< হিতোপদেশ 6 >

1 হে আমার বাছা, তুমি যদি তোমার প্রতিবেশীর জামিনদার হয়েছ, যদি অপরিচিত কোনও লোকের ঋণ শোধ করার দায়িত্ব নিয়েছ,
Mon fils, si tu t’es porté caution pour ton prochain, si tu as engagé ta main pour un étranger,
2 তবে তুমি তোমার বলা কথার জালেই ধরা পড়েছ, তোমার মুখের কথাই তোমাকে ফাঁদে ফেলেছে।
tu es enlacé dans les paroles de ta bouche, tu es pris dans les paroles de ta bouche.
3 তাই হে আমার বাছা, নিজেকে মুক্ত করার জন্য তুমি এরকম করো, যেহেতু তুমি তোমার প্রতিবেশীর হাতে গিয়ে পড়েছ: যাও—অবসন্ন হয়ে না পড়া পর্যন্ত— ও তোমার প্রতিবেশীকে বিশ্রাম নিতে দিয়ো না!
Mon fils, fais donc ceci, et délivre-toi, puisque tu es tombé en la main de ton prochain: va, humilie-toi, et insiste auprès de ton prochain.
4 তোমার চোখে ঘুম নেমে আসতে দিয়ো না, তোমার চোখের পাতাকে তন্দ্রাচ্ছন্ন হতে দিয়ো না।
Ne permets pas à tes yeux de dormir, ni à tes paupières de sommeiller;
5 শিকারির হাত থেকে মুক্তি পাওয়া গজলা হরিণের মতো, পাখি-শিকারির ফাঁদ থেকে মুক্ত পাখির মতো তুমি নিজেকে মুক্ত করো।
dégage-toi, comme la gazelle, de la main [du chasseur], et comme l’oiseau, de la main de l’oiseleur.
6 হে অলস, তুমি পিঁপড়েদের কাছে যাও; তাদের চালচলন বিবেচনা করো ও জ্ঞানবান হও!
Va vers la fourmi, paresseux; regarde ses voies, et sois sage.
7 তাদের কোনও সেনাপতি নেই, কোনও তত্ত্বাবধায়ক বা শাসনকর্তাও নেই,
Elle qui n’a ni chef, ni surveillant, ni gouverneur,
8 তবুও তারা গ্রীষ্মকালে রসদ মজুত করে রাখে, ও ফসল কাটার মরশুমে খাদ্য সংগ্রহ করে রাখে।
elle prépare en été son pain, elle amasse pendant la moisson sa nourriture.
9 হে অলস, আর কতক্ষণ তুমি সেখানে শুয়ে থাকবে? কখন তুমি ঘুম থেকে উঠবে?
Jusques à quand, paresseux, resteras-tu couché? Quand te lèveras-tu de ton sommeil?
10 আর একটু ঘুম, আর একটু তন্দ্রা, হাত পা গুটিয়ে আরও কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়া—
Un peu de sommeil, un peu d’assoupissement, un peu croiser les mains pour dormir…,
11 ও দারিদ্র এক চোরের মতো ও অভাব এক সশস্ত্র সৈনিকের মতো তোমার উপরে এসে পড়বে।
et ta pauvreté viendra comme un voyageur, et ton dénuement comme un homme armé.
12 এক উত্তেজনা সৃষ্টিকারী ব্যক্তি ও এক দুর্জন, যারা অশুদ্ধ ভাষা মুখে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়,
Celui qui marche, la perversité dans sa bouche, est un homme de Bélial, un homme inique;
13 যারা তাদের চোখ দিয়ে বিদ্বেষপূর্ণভাবে ইশারা করে, পা দিয়ে সংকেত দেয় ও আঙুল দিয়ে ইশারা করে,
il cligne de ses yeux, il parle de ses pieds, il enseigne de ses doigts;
14 যারা হৃদয়ে প্রতারণা পুষে রেখে কুচক্রান্ত করে— তারা সর্বক্ষণ মতবিরোধ উৎপন্ন করে।
il y a des pensées perverses dans son cœur, il machine du mal en tout temps, il sème des querelles.
15 তাই এক পলকেই তাদের জীবনে বিপর্যয় নেমে আসবে; আচমকাই তারা ধ্বংস হয়ে যাবে—এর কোনও বিহিত হবে না।
C’est pourquoi sa calamité viendra subitement; il sera tout à coup brisé, et il n’y a pas de remède.
16 ছটি জিনিস সদাপ্রভু ঘৃণা করেন, সাতটি জিনিস তাঁর কাছে ঘৃণিত;
L’Éternel hait ces six choses, et il y en a sept qui sont en abomination à son âme:
17 উদ্ধত দৃষ্টি, মিথ্যাবাদী জিভ, নির্দোষের রক্তপাতকারী হাত,
les yeux hautains, la langue fausse, et les mains qui versent le sang innocent,
18 দুষ্ট ফন্দি আঁটা হৃদয়, অনিষ্টের দিকে বেগে ধাবমান পা,
le cœur qui machine des projets d’iniquité, les pieds qui se hâtent de courir au mal,
19 মিথ্যা কথা উগরে দেওয়া মিথ্যাসাক্ষী ও এমন এক লোক যে সমাজে মতবিরোধ উৎপন্ন করে।
le faux témoin qui profère des mensonges, et celui qui sème des querelles entre des frères.
