< হিতোপদেশ 12 >

1 যে শৃঙ্খলা ভালোবাসে সে জ্ঞানও ভালোবাসে, কিন্তু যে সংশোধন ঘৃণা করে সে বোকা।
مَنْ يُحِبُّ التَّأْدِيبَ يُحِبُّ الْمَعْرِفَةَ، وَمَنْ يَمْقُتُ التَّأْنِيبَ غَبِيٌّ.١
2 সৎলোক সদাপ্রভুর কাছ থেকে অনুগ্রহ লাভ করে, কিন্তু যারা দুষ্ট ফন্দি আঁটে তিনি তাদের দোষী সাব্যস্ত করেন।
الصَّالِحُ يَحْظَى بِرِضَى الرَّبِّ، وَرَجُلُ الْمَكَائِدِ يَسْتَجْلِبُ قَضَاءَهُ.٢
3 কেউই দুষ্টতার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না, কিন্তু ধার্মিকদের নির্মূল করা যায় না।
لَا يَثْبُتُ الإِنْسَانُ بِالشَّرِّ، أَمَّا أَصْلُ الصِّدِّيقِ فَلا يَتَزَعْزَعُ.٣
4 উদারস্বভাব বিশিষ্ট স্ত্রী তার স্বামীর মুকুট, কিন্তু মর্যাদাহানিকর স্ত্রী স্বামীর অস্থির পচনস্বরূপ।
الْمَرْأَةُ الْفَاضِلَةُ تَاجٌ لِزَوْجِهَا، أَمَّا جَالِبَةُ الْخِزْيِ فَكَنَخْرٍ فِي عِظَامِهِ.٤
5 ধার্মিকদের পরিকল্পনাগুলি ন্যায়সংগত, কিন্তু দুষ্টদের পরামর্শ প্রতারণাপূর্ণ।
مَقَاصِدُ الصِّدِّيقِ شَرِيفَةٌ، وَتَدَابِيرُ الشِّرِّيرِ غَادِرَةٌ.٥
6 দুষ্টদের কথাবার্তা রক্তপাতের জন্য লুকিয়ে থাকে, কিন্তু ন্যায়পরায়ণদের কথাবার্তা তাদের রক্ষা করে।
كَلامُ الأَشْرَارِ يَتَرَبَّصُ لِسَفْكِ الدَّمِ، وَأَقْوَالُ الْمُسْتَقِيمِينَ تَسْعَى لِلإِنْقَاذِ.٦
7 দুষ্টেরা পর্যুদস্ত হয় ও তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়, কিন্তু ধার্মিকদের বাড়ি অটল থাকে।
مَصِيرُ الأَشْرَارِ الانْهِيَارُ وَالتَّلاشِي، أَمَّا صَرْحُ الصِّدِّيقِينَ فَيَثْبُتُ رَاسِخاً.٧
8 একজন মানুষ তার দূরদর্শিতা অনুসারেই প্রশংসিত হয়, ও যার মন পক্ষপাতদুষ্ট সে অবজ্ঞাত হয়।
يُحْمَدُ الْمَرْءُ لِتَعَقُّلِهِ، وَيُزْدَرَى ذُو الْقَلْبِ الْمُلْتَوِي.٨
9 কেউকেটা হওয়ার ভান করে নিরন্ন হয়ে থাকার চেয়ে বরং নগণ্য মানুষ হয়ে দাস রাখা ভালো।
الْحَقِيرُ الْكَادِحُ خَيْرٌ مِنَ الْمُتَعَاظِمِ الْمُفْتَقِرِ لِلُقْمَةِ الْخُبْزِ.٩
10 ধার্মিকেরা তাদের পশুদের যত্ন নেয়, কিন্তু দুষ্টদের সদয় ব্যবহারও নিষ্ঠুরতামাত্র।
