< হিতোপদেশ 20 >
1 দ্রাক্ষারস বিদ্রুপকারী ও সুরা কলহকারী; যে এগুলির দ্বারা বিপথগামী হয় সে জ্ঞানবান নয়।
১আঙ্গুর রস উপহাসক; সুরা কলহকারিনী; যে পানীয়ের দ্বারা বিপথগামী হয়, সে জ্ঞানবান নয়।
2 রাজার ক্রোধ সিংহের গর্জনের মতো আতঙ্ক ছড়ায়; যারা তাঁকে ক্রুদ্ধ করে তোলে তারা তাদের প্রাণ খোয়ায়।
২রাজার ক্রোধ তরুণ সিংহের গর্জনের মতো; যে তাঁর রাগ জন্মায়, সে নিজের প্রাণ হারায়।
3 বিবাদ এড়িয়ে চলা মানুষের পক্ষে সম্মানজনক বিষয়, কিন্তু মূর্খমাত্রই চট্জলদি বিবাদ করে ফেলে।
৩বিবাদ থেকে সরে যাওয়া যে কোনো লোকের গৌরব; কিন্তু প্রত্যেক নির্বোধ তর্কের মধ্যে পড়ে।
4 অলসেরা যথাসময়ে লাঙ্গল চষে না; অতএব ফসল কাটার সময় তারা চেয়ে দেখে কিন্তু কিছুই পায় না।
৪অলস শরত্কালে হাল বহে না, শস্যের দিনের ফসল চাইবে, কিন্তু কিছুই পাবে না।
5 মানুষের অন্তরের অভিপ্রায় গভীর জলরাশি, কিন্তু যে বিচক্ষণ সেই তা তুলে আনে।
৫মানুষের হৃদয়ের উদ্দেশ্য গভীর জলের মতো; কিন্তু বুদ্ধিমান তা তুলে আনবে।
6 অনেকেই দাবি করে যে তাদের ভালোবাসা অফুরান, কিন্তু বিশ্বস্ত লোক কে খুঁজে পায়?
৬অনেক লোক ঘোষণা করে যে সে বিশ্বস্ত, কিন্তু বিশ্বস্ত লোক কে খুঁজে পেতে পারে?
7 ধার্মিকেরা অনিন্দনীয় জীবনযাপন করে; তাদের পরে তাদের সন্তানেরাও আশীর্বাদধন্য হয়।
৭যে ধার্মিক নিজের সততায় চলে এবং তার পরে তার ছেলেরা ধন্য।
8 রাজা যখন বিচার করার জন্য তাঁর সিংহাসনে বসেন, তখন তিনি তাঁর চোখ দিয়ে সব অমঙ্গল উড়িয়ে দেন।
৮যে রাজা সিংহাসনে বসে বিচারের দায়িত্ব পালন করে, তিনি দৃষ্টির দ্বারা সমস্ত মন্দ উড়িয়ে দেন।
9 কে বলতে পারে, “আমি আমার অন্তর বিশুদ্ধ রেখেছি; আমি শুচিশুদ্ধ ও নিষ্পাপ”?
৯কে বলতে পারে, “আমি হৃদয় পরিষ্কার করেছি, আমার পাপ থেকে মুক্ত হয়েছি?”
10 বিসদৃশ বাটখারা ও বিসদৃশ মাপ— সদাপ্রভু উভয়ই ঘৃণা করেন।
১০ভিন্ন ধরনের বাটখারা এবং অসম ওজন, উভয়ই সদাপ্রভু ঘৃণা করে।
11 ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েরাও তাদের কাজকর্মের দ্বারা পরিচিত হয়, তাই তাদের আচরণ কি সত্যিই বিশুদ্ধ ও ন্যায্য?
১১এছাড়া, বালকও তার কাজের মাধ্যমে পরিচয় দেয়, তার কাজ বিশুদ্ধ ও সরল কি না, জানায়।
12 যে কান শোনে ও যে চোখ দেখে— সদাপ্রভু উভয়ই তৈরি করেছেন।
১২শ্রবণকারী কান ও দর্শনকারী চোখ, এই উভয়ই সদাপ্রভুর বানানো।
13 ঘুম ভালোবেসো না পাছে তুমি দরিদ্র হয়ে যাও; জেগে থাকো ও তোমার কাছে অতিরিক্ত খাদ্যদ্রব্য থাকবে।
১৩ঘুমকে ভালবেসো না, পাছে দারিদ্রতা আসে; তুমি চোখ খোলো, খেয়ে সন্তুষ্ট হবে।
14 “এটি ভালো নয়, এটি ভালো নয়!” ক্রেতা বলে— পরে ফিরে যায় ও সংগৃহীত বস্তুটি নিয়ে গর্ববোধ করে।
১৪ক্রেতা বলে, “খারাপ! খারাপ!” কিন্তু যখন চলে যায়, তখন গর্ব করে।
15 সেখানে সোনা আছে, ও প্রচুর পরিমাণে মণিমুক্তো আছে, কিন্তু যে ঠোঁট জ্ঞানের কথা বলে তা দুর্লভ এক রত্ন।
১৫সোনা আছে, প্রচুর মূল্যবান পাথরও আছে, কিন্তু জ্ঞানবিশিষ্ট ঠোঁট অমূল্য রত্ন।
