< গীতসংহিতা 10 >
1 হে সদাপ্রভু, কেন তুমি দূরে আছ? সংকটকালে কেন তুমি নিজেকে লুকিয়ে রাখো?
Pourquoi, ô Éternel! te tiens-tu loin, te caches-tu aux temps de la détresse?
2 অহংকারে দুষ্ট ব্যক্তি দুর্বলকে শিকার করে, নিজের ছলনার জালে সে নিজেই ধরা পরে।
Le méchant, dans son orgueil, poursuit ardemment l’affligé; ils seront pris dans les trames qu’ils ont ourdies.
3 সে নিজের অন্যায় মনোবাসনার গর্ব করে; লোভীকে প্রশংসা করে, কিন্তু সদাপ্রভুকে অপমান করে।
Car le méchant se glorifie du désir de son âme; et il bénit l’avare, il méprise l’Éternel.
4 অহংকারে দুষ্ট ব্যক্তি ঈশ্বরের অনুসন্ধান করে না; তার সব চিন্তায় ঈশ্বরের কোনও স্থান নেই।
Le méchant, dans la fierté de sa face, [dit]: Il ne s’enquerra [de rien]. – Il n’y a point de Dieu: [voilà] toutes ses pensées.
5 তার পথ সর্বদা সফল হয়; সে তোমার বিধান অবজ্ঞা করে; সে তার সব শত্রুকে ব্যঙ্গ করে।
Ses voies réussissent en tout temps; tes jugements sont trop hauts pour être devant lui; il souffle contre tous ses adversaires.
6 সে মনে মনে বলে, “আমাকে কোনও কিছুই বিচলিত করবে না।” সে শপথ করে, “কখনও কেউ আমার ক্ষতি করবে না।”
Il dit en son cœur: Je ne serai pas ébranlé; de génération en génération [je ne tomberai] pas dans le malheur.
7 তার মুখ মিথ্যা ও হুমকিতে পূর্ণ; উপদ্রব ও অন্যায় তার জিভে লেগে রয়েছে।
Sa bouche est pleine de malédiction, et de tromperies, et d’oppressions; il n’y a sous sa langue que trouble et que vanité.
8 সে গ্রামের অদূরে লুকিয়ে অপেক্ষা করে; আড়াল থেকে নির্দোষকে হত্যা করে। গোপনে তার চোখ অসহায়দের অনুসন্ধান করে;
Il se tient aux embuscades des villages; dans des lieux cachés, il tue l’innocent; ses yeux épient le malheureux.
9 সিংহ যেমন গুহায়, সে তেমন গোপনে ওৎ পেতে থাকে, অসহায়কে ধরবে বলে ওৎ পেতে থাকে; সে অসহায়কে ধরে তাকে টেনে নিজের জালে নিয়ে যায়।
Il se tient aux embûches dans un lieu caché, comme un lion dans son fourré; il se tient aux embûches pour enlever l’affligé; il enlève l’affligé, quand il l’a attiré dans son filet.
10 সে নির্দোষদের চূর্ণ করে, আর তারা পতিত হয়; সেই ব্যক্তির শক্তিতে তারা ধরাশায়ী হয়।
Il se tapit, il se baisse, afin que les malheureux tombent par sa force.
11 সে মনে মনে বলে, “ঈশ্বর কখনও লক্ষ্য করবেন না; তিনি মুখ ঢেকে থাকেন ও কখনও দেখেন না।”
Il dit en son cœur: Dieu a oublié, il cache sa face, il ne verra pas, à jamais.
12 হে সদাপ্রভু, জাগ্রত হও, হে ঈশ্বর, তোমার হাত তোলো। অসহায়কে ভুলে যেয়ো না।
Lève-toi, Éternel! Ô Dieu, élève ta main! n’oublie pas les affligés.
13 দুষ্ট ব্যক্তি কেন ঈশ্বরের অপমান করে? কেন সে মনে মনে বলে, “তিনি আমার হিসেব চাইবেন না?”
Pourquoi le méchant méprise-t-il Dieu? Il dit en son cœur: Tu ne t’enquerras pas.
14 কিন্তু তুমি, হে ঈশ্বর, পীড়িতদের কষ্ট সবই দেখো; তুমি তাদের দুর্দশা দেখো ও নিজের হাতে তার প্রতিকার করো। অসহায় মানুষ তোমারই শরণ নেয়; তুমিই অনাথের আশ্রয়।
Tu l’as vu, car toi tu regardes la peine et le chagrin pour [les] rendre par ta main; le malheureux s’abandonne à toi, tu es le secours de l’orphelin.
15 দুষ্টলোকের হাত ভেঙে দাও; অনিষ্টকারীদের কাছে তাদের কাজের হিসেব চাও যতক্ষণ তার লেশমাত্র অবশিষ্ট না থাকে।
Casse le bras du méchant, et recherche l’iniquité du méchant jusqu’à ce que tu n’en trouves plus.
16 সদাপ্রভু নিত্যকালের রাজা; অধার্মিক জাতিরা তাঁর দেশ থেকে বিনষ্ট হবে।
L’Éternel est roi à toujours et à perpétuité; les nations ont péri de dessus sa terre.
17 হে সদাপ্রভু, তুমি পীড়িতদের মনোবাসনার কথা শোনো; তুমি তাদের উৎসাহিত করো এবং তাদের কাতর প্রার্থনা শোনো।
Éternel! tu as exaucé le désir des débonnaires, tu as établi leur cœur; tu as prêté l’oreille,
18 তুমি অনাথ ও পীড়িতদের প্রতি ন্যায়বিচার করবে, যেন সামান্য মানুষ আর কোনোদিন আঘাত না করতে পারে।
Pour faire droit à l’orphelin et à l’opprimé, afin que l’homme qui est de la terre n’effraie plus.