< হিতোপদেশ 28 >
1 কেউ পশ্চাদ্ধাবন না করলেও দুষ্টেরা পালায়, কিন্তু ধার্মিকেরা সিংহের মতো সাহসী।
১কোনো লোকে খেদি নগলেও দুষ্টলোক দৌৰি পলায়; কিন্তু ন্যায় কাৰ্য কৰা সকল যুৱা সিংহৰ দৰে সাহসী হয়।
2 কোনও দেশ যখন বিদ্রোহী হয়, তখন সেখানে বহু শাসক উৎপন্ন হয়, কিন্তু বিচক্ষণতা ও জ্ঞানসম্পন্ন শাসক শৃঙ্খলা বজায় রাখেন।
২দেশৰ আইন উলঙ্ঘনৰ বাবে দেশত অনেক শাসনকৰ্তা হয়; কিন্তু জ্ঞানী আৰু বিবেচনা কৰা লোকৰ দ্বাৰাই শাসন চিৰস্থায়ী হয়।
3 যে শাসক দরিদ্রদের নিগৃহীত করে সে সেই প্রবল বৃষ্টিপাতের মতো যা কোনও শস্য বাদ দেয় না।
৩যিজন দৰিদ্ৰ লোকে দৰিদ্রক উপদ্ৰৱ কৰে, তেওঁ খাদ্য নষ্ট কৰা বৰষুণৰ দৰে।
4 যারা শিক্ষা পরিত্যাগ করে তারা দুষ্টদের প্রশংসা করে, কিন্তু যারা তাতে মনোযোগ দেয় তারা তাদের প্রতিরোধ করে।
৪যিজনে বিধান ত্যাগ কৰে, তেওঁ দুষ্টলোকক প্ৰশংসা কৰে, কিন্তু যিজনে বিধান পালন কৰে, তেওঁ তেওঁলোকৰ বিৰুদ্ধে যুঁজ কৰে।
5 অনিষ্টকারীরা যা উচিত তা বোঝে না, কিন্তু যারা সদাপ্রভুর খোঁজ করে তারা তা পুরোপুরি বুঝতে পারে।
৫দুষ্ট লোকে ন্যায়বিচাৰ নুবুজে; কিন্তু যিজনে যিহোৱাক বিচাৰে, সেই জনে সকলো বুজি পায়।
6 যে ধনবানদের জীবনযাত্রার ধরন উচ্ছৃঙ্খল তাদের চেয়ে সেই দরিদ্রেরা ভালো যাদের জীবনযাত্রার ধরন অনিন্দনীয়।
৬কুটিল পথত চলা ধনী মানুহতকৈ, ন্যায়পৰায়ণতাত চলা দৰিদ্ৰ লোকেই শ্ৰেষ্ঠ।
7 বিচক্ষণ ছেলে শিক্ষায় মনোযোগ দেয়, কিন্তু যে পেটুকদের সহচর সে তার বাবার মর্যাদাহানি করে।
৭যি জনে বিধান পালন কৰে, তেওঁ সুবিবেচনা থকা সন্তানৰ দৰে; কিন্তু যি জনৰ ভোজনবিলাসী সঙ্গী থাকে, তেওঁ নিজৰ পিতৃক লাজ দিয়ে।
8 যে দরিদ্রদের কাছ থেকে সুদ নিয়ে বা লাভ করে সম্পত্তি বৃদ্ধি করে সে অন্য এমন একজনের জন্য তা জমিয়ে রাখে যে দরিদ্রদের প্রতি দয়ালু হবে।
৮যি কোনোৱে অধিক সুত লোৱাৰ দ্বাৰাই নিজৰ ভবিষ্যতলৈ সম্পত্তি সাঁচে, সেই জনে দৰিদ্র লোকক দয়া কৰা লোকৰ বাবে সেই ধন সাঁচে।
9 যদি কেউ আমার দেওয়া শিক্ষার প্রতি কান বন্ধ করে রাখে, তবে তাদের প্রার্থনাও ঘৃণার্হ।
৯কোনোৱে যদি বিধানৰ কথা শুনাৰ পৰা আঁতৰি থাকে, তেনেহ’লে তেওঁৰ প্ৰাৰ্থনাও ঘৃণিত হয়।
10 যারা ন্যায়পরায়ণদের কুপথে পরিচালিত করে তারা নিজেদের ফাঁদেই গিয়ে পড়বে, কিন্তু অনিন্দনীয়রা এক উপযুক্ত উত্তরাধিকার লাভ করবে।
