< হিতোপদেশ 8 >
1 প্রজ্ঞা কি ডাক দেয় না? বিচক্ষণতা কি তার সুর চড়ায় না?
Δεν κράζει η σοφία; και δεν εκπέμπει την φωνήν αυτής η σύνεσις;
2 পথ বরাবর সবচেয়ে উঁচু জায়গায়, পথগুলি যেখানে মিলিত হয়, সেখানে গিয়ে সে দাঁড়ায়;
Ίσταται επί της κορυφής των υψηλών τόπων, υπέρ την οδόν, εν τω μέσω των τριόδων.
3 যে দরজা দিয়ে নগরে ঢোকা হয়, তার পাশে দাঁড়িয়ে, প্রবেশদ্বারে দাঁড়িয়ে, সে জোরে চিৎকার করে:
Κράζει πλησίον των πυλών, εν τη εισόδω της πόλεως, εν τη εισόδω των θυρών·
4 “ওহে জনতা, আমি তোমাদেরই ডাকছি; সমগ্র মানবজাতির উদ্দেশে আমি সুর চড়াচ্ছি।
προς εσάς, άνθρωποι, κράζω· και η φωνή μου εκπέμπεται προς τους υιούς των ανθρώπων.
5 তোমরা যারা অনভিজ্ঞ, তোমরা দূরদর্শিতা অর্জন করো; তোমরা যারা মূর্খ, তোমরা এতে মন দাও।
Απλοί, νοήσατε φρόνησιν· και άφρονες, αποκτήσατε νοήμονα καρδίαν.
6 শোনো, কারণ আমার কিছু নির্ভরযোগ্য কথা বলার আছে; যা সঠিক তা বলার জন্য আমি আমার ঠোঁট খুলেছি।
Ακούσατε· διότι θέλω λαλήσει πράγματα έξοχα, και τα χείλη μου θέλουσι προφέρει ορθά.
7 যা সত্যি আমার মুখ তাই বলে, কারণ আমার ঠোঁট দুষ্টতা ঘৃণা করে।
Διότι αλήθειαν θέλει λαλήσει ο λάρυγξ μου· τα δε χείλη μου βδελύττονται την ασέβειαν.
8 আমার মুখের সব কথা ন্যায্য; সেগুলির মধ্যে একটিও কুটিল বা বিকৃত নয়।
Πάντες οι λόγοι του στόματός μου είναι μετά δικαιοσύνης· δεν υπάρχει εν αυτοίς δόλιον διεστραμμένον·
9 বিচক্ষণের কাছে সেসব কথা সঠিক; যারা জ্ঞান লাভ করেছে তাদের কাছে সেগুলি ন্যায্য।
Πάντες είναι σαφείς εις τον νοούντα και ορθοί εις τους ευρίσκοντας γνώσιν.
10 রুপোর পরিবর্তে আমার নির্দেশ, উৎকৃষ্ট সোনার পরিবর্তে বরং জ্ঞান মনোনীত করো,
Λάβετε την παιδείαν μου, και μη αργύριον· και γνώσιν, μάλλον παρά χρυσίον εκλεκτόν.
11 কারণ প্রজ্ঞা পদ্মরাগমণির চেয়েও বেশি মূল্যবান, ও তোমার আকাঙ্ক্ষিত কোনো কিছুর সাথেই তার তুলনা হয় না।
Διότι η σοφία είναι καλητέρα λίθων πολυτίμων· και πάντα τα επιθυμητά πράγματα δεν είναι αντάξια αυτής.
12 “আমি, প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতার সঙ্গেই বসবাস করি; আমিই জ্ঞান ও বিচক্ষণতার অধিকারী।
Εγώ η σοφία κατοικώ μετά της φρονήσεως, και εφευρίσκω γνώσιν συνετών βουλευμάτων.
