< হিতোপদেশ 11 >

1 সদাপ্রভু অসাধু দাঁড়িপাল্লা ঘৃণা করেন, কিন্তু সঠিক বাটখারা তাঁকে সন্তুষ্ট করে।
যে দাঁড়িপাল্লা সঠিক নয় সেটা সদাপ্রভু ঘৃণা করেন; কিন্তু সঠিক ওজনে তিনি সন্তুষ্ট হন।
2 যখন অহংকার আসে, তখন অপমানও আসে, কিন্তু নম্রতার সঙ্গে আসে প্রজ্ঞা।
অহঙ্কার আসলে অপমানও আসে; কিন্তু মানবিকতার সঙ্গে প্রজ্ঞা আসে।
3 ন্যায়পরায়ণদের সততাই তাদের পথ দেখায়, কিন্তু বিশ্বাসঘাতকেরা তাদের ছলনা দ্বারা ধ্বংস হয়ে যায়।
সরলদের ন্যায়পরায়ণতা তাদেরকে পথ দেখাবে; কিন্তু বিশ্বাসঘাতকদের বক্রতা তাদেরকে নষ্ট করবে।
4 ক্রোধের দিনে ধনসম্পত্তি মূল্যহীন হয়ে যায়, কিন্তু ধার্মিকতা মৃত্যু থেকে রক্ষা করে।
ক্রোধের দিনের ধন উপকার করে না; কিন্তু ধার্ম্মিকতা মৃত্যু থেকে রক্ষা করে।
5 অনিন্দনীয়দের ধার্মিকতা তাদের পথগুলি সোজা করে, কিন্তু দুষ্টেরা তাদের দুষ্টতা দ্বারাই পতিত হয়।
নির্দোষ লোকের ধার্ম্মিকতা তার পথ সোজা করে; কিন্তু দুষ্ট নিজের দুষ্টতায় পড়ে যায়।
6 ন্যায়পরায়ণদের ধার্মিকতাই তাদের উদ্ধার করে, কিন্তু অবিশ্বস্তেরা মন্দ বাসনা দ্বারা ফাঁদে পড়ে।
যারা ধার্ম্মিকতায় ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করে তাদেরকে রক্ষা করে; কিন্তু বিশ্বাসঘাতকেরা তাদের অভিলাষে ধরা পড়ে।
7 নশ্বর মানুষে স্থাপিত আশা তাদের সাথেই নষ্ট হয়; তাদের ক্ষমতার সব প্রতিজ্ঞা নিষ্ফল হয়।
যখন দুষ্ট লোক মারা যায়, তার আশ্বাস নষ্ট হয় এবং অধর্ম্মের প্রত্যাশা বিনাশ পায়।
8 ধার্মিকেরা সংকট থেকে উদ্ধার পায়, ও তা তাদের পরিবর্তে দুষ্টদের উপরেই গিয়ে পড়ে।
ধার্মিক বিপদ থেকে উদ্ধার পায়, আর দুষ্ট তার জায়গায় আসে।
9 অধার্মিকরা তাদের মুখ দিয়ে তাদের প্রতিবেশীদের সর্বনাশ করে, কিন্তু জ্ঞানের মাধ্যমে ধার্মিকেরা অব্যাহতি পায়।
তার মুখের মাধ্যমে অধার্ম্মিক নিজের প্রতিবেশীকে নষ্ট করে; কিন্তু জ্ঞানের মাধ্যমে ধার্মিকরা উদ্ধার পায়।
10 ধার্মিকেরা যখন উন্নতি লাভ করে, তখন নগরে আনন্দ হয়, দুষ্টেরা যখন বিনষ্ট হয়, তখনও আনন্দের রব ওঠে।
১০ধার্ম্মিকদের উন্নতি হলে নগরে আনন্দ হয়; দুষ্টদের বিনাশ হলে আনন্দগান হয়।
11 ন্যায়পরায়ণদের আশীর্বাদে নগর উন্নত হয়, কিন্তু দুষ্টদের মুখের কথা দ্বারা তা ধ্বংস হয়।