20 হে আমার বাছা, তোমার বাবার আদেশ পালন করো ও তোমার মায়ের শিক্ষা পরিত্যাগ কোরো না।
Mon fils, garde le commandement de ton père, et n’abandonne pas l’enseignement de ta mère;
21 সেগুলি সর্বক্ষণ তোমার হৃদয়ে গেঁথে রেখো; তোমার গলার চারপাশে বেঁধে রেখো।
tiens-les continuellement liés sur ton cœur, attache-les à ton cou.
22 তুমি যখন চলাফেরা করবে, তখন সেগুলি তোমাকে পথ দেখাবে; তুমি যখন ঘুমাবে, তখন সেগুলি তোমাকে পাহারা দেবে; তুমি যখন জেগে উঠবে, তখন সেগুলি তোমার সাথে কথা বলবে।
Quand tu marcheras, il te conduira; quand tu dormiras, il te gardera; et quand tu te réveilleras, il s’entretiendra avec toi.
23 কারণ এই আদেশটি এক প্রদীপ, এই শিক্ষাটি এক আলো, এবং সংশোধন ও উপদেশ— এগুলি হল জীবনের পথ,
Car le commandement est une lampe et l’enseignement une lumière, et les répréhensions de la discipline sont le chemin de la vie,
24 যা তোমাকে প্রতিবেশীর স্ত্রী থেকে, স্বৈরিণী স্ত্রীর স্নিগ্ধ কথাবার্তা থেকে দূরে সরিয়ে রাখবে।
pour te garder de la mauvaise femme, des flatteries de la langue d’une étrangère.
25 তার সৌন্দর্য দেখে তুমি অন্তরে কামভাব জাগিয়ে তুলো না বা সে যেন তার চোখের মায়ায় তোমাকে বন্দি না করে ফেলে।
Ne désire pas sa beauté dans ton cœur, et qu’elle ne te prenne pas par ses paupières;
26 কারণ এক টুকরো রুটির বিনিময়ে বেশ্যাকে পাওয়া যায়, কিন্তু পরস্ত্রী তোমার প্রাণটিই শিকার করে বসবে।
car par la femme prostituée [on en vient] jusqu’à un morceau de pain, et la femme d’autrui chasse après l’âme précieuse.
27 একজন মানুষ কোলে আগুন রাখবে আর তার পোশাক পুড়বে না, এও কি সম্ভব?
Un homme prendra-t-il du feu dans son sein sans que ses vêtements brûlent?
28 একজন মানুষ জ্বলন্ত কয়লার উপর দিয়ে হাঁটবে আর তার পা ঝলসাবে না, এও কি সম্ভব?
Si un homme marche sur des charbons ardents, ses pieds ne seront-ils pas brûlés?
29 যে পরস্ত্রীর সাথে শোয় তার দশাও এরকমই হয়; যে সেই স্ত্রীকে স্পর্শ করে তাকে শাস্তি না দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় না।
Ainsi celui qui entre vers la femme de son prochain…, quiconque la touchera ne sera point innocent.
30 যে চোর খিদের জ্বালায় ভুগে খিদে মেটানোর জন্য চুরি করে তাকে লোকেরা ঘৃণা করে না।
On ne méprise pas un voleur s’il vole pour satisfaire son âme quand il a faim;
31 অথচ সে যদি ধরা পড়ে, তাকেও সাতগুণ ফিরিয়ে দিতে হবে, এর জন্য যদিও বা তার বাড়ির সব ধনসম্পদ হারাতে হয়, তাও তাকে তা দিতেই হবে।
et s’il est trouvé, il rendra le septuple, il donnera tous les biens de sa maison.
32 কিন্তু যে ব্যভিচার করে তার কোনও বোধবুদ্ধি নেই; যে কেউ এরকম করে সে নিজেকেই ধ্বংস করে ফেলে।
Celui qui commet adultère avec une femme manque de sens; celui qui le fait détruit son âme:
33 আঘাত ও অপমানই তার প্রাপ্য, ও তার লজ্জা কখনোই ঘুচবে না।
il trouvera plaie et mépris, et son opprobre ne sera pas effacé;
34 কারণ ঈর্ষা একজন স্বামীর ক্ষিপ্ততা জাগিয়ে তোলে, ও প্রতিশোধ নেওয়ার সময় সে কোনও দয়া দেখাবে না।
car dans l’homme, la jalousie est une fureur, et il n’épargnera pas au jour de la vengeance;
35 সে কোনও ক্ষতিপূরণ গ্রহণ করবে না; সে ঘুস প্রত্যাখ্যান করবে, পরিমাণে তা যতই বেশি হোক না কেন।
il n’acceptera aucune propitiation, et ne se tiendra pas pour satisfait, quand tu multiplierais les présents.

< হিতোপদেশ 6 >