الصِّدِّيقُ يُرَاعِي نَفْسَ بَهِيمَتِهِ، أَمَّا الشِّرِّيرُ فَأَرَقُّ مَرَاحِمِهِ تَتَّسِمُ بِالْقَسْوَةِ.١٠
11 যারা নিজেদের জমি চাষ করে তারা প্রচুর খাদ্য পাবে, কিন্তু যারা উদ্ভট কল্পনার পিছনে ছুটে বেড়ায় তাদের কোনও বোধবুদ্ধি নেই।
مَنْ يُفْلِحْ أَرْضَهُ، تَكْثُرْ غَلَّةُ خُبْزِهِ، وَمَنْ يُلاحِقُ الأَوْهَامَ فَهُوَ أَحْمَقُ.١١
12 দুষ্টেরা অনিষ্টকারীদের সুরক্ষিত আশ্রয় কামনা করে, কিন্তু ধার্মিকদের মূল স্থায়ী হয়।
يَشْتَهِي الشِّرِّيرُ مَنَاهِبَ الإِثْمِ، أَمَّا الصِّدِّيقُ فَيَزْدَهِرُ.١٢
13 অনিষ্টকারীরা তাদের পাপে পরিপূর্ণ কথাবার্তা দ্বারাই ফাঁদে পড়ে, ও সেভাবেই নির্দোষ লোকজন বিপত্তি থেকে রক্ষা পায়।
يَقَعُ الشِّرِّيرُ فِي فَخِّ أَكَاذِيبِ لِسَانِهِ، أَمَّا الصِّدِّيقُ فَيُفْلِتُ مِنَ الضِّيقِ.١٣
14 মানুষ তাদের ঠোঁটের ফল দ্বারা মঙ্গলে পরিপূর্ণ হয়, ও তাদের হাতের কাজই তাদের পুরস্কৃত করে।
مِنْ ثَمَرِ صِدْقِ أَقْوَالِهِ يَشْبَعُ الإِنْسَانُ خَيْراً، كَمَا تُرَدُّ لَهُ ثِمَارُ أَعْمَالِ يَدَيْهِ.١٤
15 মূর্খদের পথ তাদের কাছে ঠিক বলে মনে হয়, কিন্তু জ্ঞানবানেরা পরামর্শ শোনে।
يَبْدُو سَبِيلُ الأَحْمَقِ صَالِحاً فِي عَيْنَيْهِ، أَمَّا الْحَكِيمُ فَيَسْتَمِعُ إِلَى الْمَشُورَةِ.١٥
16 মূর্খেরা অবিলম্বে তাদের বিরক্তি প্রকাশ করে, কিন্তু বিচক্ষণ লোকেরা অপমান উপেক্ষা করে।
يُبْدِي الأَحْمَقُ غَيْظَهُ فِي لَحْظَةٍ، أَمَّا الْعَاقِلُ فَيَتَجَاهَلُ الإِهَانَةَ.١٦
17 একজন সত্যবাদী সাক্ষী সত্যিকথা বলে, কিন্তু একজন মিথ্যাসাক্ষী মিথ্যা কথা বলে।
مَنْ يَنْطِقْ بِالصِّدْقِ يَشْهَدْ بِالْحَقِّ، أَمَّا شَاهِدُ الزُّورِ فَيَتَكَلَّمُ بِالْكَذِبِ.١٧
18 অবিবেচকের কথা তরোয়ালের মতো বিদ্ধ করে, কিন্তু জ্ঞানবানের জিভ সুস্থতা নিয়ে আসে।
رُبَّ مِهْذَارٍ تَنْفُذُ كَلِمَاتُهُ كَطَعْنَاتِ السَّيْفِ، وَفِي أَقْوَالِ فَمِ الْحُكَمَاءِ شِفَاءٌ.١٨
19 সত্যবাদী ঠোঁট চিরকাল স্থায়ী হয়, কিন্তু মিথ্যাবাদী জিভ শুধু এক মুহূর্তের জন্য স্থায়ী হয়।
