< গীতসংহিতা 74 >

1 আসফের মস্কীল। হে ঈশ্বর কেন তুমি আমাদের চিরকালের জন্য পরিত্যাগ করেছ? তোমার চারণভূমির মেষদের প্রতি কেন তোমার ক্রোধ জ্বলে ওঠে?
আসফের মস্কীল। হে ঈশ্বর তুমি কেন চিরদিনের র জন্য ত্যাগ করেছ? কেন চরানির মেষদের বিরুদ্ধে তোমার রাগের আগুন জ্বলছে?
2 তুমি সেই জাতিকে মনে রেখো, যাদের তুমি প্রাচীনকালে কিনেছ, তোমার অধিকারের লোকেদের, যাদের তুমি মুক্ত করেছ— সিয়োন পর্বত, যেখানে তুমি বসবাস করেছিলে।
তোমার লোকেদেরকে মনে কর, যাকে তুমি অতীতকালে মুক্ত করেছিলে, যাকে তুমি কিনেছিলে তোমার অধিকারের বংশ করবার জন্য এবং সিয়োন পর্বত যেখানে তুমি থাক।
3 চিরস্থায়ী এই ধ্বংসের দিকে তুমি এবার পা বাড়াও, দেখো, শত্রুরা পবিত্রস্থানে কেমন ধ্বংস নিয়ে এসেছে।
ফিরে এসো সম্পূর্ণ ধ্বংসের মধ্যে, সব ক্ষতি হয়েছে যা শত্রুরা ধর্মধামে এসব করেছে।
4 তোমার বিপক্ষেরা সেই স্থানে গর্জন করল যেখানে তুমি আমাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলে; তারা তাদের যুদ্ধের মানদণ্ড নিদর্শনরূপে স্থাপন করল।
তোমার বিপক্ষরা তোমার ধর্মধামের মধ্যে গর্জন করেছে; তারা তাদের যুদ্ধের পতাকা স্থাপন করেছে।
5 তারা এমন মানুষের মতো আচরণ করল যারা ঘন বনজঙ্গল কুড়ুল দিয়ে শাসন করে।
তারা কুঠার দিয়ে গভীর ক্ষত করল যেমন গভীর বনে করা হয়
6 কুড়ুল ও হাতুড়ি দিয়ে তারা সেইসব খাঁজকাটা কাজ ধ্বংস করল।
তারা সেখানকার সব শিল্পের কাজ কুঠার ও হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে ফেলল।
7 তারা তোমার পবিত্রস্থান পুড়িয়ে ধুলোতে মিলিয়ে দিল; তোমার নামের আবাসস্থল অশুচি করল।
তারা তোমার ধর্মধামে আগুন লাগিয়ে দিল, তারা অপবিত্র করল যেখানে তুমি থাক ভেঙে মাটিতে মিশিয়ে দিলো।
8 তারা নিজেদের হৃদয়ে বলল, “আমরা তাদের সম্পূর্ণরূপে চূর্ণ করব!” দেশের যে স্থানে ঈশ্বরের আরাধনা হত সেইসব স্থান তারা পুড়িয়ে দিল।
তারা মনে মনে বলল, “আমরা তাদেরকে ধ্বংস করব,” তারা দেশের মধ্যে ঈশ্বরের সব সমাগমের জায়গা পুড়িয়ে দিয়েছে।
9 ঈশ্বরের কাছ থেকে আমাদের কোনো নিদর্শন দেওয়া হয়নি; কোনো ভাববাদী আর বেঁচে নেই, আর আমাদের কেউ জানে না এসব কতকালের জন্য।
আমরা আমাদের দেখতে পাইনা আর কোনো ঈশ্বরের চিহ্ন কোনো ভাববাদী আর নাই; আমাদের কেউ জানে না, কত দিন আর অবশিষ্ট থাকবে।
10 হে ঈশ্বর, আর কত কাল শত্রুরা তোমাকে উপহাস করবে? তারা কি চিরকাল তোমার নামের অসম্মান করবে?
১০কতদিন ঈশ্বর, শত্রুরা অপমান করবে? শত্রুরা কি চিরকাল তোমার নাম তুচ্ছ করবে?
11 কেন তুমি তোমার শক্তিশালী ডান হাত আটকে রেখেছ? তা তোমার পোশাকের ভিতর থেকে বের করে শত্রুদের ধ্বংস করো!
