< প্রকাশিত বাক্য 13 >
1 আর সেই নাগ-দানব সমুদ্রের তীরে গিয়ে দাঁড়াল। আর আমি দেখলাম, একটি পশু সমুদ্রের মধ্য থেকে উঠে আসছে। তার ছিল দশটি শিং ও সাতটি মাথা এবং তার শিংগুলির উপরে দশটি মুকুট। আর প্রত্যেকটি মাথার উপরে ছিল একটি করে ঈশ্বর নিন্দাসূচক নাম।
Καὶ ἐστάθη ἐπὶ τὴν ἄμμον τῆς θαλάσσης. Καὶ εἶδον ἐκ τῆς θαλάσσης θηρίον ἀναβαῖνον, ἔχον κέρατα δέκα καὶ κεφαλὰς ἑπτά· καὶ ἐπὶ τῶν κεράτων αὐτοῦ δέκα διαδήματα, καὶ ἐπὶ τὰς κεφαλὰς αὐτοῦ ὀνόματα βλασφημίας.
2 যে পশুটি আমি দেখলাম, সেটি দেখতে চিতাবাঘের মতো, কিন্তু তার পা ছিল ভালুকের মতো এবং মুখ ছিল সিংহের মতো। সেই নাগ তার পরাক্রম ও তার সিংহাসন ও মহা কর্তৃত্ব সেই দানব পশুটিকে দান করল।
καὶ τὸ θηρίον ὃ εἶδον ἦν ὅμοιον παρδάλει, καὶ οἱ πόδες αὐτοῦ ὡς ἄρκου, καὶ τὸ στόμα αὐτοῦ ὡς στόμα λέοντος. καὶ ἔδωκεν αὐτῷ ὁ δράκων τὴν δύναμιν αὐτοῦ, καὶ τὸν θρόνον αὐτοῦ, καὶ ἐξουσίαν μεγάλην·
3 সেই পশুর একটি মাথা মনে হল যেন মারাত্মক আঘাতে আহত, কিন্তু সেই মারাত্মক আঘাতের নিরাময় করা হল। এতে সমস্ত জগৎ বিস্মিত হয়ে সেই পশুকে অনুসরণ করল।
καὶ μίαν ἐκ τῶν κεφαλῶν αὐτοῦ ὡς ἐσφαγμένην εἰς θάνατον· καὶ ἡ πληγὴ τοῦ θανάτου αὐτοῦ ἐθεραπεύθη, καὶ ἐθαυμάσθη ὅλῃ τῇ γῇ ὀπίσω τοῦ θηρίου.
4 লোকেরা সেই নাগ-দানবের পূজা করল, কারণ সে সেই পশুকে কর্তৃত্ব প্রদান করেছিল। আর তারা সেই পশুটিরও পূজা করে বলতে লাগল, “এই পশুর সমতুল্য কে? কে এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে?”
καὶ προσεκύνησαν τῷ δράκοντι ὅτι ἔδωκεν τὴν ἐξουσίαν τῷ θηρίῳ, καὶ προσεκύνησαν τῷ θηρίῳ, λέγοντες, Τίς ὅμοιος τῷ θηρίῳ; καὶ τίς δύναται πολεμῆσαι μετ᾽ αὐτοῦ;
5 সেই পশুটিকে এমন এক মুখ দেওয়া হল, যা বহু দম্ভের বাক্য ও ঈশ্বরনিন্দার উক্তি করবে এবং বিয়াল্লিশ মাস পর্যন্ত তার কর্তৃত্ব প্রয়োগ করবে।
καὶ ἐδόθη αὐτῷ στόμα λαλοῦν μεγάλα καὶ βλασφημίας· καὶ ἐδόθη αὐτῷ ἐξουσία ποιῆσαι μῆνας τεσσεράκοντα δύο·
6 সে তার মুখ খুলে ঈশ্বরের নিন্দা, তাঁর নাম, তাঁর আবাসস্থল ও স্বর্গবাসী সকলের নিন্দা করতে লাগল।
καὶ ἤνοιξεν τὸ στόμα αὐτοῦ εἰς βλασφημίας πρὸς τὸν θεόν, βλασφημῆσαι τὸ ὄνομα αὐτοῦ, καὶ τὴν σκηνὴν αὐτοῦ, τοὺς ἐν τῷ οὐρανῷ σκηνοῦντας.
