< গীতসংহিতা 89 >

1 ইষ্রাহীয় এথনের মস্কীল। আমি চিরকাল সদাপ্রভুর মহান প্রেমের গান গাইব; আমার মুখ দিয়ে আমি তোমার বিশ্বস্ততার কথা সব বংশপরম্পরার কাছে প্রকাশ করব।
ইস্রাহীয় এথনের মস্কীল। আমি চিরকাল সদাপ্রভুুর নিয়মের বিশ্বস্ততার কাজের গান গাব, আমি মুখে তোমার বিশ্বস্ততা আগামী প্রজন্মের কাছে প্রচার করব।
2 আমি ঘোষণা করব যে তোমার প্রেম চিরকাল সুদৃঢ়, তোমার বিশ্বস্ততা তুমি স্বর্গে প্রতিষ্ঠা করেছ।
কারণ আমি বলেছি, “নিয়মের বিশ্বস্ততা চিরদিনের র জন্য স্থাপিত হয়েছে, তুমি তোমার বিশ্বস্ততাকে স্বর্গে স্থাপন করেছ।”
3 তুমি বলেছ, “আমি আমার মনোনীত ব্যক্তির সঙ্গে নিয়ম করেছি, আমার দাস দাউদের কাছে আমি শপথ করেছি,
আমি আমার মনোনীতদের সঙ্গে নিয়ম করেছি, আমি আমার দাস দায়ূদের কাছে শপথ করেছি৷
4 ‘আমি তোমার বংশ চিরতরে স্থাপন করব এবং বংশের পর বংশ তোমার সিংহাসন সুদৃঢ় করব।’”
আমি তোমার বংশধরদের চিরকালের জন্য স্থাপন করব এবং আমি বংশপরম্পরায় তোমার সিংহাসন স্থাপন করব।
5 হে সদাপ্রভু, আকাশমণ্ডল তোমার আশ্চর্য কাজের প্রশংসা করে, পবিত্রজনদের সমাবেশে তোমার বিশ্বস্ততার প্রশংসা করে।
হে সদাপ্রভুু, স্বর্গ তোমার আশ্চর্য্য কাজের প্রশংসা করে, পবিত্রদের সমাজে তোমার বিশ্বস্ততা প্রশংসনীয়।
6 কারণ, হে সদাপ্রভু, আকাশের কার সঙ্গে তোমার তুলনা হয়? স্বর্গীয় সব সত্তার মধ্যে কে সদাপ্রভুর তুল্য?
কারণ আকাশে সদাপ্রভুুর সঙ্গে কার তুলনা করা যেতে পারে? দেবতাদের পুত্রদের মধ্যেই বা কে সদাপ্রভুুর সমান?
7 পবিত্রজনদের পরিষদে সব তাঁকে সম্ভ্রম করে; যারা তাঁকে চারিদিকে ঘিরে রেখেছে তিনি তাদের থেকেও ভয়াবহ।
তিনিই সেই ঈশ্বর যিনি পবিত্রদের সভাতে অতি সম্মানীয় এবং তাঁর বেষ্টনকারীদের থেকে অতি ভয়াবহ।
8 হে সদাপ্রভু, সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, কে তোমার মতো? তুমি, হে সদাপ্রভু, শক্তিশালী, তোমার বিশ্বস্ততা তোমাকে ঘিরে রেখেছে।
হে সদাপ্রভুু, বাহিনীগনের ঈশ্বর। হে সদাপ্রভুু, তোমার মত শক্তিশালী আর কে আছে? তোমার বিশ্বস্ততা তোমার চারিদিকে অবস্থিত।
9 তুমি উত্তাল সমুদ্রের উপর শাসন করো; যখন তার ঢেউ উঁচুতে ওঠে, তুমি তাদের শান্ত করে থাকো।
