< গীতসংহিতা 102 >

1 এক পীড়িত ব্যক্তির প্রার্থনা যে দুর্বল হয়েছিল আর সদাপ্রভুর কাছে তার বিলাপের কথা মন খুলে বলেছিল। হে সদাপ্রভু, আমার প্রার্থনা শোনো; আমার সাহায্যের প্রার্থনা তোমার কাছে উপস্থিত হোক।
একজন দুঃখীর প্রার্থনা যখন সে অনুভুতি হয় এবং সদাপ্রভুুর সামনে তার বেদনার কথা ঢেলে দেয়। আমার প্রার্থনা শোন, সদাপ্রভুু; শোন আমার কান্না।
2 যখন আমি সংকটে আছি তোমার মুখ আমার কাছ থেকে লুকিয়ে রেখো না। আমার দিকে কর্ণপাত করো; যখন আমি তোমাকে ডাকি, তাড়াতাড়ি আমাকে উত্তর দিয়ো।
সঙ্কটের দিনের আমার থেকে তোমার মুখ লুকিও না আমার কষ্টের দিনের। আমার কথা শোন। যখন আমি তোমায় ডাকবো আমাকে তাড়াতাড়ি উত্তর দিও।
3 আমার দিনগুলি ধোঁয়ার মতো মিলিয়ে যায়; আমার হাড়গোড় কয়লার মতো জ্বলছে।
কারণ আমার দিন ধোঁয়ার মতো উড়ে গেছে এবং আমার হাড় আগুনের মতো পুড়ে গেছে।
4 আমার হৃদয় ক্ষয় হয়েছে আর ঘাসের মতো শুকিয়ে গিয়েছে; আমি খাবার খেতে ভুলে যাই।
আমার হৃদয় ভেঙে গেছে এবং আমি ঘাসের মতো শুকিয়ে গেছি; আমি খেতে পারিনা।
5 আমার দুর্দশায় আমি আর্তনাদ করি আর আমি চামড়া ও হাড়ে পরিণত হয়েছি।
আমার ক্রমাগত কান্নাতে, আমি রোগা হয়ে গেছি।
6 আমি মরুভূমির প্যাঁচার মতো, ধ্বংসের মাঝে প্যাঁচার মতো হয়েছি।
আমি প্রান্তরের জলচর পাখির মতো ধ্বংসের মধ্যে আমি পেঁচার মতো হয়েছি।
7 আমি সজাগ থাকি; ছাদের উপরে একা এক পাখির মতো হয়েছি।
আমি শুয়ে জেগে থাকি একাকী পাখির মতো, বাড়ীর ছাদের উপরে একা আছি।
8 দিনের পর দিন আমার শত্রুরা আমাকে বিদ্রুপ করে; যারা আমার প্রতি ক্রুদ্ধ তারা আমার নামে অভিশাপ দেয়।
আমার শত্রুরা আমাকে সারা দিন উপহাস করে, তারা আমাকে পরিহাস করে আমার নাম নিয়ে শাপ দেয়।
9 কেননা আমি খাবারের পরিবর্তে ছাই খেয়েছি আর আমার পানীয়র সঙ্গে চোখের জল মিশিয়েছি
আমি ছাই খাই রুটির মতো এবং আমার পানীয়তে চোখের জল মিশিয়ে পান করি।
10 তোমার মহা ক্রোধের কারণে, কেননা তুমি আমাকে তুলে ছুঁড়ে ফেলেছ।
১০কারণ তোমার রাগ গর্জন করে, তুমি আমাকে তুলে আছাড় মেরেছ।
11 আমার দিন সন্ধ্যার ছায়ার মতো হয়েছে; আমি ঘাসের মতো শুকিয়ে যাই।
১১আমার দিন হেলে পড়া ছায়ার মতো এবং আমি ঘাসের মতো শুকনো হয়েছি।
12 কিন্তু তুমি, হে সদাপ্রভু, চিরকাল সিংহাসনে অধিষ্ঠিত; তোমার সুখ্যাতি বংশপরম্পরায় স্থায়ী।
১২কিন্তু তুমি, সদাপ্রভুু, অনন্তকাল জীবিত এবং তোমার খ্যাতি বংশপরম্পরা।
13 তুমি জাগ্রত হবে আর জেরুশালেমের প্রতি করুণা করবে, কারণ এখন তার প্রতি অনুগ্রহ দেখানোর সময়; নির্ধারিত সময় উপস্থিত হয়েছে।
১৩তুমি উঠবে এবং সিয়োনের ওপর ক্ষমা করবে। এখন তার ওপর ক্ষমা করার দিন; নিরূপিত দিন এসেছে।
14 কারণ তোমার সেবকেরা তার প্রাচীরের প্রত্যেকটি পাথর ভালোবাসে; এমনকি তার ধুলোর প্রতি যত্ন করে।
১৪কারণ তোমার দাসেরা তাঁর পাথরে প্রিয় এবং তাঁর ধ্বংসের ধূলোর জন্য সমবেদনা অনুভব করে।
15 সমস্ত জাতি সদাপ্রভুর নামে সম্ভ্রম করবে, জগতের রাজারা সবাই তোমার মহিমায় গভীর শ্রদ্ধা করবে।