১১সরলদের আশীর্বাদে নগর উন্নত হয়; কিন্তু দুষ্টদের বাক্যে তা বিচ্ছিন্ন হয়।
12 যারা তাদের প্রতিবেশীকে ঠাট্টা করে তাদের কোনও বোধবুদ্ধি নেই, কিন্তু যাদের বুদ্ধি আছে তারা তাদের জিভকে সংযত রাখে।
১২যে প্রতিবেশীকে অবজ্ঞা করে, সে বুদ্ধিবিহীন; কিন্তু বুদ্ধিমান নীরব হয়ে থাকে।
13 পরনিন্দা পরচর্চা আস্থা ভঙ্গ করে, কিন্তু নির্ভরযোগ্য মানুষ গোপনীয়তা বজায় রাখে।
১৩পরচর্চা গোপন কথা প্রকাশ করে; কিন্তু যে বিশ্বস্ত লোক, সে কথা গোপন করে।
14 নেতৃত্বের অভাবে জাতির পতন হয়, কিন্তু উপদেশকদের সংখ্যা বেশি হলে জয় সুনিশ্চিত হয়।
১৪সুমন্ত্রণার অভাবে প্রজালোক পড়ে যায়; কিন্তু পরামর্শকারী উপদেষ্টার মাধ্যমে নিরাপত্তা আসে।
15 যে অপরিচিত লোকের জামিনদার হয় সে নিশ্চয় কষ্টভোগ করবে, কিন্তু যে অন্যের ঋণ শোধ করার দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করে সে নিরাপদে থাকে।
১৫যে অপরের জামিন হয়, সে নিশ্চয় কষ্ট পায়; কিন্তু যে জামিনের কাজ ঘৃণা করে, সে নিরাপদ।
16 সহৃদয়া নারী সম্মান অর্জন করে, কিন্তু নির্মম লোকেরা শুধু ধনসম্পত্তিই লাভ করে।
১৬করুণাময়ী স্ত্রী সম্মান ধরে রাখে, আর নিষ্ঠুর মানুষেরা ধন ধরে রাখে।
17 যারা দয়ালু তারা নিজেদের উপকার করে, কিন্তু নিষ্ঠুর লোকেরা নিজেদের সর্বনাশ ডেকে আনে।
১৭দয়ালু নিজের প্রাণের উপকার করে; কিন্তু নির্দয় নিজেকে ক্ষতি করে।
18 দুষ্টলোক অসৎ প্রতারণাপূর্ণ বেতন উপার্জন করে, কিন্তু যে ধার্মিকতা বোনে সে নিশ্চিত প্রতিদান কাটে।
১৮দুষ্ট মিথ্যা বেতন উপার্জন করে; কিন্তু যে ধার্মিকতার বীজ বুনে, সে সত্য বেতন পায়।
19 প্রকৃতপক্ষে ধার্মিক মানুষ জীবন লাভ করে, কিন্তু যে কেউ মন্দের পশ্চাদ্ধাবন করে সে মৃত্যুর সন্ধান পায়।
১৯যে ধার্ম্মিকতায় অটল, সে জীবন পায়; কিন্তু যে দুষ্টতার পিছনে দৌড়ে, সে মারা যায়।
20 যাদের মন উচ্ছৃঙ্খল সদাপ্রভু তাদের ঘৃণা করেন, কিন্তু যারা অনিন্দনীয় পথে চলে তাদের নিয়ে তিনি আনন্দ করেন।
২০সদাপ্রভু তাদেরকে ঘৃণা করেন যাদের হৃদয় বিপথগামী; কিন্তু যারা নিজের পথে নিখুঁত, তারা তাঁর তুষ্টিকর।
21 তুমি এই বিষয়ে নিশ্চিত থেকো: দুষ্ট অদণ্ডিত থাকবে না, কিন্তু যারা ধার্মিক তারা রক্ষা পাবে।
২১এটা নিশ্চিত যে দুষ্ট অদন্ডিত থাকবে না; কিন্তু ধার্ম্মিকদের বংশ রক্ষা পাবে।
