< হিতোপদেশ 22 >

1 প্রচুর ধনসম্পদের চেয়ে সুনাম বেশি কাম্য; রুপো ও সোনার চেয়ে সম্মান পাওয়া ভালো।
প্রচুর ধনের থেকে সুখ্যাতি ভালো; রৌপ্য ও সুবর্ণ অপেক্ষা প্রসন্নতা ভাল।
2 ধনবান ও দরিদ্রের মধ্যে একটিই মিল আছে; সদাপ্রভু তাদের উভয়েরই নির্মাতা।
ধনী ও গরিব এই বিষয়ে সমান; সদাপ্রভু তাদের সবার নির্মাতা
3 বিচক্ষণ মানুষেরা বিপদ দেখে কোথাও আশ্রয় নেয়, কিন্তু অনভিজ্ঞ লোকেরা এগিয়ে যায় ও শাস্তি পায়।
সতর্ক লোক বিপদ দেখে নিজেকে লুকায়, কিন্তু অবোধেরা আগে যায় এবং তারা এর জন্য শাস্তি পায়।
4 নম্রতাই সদাপ্রভুর ভয়; এর বেতন হল ধনসম্পদ ও সম্মান ও জীবন।
সদাপ্রভুর ভয় নম্রতা ও ধন, সম্মান ও জীবন আনে।
5 দুষ্টদের চলার পথে ফাঁদ ও চোরা খাদ থাকে, কিন্তু যারা নিজেদের জীবন রক্ষা করে তারা সেগুলি থেকে দূরে সরে থাকে।
বিপথগামীর পথে কাঁটা ও ফাঁদ থাকে; যে কেউ নিজের প্রাণ রক্ষা করে সে তাদের থেকে দূরে থাকবে।
6 সন্তানদের এমন এক পথে চলার শিক্ষা দাও যে পথে তাদের চলা উচিত, ও তারা বৃদ্ধ হয়ে গেলেও সেখান থেকে ফিরে আসবে না।
শিশু যে পথে যেতে চায় তাকে সেই বিষয়ে শিক্ষা দাও, সে বয়ষ্ক হলেও তা ছাড়বে না।
7 ধনবানেরা দরিদ্রদের উপর কর্তৃত্ব করে, ও যারা ধার করে তারা মহাজনের দাস হয়।
ধনী গরিবদের উপরে কর্তৃত্ব করে এবং ঋণী যে ধার দেয় তার দাস হয়।
8 যারা অধর্মের বীজ বোনে তাদের চরম দুর্দশারূপী ফসল কাটতে হয়, ও তারা রাগের বশে যে লাঠি চালায় তা ভেঙে যাবে।
যে দুষ্টতা বপন করে, সে বিপদের শস্য কাটবে, আর তার প্রকোপের দন্ড ব্যবহৃত হবে না।
9 উদার প্রকৃতির মানুষেরা স্বয়ং আশীর্বাদধন্য হবে, কারণ তারা তাদের খাদ্য দরিদ্রদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়।
যার উদার চোখ আছে সে আশীর্বাদিত হবে; কারণ সে গরিবের জন্য তার খাবারের অংশ ভাগ করে।
10 বিদ্রুপকারীদের তাড়িয়ে দাও, আর বিবাদও দূর হয়ে যাবে; বিবাদ ও অপমানও মিটে যাবে।
১০উপহাসককে নিক্ষেপ কর বিবাদ বাইরে যাবে এবং বিরোধ ও অপমানও শেষ হবে।
11 যে বিশুদ্ধ হৃদয় ভালোবাসে ও যে অনুগ্রহকারী কথাবার্তা বলে সে রাজাকে বন্ধু রূপে পায়।
১১যে বিশুদ্ধ হৃদয় ভালবাসে এবং যার কথায় অনুগ্রহ থাকে, সে রাজার বন্ধু হন।
12 সদাপ্রভুর চোখ জ্ঞান পাহারা দেয়, কিন্তু বিশ্বাসঘাতকদের কথা তিনি বিফল করে দেন।
১২সদাপ্রভুর চোখ জ্ঞানবানকে রক্ষা করে; কিন্তু তিনি বিশ্বাসঘাতকের কথা ফেলে দেন।
13 অলস বলে, “বাইরে সিংহ আছে! নগরের চকে গেলেই আমি নিহত হব!”
