< গীতসংহিতা 104 >

1 হে আমার প্রাণ, সদাপ্রভুর প্রশংসা করো। হে আমার ঈশ্বর সদাপ্রভু, তুমি কত মহান; তুমি প্রভা আর পরাক্রমে ভূষিত।
মহিমান্বিত কর সদাপ্রভুুর, আমার আত্মা। সদাপ্রভুু আমার ঈশ্বর, তুমি খুব মহৎ; তুমি জাঁকজমক এবং মহত্বের পোশাক পড়ে।
2 তিনি আলোর পোশাকে সজ্জিত; তিনি আকাশমণ্ডল তাঁবুর মতো প্রসারিত করেন
তুমি তোমাকে আলোয় ঢেকে রেখেছো যেন একটা পোশাক পরে আছো; তুমি আকাশমণ্ডলকে আলো দিয়ে বিস্তার করেছো একটা তাঁবুর পর্দার মতো করে।
3 আর তিনি জলধিতে তাঁর উচ্চকক্ষের কড়িকাঠ স্থাপন করেন। তিনি মেঘরাশিকে তাঁর রথ করেন আর বায়ুর ডানায় চড়ে ভেসে চলেন।
তুমি তোমার বিচারালয়ের কড়িকাঠ রেখেছো মেঘের ওপরে; তুমি মেঘকে তোমার রথ করেছো; তুমি বাতাসের ডানায় চলাফেরা কর।
4 তিনি বায়ুপ্রবাহকে তাঁর দূত করেন, আগুনের শিখাকে নিজের দাস করেন।
তিনি বাতাসকে তাঁর দূত করেছেন, আগুনের শিখাকে তাঁর দাস করেন।
5 তিনি এই জগতকে ভিত্তিমূলের উপর স্থাপন করেন; তা কোনোদিন বিচলিত হবে না।
তিনি পৃথিবীকে তাঁর ভিত্তিমূলের ওপরে স্থাপন করেছেন; এটা কখনো নড়ানো যাবে না।
6 আচ্ছাদনের মতো অতল জলধি দিয়ে তুমি এই জগৎ আবৃত করেছ; জলপ্রবাহ পর্বতগুলির উপর দাঁড়াল।
তুমি পৃথিবীকে জল দিয়ে ঢেকে দিয়েছিলে পোশাকের মতো করে, জল দিয়ে পর্বতদের ঢেকে দিয়েছিল।
7 কিন্তু তোমার তিরস্কারে জলধি পালিয়ে গেল, তোমার গর্জনের শব্দে তা দ্রুত প্রস্থান করল;
তোমার ধমকে জল নেমে গেল, তোমার বজ্রধ্বনিপূর্ণ শব্দে তারা পালিয়ে গেল।
8 জলধি পর্বতগুলির উপর দিয়ে প্রবাহিত হল, তা উপত্যকায় নেমে গেল, এবং তার নির্ধারিত স্থান পর্যন্ত পৌঁছাল।
পর্বতেরা উঁচু হল, সমতল নিচু হল এবং উপত্যকা ছড়িয়ে পড়ল সেই জায়গায় যেখানে তুমি জলের জন্য নিযুক্ত করেছিলে।
9 তুমি জলধির সীমা স্থির করেছ যা তারা অতিক্রম করতে পারে না; আবার কখনও জলধি জগৎকে আচ্ছন্ন করবে না।
তুমি তাদের জন্য সীমানা ঠিক করেছ, যেন জল তা ছাড়িয়ে না যায়; তারা যেন পৃথিবীকে আবার ঢেকে না দেয়।
10 তুমি গিরিখাতে ঝরনাকে জল ঢালতে দিয়েছ; পর্বতগুলির মধ্য দিয়ে তা প্রবাহিত হয়।
১০তিনি উপত্যকায় ঝরনা তৈরী করেছিলেন; যেন সেই জলপ্রবাহ পর্বতদের মধ্যে প্রবাহিত হয়।
11 তারা মাঠের সব বন্যপশুকে জল দেয়; বুনো গাধারা নিজেদের তৃষ্ণা মেটায়।
১১তারা মাঠের সব পশুদের জল দেয়; বনের গাধারা তৃষ্ণা মেটায়।
12 আকাশের পাখিরা জলপ্রবাহের ধারে বাসা বানায়; তারা ডালপালার মধ্যে গান করে।