22 যেমন শূকরের নাকে সোনার নথ তেমনি সেই সুন্দরী নারী যে কোনো বিচক্ষণতা দেখায় না।
২২যেমন শূকরের নাকে সোনার নথ, তেমনি বিচক্ষণতাহীন সুন্দরী স্ত্রী।
23 ধার্মিকদের বাসনা শুধু মঙ্গলের কাছে গিয়ে শেষ হয়, কিন্তু দুষ্টদের প্রত্যাশা শেষ হয় শুধু ক্রোধের কাছে গিয়ে।
২৩ধার্ম্মিকদের মনের ইচ্ছা কেবল উত্তম, কিন্তু দুষ্টদের প্রত্যাশা ক্রোধমাত্র।
24 কেউ একজন মুক্তহস্তে দান করে, অথচ সে আরও বেশি লাভবান হয়; অন্য কেউ অযথা কৃপণতা করে, কিন্তু দারিদ্রে পৌঁছে যায়।
২৪কেউ কেউ বিতরণ করে আরও বৃদ্ধি পায়; কেউ কেউ বা ন্যায্য ব্যয় অস্বীকার করে কেবল অভাবে পড়ে।
25 অকৃপণ ব্যক্তি উন্নতি লাভ করবে; যে কেউ অন্যান্য লোকদের পুনরুজ্জীবিত করে সেও পুনরুজ্জীবিত হবে।
২৫দানশীল ব্যক্তি উন্নতিলাভ করে, জল-সেচনকারী নিজেও জলে ভেজে।
26 যে শস্য মজুত করে রাখে লোকে তাকে অভিশাপ দেয়, কিন্তু যে তা বিক্রি করতে চায় তার জন্য তারা ঈশ্বরের কাছে আশীর্বাদ প্রার্থনা করে।
২৬যে শস্য আটক করে রাখে, লোকে তাকে শাপ দেয়; কিন্তু যে শস্য বিক্রি করে, তার মাথায় পুরষ্কার আসে।
27 যে কেউ মঙ্গলকামনা করে সে অনুগ্রহ পায়, কিন্তু যে অমঙ্গল খুঁজে বেড়ায় তার জীবনেই অমঙ্গল নেমে আসে।
২৭যে সযত্নে ভালো চেষ্টা করে, সে প্রীতির খোঁজ করে; কিন্তু যে অমঙ্গল খুঁজে বেড়ায়, তারই প্রতি তা ঘটে।
28 যারা তাদের ধনদৌলতের উপর নির্ভর করে তাদের পতন হবে, কিন্তু ধার্মিকেরা গাছের সবুজ পাতার মতো উন্নতি লাভ করবে।
২৮যে নিজের ধনে নির্ভর করে, সে পড়ে যায়; কিন্তু ধার্মিকরা সতেজ পাতার মতো প্রফুল্ল হয়।
29 যারা তাদের পরিবারে সর্বনাশ ডেকে আনে তারা উত্তরাধিকারসূত্রে শুধু বাতাসই পাবে, ও মূর্খেরা জ্ঞানবানের দাস হবে।
২৯যে নিজের পরিবারের বিপত্তি, সে বায়ু অধিকার পায় এবং নির্বোধ জ্ঞানী হৃদয়ের দাস হয়।
30 ধার্মিকের ফল জীবনবৃক্ষ, ও যে জ্ঞানবান সে প্রাণরক্ষা করে।
৩০ধার্ম্মিকের ফল জীবনবৃক্ষ কিন্তু জ্ঞানবান [অপরদের] প্রাণ লাভ করে।
31 ধার্মিকেরা যদি এই পৃথিবীতেই তাদের প্রাপ্য পেয়ে যায়, তবে অধার্মিকরা ও পাপীরা আরও কত না বেশি পাবে!
৩১দেখ, পৃথিবীতে ধার্মিক প্রতিফল পায়, তবে দুষ্ট ও পাপী আরও কত না পাবে;

< হিতোপদেশ 11 >