হিতোপদেশ 28
1 কেউ পশ্চাদ্ধাবন না করলেও দুষ্টেরা পালায়, কিন্তু ধার্মিকেরা সিংহের মতো সাহসী।
১কেউ তাড়না না করলেও দুষ্ট পালায়; কিন্তু ধার্মিকরা সিংহের মত সাহসিক।
2 কোনও দেশ যখন বিদ্রোহী হয়, তখন সেখানে বহু শাসক উৎপন্ন হয়, কিন্তু বিচক্ষণতা ও জ্ঞানসম্পন্ন শাসক শৃঙ্খলা বজায় রাখেন।
২দেশের অধর্মে তার অনেক কর্তা হয়; কিন্তু বুদ্ধিমান ও জ্ঞানবান লোক দিয়ে কর্তৃত্ব স্থায়ী হয়।
3 যে শাসক দরিদ্রদের নিগৃহীত করে সে সেই প্রবল বৃষ্টিপাতের মতো যা কোনও শস্য বাদ দেয় না।
৩যে দরিদ্র লোক দীনহীনদের প্রতি উপদ্রব করে, সে এমন ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া বৃষ্টির মত, যার পরে খাবার থাকে না।
4 যারা শিক্ষা পরিত্যাগ করে তারা দুষ্টদের প্রশংসা করে, কিন্তু যারা তাতে মনোযোগ দেয় তারা তাদের প্রতিরোধ করে।
৪ব্যবস্থা পালন না করা দুষ্টের প্রশংসা করে; কিন্তু ব্যবস্থা পালনকারীরা দুষ্টদের প্রতিরোধ করে।
5 অনিষ্টকারীরা যা উচিত তা বোঝে না, কিন্তু যারা সদাপ্রভুর খোঁজ করে তারা তা পুরোপুরি বুঝতে পারে।
৫দুরাচারেরা বিচার বোঝে না, কিন্তু সদাপ্রভুর অন্বেষনকারীরা সকলই বোঝে।
6 যে ধনবানদের জীবনযাত্রার ধরন উচ্ছৃঙ্খল তাদের চেয়ে সেই দরিদ্রেরা ভালো যাদের জীবনযাত্রার ধরন অনিন্দনীয়।
৬বরং সেই দরিদ্র লোক ভাল, যে নিজের সিদ্ধতায় চলে, তবু দ্বিপথগামী কুটিল লোক ধনী হলেও ভাল নয়।
7 বিচক্ষণ ছেলে শিক্ষায় মনোযোগ দেয়, কিন্তু যে পেটুকদের সহচর সে তার বাবার মর্যাদাহানি করে।
৭যে ব্যবস্থা মানে, সেই জ্ঞানবান ছেলে; কিন্তু যে পেটুকদের সঙ্গী সে বাবার লজ্জাজনক।
8 যে দরিদ্রদের কাছ থেকে সুদ নিয়ে বা লাভ করে সম্পত্তি বৃদ্ধি করে সে অন্য এমন একজনের জন্য তা জমিয়ে রাখে যে দরিদ্রদের প্রতি দয়ালু হবে।
৮যে সুদ ও বৃদ্ধি নিয়ে নিজের ধন বাড়ায়, সে দীনহীনদের প্রতি দয়াকারীর জন্য সঞ্চয় করে।
9 যদি কেউ আমার দেওয়া শিক্ষার প্রতি কান বন্ধ করে রাখে, তবে তাদের প্রার্থনাও ঘৃণার্হ।
৯যে ব্যবস্থা শোনা থেকে নিজের কান সরিয়ে নেয়, তার প্রার্থনাও ঘৃণাস্পদ।
10 যারা ন্যায়পরায়ণদের কুপথে পরিচালিত করে তারা নিজেদের ফাঁদেই গিয়ে পড়বে, কিন্তু অনিন্দনীয়রা এক উপযুক্ত উত্তরাধিকার লাভ করবে।
১০যে সরলদের কে খারাপ পথে নিয়ে ভ্রান্ত করে, সে নিজের গর্তে নিজে পড়বে; কিন্তু সাধুরা মঙ্গলের অধিকার পায়।
11 ধনবানেরা নিজেদের দৃষ্টিতেই জ্ঞানবান; যারা দরিদ্র ও বিচক্ষণ তারা দেখতে পায় তারা কত বিভ্রান্ত।
১১ধনী নিজের চোখে জ্ঞানবান, কিন্তু বুদ্ধিমান দরিদ্র তার পরীক্ষা করে।
12 ধার্মিকেরা যখন বিজয়ী হয়, তখন মহোল্লাস হয়; কিন্তু দুষ্টেরা যখন ক্ষমতাসীন হয়, তখন মানুষ আড়ালে গিয়ে লুকায়।
১২ধার্ম্মিকদের আনন্দে মহাগৌরব হয়, কিন্তু দুষ্টদের উন্নতি হলেও লোকদের দেখতে পাওয়া যায় না।
13 যারা নিজেদের পাপগুলি লুকায় তারা উন্নতি লাভ করতে পারে না, কিন্তু যারা সেগুলি স্বীকার ও ত্যাগ করে তারা দয়া লাভ করে।
১৩যে নিজের অধর্ম্ম সব ঢেকে রাখে, সে কৃতকার্য্য হইবে না; কিন্তু যে তা স্বীকার করে ত্যাগ করে, সে করুণা পাবে।
14 ধন্য তারাই যারা সবসময় ঈশ্বরের সামনে ভীত হয়, কিন্তু যারা তাদের হৃদয় কঠোর করে তারা বিপদে পড়বে।
১৪ধন্য সেই ব্যক্তি, যে সব দিন মন্দ কাজ করতে ভয় করে; কিন্তু যে হৃদয় কঠিন করে, সে বিপদে পড়বে।