১০যি কোনোৱে ন্যায়পৰায়ণ লোকক কুপথত চলিবলৈ বিভ্রান্ত কৰে, তেনেহলে তেওঁ নিজে খন্দা গাতত নিজে পৰে; কিন্তু নিৰ্দোষী লোকে ভাল উত্তৰাধিকাৰ লাভ কৰে।
11 ধনবানেরা নিজেদের দৃষ্টিতেই জ্ঞানবান; যারা দরিদ্র ও বিচক্ষণ তারা দেখতে পায় তারা কত বিভ্রান্ত।
১১ধনী লোক নিজৰ দৃষ্টিত জ্ঞানী হ’ব পাৰে; কিন্তু বিবেচনা শক্তি থকা দৰিদ্ৰ লোকে তেওঁক বিচাৰি উলিয়াব।
12 ধার্মিকেরা যখন বিজয়ী হয়, তখন মহোল্লাস হয়; কিন্তু দুষ্টেরা যখন ক্ষমতাসীন হয়, তখন মানুষ আড়ালে গিয়ে লুকায়।
১২ন্যায় কাৰ্য কৰা লোক যেতিয়া জয়ী হয়, তেতিয়া তাত মহাগৌৰৱ হয়, কিন্তু যেতিয়া দুষ্ট লোকে উন্নতি কৰে, তেতিয়া লোকসকলে নিজকে লুকুৱাই থাকে।
13 যারা নিজেদের পাপগুলি লুকায় তারা উন্নতি লাভ করতে পারে না, কিন্তু যারা সেগুলি স্বীকার ও ত্যাগ করে তারা দয়া লাভ করে।
১৩যিজনে নিজৰ পাপ ঢাকি ৰাখে, তেওঁৰ উন্নতি নহব; কিন্তু যিজনে নিজৰ পাপ স্বীকাৰ কৰি সেইবোৰ ত্যাগ কৰে, সেই জনে দয়া পাব।
14 ধন্য তারাই যারা সবসময় ঈশ্বরের সামনে ভীত হয়, কিন্তু যারা তাদের হৃদয় কঠোর করে তারা বিপদে পড়বে।
১৪যিজনে সদায় গভীৰ ভক্তিৰে জীৱন যাপন কৰে, সেই জন সুখী হয়; কিন্তু যিকোনোৱে নিজৰ হৃদয় কঠিন কৰে, সেই জন সমস্যাত পৰে।
15 অসহায় প্রজাদের উপর কর্তৃত্বকারী দুষ্ট শাসক গর্জনকারী সিংহ বা আক্রমণকারী ভালুকের মতো।
১৫গৰ্জ্জনকাৰী সিংহ আৰু আক্রমণকাৰী ভালুক যেনে, দৰিদ্র লোকৰ ওপৰত দুষ্ট শাসনকৰ্ত্তাও তেনে।
16 অত্যাচারী শাসক অবৈধ জুলুম চালায়, কিন্তু যিনি অসৎ উপায়ে অর্জিত লাভ ঘৃণা করেন তিনি সুদীর্ঘকাল ধরে রাজত্ব করবেন।
১৬বিবেচনা শক্তি নথকা শাসনকৰৰ্ত্তা অত্যাচাৰী হয়; কিন্তু যিজনে অসাধুতাক ঘিণ কৰে, তেওঁ দীৰ্ঘজীৱি হয়।
17 যে হত্যার অপরাধবোধ দ্বারা নির্যাতিত হয় সে কবরে গিয়ে আশ্রয় নেয়; যেন কেউ তাকে ধরতে না পারে।
১৭যদি কোনো মানুহ আনৰ ৰক্তপাতত দোষীসাব্যস্ত হয়, তেওঁ মৃত্যুলৈকে পলাই ফুৰে; আৰু কোনেও তেওঁক সহায় নকৰে।
18 যার চলন অনিন্দনীয় সে সুরক্ষিত থাকে, কিন্তু যার জীবনযাত্রার ধরন উচ্ছৃঙ্খল সে খাদে গিয়ে পড়বে।
১৮যি কোনোৱে শুদ্ধ পথত চলে, তেওঁ ৰক্ষা পায়, কিন্তু যিজনে কুটিল পথত চলে; তেওঁ হঠাৎ পতিত হয়।
19 যারা নিজেদের জমি চাষ করে তারা প্রচুর খাদ্য পাবে, কিন্তু যারা উদ্ভট কল্পনার পিছনে ছুটে বেড়ায় দারিদ্র তাদের সঙ্গী হয়।
