< প্রকাশিত বাক্য 3 >
1 “সার্দিতে অবস্থিত মণ্ডলীর দূতকে লেখো: যিনি ঈশ্বরের সপ্ত-আত্মা ও সাতটি তারা ধারণ করেন, তিনিই একথা বলেন: আমি তোমার কাজকর্মগুলি জানি; তুমি তো নামে মাত্র জীবিত আছ, আসলে তুমি মৃত।
2 তুমি জেগে ওঠো! কেননা এখনও যা কিছু অবশিষ্ট আছে অথচ মৃতপ্রায়, সেগুলিতে শক্তি সঞ্চার করো, কারণ আমি তোমার কোনও কাজ আমার ঈশ্বরের দৃষ্টিতে সুসম্পূর্ণ দেখিনি।
3 অতএব স্মরণ করো, তুমি যা যা পেয়েছ ও শুনেছ; তা পালন করো ও মন পরিবর্তন করো। কিন্তু তুমি যদি জেগে না-ওঠো, তাহলে আমি চোরের মতো আসব, আর আমি কখন তোমার কাছে আসব, তা তুমি জানতেই পারবে না।
4 তবুও সার্দিতে তোমার এমন কয়েকজন লোক আছে, যারা নিজেদের পোশাক কলুষিত করেনি। তারা সাদা পোশাক পরে আমার সান্নিধ্যে জীবনযাপন করবে, কারণ তারা যোগ্য।
5 যে বিজয়ী হবে, সেও তাদের মতোই সাদা পোশাক পরবে। আমি জীবনপুস্তক থেকে তার নাম কখনও মুছে ফেলব না, কিন্তু আমার পিতার ও তাঁর দূতদের সামনে তার নাম স্বীকার করব।
6 যার কান আছে, সে শুনুক, যে পবিত্র আত্মা মণ্ডলীদের কী বলছেন।
7 “ফিলাদেলফিয়ায় অবস্থিত মণ্ডলীর দূতকে লেখো: যিনি পবিত্র ও সত্যময়, যিনি দাউদের চাবি ধারণ করেন, তিনিই একথা বলেন: তিনি যা খোলেন, কেউ তা বন্ধ করতে পারে না এবং তিনি যা বন্ধ করেন, কেউ তা খুলতে পারে না।
8 আমি তোমার কাজকর্মগুলি জানি। দেখো, আমি তোমার সামনে এক দরজা খুলে রেখেছি, যা কেউ বন্ধ করতে পারে না। আমি জানি তোমার শক্তি অল্প আছে, তা সত্ত্বেও তুমি আমার বাক্য পালন করেছ এবং আমার নাম অস্বীকার করোনি।
9 দেখো, যারা শয়তানের সমাজের লোক, যারা নিজেদের ইহুদি বলে দাবি করলেও ইহুদি নয়, তারা মিথ্যাবাদী—আমি তাদের নিয়ে এসে তোমার পায়ে প্রণাম করতে বাধ্য করব, আর তারা স্বীকার করবে যে, আমি তোমাকে ভালোবেসেছি।
10 যেহেতু তুমি ধৈর্যের সঙ্গে সহ্য করে আমার আদেশ পালন করেছ, আমিও তোমাকে সেই পরীক্ষাকাল থেকে রক্ষা করব, যা সকল পৃথিবীবাসীর জন্য সমগ্র জগতে আসতে চলেছে।
11 আমি শীঘ্রই আসছি। তোমার কাছে যা আছে, সযত্নে ধরে থাকো, যেন কেউই তোমার মুকুট কেড়ে নিতে না পারে।
12 যে বিজয়ী হয়, তাকে আমি আমার ঈশ্বরের মন্দিরের এক স্তম্ভস্বরূপ করব। তারা কখনও সেখান থেকে বাইরে যাবে না। আমি তার উপরে আমার ঈশ্বরের নাম ও আমার ঈশ্বরের সেই নগর সেই নতুন জেরুশালেমের নাম লিখব, যা আমার ঈশ্বরের কাছ থেকে, স্বর্গ থেকে নেমে আসছে; এবং তার উপরেও আমি আমার নতুন নাম লিখব।
13 যার কান আছে, সে শুনুক, যে পবিত্র আত্মা মণ্ডলীদের কী বলছেন।
14 “লায়োদেকিয়া অবস্থিত মণ্ডলীর দূতকে লেখো: যিনি আমেন, সেই বিশ্বস্ত ও সত্যময় সাক্ষী, ঈশ্বরের সৃষ্টির শাসনকর্তা, তিনিই একথা বলেন:
15 আমি তোমার কাজকর্মগুলি জানি, তুমি উত্তপ্ত নও, তুমি শীতলও নও। আমি চাইছিলাম, তুমি হয় উত্তপ্ত হও, নয় শীতল হও!
16 তাই, তুমি যেহেতু নাতিশীতোষ্ণ, অর্থাৎ না উত্তপ্ত, না শীতল, তাই আমি তোমাকে আমার মুখ থেকে বমি করে ফেলতে উদ্যত হয়েছি।
17 তুমি বলে থাকো, ‘আমি ধনী; আমি প্রচুর ধনসম্পদ সংগ্রহ করেছি, তাই আমার আর কোনও প্রয়োজন নেই।’ কিন্তু তুমি বুঝতেই পারছ না যে, তুমিই হলে দুর্দশাগ্রস্ত, কৃপার পাত্র, দরিদ্র, অন্ধ ও নগ্ন।
18 আমি তোমাকে একটি পরামর্শ দিই, তুমি আমার কাছ থেকে আগুনে পরিশোধিত হওয়া সোনা কিনে নাও যেন তুমি ধনী হতে পারো; গায়ে পরবার জন্য সাদা পোশাক যেন তোমার লজ্জাজনক নগ্নতা ঢাকা দিতে পারো; ও দুই চোখে লাগানোর জন্য কাজল যেন তুমি দেখতে পাও।
19 আমি যাদের প্রেম করি, তাদের আমি তিরস্কার করি ও শাসন করি। তাই আন্তরিক আগ্রহ দেখাও ও মন পরিবর্তন করো।
20 দেখো আমি তোমার কাছেই আছি! এই আমি দুয়ারে দাঁড়িয়ে আছি ও কড়া নাড়ছি, যদি কেউ আমার কণ্ঠস্বর শুনে দুয়ার খুলে দেয়, আমি ভিতরে প্রবেশ করব ও তার সঙ্গে বসে আহার করব, আর সেও আমার সঙ্গে আহার করবে।
21 যে বিজয়ী হয়, তাকে আমি আমার সঙ্গে আমার সিংহাসনে বসার অধিকার দেব, ঠিক যেমন আমি বিজয়ী হয়ে আমার পিতার সঙ্গে তাঁর সিংহাসনে বসেছি।
22 যার কান আছে, সে শুনুক, যে পবিত্র আত্মা মণ্ডলীদের কী বলছেন।”