১১তুমি তোমার হাত কেন ফিরিয়ে নিলে, তোমার ডান হাত, তোমার পোশাক থেকে ডান হাত বার কর এবং তাদেরকে ধ্বংস কর।
12 কিন্তু ঈশ্বর বহুকাল থেকেই আমার রাজা তিনি জগতে পরিত্রাণ নিয়ে আসেন।
১২তবুও ঈশ্বর পুরাকাল থেকে আমার রাজা, পৃথিবীর মধ্যে পরিত্রান কর্তা।
13 তুমি তোমার শক্তি দিয়ে সমুদ্র দুভাগে ভাগ করেছ; আর সামুদ্রিক দৈত্যের মাথাগুলি পিষে দিয়েছ।
১৩তুমি নিজের পরাক্রমে সমুদ্রকে ভাগ করেছিলে, তুমি জলে সমুদ্রের দৈত্যদের মাথা ভেঙে দিয়েছিলে।
14 তুমিই লিবিয়াথনের মাথাগুলি চূর্ণ করেছ আর মরুভূমির জন্তুদের তা খাবার জন্য দিয়েছ।
১৪তুমিই লিবিয়াথনের মাথা চূর্ণ করেছিলে, প্রান্তরের সমস্ত জীবিত প্রানীদের গ্রাস করেছিলে।
15 তুমি ঝরনা আর জলপ্রবাহ খুলে দিয়েছ; চিরকাল বয়ে যাওয়া নদীকে তুমি শুকনো করেছ।
১৫তুমি ঝরনা এবং নদী জন্য পথ করে ছিলে, তুমি বয়ে যাওয়া নদী শুকিয়ে দিয়েছিলে।
16 দিন তোমার এবং রাতও তোমার তুমি সূর্য আর চাঁদ সৃষ্টি করেছ।
১৬দিন তোমার, রাতও তোমার; তুমি স্থাপন করেছ সূর্য্য এবং চন্দ্র।
17 তুমি জগতের সমস্ত প্রান্তসীমা নির্ণয় করেছ; তুমি গ্রীষ্মকাল আর শীতকাল উভয় তৈরি করেছ।
১৭তুমিই পৃথিবীর সমস্ত সীমা স্থাপন করেছ; তুমি গ্রীষ্মকাল ও শীতকাল করেছ।
18 হে সদাপ্রভু, মনে রেখো, শত্রুরা কেমন তোমাকে উপহাস করেছে, মূর্খ লোকেরা কীভাবে তোমার নামের অসম্মান করেছে।
১৮মনে কর, কেমন করে শত্রু তোমাকে অপমান করেছে সদাপ্রভু এবং নির্বোধ লোকেরা তোমার নাম তুচ্ছ করেছে।
19 তোমার ঘুঘুর প্রাণ বন্যপশুর হাতে তুলে দিয়ো না; চিরকালের জন্য তোমার পীড়িত লোকেদের জীবন ভুলে যেয়ো না।
১৯তোমার ঘুঘুর প্রাণ বন্য পশুকে দিও না; তোমার দুঃখীদের জীবন চিরতরে ভুলো না।
20 তোমার নিয়মের প্রতিশ্রুতি মনে রেখো, কেননা পৃথিবী অন্ধকার আর অত্যাচারে পরিপূর্ণ।
২০সেই নিয়ম মনে রাখ; কারণ পৃথিবীর অন্ধকারময় জায়গা সব অত্যাচারের বসতিতে পূর্ণ।
21 পীড়িত ব্যক্তি যেন লজ্জিত হয়ে ফিরে না যায়; দরিদ্র আর অভাবী তোমার নামের প্রশংসা করুক।
২১উৎপীড়িত ব্যক্তি যেন লজ্জিত হয়ে ফিরে না যায়; দুঃখী এবং গরিবরা তোমার নামের প্রশংসা করুক।
22 হে ঈশ্বর, ওঠো, তোমার উদ্দেশ্য রক্ষা করো; মনে রেখো, সারাদিন মূর্খরা কীভাবে তোমাকে উপহাস করে।
২২উঠ, হে ঈশ্বর, তোমার সুনাম রক্ষা কর; মনে কর, সারা দিন বোকারা তোমাকে কেমন অপমান করে।
23 তোমার প্রতিপক্ষদের চিৎকার উপেক্ষা কোরো না; তোমার শত্রুদের শোরগোল, যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পায়।
২৩ভুলে যেও না তোমার বিপক্ষদের রব বা তাদের গর্জন যারা প্রতিনিয়ত তোমাকে তুচ্ছ করে।

< গীতসংহিতা 74 >