১৯যি কোনোৱে নিজৰ মাটিত কাম কৰে, তেওঁ জোৰাওকৈ আহাৰ পায়, কিন্তু যিজন নিষ্কৰ্মা লোকৰ অনুগামী হয়, সেই জনৰ প্রচুৰ পৰিমাণে অভাৱ হয়।
20 বিশ্বস্ত লোক প্রচুর আশীর্বাদ লাভ করবে, কিন্তু যে ধনবান হওয়ার জন্য আগ্রহী হয় সে অদণ্ডিত থাকবে না।
২০বিশ্বাসী লোকে বহুতো আশীৰ্ব্বাদ পায়; কিন্তু যিজন শীঘ্রে ধনী হয়, সেই জনে দণ্ড নোপোৱাকৈ নাথাকে।
21 মুখাপেক্ষা করা ভালো নয়— অথচ মানুষ এক টুকরো রুটির জন্যও অন্যায় করে।
২১পক্ষপাত কৰা ভাল নহয়; কিন্তু এডোখৰ ৰুটিৰ বাবেও মানুহে ভুল কৰে।
22 কৃপণেরা ধনসম্পত্তি অর্জনের জন্য আগ্রহী হয় ও তারা জানেও না যে দারিদ্র তাদের জন্য অপেক্ষা করে আছে।
২২কৃপণ লোকে ধনী হ’বলৈ অগ্রসৰ হয়; কিন্তু দৰিদ্ৰতা যে তেওঁৰ ওচৰলৈ আহি আছে, সেই বিষয়ে তেওঁ নাজানে।
23 যে জিভ দিয়ে চাটুকারিতা করে তার তুলনায় বরং কোনো মানুষকে যে ভর্ৎসনা করে, শেষ পর্যন্ত সেই অনুগ্রহ লাভ করবে।
২৩কথাৰে খুচামোদ কৰা লোকতকৈ, কোনো এজনক অনুযোগ কৰা জনে পৰৱৰ্তি সময়ত অধিক অনুগ্ৰহ পায়।
24 যে মা-বাবার ধনসম্পদ চুরি করে ও বলে, “এ তো অন্যায় নয়,” সে তাদেরই অংশীদার, যারা ধ্বংসসাধন করে।
২৪যি কোনোৱে নিজৰ পিতৃ আৰু মাতৃৰ ধন-সম্পত্তি অপহৰণ কৰি কয়, “এয়া পাপ নহয়,” তেওঁ বিনাশকাৰীৰ সঙ্গী হয়।
25 লোভী মানুষেরা বিবাদ জাগিয়ে তোলে, কিন্তু যারা সদাপ্রভুতে নির্ভর করে তারা উন্নতি লাভ করবে।
২৫লুভীয়া স্বভাৱৰ লোকে বিবাদ উৎপন্ন কৰে; কিন্তু যিহোৱাত ভাৰসা কৰা লোকৰ উন্নতি হয়।
26 যারা নিজেদের উপর নির্ভর করে তারা মূর্খ, কিন্তু যারা জ্ঞানের পথে চলে তারা নিরাপদ থাকবে।
২৬যিজনে নিজৰ হৃদয়ত ভাৰসা কৰে, তেওঁ অজ্ঞানী হ’য়; কিন্তু যি মানুহে প্ৰজ্ঞাৰ পথত চলে, তেওঁ বিপদৰ পৰা ৰক্ষা পায়।
27 যারা দরিদ্রদের দান করে তাদের কোনো কিছুর অভাব হয় না, কিন্তু যারা তাদের দেখে চোখ বন্ধ করে থাকে তারা প্রচুর অভিশাপ কুড়ায়।
২৭যি মানুহে দৰিদ্ৰক দান কৰে, তেওঁৰ অভাৱ নহয়; কিন্তু যি কোনোৱে তেওঁলোকলৈ চকু মুদে, তেওঁ অধিক শাও পায়।
28 দুষ্টেরা যখন ক্ষমতাসীন হয়, মানুষ তখন আড়ালে গিয়ে লুকায়, কিন্তু দুষ্টেরা যখন বিনষ্ট হয়, তখন ধার্মিকেরা সমৃদ্ধশালী হয়।
২৮দুষ্টলোকৰ উন্নতি হলে, মানুহে নিজকে লুকাই ৰাখে; কিন্তু দুষ্টলোক নষ্ট হলে, ন্যায় কাৰ্য কৰা লোকৰ বৃদ্ধি হয়।