গীতসংহিতা 73
1 আসফের গীত। নিশ্চয়, ঈশ্বর ইস্রায়েলের পক্ষে মঙ্গলময়, যারা হৃদয়ে শুদ্ধ তাদের পক্ষে।
১আসফের সঙ্গীত। সত্যিই ঈশ্বর, ইস্রায়েলের পক্ষে মঙ্গলময়, তাদের পক্ষে যাদের হৃদয় বিশুদ্ধ।
2 কিন্তু আমার পা প্রায় পিছলে গিয়েছিল; আমার পা রাখার জায়গা আমি প্রায় হারিয়েছিলাম।
২কিন্তু আমার পা প্রায় টলে গিয়েছিল; আমার পা প্রায় পিছলিয়ে গিয়েছিল।
3 আমি যখন দুষ্টদের সমৃদ্ধি দেখলাম, তখন দাম্ভিকের প্রতি ঈর্ষা করলাম।
৩কারণ আমি অহঙ্কারীদের প্রতি হিংসা করেছিলাম, যখন আমি অধার্মিকের বৃদ্ধি দেখলাম।
4 তাদের জীবনে কোনো কষ্ট নেই; তাদের শরীর সুস্থ আর শক্তিশালী।
৪কারণ তাদের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তারা যন্ত্রণা পায় না, কিন্তু তারা শক্তিশালী ও খাদ্যে তৃপ্ত।
5 মানুষের সাধারণ বোঝা থেকে তারা মুক্ত; মানবিক সমস্যার দ্বারা তারা জর্জরিত হয় না।
৫তারা অন্যান্য লোকদের বোঝা থেকে মুক্ত; তারা অন্যান্য লোকেদের মত কষ্ট পায়না।
6 সেইজন্য অহংকার তাদের গলার হার; তারা হিংসায় নিজেদের আবৃত করে।
৬অহঙ্কার তাদের গলার হারের মত, হিংসা তাদের পোশাকের মত।
7 তাদের অনুভূতিহীন হৃদয় থেকে অন্যায় বেরিয়ে আসে; তাদের দুষ্ট কল্পনার কোনো সীমা নেই।
৭এই ধরনের অবিবেচনা থেকে পাপ উপস্থিত হয়, তাদের হৃদয় থেকে মন্দ চিন্তা বের হয়।
8 তারা উপহাস করে, আক্রোশে কথা বলে; দাম্ভিকতায় তারা অত্যাচারের হুমকি দেয়।
৮তারা বিদ্রুপ করে মন্দ কথা বলে, তারা গর্বের সঙ্গে হিংসার কথা বলে।
9 তাদের মুখ স্বর্গের বিরুদ্ধে গর্ব করে, আর তাদের জিভ জগতের অধিকার নেয়।
৯তারা স্বর্গের বিরুদ্ধে কথা বলে এবং তাদের জিভ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণে করে।
10 সেইজন্য তাদের লোকেরা তাদের দিকে ফেরে আর প্রচুর জলপান করে।
১০এই জন্য ঈশ্বরের লোকেরা তাদের দিকে ফেরে এবং তারা তাদের মধ্যে কোনো দোষ পায় না।
11 তারা বলে, “ঈশ্বর কীভাবে জানবে? পরাৎপর কি কিছু জানে?”
১১তারা বলে, “ঈশ্বর কি করে জানতে পারবেন? কি ঘটছে সেই বিষয়ে কি ঈশ্বর জানেন?”
12 দুষ্ট লোকেদের দিকে দেখো— সর্বদা তারা আরামে জীবনযাপন করে আর তাদের ধনসম্পত্তি বৃদ্ধি পায়।
১২দেখ এরাই অধার্ম্মিক, এরা চিরকাল নিশ্চিন্তে থেকে সম্পত্তি বৃদ্ধি করছে।
13 বৃথাই আমি আমার হৃদয় বিশুদ্ধ রেখেছি আর সরলতায় আমার হাত পরিষ্কার করেছি।
১৩নিশ্চয় আমি বৃথাই আমার হৃদয় পরিষ্কার করেছি এবং নিষ্কলঙ্কতায় আমার হাত ধুয়েছি।
14 সারাদিন ধরে আমি পীড়িত হয়েছি, আর প্রতিটি সকাল নতুন শাস্তি নিয়ে এসেছে।
১৪কারণ আমি সমস্ত দিন ধরে আহত হয়েছি এবং প্রতি সকালে শাস্তি পেয়েছি।
15 যদি আমি এভাবে অপরদের প্রতি কথা বলতাম, তোমার ছেলেমেয়েদের প্রতি আমি বিশ্বাসঘাতকতা করতাম।
১৫যদি আমি বলতাম, “আমি এই বিষয়ে বলব,” তবে আমি, তোমার সন্তানদের বংশের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করতাম।
16 যখন আমি এসব বোঝার চেষ্টা করলাম, তা আমাকে গভীর কষ্ট দিল
১৬যদিও আমি এই বিষয়ে বোঝার চেষ্টা করলাম, কিন্তু তা আমার জন্য খুবই কঠিন বিষয় ছিল,
17 যতক্ষণ না পর্যন্ত আমি ঈশ্বরের পবিত্রস্থানে প্রবেশ করলাম; তখন আমি তাদের শেষ পরিণতি বুঝতে পারলাম।
১৭তখন আমি ঈশ্বরের পবিত্র স্থানে প্রবেশ করলাম এবং তাদের ভবিষ্যতের বিষয়ে বুঝতে পারলাম।
18 নিশ্চয়ই তুমি তাদের পিচ্ছিল জমিতে রেখেছ; তুমি তাদের বিনাশের উদ্দেশে নিক্ষেপ করেছ।
১৮তুমি নিশ্চই তাদেরকে পিছল জায়গায় রাখবে; তুমি তাদেরকে ধ্বংসে নামিয়ে নিয়ে আসছ।
19 হঠাৎ তারা ধ্বংস হয়, সন্ত্রাসে সম্পূর্ণ ধুয়ে মুছে যায়!
