< হিতোপদেশ 21 >

1 রাজার হৃদয় সদাপ্রভুর হাতে ধরা এমন এক জলপ্রবাহ যা তিনি তাদের সবার দিকে প্রবাহিত হতে দেন যারা তাঁকে সন্তুষ্ট করে।
সদাপ্রভুর হাতে রাজার হৃদয় জলপ্রবাহের মতো; তিনি যে দিকে চায়, সেই দিকে তা ফেরান।
2 মানুষ মনে করতে পারে যে তাদের পথই ঠিক, কিন্তু সদাপ্রভুই অন্তর মাপেন।
মানুষের সব পথই নিজের দৃষ্টিতে সরল, কিন্তু সদাপ্রভু হৃদয় সব ওজন করেন।
3 বলিদানের পরিবর্তে যা যথার্থ ও ন্যায্য, তা করাই সদাপ্রভুর কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য।
ধার্ম্মিকতা ও ন্যায়ের কাজ সদাপ্রভুর কাছে বলিদানের থেকে গ্রাহ্য।
4 উদ্ধত দৃষ্টি ও গর্বিত হৃদয়— দুষ্টদের অকর্ষিত জমি—পাপ উৎপন্ন করে।
অহঙ্কারী দৃষ্টি ও গর্বিত মন, দুষ্টদের সেই বাতি পাপময়।
5 পরিশ্রমীদের পরিকল্পনা লাভের মুখ দেখে ঠিক যেভাবে হঠকারিতা দারিদ্র নিয়ে আসে।
পরিশ্রমীর চিন্তা থেকে শুধু ধনলাভ হয়, কিন্তু যে কেউ তাড়াতাড়ি করে তার কাছে শুধু দারিদ্রতা আসে।
6 মিথ্যাবাদী জিভ দ্বারা যে প্রচুর ধন অর্জিত হয় তা অস্থায়ী বাষ্প ও সাংঘাতিক ফাঁদবিশেষ।
মিথ্যাবাদী জিহ্বা দ্বারা যে ধনকোষ লাভ, তা দ্রুতগামী বাষ্পস্বরূপ, তার অন্বেষণকারী মৃত্যুর অন্বেষী।
7 দুষ্টদের হিংস্রতা তাদেরই টেনে নিয়ে যাবে, কারণ তারা যা ন্যায্য তা করতে অস্বীকার করে।
দুষ্টদের হিংস্রতা তাদেরকে উড়িয়ে দেয়, কারণ তারা ন্যায় আচরণ করতে অসম্মত।
8 অপরাধীদের পথ সর্পিল, কিন্তু নিরপরাধ মানুষের আচরণ ন্যায়নিষ্ঠ।
অপরাধী লোকের পথ বাঁকা; কিন্তু বিশুদ্ধ লোকের কাজ সরল।
9 কলহপ্রিয়া স্ত্রীর সঙ্গে এক বাড়িতে থাকার চেয়ে ছাদের এক কোনায় বসবাস করা ভালো।
বরং ছাদের কোণে বাস করা ভাল, তবু বিবাদিন বন্দিনী স্ত্রীর সঙ্গে বাড়িতে বাস করা ভাল নয়।
10 দুষ্টেরা অনিষ্টের আকাঙ্ক্ষা করে; তাদের প্রতিবেশীরা তাদের কাছ থেকে কোনও দয়া পায় না।
১০দুষ্টের প্রাণ মন্দের আকাঙ্খা করে, তার দৃষ্টিতে তার প্রতিবাসী দয়া পায় না।
11 যখন বিদ্রুপকারী শাস্তি পায়, অনভিজ্ঞ লোকেরা জ্ঞানার্জন করে; জ্ঞানবানদের প্রতি মনোযোগ দিয়ে তারা জ্ঞান লাভ করে।
১১উপহাসককে শাস্তি দিলে অবোধ বুদ্ধিমান হয়, বুদ্ধিমানকে বুঝিয়ে দিলে সে জ্ঞান বৃদ্ধি করে।
12 ধর্মময় জন দুষ্টদের বাড়ির দিকে নজর রাখেন ও দুষ্টদের সর্বনাশ করেন।
১২যিনি ধার্মিক, যিনি দুষ্টদের বংশের বিষয় বিবেচনা করেন; তিনি দুষ্টদেরকে নিক্ষেপ করে বিনাশ করেন।
13 যারা দরিদ্রদের কান্না শুনেও কান বন্ধ করে রাখে তারাও কাঁদবে ও কোনও উত্তর পাবে না।
১৩যে গরিবের কান্না শোনে না, সে নিজে ডাকবে, সে শুনতে পাবে না।
14 গোপনে দত্ত উপহার ক্রোধ প্রশমিত করে, ও আলখাল্লার নিচে লুকিয়ে রাখা ঘুস প্রচণ্ড ক্রোধ শান্ত করে।
১৪গোপন দান রাগ শান্ত করে এবং গোপনভাবে দেওয়া উপহার শান্ত করে প্রচন্ড ক্রোধ।
15 যখন ন্যায়বিচার করা হয়, তা ধার্মিকদের জীবনে আনন্দ এনে দেয় কিন্তু অনিষ্টকারীদের জীবনে আতঙ্ক জাগায়।
১৫ন্যায় আচরণ ধার্ম্মিকের পক্ষে আনন্দ, কিন্তু অধর্মাচারীদের পক্ষে তা সর্বনাশ।
16 যে দূরদর্শিতার পথ থেকে দূরে সরে যায় সে মৃত মানুষদের সমাজে এসে বিশ্রাম নেয়।
১৬যে বুদ্ধির পথ ছেড়ে ঘুরে বেড়ায়, সে মৃতদের সমাজে থাকবে।
