< গণনার বই 35 >
1 মোয়াবের সমতলে, যিরীহোর অপর পাশে, জর্ডন সন্নিহিত অঞ্চলে, সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
En de HEERE sprak tot Mozes, in de vlakke velden der Moabieten, aan de Jordaan van Jericho, zeggende:
2 “ইস্রায়েলীদের আদেশ দাও যেন তারা যে স্বত্বাধিকার লাভ করবে, তার মধ্য থেকে যেন কয়েকটি নগর লেবীয়দের বাস করার জন্য দান করে। সেইসব নগর সন্নিহিত চারণভূমিও যেন তাদের দেওয়া হয়।
Gebied den kinderen Israels, dat zij van de erfenis hunner bezitting aan de Levieten steden zullen geven om te bewonen; daartoe zult gijlieden aan de Levieten voorsteden geven, aan de steden rondom dezelve.
3 তাহলে তারা সেই সমস্ত নগরে বসবাস করবে এবং তাদের গবাদি পশু, মেষপাল ও অন্যান্য প্রাণীর জন্য চারণভূমিও লাভ করবে।
En die steden zullen zij hebben om te bewonen; maar hun voorsteden zullen zijn voor hun beesten, en voor hun have, en voor al hun gedierte,
4 “তোমরা লেবীয়দের জন্য নগরের চতুর্দিকে যে চারণভূমি দান করবে, তা নগরের প্রাচীর থেকে পরের একশো হাত পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।
En de voorsteden der steden, die gij aan de Levieten zult geven, zullen van den stadsmuur af, en naar buiten, van duizend ellen zijn rondom.
5 নগরের বাইরে, পূর্বদিকে 2,000 হস্ত, দক্ষিণ দিকে 2,000 হস্ত, পশ্চিমদিকে 2,000 হস্ত ও উত্তর দিকে 2,000 হাত, মাঝখানে নগরটি থাকবে। তারা এই এলাকা, নগরের সকলের চারণভূমি হিসেবে প্রাপ্ত হবে।
En gij zult meten van buiten de stad, aan den hoek tegen het oosten, twee duizend ellen, en aan den hoek van het zuiden, twee duizend ellen, en aan den hoek van het westen, twee duizend ellen, en aan den hoek van het noorden, twee duizend ellen; dat de stad in het midden zij. Dit zullen zij hebben tot voorsteden van de steden.
6 “যে সমস্ত নগর তোমরা লেবীয়দের দেবে, তার মধ্যে ছয়টি আশ্রয়-নগর হবে। কোনো ব্যক্তি কাউকে বধ করে থাকলে সেখানে পালিয়ে যেতে পারবে। তার অতিরিক্ত তাদের আরও বিয়াল্লিশটি নগর দেবে।
De steden nu, die gij aan de Levieten zult geven, zullen zijn zes vrijsteden, die gij geven zult, opdat de doodslager daarheen vliede; en boven dezelve zult gij hun twee en veertig steden geven.
7 তোমরা লেবীয়দের জন্য চারণভূমি সমেত মোট আটচল্লিশটি নগর দেবে।
Al de steden, die gij aan de Levieten geven zult, zullen zijn acht en veertig steden, deze met haar voorsteden.
8 ইস্রায়েলীয়দের অধিকৃত অংশ থেকে যে সমস্ত নগর তোমরা লেবীয়দের দেবে, তা প্রত্যেক গোষ্ঠীর প্রাপ্ত অধিকার অনুসারে হবে। যে গোষ্ঠীর বেশি সংখ্যা আছে, তাদের থেকে নগরের সংখ্যা বেশি নেবে, কিন্তু যাদের কম আছে, তাদের থেকে কম সংখ্যক নগর নেবে।”
De steden, die gij van de bezitting der kinderen Israels geven zult, zult gij van dien, die vele heeft, vele nemen, en van dien, die weinig heeft, weinige nemen; een ieder zal naar zijn erfenis, die zij zullen erven, van zijn steden aan de Levieten geven.
