< হিতোপদেশ 19 >
1 যে মূর্খের ঠোঁট উচ্ছৃঙ্খল তার চেয়ে সেই দরিদ্রই ভালো যার জীবনযাত্রার ধরন অনিন্দনীয়।
2 জ্ঞানবিহীন বাসনা ভালো নয়— হঠকারী পদযুগল আরও কত না বেশি পথ হারাবে!
3 মানুষের নিজেদের মূর্খামিই তাদের সর্বনাশের দিকে ঠেলে দেয়, অথচ তাদের অন্তর সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
4 ধনসম্পদ অনেক বন্ধু আকর্ষণ করে, কিন্তু দরিদ্র লোকজনের বন্ধুরাও তাদের পরিত্যাগ করে।
5 মিথ্যাসাক্ষী অদণ্ডিত থাকবে না, ও যে মিথ্যা কথার স্রোত বইয়ে দেয় সে নিষ্কৃতি পাবে না।
6 অনেকেই শাসকের তোষামুদি করে, ও যিনি উপহার দান করেন সবাই তাঁর বন্ধু হয়।
7 দরিদ্রদের সব আত্মীয়স্বজন যখন তাদের এড়িয়ে চলে— তখন তাদের বন্ধুরাও তো আরও বেশি করে তাদের কাছ থেকে দূরে সরে যাবে! যদিও দরিদ্রেরা অনুনয়-বিনয় করে তাদের পশ্চাদ্ধাবন করে, তাদের কিন্তু কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না।
8 যে জ্ঞানার্জন করে সে জীবন ভালোবাসে; যে বিচক্ষণতা পোষণ করে সে অচিরেই উন্নতি লাভ করবে।
9 মিথ্যাসাক্ষী অদণ্ডিত থাকবে না, ও যে মিথ্যা কথার স্রোত বইয়ে দেয় তার সর্বনাশ হবে।
10 মূর্খের পক্ষে যখন বিলাসিতার জীবনযাপন করা বাঞ্ছনীয় নয়— তখন ক্রীতদাসের পক্ষে অধিপতিদের উপরে প্রভুত্ব করা আরও কত না মন্দ বিষয়।
11 মানুষের প্রজ্ঞা ধৈর্য উৎপন্ন করে; অপরাধ মার্জনা করা তার পক্ষে গৌরবের বিষয়।
12 রাজার ক্রোধ সিংহের গর্জনের মতো, কিন্তু তাঁর অনুগ্রহ ঘাসের উপরে পড়া শিশিরের মতো।
13 মূর্খ সন্তান বাবার সর্বনাশের কারণ, ও কলহপ্রিয়া স্ত্রী ফাটা ছাদ থেকে একটানা পড়তে থাকা জলের সমতুল্য।
14 বাড়িঘর ও ধনসম্পদ মা-বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া যায়, কিন্তু বিচক্ষণ স্ত্রী সদাপ্রভুর কাছ থেকেই পাওয়া যায়।
15 অলসতা অগাধ ঘুম নিয়ে আসে, ও অপারদর্শী মানুষ ক্ষুধার্তই থেকে যায়।
16 যারা আজ্ঞা পালন করে তারা তাদের প্রাণরক্ষা করে, কিন্তু যারা তাদের জীবনযাত্রার ধরনকে উপেক্ষা করে তারা মারা যাবে।
17 যারা দরিদ্রদের প্রতি দয়া দেখায় তারা সদাপ্রভুকেই ঋণ দেয়, ও তারা যা করেছে সেজন্য সদাপ্রভু তাদের পুরস্কৃত করবেন।
18 তোমার সন্তানদের শাসন করো, কারণ এতে আশা আছে, তাদের মৃত্যুর জন্য দায়ী হোয়ো না।
19 উগ্রস্বভাব বিশিষ্ট মানুষকে অবশ্যই দণ্ড পেতে হবে; তাদের উদ্ধার করো, ও তোমাকে আবার তা করতে হবে।
20 পরামর্শ শোনো ও শৃঙ্খলা গ্রহণ করো, ও শেষ পর্যন্ত তুমি জ্ঞানবানদের মধ্যে গণ্য হবে।
21 মানুষের অন্তরে অনেক পরিকল্পনা থাকে, কিন্তু সদাপ্রভুর অভীষ্টই প্রবল হয়।
22 একজন মানুষ যা চায় তা হল অফুরান ভালোবাসা; মিথ্যাবাদী হওয়ার চেয়ে দরিদ্র হওয়া ভালো।
23 সদাপ্রভুর ভয় জীবনের দিকে নিয়ে যায়; তখন একজন মানুষ সন্তুষ্ট থাকে, আকস্মিক দুর্দশা তাকে স্পর্শ করতে পারে না।
24 অলস তার হাত থালায় ডুবিয়ে রাখে; সে এতই অলস যে তা মুখেও তোলে না।
25 বিদ্রুপকারীকে কশাঘাত করো, ও অনভিজ্ঞ লোকেরা বিচক্ষণতার শিক্ষা পাবে; বিচক্ষণদের ভর্ৎসনা করো, ও তারা জ্ঞানার্জন করবে।
26 যারা তাদের বাবার সম্পদ লুট করে ও তাদের মাকে তাড়িয়ে দেয় তারা এমন এক সন্তান যে লজ্জা ও অপমান বয়ে আনে।
27 হে আমার বাছা, তুমি যদি শিক্ষা নেওয়া বন্ধ করে দাও, তবে তুমি জ্ঞানের বাক্য থেকে দূরে সরে যাবে।
28 বিকৃতমনা সাক্ষী ন্যায়বিচারকে বিদ্রুপ করে, ও দুষ্টদের মুখ অমঙ্গল গ্রাস করে নেয়।
29 বিদ্রুপকারীদের জন্য শাস্তিবিধান তৈরি হয়, ও মূর্খদের পিঠের জন্য তৈরি হয় মারধর।