< হিতোপদেশ 10 >
1 শলোমনের হিতোপদেশ: জ্ঞানবান ছেলে তার বাবার জীবনে আনন্দ নিয়ে আসে, কিন্তু মূর্খ ছেলে তার মায়ের জীবনে দুঃখ নিয়ে আসে।
2 অসৎ উপায়ে অর্জিত ধনসম্পত্তির দীর্ঘস্থায়ী কোনও মূল্য নেই, কিন্তু ধার্মিকতা মৃত্যু থেকে উদ্ধার করে।
3 সদাপ্রভু ধার্মিককে ক্ষুধার্ত থাকতে দেন না, কিন্তু তিনি দুষ্টের অভিলাষ ব্যর্থ করেন।
4 অলসতার হাত দারিদ্র ডেকে আনে, কিন্তু পরিশ্রমী হাত ধনসম্পত্তি নিয়ে আসে।
5 যে গ্রীষ্মকালে ফসল সংগ্রহ করে সে বিচক্ষণ ছেলে, কিন্তু যে ফসল কাটার মরশুমে ঘুমিয়ে থাকে সে মর্যাদাহানিকর ছেলে।
6 আশীর্বাদ ধার্মিকের মাথার মুকুট হয়, কিন্তু হিংস্রতা দুষ্টের মুখ ঢেকে রাখে।
7 ধার্মিকের নাম আশীর্বাদ করার সময় ব্যবহৃত হয়, কিন্তু দুষ্টের নামে পচন ধরবে।
8 অন্তরে যে জ্ঞানবান সে আজ্ঞা গ্রহণ করে, কিন্তু বাচাল মূর্খের সর্বনাশ হবে।
9 যে কেউ সততা নিয়ে চলে সে নিরাপদে চলে, কিন্তু যে কেউ বাঁকা পথ ধরে সে ধরা পড়ে যাবে।
10 যে কেউ বিদ্বেষপূর্ণভাবে ইশারা করে সে দুঃখ জন্মায়, ও বাচাল মূর্খের সর্বনাশ হবে।
11 ধার্মিকের মুখ জীবনের উৎস, কিন্তু দুষ্টের মুখ হিংস্রতা ঢেকে রাখে।
12 ঘৃণা বিবাদ জাগিয়ে তোলে, কিন্তু ভালোবাসা সব অপরাধ ঢেকে দেয়।
13 বিচক্ষণ লোকের ঠোঁটে প্রজ্ঞা পাওয়া যায়, কিন্তু যার কোনও বোধবুদ্ধি নেই তার পিঠের জন্য লাঠি রাখা থাকে।
14 জ্ঞানবানেরা জ্ঞান সঞ্চয় করে রাখে, কিন্তু মূর্খের মুখ সর্বনাশ ডেকে আনে।
15 ধনবানের ধনসম্পত্তিই তাদের সুরক্ষিত নগর, কিন্তু দারিদ্রই দরিদ্রের সর্বনাশ।
16 ধার্মিকের বেতন হল জীবন, কিন্তু দুষ্টের উপার্জন হল পাপ ও মৃত্যু।
17 যে কেউ শৃঙ্খলা মানে সে জীবনের পথ দেখায়, কিন্তু যে কেউ সংশোধন উপেক্ষা করে সে অন্যদের বিপথে পরিচালিত করে।
18 যে কেউ মিথ্যাবাদী ঠোঁট দিয়ে ঘৃণা লুকিয়ে রাখে ও অপবাদ ছড়ায় সে মূর্খ।
19 প্রচুর কথা বলে পাপের অবসান ঘটানো যায় না, কিন্তু বিচক্ষণ লোকজন তাদের জিভকে সংযত রাখে।
20 ধার্মিকের জিভ ভালো মানের রুপো, কিন্তু দুষ্টের অন্তর নেহাতই কমদামি।
21 ধার্মিকের ঠোঁট অনেককে পুষ্টি জোগায়, কিন্তু মূর্খেরা বোধবুদ্ধির অভাবে মারা যায়।
22 সদাপ্রভুর আশীর্বাদ ধনসম্পত্তি এনে দেয়, আর এর জন্য যন্ত্রণাদায়ক পরিশ্রমও করতে হয় না।
23 মূর্খ দুষ্ট ফন্দি এঁটে আনন্দ পায়, কিন্তু বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ প্রজ্ঞায় আনন্দ করে।
24 দুষ্টেরা যা ভয় করে তাদের প্রতি তাই ঘটবে; ধার্মিকদের বাসনা মঞ্জুর হবে।
25 যখন ঝড় বয়ে যায়, তখন দুষ্টের অস্তিত্ব লোপ পায়, কিন্তু ধার্মিক চিরকাল অবিচলিতভাবে দাঁড়িয়ে থাকে।
26 দাঁতের পক্ষে সিরকা ও চোখের পক্ষে ধোঁয়া যেমন, অলসরাও তাদের যারা পাঠায় তাদের পক্ষে ঠিক তেমনই।
27 সদাপ্রভুর ভয় আয়ু বৃদ্ধি করে, কিন্তু দুষ্টদের জীবনকাল সংক্ষিপ্ত করা হয়।
28 ধার্মিকদের প্রত্যাশা হল আনন্দ, কিন্তু দুষ্টদের আশাগুলি নিষ্ফল হয়ে যায়।
29 সদাপ্রভুর পথ অনিন্দনীয়দের জন্য এক আশ্রয়স্থল, কিন্তু যারা অনিষ্ট করে তাদের পক্ষে তা সর্বনাশ।
30 ধার্মিকেরা কখনোই উৎখাত হবে না, কিন্তু দুষ্টেরা দেশে অবশিষ্ট থাকবে না।
31 ধার্মিকের মুখ থেকে প্রজ্ঞার ফল বেরিয়ে আসে, কিন্তু বিকৃত জিভকে নিরুত্তর করে দেওয়া হবে।
32 ধার্মিকের ঠোঁট জানে কীসে অনুগ্রহ লাভ করা যায়, কিন্তু দুষ্টের মুখ শুধু বিকৃতিই জানে।