9 তারপর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
Voorts sprak de HEERE tot Mozes, zeggende:
10 “ইস্রায়েলীদের সঙ্গে কথা বলো, তাদের বলো, ‘যখন তোমরা জর্ডন পার হয়ে কনান দেশে যাবে,
Spreek tot de kinderen Israels, en zeg tot hen: Wanneer gij over de Jordaan gaat naar het land Kanaan.
11 তখন কয়েকটি নগর মনোনীত করবে যেগুলি আশ্রয়-নগর হবে, যেন কেউ ভ্রান্তিবশত কারোর প্রাণ নিলে সেখানে পলায়ন করতে পারে।
Zo zult gij maken, dat u steden tegemoet liggen, die u tot vrijsteden zullen zijn; opdat de doodslager daarheen vliede, die een ziel onwetend geslagen heeft.
12 সেইগুলি প্রতিশোধলিপ্সু ব্যক্তির কাছে রক্ষাকারী আশ্রয়স্থল হবে, যেন নরহত্যার দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি, মণ্ডলীর সামনে বিচারিত হওয়ার আগেই মারা না পড়ে।
En deze steden zullen u tot een toevlucht zijn voor den bloed wreker; opdat de doodslager niet sterve, totdat hij voor de vergadering aan het gericht gestaan hebbe.
13 এই যে ছয়টি নগর তোমরা দান করবে, সেগুলি তোমাদের আশ্রয়-নগর হবে।
En deze steden, die gij geven zult, zullen zes vrijsteden voor u zijn.
14 জর্ডনের এই পাড়ে তিনটি এবং কনানে তিনটি আশ্রয়-নগর দান করবে।
Drie dezer vrijsteden zult gij geven op deze zijde van de Jordaan, en drie dezer steden zult gij geven in het land Kanaan; vrijsteden zullen het zijn.
15 ইস্রায়েলী এবং যেসব বিদেশি তোমাদের মধ্যে বসবাস করছে তাদের জন্য এই ছয়টি নগর আশ্রয়স্থল হবে, যেন কেউ যদি ভ্রান্তিবশত কারোর প্রাণ নেয় তাহলে সেখানে পলায়ন করতে পারে।
Die zes steden zullen voor de kinderen Israels, en voor den vreemdeling, en den bijwoner in het midden van hen, tot een toevlucht zijn; opdat daarheen vliede, wie een ziel onvoorziens slaat.
16 “‘যদি কোনো ব্যক্তি, অন্য কোনো ব্যক্তিকে কোনো লৌহ পদার্থ দিয়ে এমন আঘাত করে যে তার মৃত্যু হয়, তাহলে সেই ব্যক্তি হত্যাকারী; সেই হত্যাকারী ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে।
Maar indien hij hem met een ijzeren instrument geslagen heeft, dat hij gestorven zij, een doodslager is hij; deze doodslager zal zekerlijk gedood worden.
17 অথবা যদি কোনো ব্যক্তির হাতে একটি পাথর থাকে এবং সে অন্য এক ব্যক্তিকে তার দ্বারা এমন আঘাত করে যে তার মৃত্যু হয়, তাহলে সেই ব্যক্তি হত্যাকারী; সেই হত্যাকারী ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে।
Of indien hij hem met een handsteen, waarvan met zoude kunnen sterven, geslagen heeft, dat hij gestorven zij, een doodslager is hij; deze doodslager zal zekerlijk gedood worden.
18 অথবা নিহত হতে পারে এমন কোনো কাঠের বস্তু কারোর হাতে থাকে এবং তার দ্বারা সে কোনো ব্যক্তিকে এমন আঘাত করে যে তার মৃত্যু হয়, তাহলে সেই ব্যক্তি হত্যাকারী; সেই হত্যাকারী ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে।
Of indien hij hem met een houten handinstrument, waarvan men zoude kunnen sterven, geslagen heeft, dat hij gestorven zij, een doodslager is hij; deze doodslager zal zekerlijk gedood worden.