১৯তারা এক নিমেষের মধ্যে কিভাবে মরুপ্রান্তে পরিণত হয়! তারা শেষ মুহূর্তে উপস্থিত হয় এবং বিভিন্ন ত্রাসে কেমন ধ্বংস হয়।
20 ঘুম ভাঙলে যেমন স্বপ্ন তুচ্ছ হয়; তেমনি, হে প্রভু, তুমি জেগে উঠলে তাদের কল্পনাকে তুচ্ছ করবে।
২০স্বপ্ন থেকে যেমন একজন জেগে ওঠে তারা ঠিক তেমন; তেমনি হে প্রভু, তুমি যখন জেগে উঠবে তুমিও সেই স্বপ্নের বিষয়ে আর কিছু চিন্তা করবে না।
21 যখন আমার হৃদয় ক্ষুণ্ণ হয়েছিল আর আমার আত্মা তিক্ত হয়েছিল,
২১কারণ আমার হৃদয় দুঃখীত হল এবং আমি গভীরভাবে আহত হয়েছি;
22 আমি অচেতন আর অজ্ঞ ছিলাম; তোমার সামনে আমি নিষ্ঠুর বন্যপশু ছিলাম।
২২আমি মূর্খ ও অজ্ঞান, আমি তোমার কাছে পশুর মত অসার ছিলাম।
23 তবুও আমি সর্বদা তোমার সঙ্গে আছি; তুমি আমার ডান হাত ধরে রেখেছ।
২৩কিন্তু আমি সব দিন তোমার সঙ্গে সঙ্গে আছি; তুমি আমার ডান হাত ধরে রেখেছ।
24 তোমার উপদেশে তুমি আমাকে পথ দেখাবে, এবং অবশেষে আমাকে মহিমায় নিয়ে যাবে।
২৪তুমি তোমার উপদেশে আমাকে পরিচালনা করবে এবং শেষে আমাকে মহিমায় গ্রহণ করবে।
25 তুমি ছাড়া স্বর্গে আমার আর কে আছে? তুমি ছাড়া জগতে আর কিছুই আমি কামনা করি না।
২৫কিন্তু তুমি ছাড়া স্বর্গে আমার আর কে আছে? পৃথিবীতে তোমাকে ছাড়া পৃথিবীতে আমি আর কোন কিছুর বাসনা করি না।
26 আমার মাংস আর আমার অন্তর ব্যর্থ হতে পারে, কিন্তু ঈশ্বর আমার হৃদয়ের শক্তি আর আমার চিরকালের উত্তরাধিকার।
২৬আমার দেহ ও আমার হৃদয় ক্ষয় হচ্ছে, কিন্তু ঈশ্বর চিরকালের জন্য আমার হৃদয়ের শক্তি ও আমার অধিকার।
27 যারা তোমার থেকে দূরবর্তী তারা বিনষ্ট হবে; যারা তোমার প্রতি অবিশ্বস্ত তাদের সবাইকে তুমি ধ্বংস করবে।
২৭যারা তোমার থেকে দূরে থাকে, তারা ধ্বংস হবে; যারা তোমার প্রতি অবিশ্বস্ত তুমি তাদের ধ্বংস করবে।
28 কিন্তু ঈশ্বরের কাছে থাকা আমার জন্য ভালো। সার্বভৌম সদাপ্রভুকে আমি আমার আশ্রয় করেছি; আমি তোমার সমস্ত কাজের প্রচার করব।
২৮কিন্তু আমার যা করা উচিত তা হল ঈশ্বরের কাছে নিজেকে নিয়ে যাওয়া। আমি প্রভু সদাপ্রভুুকে আমার দূর্গ স্বরূপ বানিয়েছি, আমি তোমার সমস্ত কাজের বিষয়ে বর্ণনা করব।
