< হিতোপদেশ 3 >
1 হে আমার বাছা, তুমি আমার শিক্ষা ভুলে যেয়ো না, কিন্তু তোমার হৃদয়ে আমার আদেশগুলি সঞ্চয় করে রেখো,
১আমার পুত্র, তুমি আমার ব্যবস্থা ভুলে যেও না; তোমার হৃদয়ে আমার শিক্ষা ধরে রাখো।
2 কারণ সেগুলি তোমার আয়ু বহু বছর বাড়িয়ে তুলবে ও তোমার জীবনে শান্তি ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসবে।
২কারণ তারা তোমার সঙ্গে আয়ুর দীর্ঘতা, জীবনের বছর এবং শান্তি যোগ করবে।
3 ভালোবাসা ও বিশ্বস্ততা যেন কখনও তোমাকে ত্যাগ করে না যায়; সেগুলি তোমার গলায় বেঁধে রাখো, সেগুলি তোমার হৃদয়-ফলকে লিখে রাখো।
৩বিশ্বস্ত চুক্তি ও বিশ্বাসযোগ্যতা তোমাকে ছেড়ে না যাক; তাদের একসঙ্গে তোমার গলায় বেঁধে রাখ, তোমার হৃদয়ে বেঁধে রাখ।
4 তবেই তুমি ঈশ্বরের ও মানুষের দৃষ্টিতে অনুগ্রহ ও সুখ্যাতি লাভ করবে।
৪তা করলে ঈশ্বরের ও মানুষের চোখে অনুগ্রহ ও সুবুদ্ধি পাবে।
5 তুমি সর্বান্তঃকরণে সদাপ্রভুর উপর আস্থা রাখো ও নিজের বিচক্ষণতার উপর নির্ভর কোরো না;
৫তুমি সমস্ত হৃদয় দিয়ে সদাপ্রভুতে বিশ্বাস কর; তোমার নিজের বিবেচনায় নির্ভর কর না;
6 তোমার সমস্ত পথে তাঁর বশ্যতাস্বীকার করো, ও তিনি তোমার পথগুলি সোজা করে দেবেন।
৬তোমার সমস্ত পথে তাঁকে স্বীকার কর; তাতে তিনি তোমার সমস্ত পথ সরল করবেন।
7 নিজের দৃষ্টিতে জ্ঞানবান হোয়ো না; সদাপ্রভুকে ভয় করো ও কুকর্ম এড়িয়ে চলো।
৭নিজের চোখে জ্ঞানবান হয়ো না; সদাপ্রভুকে ভয় কর এবং খারাপ থেকে দূরে যাও।
8 এটি তোমার দেহে স্বাস্থ্য ফিরাবে ও তোমার অস্থির পুষ্টিসাধন করবে।
৮তা তোমার মাংসের স্বাস্থ্যস্বরূপ হবে, তোমার শরীরের পুষ্টিজনক হবে।
9 সদাপ্রভুর সম্মান করো তোমার ধনসম্পদ ও তোমার সমস্ত ফসলের অগ্রিমাংশ দিয়ে;
৯তুমি সদাপ্রভুর সম্মান কর নিজের ধনে, আর তোমার সব জিনিসের অগ্রিমাংশে;
10 তবেই তোমার গোলাঘরগুলি শস্যে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে, ও ভাঁটিগুলি নতুন দ্রাক্ষারসে উপচে পড়বে।
১০তাতে তোমার গোলাঘর সব অনেক শস্যে ভরে যাবে, তোমার পাত্র নতুন আঙ্গুর রসে উপচে পড়বে।
11 হে আমার বাছা, সদাপ্রভুর শাসন তুচ্ছ কোরো না, ও তাঁর ভর্ৎসনা ক্ষতিকর বলে মনে কোরো না,
১১আমার পুত্র, সদাপ্রভুর শাসন তুচ্ছ কোরো না, তাঁর তিরস্কারকে ঘৃণা কোরো না;
12 কারণ সদাপ্রভু যাদের প্রেম করেন, তাদেরই শাস্তি দেন, যেভাবে একজন বাবা তাঁর প্রিয় ছেলেকে দেন।