19 রক্তপাতের জন্য প্রতিশোধগ্রহণকারী ব্যক্তি সেই হত্যাকারী ব্যক্তিকে বধ করবে; যখনই সে হত্যাকারীর দেখা পাবে, তাকে বধ করবে।
De wreker des bloeds, die zal den doodslager doden; als hij hem ontmoet, zal hij hem doden.
20 যদি কেউ আগে থেকে বিদ্বেষবশত কাউকে সজোরে ধাক্কা দেয়, অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো বস্তু কারোর দিকে নিক্ষেপ করে, যার ফলে সে মারা যায়,
Indien hij hem ook door haat zal gestoten hebben, of met opzet op hem geworpen heeft, dat hij gestorven zij;
21 অথবা শত্রুতার কারণে সে তাকে এমন মুষ্ট্যাঘাত করে, যার ফলে সেই ব্যক্তি মারা যায়, তাহলে সেই ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে, তাহলে সেই ব্যক্তি হত্যাকারী। রক্তপাতের জন্য প্রতিশোধগ্রহণকারী ব্যক্তি তাকে দেখামাত্র সেই হত্যাকারী ব্যক্তিকে বধ করবে।
Of hem door vijandschap met zijn hand geslagen heeft, dat hij gestorven zij; de slager zal zekerlijk gedood worden, een doodslager is hij; de bloedwreker zal dezen doodslager doden, als hij hem ontmoet.
22 “‘কিন্তু শত্রুতার মনোভাব ছাড়াই, যদি কোনো ব্যক্তি হঠাৎ কাউকে ধাক্কা দেয়, অথবা অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনো বস্তু তার দিকে নিক্ষেপ করে
Maar indien hij hem met der haast zonder vijandschap gestoten heeft, of enig instrument zonder opzet op hem geworpen heeft;
23 অথবা তার প্রতি লক্ষ্য না করে যদি কোনো ভারী পাথর তার ওপর নিক্ষেপ করে যার দ্বারা মৃত্যু হতে পারে এবং সে মারা যায়, তাহলে যেহেতু সে তার শত্রু ছিল না এবং তার ক্ষতিসাধন করার কোনো মনোবাসনা সেই ব্যক্তির ছিল না
Of onvoorziens met enigen steen, waarvan men zoude kunnen sterven, en hij dien op hem heeft doen vallen, dat hij gestorven zij, zo hij hem toch geen vijand was, noch zijn kwaad zoekende;
24 মণ্ডলী অবশ্যই সেই ব্যক্তির এবং রক্তপাতের জন্য প্রতিশোধগ্রহণকারী ব্যক্তির মধ্যে এই সমস্ত নিয়ন্ত্রণ বিধির পরিপ্রেক্ষিতে বিচার করবে।
Zo zal de vergadering richten tussen den slager, en tussen den bloedwreker, naar deze zelve rechten.
25 মণ্ডলী অবশ্যই সেই ব্যক্তিকে রক্তপাতের জন্য প্রতিশোধগ্রহণকারী ব্যক্তির হাত থেকে রক্ষা করবে এবং সেই আশ্রয়-নগরে তাকে আবার পাঠিয়ে দেবে, যেখানে সে পালিয়ে গিয়েছিল। যে পর্যন্ত পবিত্র তেলে অভিষিক্ত মহাযাজকের মৃত্যু না হয়, সেই পর্যন্ত সে ওই স্থানে অবস্থিতি করবে।
En de vergadering zal den doodslager redden uit den hand des bloedwrekers, en de vergadering zal hem doen wederkeren tot zijn vrijstad, waarheen hij gevloden was; en hij zal daarin blijven tot den dood des hogepriesters, dien men met de heilige olie gezalfd heeft.