১২নদীর তীরে পাখিরা বাসা বাঁধে; তারা ডালে গান গায়।
13 তাঁর উচ্চকক্ষ থেকে তিনি পর্বতগুলিকে জল দেন; তাঁর কাজের ফলাফলে দেশ তৃপ্ত হয়।
১৩তিনি তাঁর আকাশের জলাধার থেকে পর্বতে জল দেন; তাঁর কাজের জন্য পৃথিবী ফলে পূর্ণ হয়।
14 তিনি গবাদি পশুদের জন্য ঘাস, আর মানুষের চাষের জন্য চারাগাছ বৃদ্ধি করেন— জমি থেকে খাদ্যদ্রব্য উৎপন্ন করেন:
১৪তিনি পশুদের জন্য ঘাসের জন্ম দেন এবং মানুষের জন্য গাছপালা চাষ করেন যাতে মানুষ এই পৃথিবী থেকে খাদ্য তৈরী করতে পারে।
15 সুরা যা মানুষের হৃদয়কে উৎফুল্ল করে, তেল যা তাদের মুখমণ্ডল উজ্জ্বল করে, এবং খাবার যা মানুষের জীবন বাঁচিয়ে রাখে।
১৫তিনি মানুষকে খুশি করার জন্য দ্রাক্ষারস তৈরী করেন, তেল তৈরী করেন মুখ চকমক করার জন্য এবং খাদ্য তার জীবন বজায় রাখার জন্য।
16 সদাপ্রভুর সব গাছপালা পর্যাপ্ত যত্নে আছে, লেবাননের দেবদারুবন যা তিনি লাগিয়েছিলেন।
১৬সদাপ্রভুুর গাছেদের ভালোভাবে জল দেওয়া হয়েছে; তিনি লিবানোনে এরস গাছ তৈরী করেছেন।
17 সেখানে পাখিরা তাদের বাসা বানিয়েছে; সারস পাখি চিরসবুজ গাছে বসবাস করছে।
১৭পাখিরা সেখানে বাসা বাঁধে। সারস দেবদারু গাছে তার ঘর তৈরী করে।
18 উঁচু পর্বতগুলি বুনো ছাগলের; দুর্গম পাহাড় খরগোশের আশ্রয়।
১৮বন্য ছাগলেরা উঁচু পর্বতে বাস করে; উঁচু পর্বত শাফন পশুর আশ্রয়।
19 তিনি ঋতুর জন্য চাঁদ নির্মাণ করেছেন, আর সূর্য জানে কখন অস্ত যেতে হয়।
১৯তিনি চাঁদকে নিযুক্ত করেছেন ঋতু চেনার জন্য; সূর্য্য জানে অস্ত তার যাবার দিন।
20 তুমি অন্ধকার নিয়ে আস, আর রাত্রি হয়, আর জঙ্গলের বন্যজন্তুরা গর্জন করে।
২০তুমি অন্ধকার কর রাত্রি জন্য, তখন বনের সবপশুরা বেরিয়ে আসে।
21 সিংহরা তাদের শিকারের জন্য গর্জন করে আর ঈশ্বরের কাছ থেকে তাদের খাবার খোঁজে।
২১যুবসিংহরা তাদের শিকারের জন্য গর্জন করে এবং ঈশ্বরের কাছে তাদের খাদ্য খোঁজ করে।
22 সূর্য ওঠে, আর তারা লুকিয়ে পড়ে; তারা ফিরে আসে এবং নিজের গুহাতে শুয়ে পড়ে।
২২যখন সূর্য্য ওঠে, তারা চলে যায় এবং তাদের গুহায় ঘুমায়।
23 তারপর মানুষ তাদের কাজের জন্য বাইরে যায় সেখানে সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিশ্রমে রত থাকে।
২৩ইতিমধ্যে, মানুষ তাদের কাজে বের হয় এবং সন্ধ্যে পর্যন্ত শ্রম করে।
24 হে সদাপ্রভু, তোমার কাজ কত বিচিত্র! প্রজ্ঞায় তুমি তাদের সব তৈরি করেছ; জগৎ তোমার জীবজন্তুতে পূর্ণ।
২৪সদাপ্রভুু, কত এবং বিভিন্ন ধরনের কাজ তুমি প্রজ্ঞাদ্বারা সে সব তৈরী করেছ; পৃথিবী তোমার কাজে পূর্ণ।