১২কারণ সদাপ্রভু যাকে প্রেম করেন, তাকেই শাস্তি দেন, যেমন বাবা ছেলের প্রতি যে তাঁকে সন্তুষ্ট করে।
13 তারাই আশীর্বাদধন্য যারা প্রজ্ঞা খুঁজে পায়, যারা বিচক্ষণতা লাভ করে,
১৩ধন্য সেই ব্যক্তি যে প্রজ্ঞা খুঁজে পায়, সেই ব্যক্তি যে বুদ্ধি লাভ করে;
14 কারণ প্রজ্ঞা রুপোর চেয়েও বেশি লাভজনক ও সোনার চেয়েও ভালো প্রতিদান দেয়।
১৪রূপার থেকে তুমি যা লাভ করবে তার থেকে জ্ঞান লাভ অনেক ভালো এবং তার লাভ সোনার চেয়েও বেশি।
15 প্রজ্ঞা পদ্মরাগমণির চেয়েও বেশি মূল্যবান; তোমার আকাঙ্ক্ষিত কোনো কিছুকেই তার সাথে তুলনা করা যায় না।
১৫প্রজ্ঞা গয়নার থেকে বেশি দামী এবং তোমার কোনো ইচ্ছার সাথে তার তুলনা করা যায় না।
16 প্রজ্ঞার ডান হাতে দীর্ঘ পরমায়ু আছে; বাঁ হাতে ধন ও সম্মান আছে।
১৬তার ডান হাতে দীর্ঘ জীবন, তার বাঁ হাতে ধন ও সম্মান থাকে।
17 তার পথগুলি সুখকর পথ, ও তার সব পথে শান্তি আছে।
১৭তার সমস্ত পথ দয়ার পথ এবং তার সমস্ত পথ শান্তির।
18 যারা প্রজ্ঞাকে ধরে রাখে তাদের কাছে সে এক জীবনবৃক্ষ; যারা তাকে অটলভাবে ধরে রাখে তারা আশীর্বাদধন্য হবে।
১৮যারা তাকে ধরে রাখে, তাদের কাছে তা জীবন বৃক্ষ; যে কেউ তা গ্রহণ করে, সে সুখী।
19 সদাপ্রভু প্রজ্ঞা দ্বারাই পৃথিবীর ভিত্তিমূল স্থাপন করেছেন, বিচক্ষণতা দ্বারাই তিনি আকাশমণ্ডলকে যথাস্থানে রেখেছেন;
১৯সদাপ্রভু প্রজ্ঞা দিয়ে পৃথিবীর মূল স্থাপন করেছেন, বুদ্ধি দিয়ে আকাশমন্ডল প্রতিষ্ঠিত করেছেন;
20 তাঁর জ্ঞানের দ্বারাই গভীর জলরাশি বিভক্ত হয়েছিল, ও মেঘরাশি শিশির বর্ষণ করে।
২০তাঁর জ্ঞান দিয়ে গভীরতা বিচ্ছিন্ন হয়েছে, আর মেঘ ফোঁটা ফোঁটা শিশির দেয়।
21 হে আমার বাছা, প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা যেন তোমার দৃষ্টি-বহির্ভূত না হয়, সূক্ষ্ম বিচার ও বিচক্ষণতা অক্ষুণ্ণ রেখো;
২১আমার পুত্র, যুক্তিপূর্ণ বিচার ও বিচক্ষণতা রক্ষা কর এবং তাদের দৃষ্টিতে ব্যর্থ না হোক।
22 তোমার জন্য সেগুলি জীবনস্বরূপ হবে, তোমার গলার শোভাবর্ধক এক অলংকার হবে।
২২তাতে সে সব তোমার প্রাণের জীবনের মত হবে, তোমার গলায় অনুগ্রহের অলঙ্কার হবে।
23 তখন তুমি নিরাপদে তোমার পথে চলে যাবে, ও তোমার পায়ে হোঁচট লাগবে না।
২৩তখন তুমি নিজের পথে নির্ভয়ে যাবে, তোমার পায়ে হোঁচট লাগবে না।
24 তুমি যখন শুয়ে থাকবে, তখন তুমি ভয় পাবে না; তুমি যখন শুয়ে থাকবে, তখন তোমার ঘুমও তৃপ্তিদায়ক হবে।