13 সদাপ্রভুকে ভয় করার অর্থ মন্দকে ঘৃণা করা; আমি অহংকার ও দাম্ভিকতাকে ঘৃণা করি, মন্দ আচরণ ও সত্যভ্রষ্ট কথাবার্তাকেও করি।
Ο φόβος του Κυρίου είναι να μισή τις το κακόν· αλαζονείαν και αυθάδειαν και πονηράν οδόν και διεστραμμένον στόμα εγώ μισώ.
14 পরামর্শ ও সুবিচার আমার অধিকারভুক্ত; আমার কাছে দূরদর্শিতা ও ক্ষমতা আছে।
Εμού είναι η βουλή και η ασφάλεια· εγώ είμαι η σύνεσις· εμού η δύναμις.
15 আমার দ্বারাই রাজারা রাজত্ব করেন ও শাসনকর্তারা ন্যায়সংগত হুকুম জারি করেন;
Δι' εμού οι βασιλείς βασιλεύουσι, και οι άρχοντες θεσπίζουσι δικαιοσύνην.
16 আমার দ্বারাই অধিপতিরা প্রভুত্ব করেন, ও সেই গণ্যমান্য ব্যক্তিরা—যারা সবাই পৃথিবীতে শাসন করেন।
Δι' εμού οι ηγεμόνες ηγεμονεύουσι, και οι μεγιστάνες, πάντες οι κριταί της γής·
17 যারা আমাকে ভালোবাসে আমিও তাদের ভালোবাসি, ও যারা আমার খোঁজ করে তারা আমাকে খুঁজে পায়।
Εγώ τους εμέ αγαπώντας αγαπώ· και οι ζητούντές με θέλουσι με ευρεί.
18 আমার কাছেই আছে ধনসম্পত্তি ও সম্মান, চিরস্থায়ী সম্পদ ও সমৃদ্ধি।
Πλούτος και δόξα είναι μετ' εμού, αγαθά διαμένοντα και δικαιοσύνη.
19 আমার ফল খাঁটি সোনার চেয়েও সেরা; আমি যা উৎপাদন করি তা অসাধারণ রুপোকেও ছাপিয়ে যায়।
Οι καρποί μου είναι καλήτεροι χρυσίου και χρυσίου καθαρού· και τα γεννήματά μου, εκλεκτού αργυρίου.
20 আমি ধার্মিকতার পথে চলি, ন্যায়ের পথ ধরে চলি,
Περιπατώ εν οδώ δικαιοσύνης, αναμέσον των τρίβων της κρίσεως,
21 যারা আমাকে ভালোবাসে তাদের আমি প্রচুর উত্তরাধিকার দান করি ও তাদের ভাণ্ডার পরিপূর্ণ করে দিই।
διά να κάμω τους αγαπώντάς με να κληρονομήσωσιν αγαθά, και να γεμίσω τους θησαυρούς αυτών.
22 “সদাপ্রভু তাঁর কর্মের প্রথম ফলরূপে, প্রাচীনকালে তাঁর করা সব কাজকর্মের আগেই আমাকে উৎপন্ন করেছিলেন;
Ο Κύριος με είχεν εν τη αρχή των οδών αυτού, προ των έργων αυτού, απ' αιώνος.
23 বহুকাল আগেই আমাকে তৈরি করা হয়েছিল, একেবারে শুরুতেই, যখন এই জগৎ পত্তন হয়েছিল তখনই হয়েছিল।
Προ του αιώνος με έχρισεν, απ' αρχής, πριν υπάρξη η γη.
24 যখন অতল জলের কোনো অস্তিত্বও ছিল না, তখন আমাকে জন্ম দেওয়া হয়েছিল, যখন জলে উপচে পড়া কোনো জলের উৎসের অস্তিত্ব ছিল না;
Εγεννήθην ότε δεν ήσαν αι άβυσσοι, ότε δεν υπήρχον αι πηγαί αι αναβρύουσαι ύδατα·
25 পর্বতগুলি স্বস্থানে স্থাপিত হওয়ার আগে, পাহাড়গুলি উৎপন্ন হওয়ার আগেই,
Πριν τα όρη θεμελιωθώσι, προ των λόφων, εγώ εγεννήθην·
26 সদাপ্রভু এই জগৎ বা এখানকার মাঠঘাট বা পৃথিবীর একমুঠো ধুলোবালি তৈরি করার আগেই আমাকে জন্ম দেওয়া হয়েছিল।
ενώ δεν είχεν έτι κάμει την γην ούτε πεδιάδας, ούτε κορυφάς χωμάτων της οικουμένης.