17 যে তুচ্ছ আমোদ-প্রমোদ ভালোবাসে সে দরিদ্র হয়ে যাবে; যে দ্রাক্ষারস ও জলপাই তেল ভালোবাসে সে কখনও ধনবান হবে না।
১৭যে আমোদ ভালবাসে, সে গরিব হবে; যে আঙ্গুর রস ও তেল ভালবাসে, সে ধনবান হবে না।
18 দুষ্টেরা ধার্মিকদের জন্য, ও বিশ্বাসঘাতকেরা ন্যায়পরায়ণদের জন্য মুক্তিপণ হবে।
১৮দুষ্ট ধার্ম্মিকদের মুক্তিপণস্বরূপ, বিশ্বাসঘাতক সরলদের পরিবর্ত্তস্বরূপ।
19 কলহপ্রিয়া ও খুঁতখুঁতে স্ত্রীর সঙ্গে বসবাস করার চেয়ে বরং মরুভূমিতে বসবাস করা ভালো।
১৯বরং নির্জন ভূমিতে বাস করা ভাল, তবু বিবাদিন বন্দিনী ও অভিযোগকারী স্ত্রীর সঙ্গে বাস করা ভাল নয়।
20 জ্ঞানবানেরা পছন্দসই খাদ্যদ্রব্য ও জলপাই তেল সঞ্চয় করে রাখে, কিন্তু মূর্খেরা তাদের কাছে যা কিছু থাকে সেসব গ্রাস করে ফেলে।
২০জ্ঞানীর নিবাসে মূল্যবান ধনকোষ ও তেল আছে; কিন্তু নির্বোধ তা নষ্ট করে।
21 যে ধার্মিকতা ও ভালোবাসার পশ্চাদ্ধাবন করে সে জীবন, সমৃদ্ধি ও সম্মান পায়।
২১যে ধার্মিকতার ও দয়ার কাজ করে, সে জীবন, ধার্ম্মিকতা ও সম্মান পায়।
22 যে জ্ঞানবান সে বলশালীদের নগর আক্রমণ করতে পারে ও সেই বলশালীরা যে দুর্গের উপরে নির্ভর করে থাকে, সেগুলিও চূর্ণ করে দিতে পারে।
২২জ্ঞানী বলবানদের নগর আক্রমণ করে এবং তার নির্ভর স্থানের শক্তি নত করে।
23 যারা তাদের মুখ ও জিভ সংযত রাখে তারা নিজেদেরকে চরম দুর্দশা থেকে রক্ষা করে।
২৩যে কেউ নিজের মুখ ও জিহ্বা রক্ষা করে, সে বিপদ থেকে নিজের প্রাণ রক্ষা করে।
24 অহংকারী ও দাম্ভিক মানুষ—তার নাম “বিদ্রুপকারী”— অশিষ্ট উন্মত্ততাপূর্ণ আচরণ করে।
২৪যে গর্বিত ও অহঙ্কারী, তার নাম উপহাসক; সে গর্বের প্রাবল্যে কাজ করে।
25 অলসের তীব্র আকাঙ্ক্ষা তার মৃত্যু ডেকে আনে, কারণ তার হাত দুটি কাজ করতে অস্বীকার করে।
২৫অলসের অভিলাষ তাকে মেরে ফেলে, কারণ তার হাত কাজ করতে অসন্মত।
26 সারাটি দিন ধরে সে আরও বেশি কিছু পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা করে, কিন্তু ধার্মিকেরা অকাতরে দান করে।
২৬কেউ সমস্ত দিন চায় আরো চায়; কিন্তু ধার্মিক দান করে, অনিচ্ছা প্রকাশ করে না।
27 দুষ্টদের বলিদান ঘৃণার্হ— মন্দ উদ্দেশ্য নিয়ে যখন তা আনা হয় তখন তা আরও কত না বেশি ঘৃণার্হ হয়ে যায়!
২৭দুষ্টদের বলিদান ঘৃণিত, দুষ্ট আচরণ আসলে তা আরও ঘৃণার্হ।
28 মিথ্যাসাক্ষী ধ্বংস হয়ে যাবে, কিন্তু মনোযোগী শ্রোতা সফলতাপূর্বক সাক্ষ্য দেবে।
২৮মিথ্যাসাক্ষী বিনষ্ট হবে; কিন্তু যে ব্যক্তি শোনে, তার কথা চিরস্থায়ী।
29 দুষ্টেরা দুঃসাহসিক ধৃষ্টতা খাড়া করে, কিন্তু ন্যায়পরায়ণরা তাদের জীবনযাত্রার ধরনের কথা ভেবে চলে।
২৯দুষ্ট লোক নিজের মুখ শক্ত করে; কিন্তু যে সরল, সে নিজের পথ সুস্থির করে।
30 এমন কোনও প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা বা পরিকল্পনা নেই যা সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে সফল হতে পারে।
৩০জ্ঞান নেই, বুদ্ধি নেই, উপদেশ নেই যা সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারবে।
31 ঘোড়াকে যুদ্ধের দিনের জন্য তৈরি করে রাখা হয়। কিন্তু বিজয় নির্ভর করে সদাপ্রভুর উপরে।
৩১যুদ্ধের দিনের র জন্য ঘোড়া সুসজ্জিত হয়; কিন্তু বিজয় সদাপ্রভু থেকে হয়।

< হিতোপদেশ 21 >