১৩অলস বলে, “রাস্তায় সিংহ আছে! খোলা জায়গায় গেলে আমি মারা যাব।”
14 ব্যভিচারী মহিলার মুখ এক গভীর খাত; যে সদাপ্রভুর ক্রোধের অধীন সে সেই খাদে গিয়ে পড়ে।
১৪ব্যভিচারিণীদের মুখ গভীর গর্ত; সদাপ্রভুর ক্রোধ তাদের ওপরে পড়বে।
15 শিশুর অন্তরে মূর্খতা বাঁধা থাকে, কিন্তু শৃঙ্খলাপরায়ণতার লাঠি তা বহুদূরে সরিয়ে দেয়।
১৫বালকের হৃদয়ে নির্বুদ্ধিতা বাঁধা থাকে, কিন্তু শাসন দন্ড তা দূরে তাড়িয়ে দেবে।
16 যে নিজের ধনসম্পত্তি বাড়িয়ে তোলার জন্য দরিদ্রদের উপরে অত্যাচার করে ও যে ধনবানদের উপহার দেয়—উভয়েই দারিদ্রের সম্মুখীন হবে।
১৬নিজের সম্পত্তি বাড়ানোর জন্য যে দরিদ্রদের প্রতি অত্যাচার করে অথবা যে ধনীকে দান করে, উভয়েরই দারিদ্রতা ঘটে।
17 মনোযোগ দাও ও জ্ঞানবানদের নীতিবচনে কর্ণপাত করো; আমার শিক্ষায় মনোনিবেশ করো,
১৭তুমি মনোযোগ দিয়ে জ্ঞানবানদের কথা শোনো এবং তোমার হৃদয়ে আমার জ্ঞান প্রয়োগ কর।
18 কারণ তুমি যখন এগুলি অন্তরে রাখবে তখন তা আনন্দদায়ক হবে ও সবকটি তোমার ঠোঁটে প্রস্তুত হয়ে থাকবে।
১৮কারণ এটা তোমাকে আনন্দদায়ক করবে যদি তুমি সে সব তোমার মধ্যে রাখো, যদি সে সব তোমার ঠোঁটে প্রস্তুত থাকে।
19 যেন সদাপ্রভুতে তোমার নির্ভরতা স্থির হয়, তাই আজ আমি তোমাকে, তোমাকেই শিক্ষা দিচ্ছি।
১৯সদাপ্রভু যেন তোমার আশ্রয় হন, আমি আজ তোমাকে, তোমাকেই শিক্ষা দিলাম।
20 তোমার জন্য আমি কি সেই ত্রিশটি নীতিবচন লিখিনি, যেগুলি পরামর্শ ও জ্ঞানমূলক নীতিবচন,
২০আমি কি তোমাকে ত্রিশটি নির্দেশের কথা এবং জ্ঞানের কথা বলিনি,
21 যা তোমাকে সৎ হতে ও সত্যিকথা বলতে শিক্ষা দেবে, যেন তুমি যাদের সেবা করছ তাদের কাছে তুমি সত্যনিষ্ঠ খবর নিয়ে আসতে পারো?
২১যাতে তুমি সত্য বাক্যের নির্ভরযোগ্যতা শিখতে পার, যেন কেউ তোমাকে পাঠালে তুমি তাকে সত্য উত্তর দিতে পার।
22 দরিদ্রদের এজন্যই শোষণ কোরো না যেহেতু তারা দরিদ্র ও অভাবগ্রস্তদের দরবারে পিষে মেরো না,
২২গরিব লোকের জিনিস চুরি কোরো না, কারণ সে গরিব অথবা অভাবগ্রস্তকে দরজায় ভেঙ্গো না,
23 কারণ সদাপ্রভু তাদের হয়ে মামলা লড়বেন ও প্রাণের পরিবর্তে প্রাণ দাবি করবেন।
২৩কারণ সদাপ্রভু তাদের পক্ষ সমর্থন করবেন এবং তিনি তাদের প্রাণকে ছিনিয়ে নেবেন, যারা তাদের জিনিস চুরি করে।
24 উগ্রস্বভাব বিশিষ্ট লোকের সঙ্গে বন্ধুত্ব কোরো না, এমন কোনও লোকের সহযোগী হোয়ো না যে সহজেই ক্রুদ্ধ হয়,
২৪যে কেউ রাগের সঙ্গে শাসন করে তার সঙ্গে বন্ধুতা কর না, যে ক্রোধ করে তার সঙ্গে যেও না;
25 পাছে তুমিও তাদের জীবনযাত্রার ধরন শিখে ফেলো ও নিজেই ফাঁদে জড়িয়ে পড়ো।
২৫অথবা তুমি তার পথের বিষয়ে শেখো এবং তুমি নিজের জন্য ফাঁদ তৈরী কর।
26 এমন কোনও মানুষের মতো হোয়ো না যে বন্ধক রেখেছে বা যে ঋণগ্রহীতার হয়ে জামিনদার হয়েছে;
২৬কোনো এক জনের মতো হয়ো না যারা টাকার সম্পর্কে অঙ্গীকারে বদ্ধ হয় এবং তুমি অন্যের ঋণের জন্যে দায়ী হয়ো না।
27 যদি তুমি ঋণ শোধ করতে না পারো, তবে তোমার গায়ের তলা থেকে তোমার বিছানাটিও কেড়ে নেওয়া হবে।
২৭যদি তোমার পরিশোধ করতে অভাব থাকে, তবে গায়ের নীচ থেকে তোমার শয্যা নিয়ে নেওয়া হবে কেন?
28 সীমানার যে প্রাচীন পাথরটি তোমার পূর্বপুরুষেরা প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন সেটি স্থানান্তরিত কোরো না।
২৮সীমার পুরাতন পাথর সরিও না, যা তোমার পিতৃপুরুষরা স্থাপন করেছেন।
29 কাউকে কি তাদের কাজে সুদক্ষ দেখছ? তারা রাজাদের সামনে দাঁড়িয়ে সেবাকাজ করবে; তারা কোনও নিম্নস্তরীয় কর্মকর্তাদের সামনে দাঁড়িয়ে সেবাকাজ করবে না।
২৯তুমি কি কোনো লোককে তার কাজে দক্ষ দেখছ? সে রাজাদের সামনে দাঁড়াবে, সে সাধারণ লোকেদের সামনে দাঁড়াবে না।

< হিতোপদেশ 22 >