তুমি গর্জনকারী সমুদ্রের উপরে কর্তৃত্ব করো, যখন তার ঢেউ প্রচণ্ড হয়ে ওঠে তুমি তা শান্ত করে থাক।
10 তুমি রহবকে চূর্ণ করে এক হত ব্যক্তির সমান করলে; তোমার শক্তিশালী বাহু দিয়ে তুমি তোমার শত্রুদের ছিন্নভিন্ন করলে।
১০তুমিই রাহবকে চূর্ণ করে মৃত ব্যক্তির সমান করেছ। তুমি তোমার শক্তিশালী বাহু দিয়ে তোমার শত্রুদেরকে ছিন্নভিন্ন করেছ।
11 আকাশমণ্ডল তোমার, এই জগৎও তোমার; পৃথিবী ও তার মধ্যে যা কিছু আছে সমস্ত তোমারই সৃষ্টি।
১১আকাশমণ্ডল তোমার এবং পৃথিবীও তোমার; তুমি পৃথিবী এবং তার ভিতরের সমস্ত বস্তু সৃষ্টি করেছ।
12 তুমি উত্তর ও দক্ষিণ সৃষ্টি করেছ; তাবোর ও হর্মোণ তোমার নামে আনন্দগান করে।
১২তুমিই উত্তর এবং দক্ষিণে দিকের সৃষ্টি করেছ। তাবোর ও হর্ম্মোন তোমার নামে উল্লাস করে।
13 তোমার বাহু পরাক্রমে পূর্ণ; তোমার হাত বলবান, তোমার ডান হাত মহিমান্বিত।
১৩তোমার বাহু শক্তিশালী এবং তোমার হাত শক্তিমান ও তোমার ডান হাত উঁচু।
14 ধার্মিকতা আর ন্যায় তোমার সিংহাসনের ভিত্তি; প্রেম আর বিশ্বস্ততা তোমার সম্মুখবর্তী হয়।
১৪ধার্ম্মিকতা ও ন্যায় বিচার তোমার সিংহাসনের ভিত্তিমূল। নিয়মের বিশ্বস্ততা ও সত্যতা তোমার সামনে উপস্থিত হয়।
15 ধন্য তারা যারা তোমার জয়ধ্বনি করতে শিখেছে, যারা তোমার সান্নিধ্যের আলোতে চলাফেরা করে, হে সদাপ্রভু।
১৫ধন্য সেই লোকেরা যারা তোমার আরাধনা করে! হে সদাপ্রভুু, তারা তোমার মুখের দীপ্তিতে যাতায়াত করে।
16 সারাদিন তারা তোমার নামে আনন্দ করে; তোমার ধর্মশীলতায় উল্লাস করে।
১৬তারা সমস্ত দিন ধরে তোমার নামে উল্লাস করে এবং তারা তোমার ধার্ম্মিকতায় তোমাকে মহিমান্বিত করে।
17 কারণ তুমি তাদের মহিমা আর শক্তি, আর তোমার অনুগ্রহে তুমি আমাদের শিং বলশালী করেছ।
১৭তুমিই তাদের শক্তির শোভা এবং তোমার অনুগ্রহে আমরা বিজয়ী হই।
18 প্রকৃতপক্ষে, আমাদের সুরক্ষা সদাপ্রভু থেকে আসে, এবং তিনি, ইস্রায়েলের পবিত্রতম, আমাদেরকে রাজা দিয়েছেন।
১৮কারণ আমাদের ঢাল সদাপ্রভুুরই, আমাদের রাজা, ইস্রায়েলের পবিত্রতম।
19 একবার তুমি দর্শনে কথা বলেছিলে, তোমার ভক্তজনদের প্রতি তুমি বলেছিলে: “আমি এক যোদ্ধাকে শক্তি দিয়েছি; মানুষের মধ্যে থেকে আমি এক যুবককে রাজা হিসেবে মনোনীত করেছি।