أَقْوَالُ الشِّفَاهِ الصَّادِقَةِ تَدُومُ إِلَى الأَبَدِ، أَمَّا أَكَاذِيبُ لِسَانِ الزُّورِ فَتَنْفَضِحُ فِي لَحْظَةٍ.١٩
20 যারা অমঙ্গলের চক্রান্ত করে তাদের অন্তরে ছলনা থাকে, কিন্তু যারা শান্তির উদ্যোক্তা হয় তারা আনন্দ পায়।
يَكْمُنُ الْغِشُّ فِي قُلُوبِ مُدَبِّرِي الشَّرِّ، أَمَّا الْفَرَحُ فَيَمْلأُ صُدُورَ السَّاعِينَ إِلَى السَّلامِ.٢٠
21 কোনও অনিষ্টই ধার্মিকদের আতঙ্কগ্রস্ত করে না, কিন্তু দুষ্টদের অসুবিধা ভোগ করতে হয়।
لَا يُصِيبُ الصِّدِّيقَ سُوءٌ، أَمَّا الأَشْرَارُ فَيَحِيقُ بِهِمُ الأَذَى.٢١
22 সদাপ্রভু মিথ্যাবাদী ঠোঁট ঘৃণা করেন, কিন্তু যারা নির্ভরযোগ্য তাদের নিয়ে তিনি আনন্দ করেন।
الشِّفَاهُ الْكَاذِبَةُ رِجْسٌ لَدَى الرَّبِّ، وَمَسَرَّتُهُ بِالْعَامِلِينَ بِالصِّدْقِ.٢٢
23 বিচক্ষণ লোকেরা তাদের জ্ঞান নিজেদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখে, কিন্তু মূর্খদের অন্তর মূর্খতা ফাঁস করে দেয়।
الْعَاقِلُ يَحْتَفِظُ بِعِلْمِهِ، وَقُلُوبُ الْجُهَّالِ تَفْضَحُ مَا فِيهَا مِنْ سَفَاهَةٍ.٢٣
24 পরিশ্রমী হাত শাসন করবে, কিন্তু অলসতা শেষ পর্যন্ত বেগার শ্রমিকে পরিণত হয়।
ذُو الْيَدِ الْمُجْتَهِدَةِ يَسُودُ، وَالْكَسُولُ ذُو الْيَدِ الْمُرْتَخِيَةِ يَخْدُمُ تَحْتَ الْجِزْيَةِ.٢٤
25 দুশ্চিন্তার ভারে অন্তর অবনত হয়, কিন্তু সৌজন্যমূলক একটি কথা সেটিকে উৎসাহিত করে।
الْقَلْبُ الْقَلِقُ الْجَزِعُ يُوْهِنُ الإِنْسَانَ، وَالْكَلِمَةُ الطَّيِّبَةُ تُفَرِّحُهُ.٢٥
26 ধার্মিকেরা সতর্কতার সঙ্গে তাদের বন্ধু মনোনীত করে, কিন্তু দুষ্টেরা তাদের বিপথগামী করে।
الصِّدِّيقُ يَهْدِي صَاحِبَهُ، أَمَّا طَرِيقُ الأَشْرَارِ فَتُضِلُّهُ.٢٦
27 অলসেরা শিকার করা কোনো কিছু উনুনে সেঁকে না, কিন্তু পরিশ্রমীরা শিকারের ধন উপভোগ করে।
الْمُتَقَاعِسُ لَا يَحْظَى بِصَيْدٍ، وَأَثْمَنُ مَا لَدَى الإِنْسَانِ هُوَ اجْتِهَادُهُ.٢٧
28 ধার্মিকতার পথে জীবন আছে; সেই পথ বরাবর অমরতা আছে।
سَبِيلُ الْبِرِّ يُفْضِي إِلَى الْحَيَاةِ، وَفِي طَرِيقِهِ خُلُودٌ.٢٨

< হিতোপদেশ 12 >