য দেখতে পেলাম যাদের গণনা করার সামর্থ কারও নেই। তারা সেই সিংহাসন ও মেষশাবকের সামনে দাঁড়িয়েছিল। তারা ছিল সাদা পোশাক পরিহিত ও তাদের হাতে ছিল খেজুর পাতা।
Μετὰ ταῦτα εἶδον, καὶ ἰδοὺ ὄχλος πολύς, ὃν ἀριθμῆσαι αὐτὸν οὐδεὶς ἐδύνατο, ἐκ παντὸς ἔθνους καὶ φυλῶν καὶ λαῶν καὶ γλωσσῶν, ἑστῶτες ἐνώπιον τοῦ θρόνου καὶ ἐνώπιον τοῦ ἀρνίου, περιβεβλημένους στολὰς λευκάς, καὶ φοίνικες ἐν ταῖς χερσὶν αὐτῶν·
10 তারা উচ্চকণ্ঠে চিৎকার করে বলল, “পরিত্রাণ দেওয়ার অধিকার সিংহাসনে উপবিষ্ট আমাদের ঈশ্বর ও মেষশাবকের অধিকারভুক্ত।”
καὶ κράζουσιν φωνῇ μεγάλῃ, λέγοντες, Ἡ σωτηρία τῷ θεῷ ἡμῶν τῷ καθημένῳ ἐπὶ τῷ θρόνῳ, καὶ τῷ ἀρνίῳ.
11 সব স্বর্গদূত সেই সিংহাসনের চারদিকে এবং সেই প্রাচীনবর্গের ও চারজন জীবন্ত প্রাণীর চারদিকে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁরা সেই সিংহাসনের সামনে নত হয়ে প্রণাম করলেন ও ঈশ্বরের উপাসনা করলেন,
καὶ πάντες οἱ ἄγγελοι εἱστήκεισαν κύκλῳ τοῦ θρόνου καὶ τῶν πρεσβυτέρων καὶ τῶν τεσσάρων ζῴων, καὶ ἔπεσαν ἐνώπιον τοῦ θρόνου ἐπὶ τὰ πρόσωπα αὐτῶν, καὶ προσεκύνησαν τῷ θεῷ,
12 বললেন: “আমেন! প্রশংসা ও মহিমা, প্রজ্ঞা ও ধন্যবাদ ও সম্মান, পরাক্রম ও শক্তি চিরকাল যুগে যুগে আমাদের ঈশ্বরেরই হোক। আমেন!” (aiōn )
λέγοντες, Ἀμήν· ἡ εὐλογία καὶ ἡ δόξα καὶ ἡ σοφία καὶ ἡ εὐχαριστία καὶ ἡ τιμὴ καὶ ἡ δύναμις καὶ ἡ ἰσχὺς τῷ θεῷ ἡμῶν εἰς τοὺς αἰῶνας τῶν αἰώνων. ἀμήν. (aiōn )
13 তখন প্রাচীনদের মধ্যে একজন আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “সাদা পোশাক পরিহিত এই লোকেরা কারা এবং কোথা থেকে তারা এসেছেন?”
καὶ ἀπεκρίθη εἷς ἐκ τῶν πρεσβυτέρων λέγων μοι, Οὗτοι οἱ περιβεβλημένοι τὰς στολὰς τὰς λευκάς, τίνες εἰσίν, καὶ πόθεν ἦλθον;
14 আমি উত্তর দিলাম, “মহামান্য, আপনিই তা জানেন।” তখন তিনি বললেন, “এরা সেই লোক, যারা মহাসংকটকাল থেকে উত্তীর্ণ হয়ে এসেছে; তারা মেষশাবকের রক্তে তাদের পোশাক পরিষ্কার করেছে ও তা সাদা করছে।
καὶ εἴρηκα αὐτῷ, κύριέ μου, σὺ οἶδας. καὶ εἶπέν μοι, Οὗτοί εἰσιν οἱ ἐρχόμενοι ἐκ τῆς θλίψεως τῆς μεγάλης, καὶ ἔπλυναν τὰς στολὰς αὐτῶν, καὶ ἐλεύκαναν αὐτὰς ἐν τῷ αἵματι τοῦ ἀρνίου.
15 এই কারণে, “তারা ঈশ্বরের সিংহাসনের সামনে রয়েছে, আর তারা দিনরাত তাঁর মন্দিরে তাঁর সেবা করে; আর যিনি সিংহাসনে উপবিষ্ট, তিনি তাদের আশ্রয় দেবেন।
διὰ τοῦτό εἰσιν ἐνώπιον τοῦ θρόνου τοῦ θεοῦ, καὶ λατρεύουσιν αὐτῷ ἡμέρας καὶ νυκτὸς ἐν τῷ ναῷ αὐτοῦ· καὶ ὁ καθήμενος ἐπὶ τοῦ θρόνου σκηνώσει ἐπ᾽ αὐτούς.
16 ‘আর তারা কখনও ক্ষুধার্ত হবে না, আর তারা কখনও তৃষ্ণার্ত হবে না। সূর্যের প্রচণ্ড তাপ বা প্রখর উত্তাপ,’ তাদের গায়ে লাগবে না।
οὐ πεινάσουσιν ἔτι, οὐδὲ διψήσουσιν ἔτι, οὐδὲ μὴ πέσῃ ἐπ᾽ αὐτοὺς ὁ ἥλιος, οὐδὲ πᾶν καῦμα·
17 কারণ সিংহাসনের কেন্দ্রে স্থিত মেষশাবক তাদের পালক হবেন; ‘তিনি তাদের জীবন্ত জলের উৎসের দিকে নিয়ে যাবেন।’ ‘আর ঈশ্বর তাদের চোখের জল মুছিয়ে দেবেন।’”
ὅτι τὸ ἀρνίον τὸ ἀνάμεσον τοῦ θρόνου ποιμανεῖ αὐτοὺς καὶ ὁδηγήσει αὐτοὺς ἐπὶ ζωῆς πηγὰς ὑδάτων, καὶ ἐξαλείψει ὁ θεὸς πᾶν δάκρυον ἐκ τῶν ὀφθαλμῶν αὐτῶν.