26 “‘কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তি, যেখানে সে পলায়ন করেছিল, সেই আশ্রয়-নগরের সীমানার বাইরে যদি কখনও যায়
Doch indien de doodslager enigszins zal gaan uit de palen zijner vrijstad, waarheen hij gevloden was,
27 এবং রক্তপাতের জন্য প্রতিশোধগ্রহণকারী ব্যক্তি সেই নগর সীমানার বাইরে তার দেখা পায়, তাহলে সে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বধ করতে পারবে। নরহত্যার কোনো অপরাধ তার হবে না।
En de bloedwreker hem zal vinden buiten de palen zijner vrijstad; zo de bloedwreker den doodslager zal doden, het zal hem geen bloedschuld zijn.
28 অভিযুক্ত ব্যক্তি অবশ্যই তার আশ্রয়-নগরে অবস্থান করবে, যতদিন না মহাযাজকের মৃত্যু হয়; কেবলমাত্র মহাযাজকের মৃত্যু হলেই সে তার নিজস্ব অধিকারে ফিরে যেতে পারবে।
Want hij zou in zijn vrijstad gebleven zijn tot den dood des hogepriesters; maar na de dood des hogepriesters zal de doodslager wederkeren tot het land zijner bezitting.
29 “‘তোমরা যেখানে বসবাস করো, সেখানেই ভবিষ্যৎ বংশপরম্পরায় এই বিধান প্রযোজ্য হবে।
En deze dingen zullen ulieden zijn tot een inzetting van recht, bij uw geslachten, in al uw woningen.
30 “‘কোনও ব্যক্তি, অন্য কোনো ব্যক্তিকে হত্যা করলে, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যদানের ভিত্তিতে, হত্যাকারী হিসেবে তাকে বধ করতে হবে। কিন্তু শুধুমাত্র একজন সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যাবে না।
Al wie de ziel slaat, naar den mond der getuigen zal men den doodslager doden, maar een enig getuige zal niet getuigen tegen een ziel, dat zij sterve.
31 “‘মৃত্যুদণ্ডযোগ্য কোনো হত্যাকারীর জীবনের বিনিময়ে কোনো মুক্তির মূল্য গ্রহণ করবে না। তাকে নিশ্চিতরূপেই বধ করতে হবে।
En gij zult geen verzoening nemen voor de ziel des doodslagers, die schuldig is te sterven; want hij zal zekerlijk gedood worden.
32 “‘যে ব্যক্তি আশ্রয়-নগরে পলায়ন করেছে, তার কাছ থেকে কোনো মুক্তিপণ নেবে না এবং মহাযাজকের মৃত্যু হওয়ার আগেই তাকে ফিরে যেতে ও নিজস্ব নিবাস ভূমিতে বসবাস করার অনুমতি দেবে না।
Ook zult gij geen verzoening nemen voor dien, die gevlucht is naar zijn vrijstad, dat hij zou wederkeren, om te wonen in het land, tot den dood des hoge priesters.
33 “‘যে দেশে তোমরা বসবাস করো, সেই দেশকে কলুষিত করবে না। রক্তপাত দেশকে কলুষিত করে এবং যেখানে রক্তপাত হয় সেখানে রক্তপাতকারীর রক্তপাত বিনা দেশের প্রায়শ্চিত্ত হতে পারে না।
Zo zult gij niet ontheiligen het land, waarin gij zijt; want het bloed ontheiligt het land; en voor het land zal geen verzoening gedaan worden over het bloed, dat daarin vergoten is, dan door het bloed desgenen, die dat vergoten heeft.
34 যেখানে তোমরা জীবনযাপন করো ও যেখানে আমি বসবাস করি, সেই দেশকে কলুষিত করবে না। কারণ আমি, সদাপ্রভু, ইস্রায়েলীদের মধ্যে বসবাস করি।’”
Verontreinigt dan het land niet, waarin gij gaat wonen, in welks midden Ik wonen zal; want Ik ben de HEERE, wonende in het midden der kinderen Israels.