১৯অনেক দিন আগে তুমি তোমার বিশ্বস্ত জনের সঙ্গে দর্শনের মধ্য দিয়ে কথা বলেছিলে; তুমি বলেছিলে, “আমি বীরকে মুকুট পরিয়েছি; আমি প্রজাদের মধ্যে থেকে মনোনীত এক জনকে উঠিয়েছি।”
20 আমার দাস দাউদকে আমি খুঁজে পেয়েছি; আমার পবিত্র তেল দিয়ে আমি তাকে অভিষিক্ত করেছি।
২০আমি আমার দাস দায়ূদকে মনোনীত করেছি, আমার পবিত্র তেল দিয়ে তাকে অভিষিক্ত করেছি।
21 আমার হাত তার প্রাণ বাঁচিয়ে রাখবে; নিশ্চয় আমার বাহু তাকে শক্তি দেবে।
২১আমার হাত তাকে সাহায্য করবে, আমার বাহু তাকে শক্তিশালী করবে।
22 কোনো শত্রু তাকে পরাজিত করবে না; কোনো দুষ্ট তাকে নির্যাতন করবে না।
২২কোনো শত্রুই তার সঙ্গে প্রতারণা করবে না, দুষ্টতার সন্তান তাকে কষ্ট দেবে না।
23 তার সামনে আমি তার বিপক্ষদের চূর্ণ করব আর তার প্রতিপক্ষদের আঘাত করব।
২৩আমি তার শত্রুদের তার সামনে চূর্ণ করব; যারা তাকে ঘৃণা করবে আমি তাদের ধ্বংস করব।
24 আমার বিশ্বস্ত প্রেম তার সঙ্গে রইবে, আর আমার নামের মধ্য দিয়ে তার শিং গৌরবান্বিত হবে।
২৪আমার সত্য ও নিয়মের বিশ্বস্ততা তার সঙ্গে থাকবে; আমার নামে সে বিজয়ী হবে।
25 সমুদ্রের উপরে আমি তার শাসন প্রসারিত করব, তার আধিপত্য নদীর উপরে।
২৫আমি তার হাত সমুদ্রের উপরে স্থাপন করব এবং তার ডান হাত সমস্ত নদীদের উপরে থাকবে।
26 সে আমাকে ডেকে বলবে, ‘তুমি আমার পিতা, আমার ঈশ্বর, শৈল আমার উদ্ধারকর্তা।’
২৬সে আমাকে ডেকে বলবে, তুমি আমার পিতা, আমার ঈশ্বর এবং আমার পরিত্রানের শৈল।
27 এবং আমি তাকে প্রথমজাতরূপে মনোনীত করব, জগতের বুকে সবচেয়ে পরাক্রমী রাজা।
২৭আমিও তাকে আমার প্রথম জাত সন্তান করব, পৃথিবীর সমস্ত রাজাদের থেকে মহান করে নিযুক্ত করব।
28 আমি চিরদিন তাকে ভালোবাসবো আর তার প্রতি দয়া করব, এবং তার প্রতি আমার নিয়ম কোনোদিন ব্যর্থ হবে না।
২৮আমি তার প্রতি আমার নিয়মের বিশ্বস্ততা চিরকালের জন্য বৃদ্ধি করব এবং তার সঙ্গে আমার নিয়ম দৃঢ় করব।
29 আমি তার বংশ চিরস্থায়ী করব, আকাশমণ্ডলের মতো তার সিংহাসন স্থায়ী করব।
২৯আমি তার বংশকে চিরকালের জন্য স্থায়ী করব এবং তার সিংহাসন আকাশের আয়ুর মত করব।
30 “যদি তার সন্তানেরা আমার বিধিনিয়ম পরিত্যাগ করে আর আমার অনুশাসন পালন না করে,
৩০যদি তার সন্তানেরা আমার ব্যবস্থা ত্যাগ করে এবং আমার শাসনের অবাধ্য হয়;