27 যখন তিনি আকাশমণ্ডলকে স্বস্থানে স্থাপন করলেন, তখন আমি সেখানে ছিলাম, যখন তিনি অতল জলরাশির বুকে দিগন্তের চিহ্ন এঁকে দিলেন,
Ότε ητοίμαζε τους ουρανούς, εγώ ήμην εκεί· ότε περιέγραφε καμάραν υπεράνω του προσώπου της αβύσσου·
28 যখন তিনি ঊর্ধ্বস্থ মেঘরাশি স্থাপন করলেন ও অতল জলরাশির উৎসগুলি শক্ত করে বেঁধে দিলেন,
ότε εστερέονε τον αιθέρα επάνω· ότε ωχύρονε τας πηγάς της αβύσσου·
29 যখন তিনি সমুদ্রের সীমা স্থির করলেন যেন জলরাশি তাঁর আদেশ লঙ্ঘন না করে, ও যখন তিনি পৃথিবীর ভিত্তিমূল চিহ্নিত করলেন।
ότε επέβαλλε τον νόμον αυτού εις την θάλασσαν, να μη παραβώσι τα ύδατα το πρόσταγμα αυτού· ότε διέταττε τα θεμέλια της γής·
30 তখন আমি প্রতিনিয়ত তাঁর পাশেই ছিলাম। দিনের পর দিন আমি আনন্দে পরিপূর্ণ হয়ে থাকতাম, সর্বক্ষণ তাঁর উপস্থিতিতে আনন্দ উপভোগ করতাম,
τότε ήμην πλησίον αυτού δημιουργούσα· και εγώ ήμην καθ' ημέραν η τρυφή αυτού, ευφραινομένη πάντοτε ενώπιον αυτού,
31 তাঁর সমগ্র এই জগৎ নিয়ে আনন্দ করতাম ও মানবজাতিকে নিয়েও আনন্দে মেতে উঠতাম।
ευφραινομένη εν τη οικουμένη της γης αυτού· και η τρυφή μου ήτο μετά των υιών των ανθρώπων.
32 “তবে এখন, হে আমার বাছারা, আমার কথা শোনো; যারা আমার পথে চলে তারা ধন্য।
Τώρα λοιπόν ακούσατέ μου, ω τέκνα· διότι μακάριοι οι φυλάττοντες τας οδούς μου.
33 আমার নির্দেশ শোনো ও জ্ঞানবান হও; তা উপেক্ষা কোরো না।
Ακούσατε παιδείαν και γένεσθε σοφοί, και μη αποδοκιμάζετε αυτήν.
34 যারা আমার কথা শোনে, যারা প্রতিদিন আমার দরজায় দাঁড়িয়ে পর্যবেক্ষণ করে, আমার দরজায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করে তারা ধন্য।
Μακάριος ο άνθρωπος, όστις μου ακούση, αγρυπνών καθ' ημέραν εν ταις πύλαις μου, περιμένων εις τους παραστάτας των θυρών μου·
35 কারণ যারা আমাকে খুঁজে পায় তারা জীবন খুঁজে পায় ও সদাপ্রভুর কাছ থেকে অনুগ্রহ লাভ করে।
διότι όστις εύρη εμέ, θέλει ευρεί ζωήν, και θέλει λάβει χάριν παρά Κυρίου.
36 কিন্তু যারা আমাকে খুঁজে পায় না তারা নিজেদেরই ক্ষতিসাধন করে; যেসব লোক আমাকে ঘৃণা করে তারা মৃত্যু ভালোবাসে।”
Όστις όμως αμαρτήση εις εμέ, την εαυτού ψυχήν αδικεί· πάντες οι μισούντές με αγαπώσι θάνατον.