< প্রকাশিত বাক্য 17 >
1 সেই সাতটি বাটি যাদের হাতে ছিল, সেই সাতজন স্বর্গদূতের মধ্যে একজন এসে আমাকে বললেন, “এসো, বহু জলরাশির উপরে বসে থাকে যে মহাবেশ্যা, তার কী শাস্তি হয়, আমি তোমাকে দেখাব।
2 তার সঙ্গে পৃথিবীর রাজারা ব্যভিচার করেছে। আর পৃথিবীর অধিবাসীরা তার ব্যভিচারের সুরায় মত্ত হয়েছে।”
3 তারপর সেই স্বর্গদূত পবিত্র আত্মায় আমাকে এক মরুপ্রান্তরে নিয়ে গেলেন। সেখানে আমি এক নারীকে একটি গাঢ় লাল রংয়ের পশুর উপরে বসে থাকতে দেখলাম। পশুটি ছিল ঈশ্বরনিন্দার নামে আবৃত এবং তার ছিল সাতটি মাথা ও দশটি শিং।
4 সেই নারীর পোশাক ছিল বেগুনি ও লাল রংয়ের এবং সে ছিল সোনা, মণিমাণিক্য ও মুক্তায় ভূষিত। সে তার হাতে একটি সোনার পানপাত্র ধরেছিল, যা ছিল ঘৃণ্য সব দ্রব্য ও তার ব্যভিচারের মলিনতায় পূর্ণ।
5 তার কপালে লিখিত ছিল এই শিরোনাম: রহস্যময়ী মহানগরী ব্যাবিলন পৃথিবীর বেশ্যাদের এবং ঘৃণ্য বস্তুসকলের মা।
6 আমি দেখলাম, সেই নারী পবিত্রগণের রক্তে ও যারা যীশুর সাক্ষ্য বহন করেছে, তাদের রক্তে মত্ত। তাকে দেখে আমি ভীষণ আশ্চর্য হলাম।
7 তখন সেই স্বর্গদূত আমাকে বললেন, “তুমি আশ্চর্য বোধ করলে কেন? আমি ওই নারীর ও তার বাহনের, অর্থাৎ যার সাতটি মাথা ও দশটি শিং, সেই পশুর রহস্য তোমার কাছে ব্যাখ্যা করব।
8 যে পশুকে তুমি দেখলে, যে এক সময়ে ছিল, কিন্তু এখন নেই, সে অতল-গহ্বর থেকে আবার উঠে আসবে ও তার ধ্বংসের পথে যাবে। আর পৃথিবীর অধিবাসী যতজনের নাম জগৎ সৃষ্টির সময় থেকে জীবনপুস্তকে লেখা নেই, তারা যখন সেই পশুটিকে দেখবে, যা ছিল কিন্তু এখন নেই কিন্তু পরে আসবে, তখন তারাও আশ্চর্য বোধ করবে। (Abyssos )
9 “এখানে বিচক্ষণ মানসিকতার প্রয়োজন হয়। ওই সাতটি মাথা হল সাতটি পর্বত, যার উপরে সেই নারী বসে আছে।
10 সেগুলি আবার সাতজন রাজাও। পাঁচজনের পতন হয়েছে, একজন আছে, অন্যজনের আগমন এখনও হয়নি; কিন্তু সে এলে পরে, তাকে অবশ্য অল্প সময়ের জন্য থাকতে হবে।
11 আর যে পশুটি এক সময় ছিল, কিন্তু এখন নেই, সে অষ্টম রাজা। সেও সেই সাতজনের অন্যতম এবং সে তার বিনাশের অভিমুখী হবে।
12 “যে দশটি শিং তুমি দেখলে, তারা দশজন রাজা। তারা এখনও তাদের রাজ্য লাভ করেনি, কিন্তু তারা সেই পশুর সঙ্গে এক ঘণ্টার জন্য রাজাদের মতো কর্তৃত্ব প্রাপ্ত হবে।
13 তাদের অভিপ্রায় একই, তাই তারা তাদের পরাক্রম ও কর্তৃত্ব সেই পশুকে দান করবে।
14 তারা মেষশাবকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে, কিন্তু মেষশাবক তাদের পরাস্ত করবেন, কারণ তিনি প্রভুদের প্রভু ও রাজাদের রাজা। আর যারা আহূত, মনোনীত ও বিশ্বস্ত অনুসারী, তারাও তাঁর সঙ্গে বিজয়ী হবেন।”
15 তারপর সেই স্বর্গদূত আমাকে বললেন, “যে জলরাশি তুমি দেখলে, যার উপরে সেই বেশ্যা বসে আছে, তা হল বিভিন্ন প্রজাবৃন্দ, বিপুল জনসমষ্টি, বিভিন্ন জাতি ও ভাষাভাষী মানুষ।
16 আর তুমি যে সেই পশু ও দশটা শিং দেখলে তারা সেই বেশ্যাকে ঘৃণা করবে। তারা তার সর্বনাশ করে তাকে উলঙ্গ করে ছেড়ে দেবে; তারা তার মাংস খাবে ও তাকে আগুনে পুড়িয়ে মারবে।
17 কারণ ঈশ্বর তাদের হৃদয়ে এই প্রবৃত্তি দিয়েছিলেন যেন তারা তাঁর অভিপ্রায় পূর্ণ করে এবং যতদিন পর্যন্ত ঈশ্বরের সমস্ত বাক্য পূর্ণ না হয়, ততদিন তারা শাসন করার জন্য সেই পশুকে রাজকীয় কর্তৃত্ব দান করতে একমত হয়।
18 যে নারীকে তুমি দেখলে, সে হল সেই মহানগরী, যা পৃথিবীর রাজাদের উপরে শাসন করে।”