7 তাকে পবিত্রগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ও তাদের পরাস্ত করার ক্ষমতা দেওয়া হল। আর সমস্ত গোষ্ঠী, জাতি, ভাষাভাষী ও দেশের উপরে তাকে কর্তৃত্ব দেওয়া হল।
καὶ ἐδόθη αὐτῷ ποιῆσαι πόλεμον μετὰ τῶν ἁγίων, καὶ νικῆσαι αὐτούς· καὶ ἐδόθη αὐτῷ ἐξουσία ἐπὶ πᾶσαν φυλὴν καὶ λαὸν καὶ γλῶσσαν καὶ ἔθνος.
8 এতে পৃথিবীর সমস্ত অধিবাসী সেই পশুর পূজা করবে। তাদের নাম জগৎ সৃষ্টির লগ্ন থেকে মেষশাবকের জীবনপুস্তকে লিখিত নেই।
Καὶ προσκυνήσουσιν αὐτὸν πάντες οἱ κατοικοῦντες ἐπὶ τῆς γῆς, οὗ οὐ γέγραπται τὸ ὄνομα αὐτοῦ ἐν τῷ βιβλίῳ τῆς ζωῆς τοῦ ἀρνίου τοῦ ἐσφαγμένου, ἀπὸ καταβολῆς κόσμου.
εἴ τις ἔχει οὖς, ἀκουσάτω.
10 যদি কেউ বন্দি হওয়ার জন্য নির্ধারিত, সে বন্দি হবে। যদি কেউ তরোয়ালের দ্বারা হত হওয়ার জন্য নির্ধারিত, সে তরোয়ালের দ্বারা হত হবে। এর অর্থ, পবিত্রজনেরা ধৈর্যের সঙ্গে নিপীড়ন সহ্য করবে ও বিশ্বস্ত থাকবে।
εἴ τις εἰς αἰχμαλωσίαν ὑπάγει· εἴ τις ἐν μαχαίρῃ ἀποκτενεῖ, δεῖ αὐτὸν ἐν μα χαίρῃ ἀποκτανθῆναι· ὧδέ ἐστιν ἡ ὑπομονὴ καὶ ἡ πίστις τῶν ἁγίων.
11 তারপর আমি অন্য একটি পশু দেখলাম, সে পৃথিবীর গর্ভ থেকে উঠে এল। তার ছিল মেষশাবকের মতো দুটি শিং, কিন্তু সে দানবের মতো কথা বলত।
Καὶ εἶδον ἄλλο θηρίον ἀναβαῖνον ἐκ τῆς γῆς, καὶ εἶχεν κέρατα δύο ὅμοια ἀρνίῳ, καὶ ἐλάλει ὡς δράκων.
12 সে ওই প্রথম পশুটির পক্ষে তার সমস্ত কর্তৃত্ব প্রয়োগ করল এবং যার মারাত্মক ক্ষত নিরাময় করা হয়েছিল, সেই প্রথম পশুটির পূজা করতে পৃথিবী ও তার অধিবাসীদের বাধ্য করল।
καὶ τὴν ἐξουσίαν τοῦ πρώτου θηρίου πᾶσαν ποιεῖ ἐνώπιον αὐτοῦ· καὶ ποιεῖ τὴν γῆν καὶ τοὺς ἐν αὐτῇ κατοικοῦντας ἵνα προσκυνήσουσιν τὸ θηρίον τὸ πρῶτον, οὗ ἐθεραπεύθη ἡ πληγὴ τοῦ θανάτου αὐτοῦ·
13 আর সে মহা অলৌকিক চিহ্নকাজ করতে লাগল, এমনকি, লোকদের চোখের সামনে মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে আগুন নামিয়ে আনল।
καὶ ποιεῖ σημεῖα μεγάλα, ἵνα καὶ πῦρ ποιῇ ἐκ τοῦ οὐρανοῦ καταβαίνειν εἰς τὴν γῆν ἐνώπιον τῶν ἀνθρώπων.