31 তারা যদি আমার আজ্ঞা লঙ্ঘন করে আর যদি আমার আদেশ পালনে ব্যর্থ হয়,
৩১যদি তারা আমার বিধিগুলি লঙ্ঘন করে এবং আমার ন্যায় বিধান পালন না করে;
32 আমি দণ্ড দিয়ে তাদের পাপের শাস্তি দেবো, তাদের অপরাধের জন্য চাবুক মারব;
৩২তবে আমি তাদের অবাধ্যতার জন্য লাঠি দিয়ে তাদের শাস্তি দেব এবং তাদের পাপের জন্য আঘাত করব;
33 কিন্তু আমার প্রেম আমি তার কাছ থেকে সরিয়ে নেব না, এবং আমি আমার বিশ্বস্ততা কখনও ভঙ্গ করব না।
৩৩কিন্তু আমি তার থেকে আমার নিয়মের বিশ্বস্ততা কখনো সরিয়ে নেব না, বা আমার প্রতিজ্ঞার প্রতি অবিশ্বস্ত হব না।
34 আমি আমার নিয়ম লঙ্ঘন করব না অথবা আমার মুখ যা উচ্চারণ করেছে তা পরিবর্তন করব না।
৩৪আমি আমার নিয়ম ভঙ্গ করব না, বা, আমার মুখের বাক্য পরিবর্তন করব না।
35 আমার পবিত্রতায় আমি একবারই শপথ করেছি— আর আমি দাউদকে মিথ্যা বলব না—
৩৫আমি আমার পবিত্রতায় একবার শপথ করেছি, দায়ূদের কাছে কখনও মিথ্যা বলব না।
36 যে তার বংশ চিরস্থায়ী হবে এবং তার সিংহাসন আমার সামনে সূর্যের মতো স্থির রইবে
৩৬তার বংশ চিরকাল থাকবে এবং তার সিংহাসন আমার সামনে সূর্য্যের মত হবে।
37 আকাশে বিশ্বস্ত সাক্ষী চন্দ্রের মতো চিরকাল তা প্রতিষ্ঠিত হবে।”
৩৭তা চাঁদের মত চিরকাল স্থির থাকবে; আকাশের বিশ্বস্ত সাক্ষী। সেলা৷
38 কিন্তু তুমি তাকে পরিত্যাগ করেছ, তুমি তাকে দূর করেছ, তোমার অভিষিক্ত ব্যক্তির প্রতি তুমি অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হয়েছ।
৩৮কিন্তু তুমিই অস্বীকার ও পরিত্যাগ করেছ, তুমিই তোমার অভিষিক্ত রাজার প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছ।
39 তোমার দাসের সঙ্গে স্থাপিত তোমার নিয়ম তুমি অস্বীকার করেছ এবং তার মুকুট তুমি ধুলোতে মিশিয়ে অপবিত্র করেছ।
৩৯তুমি তোমার দাসের নিয়ম অস্বীকার করেছ, তুমি তার মুকুট মাটিতে ফেলে অশুচি করেছ।
40 তার সুরক্ষার সব প্রাচীর তুমি ভেঙে দিয়েছ এবং দুর্গ ধ্বংসাবশেষে পরিণত করেছ।
৪০তুমি তার সমস্ত দেওয়াল ভেঙে ফেলেছ৷ তুমি তার সমস্ত দূর্গগুলি ধ্বংস করেছ।
41 সব পথিকেরা তাকে লুট করেছে; সে তার প্রতিবেশীর অবজ্ঞার বস্তু হয়েছে।
৪১পথিকেরা সবাই তাকে লুট করেছে; সে তার প্রতিবেশীদের তিরস্কারের পাত্র হয়েছে।