25 ওই দেখো সুবিশাল, বিস্তীর্ণ জলধি, অগণিত কত প্রাণীতে পরিপূর্ণ— ছোটো ও বড়ো বহু জীব।
২৫ওপারে সমুদ্র, গভীর ও বিস্তৃত, অসংখ্য জীবজন্তুতে পূর্ণ।
26 তার উপর দিয়ে জাহাজ যাতায়াত করে, আর সেখানে খেলার জন্য তুমি লিবিয়াথনদের সৃষ্টি করেছ।
২৬সেখানে জাহাজেরা চলাচল করে এবং সেখানে লিবিয়াথন থাকে, যা তুমি সমুদ্রে খেলা করবার জন্য তৈরী করেছো।
27 উপযুক্ত সময়ে তাদের খাবার পাওয়ার জন্য সব জীবজন্তু তোমার দিকে চেয়ে থাকে।
২৭এরা সব তোমার অপেক্ষায় থাকে, যেন তুমি ঠিক দিনের তাদের খাবার দাও।
28 যখন তুমি তাদের খাবার দাও তারা তা সংগ্রহ করে; যখন তুমি তোমার হাত খুলে দাও, তারা উত্তম দ্রব্যে পরিতৃপ্ত হয়।
২৮যখন তুমি তাদেরকে দাও তারা জড়ো হয়; যখন তুমি হাত মুক্ত করো তারা তৃপ্ত হয়।
29 যখন তুমি তোমার মুখ ঢেকে দাও, তারা আতঙ্কিত হয়; যখন তুমি তাদের শ্বাস নিয়ে নাও, তাদের মৃত্যু হয় আর তারা ধুলোতে ফিরে যায়।
২৯যখন তুমি তোমার মুখ ঢাক, তারা অস্থির হয়; যদি তুমি তাদের নিঃশ্বাস কেড়ে নাও তারা মরে যায় এবং ধূলোতে ফিরে যায়।
30 যখন তুমি তোমার আত্মা পাঠাও, তারা সৃষ্ট হয়, আর তুমি জগতের মুখমণ্ডল নতুন করে তোলো।
৩০যখন তুমি তোমার আত্মা পাঠাও তারা সৃষ্টি হয় এবং তুমি গ্রাম অঞ্চলে তাদের পুনরায় নতুন কর।
31 সদাপ্রভুর গৌরব চিরকাল স্থায়ী হোক; সদাপ্রভু তাঁর সৃষ্টির কাজে আনন্দিত হোন—
৩১সদাপ্রভুুর গৌরব অনন্তকাল থাকুক; সদাপ্রভুু তাঁর সৃষ্টিতে আনন্দ করুন।
32 তাঁর দৃষ্টিতে জগৎ কেঁপে ওঠে, তাঁর স্পর্শে পর্বতগুলি থেকে ধোঁয়া বের হয়।
৩২তিনি পৃথিবীর দিকে তাকান এবং তা কাঁপে; তিনি পর্বতদেরকে স্পর্শ করেন এবং তারা ধুঁয়া হয়।
33 আমার সারা জীবন আমি সদাপ্রভুর জয়গান করব; আমার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত আমি আমার ঈশ্বরের প্রশংসা করব।
৩৩আমি সারা জীবন সদাপ্রভুুর উদ্দেশে গান করব; আমি যতদিন বেঁচে থাকব, আমার ঈশ্বরের প্রশংসা গান করব।
34 আমার ধ্যান তাঁর কাছে যেন সুমধুর হয়, কেননা আমি সদাপ্রভুতে উল্লাস করি।
৩৪তাঁর কাছে আমার ধ্যান মধুর হোক; আমি সদাপ্রভুুতে আনন্দ করব।
35 পাপীরা সবাই পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হোক আর দুষ্ট চিরকালের জন্য উধাও হোক। হে আমার প্রাণ, সদাপ্রভুর প্রশংসা করো। সদাপ্রভুর প্রশংসা করো।
৩৫পাপীরা পৃথিবী থেকে উধাও হোক, দুষ্টরা আর না থাকুক, আমার আত্মা সদাপ্রভুুর মহিমান্বিত কর। সদাপ্রভুুর প্রশংসা কর।

< গীতসংহিতা 104 >