১৫জাতিরা তোমার নাম শ্রদ্ধা করবে, সদাপ্রভুু, পৃথিবীর সব রাজা তোমার গৌরবের সম্মান করবে।
16 কারণ সদাপ্রভু আবার জেরুশালেম নির্মাণ করবেন এবং তাঁর মহিমায় আবির্ভূত হবেন।
১৬সদাপ্রভুু সিয়োনকে পুনরায় নির্মাণ করবেন এবং তাঁর মহিমা প্রকাশ করবেন।
17 যে নিঃস্ব তার প্রার্থনায় সদাপ্রভু উত্তর দেবেন; তাদের নিবেদন তিনি অবজ্ঞা করবেন না।
১৭ঐ দিন তিনি দীনহীনদের প্রার্থনার উত্তর দেবেন; তিনি তাদের প্রার্থনা বাতিল করবেন না।
18 ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এসব লেখা হোক, যারা সৃষ্ট হবে তারা সদাপ্রভুর প্রশংসা করবে:
১৮এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য লেখা থাকবে এবং যে মানুষ এখনও জন্মায়নি সেও সদাপ্রভুুর প্রশংসা করবে।
19 “সদাপ্রভু উচ্চ পবিত্রস্থান থেকে নিচে দেখলেন, স্বর্গ থেকে তিনি জগতের প্রতি দৃষ্টিপাত করলেন,
১৯কারণ তিনি পবিত্র উচ্চ থেকে নিচে দেখেছেন সদাপ্রভুু স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে লক্ষ্য করেছেন;
20 বন্দিদের আর্তনাদ শোনার জন্য, আর যারা মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত তাদের মুক্ত করার জন্য।”
২০বন্দিদের কান্না শুনতে, নিন্দিতদের মৃত্যু থেকে মুক্ত করতে।
21 তাই সদাপ্রভুর নাম সিয়োনে এবং তাঁর প্রশংসা জেরুশালেমে প্রচার করা হবে,
২১তারপর লোকেরা সিয়োনে সদাপ্রভুুর নাম প্রচার করব এবং যিরুশালেমে তাঁর প্রশংসা হবে।
22 যখন সব লোকজন আর সব দেশ সদাপ্রভুর আরাধনা করতে একত্রিত হয়।
২২তখন লোকেরা এবং রাজ্যগুলো একসঙ্গে জড় হবে সদাপ্রভুুর সেবা করতে।
23 জীবনে চলার পথে তিনি আমার শক্তি ক্ষয় করেছেন; তিনি আমার আয়ু কমিয়েছেন।
২৩তিনি আমার শক্তি নিয়ে নিয়েছেন আমার যৌবনে। তিনি আমার আয়ু কমিয়ে দিয়েছেন।
24 তাই আমি বলেছি: “হে ঈশ্বর, আমার যৌবনকালে আমাকে তুলে নিয়ো না; তোমার বছরগুলি বংশপরম্পরায় স্থায়ী।
২৪আমি বললাম, “আমার ঈশ্বর, জীবনের মাঝ পথে আমাকে তুলে নিও না; তুমি আছো সব পুরুষে পুরুষে স্থায়ী।
25 আদিকালে তুমি এই পৃথিবীর ভিত্তিমূল স্থাপন করেছ, আর আকাশমণ্ডলও তোমারই হাতের রচনা
২৫অতীতে তুমি পৃথিবীর মূল স্থাপন করেছ, আকাশমণ্ডলও তোমার হাতের কাজ।
26 সেসব বিনষ্ট হবে, কিন্তু তুমি স্থায়ী হবে; ছেঁড়া কাপড়ের মতো সেসব শেষ হয়ে যাবে। পোশাকের মতো তুমি তাদের পরিবর্তন করবে আর তাদের পরিত্যাগ করা হবে।
২৬সে সব ধ্বংস হবে, কিন্তু তুমি থাকবে; তারা কাপড়ের মতো পুরোনো হয়ে যাবে, যেমন কাপড় পোশাকের মতো সেগুলো খুলে ফেলবে এবং তারা অদৃশ্য হবে।
27 কিন্তু তোমার পরিবর্তন নেই, আর তোমার বছরগুলি কখনও শেষ হবে না।
২৭কিন্তু তুমি একই আছ এবং তোমার বছর কখনও শেষ হবে না।
28 তোমার দাসদের সন্তানসন্ততিরা তোমার সান্নিধ্যে বসবাস করবে; তাদের বংশধরেরা তোমার সামনে প্রতিষ্ঠিত হবে।”
২৮তোমার দাসদের সন্তানরা বেঁচে থাকবে এবং তাদের বংশধরেরা তোমার সামনে বেঁচে থাকবে।”

< গীতসংহিতা 102 >