15 অসহায় প্রজাদের উপর কর্তৃত্বকারী দুষ্ট শাসক গর্জনকারী সিংহ বা আক্রমণকারী ভালুকের মতো।
১৫যেমন গর্জনকারী সিংহ ও পর্যটনকারী ভল্লুক, তেমনি দীনহীন প্রজার উপরে দুষ্ট শাসনকর্ত্তা।
16 অত্যাচারী শাসক অবৈধ জুলুম চালায়, কিন্তু যিনি অসৎ উপায়ে অর্জিত লাভ ঘৃণা করেন তিনি সুদীর্ঘকাল ধরে রাজত্ব করবেন।
১৬যে অধ্যক্ষের বুদ্ধির অভাব, সে নিষ্ঠুর অত্যাচারী; কিন্তু যে লোভ ঘৃণা করে, সে দীর্ঘজীবী হবে।
17 যে হত্যার অপরাধবোধ দ্বারা নির্যাতিত হয় সে কবরে গিয়ে আশ্রয় নেয়; যেন কেউ তাকে ধরতে না পারে।
১৭যে লোক মানুষের রক্তভারে ভারাক্রান্ত, সে গর্ত পর্যন্ত পালাবে, কেউ তাকে থাকতে না দিক।
18 যার চলন অনিন্দনীয় সে সুরক্ষিত থাকে, কিন্তু যার জীবনযাত্রার ধরন উচ্ছৃঙ্খল সে খাদে গিয়ে পড়বে।
১৮যে ন্যায়ের পথে চলে, সে রক্ষা পাবে; কিন্তু যে বিপথগামী দুই পথে চলে, সে একটায় পড়বে।
19 যারা নিজেদের জমি চাষ করে তারা প্রচুর খাদ্য পাবে, কিন্তু যারা উদ্ভট কল্পনার পিছনে ছুটে বেড়ায় দারিদ্র তাদের সঙ্গী হয়।
১৯যে নিজের জমি চাষ করে, সে যথেষ্ট খাবার পায়; কিন্তু যে অসারদের পিছনে পিছনে দৌড়য়, তার যথেষ্ট কম হয়।
20 বিশ্বস্ত লোক প্রচুর আশীর্বাদ লাভ করবে, কিন্তু যে ধনবান হওয়ার জন্য আগ্রহী হয় সে অদণ্ডিত থাকবে না।
২০বিশ্বস্ত লোক অনেক আশীর্বাদ পাবে; কিন্তু যে ধনী হবার জন্য তাড়াতাড়ি করে, সে দন্ডিত হবে।
21 মুখাপেক্ষা করা ভালো নয়— অথচ মানুষ এক টুকরো রুটির জন্যও অন্যায় করে।
২১মানুষের ওপর নির্ভর করা ভাল নয়, এক টুকরো রুটীর জন্য অধর্ম্ম করাও ভাল নয়।
22 কৃপণেরা ধনসম্পত্তি অর্জনের জন্য আগ্রহী হয় ও তারা জানেও না যে দারিদ্র তাদের জন্য অপেক্ষা করে আছে।
২২যার চোখ মন্দ, সে ধনের চেষ্টায় ব্যস্ত থাকে; সে জানে না যে, তার দ্রারিদ্রতা আসবে।
23 যে জিভ দিয়ে চাটুকারিতা করে তার তুলনায় বরং কোনো মানুষকে যে ভর্ৎসনা করে, শেষ পর্যন্ত সেই অনুগ্রহ লাভ করবে।
২৩কোনো লোককে যে তিরস্কার করে, শেষে তাকে তিরস্কার করা হবে, যে জিভে চাটুবাদ করে, সে নয়।
24 যে মা-বাবার ধনসম্পদ চুরি করে ও বলে, “এ তো অন্যায় নয়,” সে তাদেরই অংশীদার, যারা ধ্বংসসাধন করে।
২৪যে বাবা মায়ের ধন চুরি করে বলে, এ তো অধর্ম্ম নয়, সে ব্যক্তি ধ্বংসের পাত্র।
25 লোভী মানুষেরা বিবাদ জাগিয়ে তোলে, কিন্তু যারা সদাপ্রভুতে নির্ভর করে তারা উন্নতি লাভ করবে।
২৫যে বেশী আশা করে, সে ঝগড়ার সৃষ্টি করে, কিন্তু যে সদাপ্রভুতে বিশ্বাস করে, সে পুষ্ট হবে।
26 যারা নিজেদের উপর নির্ভর করে তারা মূর্খ, কিন্তু যারা জ্ঞানের পথে চলে তারা নিরাপদ থাকবে।
২৬যে নিজ হৃদয়কে বিশ্বাস করে, সে নির্বোধ; কিন্তু যে প্রজ্ঞা-পথে চলে, সে রক্ষা পাবে।
27 যারা দরিদ্রদের দান করে তাদের কোনো কিছুর অভাব হয় না, কিন্তু যারা তাদের দেখে চোখ বন্ধ করে থাকে তারা প্রচুর অভিশাপ কুড়ায়।
২৭যে দরিদ্রদের দিকে তাকিয়েও দান না করে, সে অভিশপ্ত হবে, কিন্তু যে চোখ বন্ধ করে থাকে, সে অনেক অভিশাপ পাবে।
28 দুষ্টেরা যখন ক্ষমতাসীন হয়, মানুষ তখন আড়ালে গিয়ে লুকায়, কিন্তু দুষ্টেরা যখন বিনষ্ট হয়, তখন ধার্মিকেরা সমৃদ্ধশালী হয়।
২৮দুষ্টদের উন্নতি হলে লোকেরা লুকায়; তারা ধ্বংস হলে ধার্ম্মিকেরা বৃদ্ধি পায়।