14 এভাবে প্রথম পশুর সামনে যেসব চিহ্নকাজ করার ক্ষমতা তাকে দেওয়া হয়েছিল তা দিয়ে সে পৃথিবীবাসীদের প্রতারণা করল। সেই পশুর সম্মানে সে তাদের একটি প্রতিমা স্থাপন করার আদেশ দিল; যে পশুকে তরোয়ালের দ্বারা আঘাত করলেও সে জীবিত ছিল।
καὶ πλανᾷ τοὺς κατοικοῦντας ἐπὶ τῆς γῆς, διὰ τὰ σημεῖα ἃ ἐδόθη αὐτῷ ποιῆσαι ἐνώπιον τοῦ θηρίου, λέγων τοῖς κατοικοῦσιν ἐπὶ τῆς γῆς, ποιῆσαι εἰκόνα τῷ θηρίῳ ὃς ἔχει τὴν πληγὴν τῆς μαχαίρης καὶ ἔζησεν.
15 তাকে ক্ষমতা দেওয়া হল যেন সে প্রথম পশুটির প্রতিমায় প্রাণবায়ু দিতে পারে ও সেই প্রতিমা কথা বলতে পারে। তখন সেই পশুর প্রতিমা আদেশ দিল যে, যারাই তাকে পূজা করতে অস্বীকার করে তাদের হত্যা করা হয়।
καὶ ἐδόθη αὐτῷ δοῦναι πνεῦμα τῇ εἰκόνι τοῦ θηρίου, ἵνα καὶ λαλήσῃ ἡ εἰκὼν τοῦ θηρίου, καὶ ποιήσῃ, ἵνα ὅσοι ἐὰν μὴ προσκυνήσωσιν τῇ εἰκόνι τοῦ θηρίου, ἀποκτανθῶσιν.
16 আর, সামান্য ও মহান, ধনী ও দরিদ্র, স্বাধীন ও ক্রীতদাস নির্বিশেষে সকলকে সে বাধ্য করল, যেন তারা তাদের ডান হাতে বা কপালে একটি ছাপ গ্রহণ করে,
καὶ ποιεῖ πάντας, τοὺς μικροὺς καὶ τοὺς μεγάλους, καὶ τοὺς πλουσίους καὶ τοὺς πτωχούς, καὶ τοὺς ἐλευθέρους καὶ τοὺς δούλους, ἵνα δῶσιν αὐτοῖς χάραγμα ἐπὶ τῆς χειρὸς αὐτῶν τῆς δεξιᾶς, ἢ ἐπὶ τὸ μέτωπον αὐτῶν,
17 যেন ওই ছাপ না থাকলে, কেউ কেনাবেচা করতে না পারে। সেই ছাপ ছিল ওই পশুর নাম বা তার নামের সংখ্যা।
καὶ ἵνα μήτις δύνηται ἀγοράσαι ἢ πωλῆσαι, εἰ μὴ ὁ ἔχων τὸ χάραγμα, τὸ ὄνομα τοῦ θηρίου, ἢ τὸν ἀριθμὸν τοῦ ὀνόματος αὐτοῦ.
18 এতে প্রজ্ঞার প্রয়োজন হয়। যদি কারও অন্তর্দৃষ্টি থাকে, সে ওই পশুর সংখ্যা গুনে নিক, কারণ তা ছিল মানুষের সংখ্যা। সেই সংখ্যাটি হল 666।
Ὧδε ἡ σοφία ἐστίν. ὁ ἔχων νοῦν, ψηφισάτω τὸν ἀριθμὸν τοῦ θηρίου· ἀριθμὸς γὰρ ἀνθρώπου ἐστίν, καὶ ὁ ἀριθμὸς αὐτοῦ ἐστὶν χξϛʹ.