২৪শোবার দিন তুমি ভয় করবে না, তুমি শোবে, তোমার ঘুম সুখের হবে।
25 আকস্মিক বিপর্যয় দেখে ভয় পাবে না বা দুষ্টদের সর্বনাশ হতে দেখেও ভয় পাবে না,
২৫হঠাৎ বিপদ থেকে ভয় পেও না, দুষ্টের বিনাশ আসলে তা থেকে ভয় পেও না।
26 কারণ সদাপ্রভু তোমার পাশে দাঁড়াবেন ও তোমার পা-কে ফাঁদে পড়া থেকে তিনিই রক্ষা করবেন।
২৬কারণ সদাপ্রভু তোমার পাশে থাকবেন, ফাঁদ থেকে তোমার পা রক্ষা করবেন।
27 যাদের মঙ্গল করা উচিত তাদের মঙ্গল করতে অসম্মত হোয়ো না, যখন তা করার ক্ষমতা তোমার আছে।
২৭যাদের মঙ্গল করা উচিত, তাদের মঙ্গল করতে অস্বীকার কোরো না, যখন তা করবার ক্ষমতা তোমার থাকে,
28 তোমার প্রতিবেশীকে বোলো না, “আগামীকাল আবার এসো ও আমি তোমাকে তা দেব”— যখন তোমার কাছেই তা আছে।
২৮তোমার প্রতিবেশীকে বোলো না, “যাও, আবার এসো, আমি কাল দেব,” যখন তোমার কাছে টাকা থাকে।
29 তোমার সেই প্রতিবেশীর অনিষ্ট করার ষড়যন্ত্র কোরো না, যে তোমাকে বিশ্বাস করে তোমার পাশেই বসবাস করছে।
২৯তোমার প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে খারাপ চক্রান্ত্র কোরো না, যে তোমার কাছে থাকে এবং ভরসা করে।
30 অকারণে কাউকে দোষারোপ কোরো না— যখন সে তোমার কোনও ক্ষতি করেনি।
৩০অকারণে কোন লোকের সঙ্গে ঝগড়া কোরো না, যদি সে তোমার ক্ষতি না করে থাকে।
31 হিংস্র প্রকৃতির মানুষকে হিংসা কোরো না বা তাদের কোনও পথ মনোনীত কোরো না।
৩১যে অত্যাচার করে তার ওপর হিংসা কোরো না, আর তার কোনো পথ মনোনীত কোরো না;
32 কারণ সদাপ্রভু উচ্ছৃঙ্খলদের ঘৃণা করেন কিন্তু ন্যায়পরায়ণদের সাথে তিনি ঘনিষ্ঠতা বাড়ান।
৩২কারণ প্রতারক ব্যক্তি সদাপ্রভুর ঘৃণার পাত্র; কিন্তু সে তার বিশ্বাসের মধ্যে ন্যায়পরায়ণতা আনে।
33 দুষ্টের বাড়ির উপরে সদাপ্রভুর অভিশাপ নেমে আসে, কিন্তু ধার্মিকের ঘরকে তিনি আশীর্বাদ করেন।
৩৩দুষ্টের ঘরে সদাপ্রভুর অভিশাপ থাকে, কিন্তু তিনি ধার্ম্মিকদের ঘরকে আশীর্বাদ করেন।
34 অহংকারী ঠাট্টা-বিদ্রুপকারীদের তিনি বিদ্রুপ করেন কিন্তু নম্র ও নিপীড়িতদের প্রতি তিনি অনুগ্রহ দেখান।
৩৪নিশ্চয়ই তিনি নিন্দাকারীদের নিন্দা করেন, কিন্তু তিনি নম্রদেরকে অনুগ্রহ দান করেন।
35 জ্ঞানবানেরা সম্মানের অধিকারী হয়, কিন্তু মূর্খেরা শুধু লজ্জাই পায়।
৩৫জ্ঞানবানেরা সম্মানের অধিকারী হয়, কিন্তু বোকারা তাদের লজ্জাকে উপরে তুলবে।