< প্রকাশিত বাক্য 14 >
1 তারপর আমি তাকিয়ে দেখলাম, আমার সামনে সিয়োন পর্বতের উপরে দাঁড়িয়েছিলেন সেই মেষশাবক ও তাঁর সঙ্গে ছিল সেই 1,44,000 জন মানুষ, যাদের কপালে তাঁর নাম ও তাঁর পিতার নাম লেখা ছিল।
2 আর আমি স্বর্গ থেকে প্রবহমান মহা জলস্রোতের মতো গর্জন ও বজ্রপাতের মতো শব্দ শুনতে পেলাম। যে শব্দ আমি শুনলাম, মনে হল যেন কোনো বীণাবাদকের দল তাদের বীণা বাজাচ্ছে।
3 আর তাঁরা সেই সিংহাসনের সামনে এবং চারজন সজীব প্রাণীর ও প্রাচীনদের সামনে এক নতুন গীত গাইলেন। পৃথিবী থেকে মুক্ত করা সেই 1,44,000 জন ব্যক্তি ছাড়া আর কেউই সেই গান শিখতে পারল না।
4 এঁরা তাঁরাই, যাঁরা নারী-সংসর্গে নিজেদের কলুষিত করেননি, কারণ তাঁরা নিজেদের শুচিশুদ্ধ রেখেছিলেন। মেষশাবক যেখানেই যান, তাঁরা তাঁকে অনুসরণ করেন। তাঁদের মানুষদের মধ্য থেকে কিনে নেওয়া হয়েছিল এবং ঈশ্বর ও সেই মেষশাবকের উদ্দেশে প্রথম ফসলরূপে তাঁদের নিবেদন করা হয়েছিল।
5 তাঁদের মুখে কোনও মিথ্যা কথা পাওয়া যায়নি, তাঁরা ছিলেন নিষ্কলঙ্ক।
6 এরপর আমি অন্য এক স্বর্গদূতকে মধ্যাকাশে উড়ে যেতে দেখলাম। তাঁর কাছে ছিল অনন্তকালীন সুসমাচার, যেন তিনি প্রত্যেক দেশ, গোষ্ঠী, ভাষাভাষী, জাতির, পৃথিবীর সমস্ত অধিবাসীর কাছে তা ঘোষণা করেন। (aiōnios )
7 তিনি উচ্চকণ্ঠে বললেন, “ঈশ্বরকে ভয় করো ও তাঁকে সম্মান দাও, কারণ তাঁর বিচারের সময় এসে উপস্থিত হয়েছে। যিনি স্বর্গ, পৃথিবী, সমুদ্র ও জলের সব উৎস উৎপন্ন করেছেন, তাঁর উপাসনা করো।”
8 দ্বিতীয় এক স্বর্গদূত তাঁকে অনুসরণ করে এসে বললেন, “পতন হল! বিশাল সেই ব্যাবিলনের পতন হল, যে তার ব্যভিচারের উন্মত্তকারী সুরা সমস্ত জাতিকে পান করিয়েছে।”
9 তৃতীয় এক স্বর্গদূত তাঁদের অনুসরণ করে এসে উচ্চকণ্ঠে বললেন: “যদি কেউ সেই পশুর ও তার মূর্তির পূজা করে এবং কপালে বা হাতে তার চিহ্ন গ্রহণ করে,
10 সেও ঈশ্বরের রোষের সুরা অবশ্যই পান করবে, যা ঈশ্বরের ক্রোধের পানপাত্রে পূর্ণ শক্তির সঙ্গে ঢেলে দেওয়া হয়েছে। সে পবিত্র দূতদের ও মেষশাবকের সাক্ষাতে জ্বলন্ত আগুন ও গন্ধকে যন্ত্রণা পাবে।
11 আর তাদের যন্ত্রণাভোগের ধোঁয়া যুগে যুগে চিরকাল উঠতে থাকবে। যারা সেই পশু ও তার মূর্তিকে পূজা করে, বা যে কেউ তার নামের চিহ্ন গ্রহণ করে, দিনরাত কখনও সে বিশ্রাম পাবে না।” (aiōn )
12 পবিত্রগণ যারা ঈশ্বরের আদেশ পালন করে ও যীশুর কাছে বিশ্বস্ত থাকে, এখানেই তাদের ধৈর্যশীল সহিষ্ণুতার পরীক্ষা হবে।
13 তখন আমি স্বর্গ থেকে এই কণ্ঠস্বর শুনতে পেলাম, “তুমি লেখো: ধন্য সেই মৃতজনেরা, যারা এখন থেকে প্রভুতে মৃত্যুবরণ করবে।” পবিত্র আত্মা বলছেন, “হ্যাঁ, তারা তাদের শ্রম থেকে বিশ্রাম পাবে, কারণ তাদের সব কাজ তাদের অনুসরণ করবে।”
14 আমি তাকিয়ে দেখলাম, আমার সামনে ছিল এক সাদা রংয়ের মেঘ। সেই মেঘের উপরে “মনুষ্যপুত্রের মতো” একজনকে উপবিষ্ট দেখলাম, যাঁর মাথায় ছিল সোনার মুকুট ও হাতে ছিল এক ধারালো কাস্তে।
15 তারপর মন্দির থেকে অন্য এক স্বর্গদূত বের হয়ে, যিনি মেঘের উপরে উপবিষ্ট ছিলেন, তাঁকে উচ্চকণ্ঠে বললেন, “আপনার কাস্তে নিন ও শস্য কাটুন, কারণ শস্য কাটার সময় উপস্থিত হয়েছে, কারণ পৃথিবীর শস্য পরিপক্ব হয়েছে।”
16 তাই যিনি মেঘের উপরে উপবিষ্ট তিনি পৃথিবীর উপরে তাঁর কাস্তে চালালেন, আর পৃথিবীর শস্য কাটা হল।
17 স্বর্গের মন্দির থেকে আর একজন স্বর্গদূত বেরিয়ে এলেন, তাঁর কাছেও ছিল ধারালো এক কাস্তে।
18 আরও একজন স্বর্গদূত বেদি থেকে বেরিয়ে এলেন। আগুনের উপরে তাঁর কর্তৃত্ব করার ক্ষমতা ছিল। যাঁর কাছে ধারালো কাস্তে ছিল, তিনি তাঁকে উচ্চকণ্ঠে ডেকে বললেন, “আপনার ধারালো কাস্তে নিন ও পৃথিবীর দ্রাক্ষালতার গুচ্ছ সংগ্রহ করুন, কারণ তার দ্রাক্ষা পরিপক্ব হয়েছে।”
19 সেই স্বর্গদূত পৃথিবীতে তাঁর কাস্তে চালালেন, তাঁর দ্রাক্ষাগুচ্ছ সংগ্রহ করলেন ও সেগুলি ঈশ্বরের ক্রোধের বিশাল দ্রাক্ষাকুণ্ডে নিক্ষেপ করলেন।
20 সেগুলি নগরের বাইরে দ্রাক্ষাকুণ্ডে পদদলিত করা হল এবং কুণ্ড থেকে রক্তস্রোত প্রবাহিত হল। তা 300 কিলোমিটার পর্যন্ত প্রবাহিত হল ও ঘোড়ার বলগা পর্যন্ত উঠল।