16 যে এক আগন্তুকের জামিনদার হয়েছে তার পোশাকটি নিয়ে নাও; তা যদি এক বহিরাগতের জন্য করা হয়েছে, তবে সেটি বন্ধকরূপে রেখে দাও।
১৬যে অপরের জামিন হয়, তার পোশাক নিয়ে নাও; যে বিজাতীয়দের জামিন হয়, তার কাছে বন্ধক নাও।
17 প্রতারণার দ্বারা অর্জিত খাদ্যদ্রব্য সুস্বাদু লাগে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত মানুষের মুখ কাঁকরে ভরে যায়।
১৭মিথ্যা কথার ফল মানুষের মিষ্টি মনে হয়, কিন্তু পরে তার মুখ কাঁকরে পরিপূর্ণ হয়।
18 পরামর্শ খোঁজ করার দ্বারাই পরিকল্পনা সফল হয়; অতএব তুমি যদি যুদ্ধ শুরু করেছ, তবে পরিচালনা লাভ করো।
১৮পরামর্শ দ্বারা সব পরিকল্পনা স্থির হয় এবং তুমি কেবল জ্ঞানের চালনায় যুদ্ধ কর।
19 পরনিন্দা পরচর্চা আস্থা ভঙ্গ করে; অতএব সেই লোককে এড়িয়ে চলো যে অতিরিক্ত কথাবার্তা বলে।
১৯পরচর্চা গোপন কথা প্রকাশ করে; যে বেশি কথা বলে, তার সঙ্গে ব্যবহার কর না।
20 যদি কেউ তাদের মা-বাবাকে অভিশাপ দেয়, তবে ঘোর অন্ধকারে তাদের প্রদীপ নিভে যাবে।
২০যদি একজন লোক তার বাবাকে অথবা মাকে অভিশাপ দেয়, তার বাতি অন্ধকারের মাঝে নিভে যাবে।
21 যে উত্তরাধিকার খুব তাড়াতাড়ি অর্জন করা যায় তা শেষ পর্যন্ত আর আশীর্বাদধন্য হবে না।
২১যে অধিকার প্রথমে তাড়াতাড়ি পাওয়া যায়, তার শেষ আশীর্বাদযুক্ত হবে না।
22 একথা বোলো না, “আমি এই অন্যায়ের প্রতিশোধ নেব!” সদাপ্রভুর অপেক্ষা করো, ও তিনিই তোমার হয়ে প্রতিশোধ নেবেন।
২২তুমি বল না, “আমি এই ভুলের জন্য তোমাকে প্রতিশোধ দেব;” সদাপ্রভুর অপেক্ষা কর, তিনি তোমাকে উদ্ধার করবেন।
23 সদাপ্রভু বিসদৃশ বাটখারা ঘৃণা করেন, ও অসাধু দাঁড়িপাল্লা তাঁকে সন্তুষ্ট করে না।
২৩অসম ওজন সদাপ্রভু ঘৃণা করেন এবং অসৎ তুলাদন্ড ভাল নয়।
24 মানুষের পদক্ষেপ সদাপ্রভু দ্বারাই পরিচালিত হয়। তবে মানুষ কীভাবে তাদের নিজস্ব পথ বুঝতে পারবে?
২৪মানুষের পদক্ষেপ সদাপ্রভুর দ্বারা হয়, তবে মানুষ কেমন করে নিজের পথ বুঝবে?
25 হঠাৎ করে কোনো কিছু উৎসর্গ করে পরে নিজের করা প্রতিজ্ঞার বিষয়ে বিবেচনা করলে, তা এক ফাঁদ হয়ে দাঁড়ায়।
২৫হঠাৎ পবিত্র হল, বলা, আর মানতের পর বিচার করা, একজন লোকের ফাঁদের মতো।
26 জ্ঞানবান রাজা দুষ্টদের ঝেড়ে ফেলেন; তিনি তাদের উপর দিয়ে শস্য মাড়াই কলের চাকা চালিয়ে দেন।
২৬জ্ঞানবান রাজা আজ দুষ্টদেরকে ঝেড়ে ফেলেন এবং তাদের ওপর দিয়ে গরুর গাড়ি চালান।
27 মানবাত্মা সদাপ্রভুর সেই প্রদীপ যা মানুষের অন্তরের অন্তস্থলে আলোকপাত করে।
২৭মানুষের আত্মা সদাপ্রভুর প্রদীপ তা তার অন্তরতম অংশে খোঁজ করে।
28 ভালোবাসা ও বিশ্বস্ততা রাজাকে নিরাপদ রাখে; ভালোবাসার মাধ্যমেই তাঁর সিংহাসন দৃঢ় হয়।
২৮নিয়মের বিশ্বস্ততা ও বিশ্বাসযোগ্যতা রাজাকে রক্ষা করে; তিনি দয়ায় নিজের সিংহাসন সুরক্ষিত রাখেন।
29 যুবকদের গৌরব হল তাদের শক্তি, পাকা চুলই হল বৃদ্ধদের ঐশ্বর্য।
২৯যুবকদের শক্তিই তাদের শোভা, আর পাকা চুল বয়ষ্ক লোকদের শ্রী।
30 আঘাত ও ক্ষত অনিষ্ট ধুয়ে দেয়, ও মারধর অন্তরের অন্তস্থলকে বিশোধিত করে।
৩০প্রহারের যা মন্দকে পরিষ্কার করে এবং দন্ডপ্রহার অন্তরতম অংশ পরিষ্কার করে।