42 তুমি তার বিপক্ষদের শক্তিশালী করেছ; তুমি তার সব শত্রুকে আনন্দিত করেছ।
৪২তুমি তার শত্রুদের ডান হাত তুলেছ, তুমি তার সমস্ত শত্রুদেরকে আনন্দিত করেছ।
43 বস্তুত, তুমি তার তরোয়ালের ধার নষ্ট করেছ আর যুদ্ধে তাকে সাহায্য করতে অস্বীকার করেছ।
৪৩তুমি তার তরোয়ালের ধার ফিরিয়ে দিয়েছ এবং যুদ্ধে তাকে দাঁড়াতে দাও নি।
44 তুমি তার প্রভা শেষ করেছ এবং তার সিংহাসন মাটিতে নিক্ষেপ করেছ।
৪৪তুমি তার প্রতাপ শেষ করেছ, তার সিংহাসনকে মাটিতে নিক্ষেপ করেছ।
45 তুমি তার যৌবনকাল সংক্ষিপ্ত করেছ; তুমি তাকে লজ্জার আচ্ছাদনে আবৃত করেছ।
৪৫তুমি তার যৌবনকাল সংক্ষিপ্ত করেছ৷ তুমি তাকে লজ্জায় আচ্ছন্ন করেছ।
46 হে সদাপ্রভু, কত কাল? তুমি কি চিরকাল নিজেকে লুকিয়ে রাখবে? কত কাল তোমার ক্রোধ আগুনের মতো জ্বলবে?
৪৬হে সদাপ্রভুু, কতকাল? তুমি নিজেকে চিরকাল লুকিয়ে রাখবে? আর কত দিন তোমার ক্রোধ আগুনের মত জ্বলবে?
47 মনে রেখো আমার জীবন কত স্বল্পস্থায়ী। কত শূন্য ও ব্যর্থ এই মানবজীবন!
৪৭স্মরণ কর, আমার দিন কত অল্প এবং তুমি মানবসন্তানদেরকে অসারতার জন্য সৃষ্টি করেছ।
48 কে জীবিত থাকবে অথচ মৃত্যু দেখবে না, অথবা কে পাতালের কবল থেকে পালাতে পারে? (Sheol h7585)
৪৮কে জীবিত থাকবে, মৃত্যু দেখবে না, বা, কে তার নিজের প্রাণকে পাতালের শক্তি থেকে মুক্ত করতে পারে? (Sheol h7585)
49 হে প্রভু, তোমার পূর্বকালীন মহান প্রেম কোথায়? তুমি বিশ্বস্ততায় দাউদের প্রতি যে শপথ করেছিলে।
৪৯হে প্রভু, তোমার সেই পূর্বের নিয়মের বিশ্বস্ততা যা তুমি তোমার বিশ্বস্ততায় দায়ূদের কাছে শপথ করেছিলে।
50 মনে রেখো, প্রভু, কীভাবে তোমার দাস অবজ্ঞার পাত্র হয়েছে, কীভাবে আমি সব জাতির উপহাস নিজের হৃদয়ে সহ্য করি,
৫০হে প্রভু, তোমার দাসের প্রতি যে তিরস্কার করা হয়েছে তা স্মরণ করো এবং জাতিদের কাছ থেকে পাওয়া অপমান আমি আমার হৃদয়ে বহন করি।
51 হে সদাপ্রভু, যেসব উপহাস নিয়ে তোমার শত্রুরা আমাকে বিদ্রুপ করেছে, সেসব দিয়ে তারা তোমার অভিষিক্ত ব্যক্তির প্রতিটি পদক্ষেপকে বিদ্রুপ করেছে।
৫১হে সদাপ্রভুু, তোমার শত্রুরা তিরস্কার করেছে, তারা তোমার অভিষিক্তের পদ চিহ্নকে তিরস্কার করেছে।
52 চিরকাল সদাপ্রভুর প্রশংসা হোক!
৫২ধন্য সদাপ্রভুু, চিরকালের জন্য। আমেন, আমেন।

< গীতসংহিতা 89 >