< গণনার বই 33 >
1 মোশি এবং হারোণের নেতৃত্বে যখন ইস্রায়েলীরা মিশর থেকে সৈন্য শ্রেণীবিভাগ অনুযায়ী বের হয়েছিল, তখন এই হল যাত্রাপথের পর্যায়ক্রমিক বিবরণ।
১ইস্রায়েল সন্তানরা মোশির ও হারোণের অধীনে নিজেদের সৈন্যশ্রেণী অনুসারে মিশর দেশ থেকে বের হয়ে আসল, তাদের উত্তরণ স্থানগুলির বিবরণ এই।
2 সদাপ্রভুর আদেশমতো মোশি তাদের যাত্রাপথের পর্যায়ক্রমের বিবরণ নথিভুক্ত করেন। এই হল তাদের যাত্রাপথের পর্যায়ক্রম বিবরণ।
২মোশি সদাপ্রভুর আদেশে তাদের যাত্রা অনুসারে সেই উত্তরণ স্থানগুলির বর্ণনা এই।
3 প্রথম মাসের পঞ্চদশ দিনে, নিস্তারপর্বের পরদিন, ইস্রায়েলীরা রামিষেষ থেকে বের হয়। তারা সমস্ত মিশরীয়ের সামনে দিয়ে সদম্ভে বেরিয়ে আসে।
৩প্রথম মাসে, প্রথম মাসের পনেরো দিনের তারা রামিষেষ থেকে চলে গেল; নিস্তারপর্ব্বের পরের দিন ইস্রায়েল সন্তানরা মিশরীয় সমস্ত লোকের সাক্ষাৎে প্রকাশ্যে বের হল।
4 সেই সময় তারা তাদের প্রথমজাত সন্তানের কবর দিচ্ছিল, যাদের সদাপ্রভু আঘাত করে বধ করেছিলেন। এইভাবে ঈশ্বর তাদের দেবতাদের বিচার করেছিলেন।
৪সেই দিনের মিশরীয়েরা, তাদের মধ্যে যাদেরকে সদাপ্রভু আঘাত করেছিলেন, সেই সমস্ত প্রথমজাতকে কবর দিচ্ছিল; আর সদাপ্রভু তাদের দেবতাদেরকেও (শাস্তি দিয়েছিলেন)।
5 ইস্রায়েলীরা রামিষেষ ত্যাগ করে সুক্কোতে ছাউনি স্থাপন করল।
৫রামিষেষ থেকে যাত্রা করে ইস্রায়েল সন্তানরা সুক্কোতে শিবির স্থাপন করল।
6 তারা সুক্কোৎ ত্যাগ করে মরুভূমির প্রান্তে, এথমে ছাউনি স্থাপন করল।
৬সুক্কোৎ থেকে যাত্রা করে মরুপ্রান্তের সীমানায় অবস্থিত এথমে শিবির স্থাপন করল।
7 তারা এথম ত্যাগ করে, পী-হহীরোতের বিপরীতমুখী হয়ে, বায়াল-সফোনের পূর্বপ্রান্তে এল। তারপর মিগ্দোলের কাছে ছাউনি স্থাপন করল।
৭এথম থেকে যাত্রা করে বাল-সফোনের সামনে অবস্থিত পী-হহীরোতে ফিরে মিগদোলের সামনে শিবির স্থাপন করল।
8 তারা পী-হহীরোৎ ত্যাগ করে, সমুদ্রের ভিতর দিয়ে মরুভূমিতে গেল এবং এথমের প্রান্তরে তিনদিনের পথ অতিক্রম করে, তারা মারায় ছাউনি স্থাপন করল।
৮হহীরোতের সামনে থেকে যাত্রা করে সমুদ্রের মধ্যে দিয়ে মরুপ্রান্তে প্রবেশ করল এবং এথম মরুপ্রান্তে তিন দিনের পথ গিয়ে মারাতে শিবির স্থাপন করল।
9 মারা ত্যাগ করে তারা এলীমে গেল, যেখানে বারোটি জলের উৎস ও সত্তরটি খেজুর গাছ ছিল। তারা সেখানে ছাউনি স্থাপন করল।
৯মারা থেকে যাত্রা করে এলীমে উপস্থিত হল; এলীমে জলের বারোটি উনুই ও সত্তরটি খেজুর গাছ ছিল; তারা সেখানে শিবির স্থাপন করল।
10 তারা এলীম ত্যাগ করে লোহিত সাগরতীরে ছাউনি স্থাপন করল।
১০এলীম থেকে যাত্রা করে সূফসাগরের কাছে শিবির স্থাপন করল।
11 তারা লোহিত সাগর ত্যাগ করে, সীন প্রান্তরে ছাউনি স্থাপন করল।
১১সূফসাগর থেকে যাত্রা করে সীন মরুপ্রান্তে শিবির স্থাপন করল।
12 সীন প্রান্তর ত্যাগ করে তারা দপ্কাতে ছাউনি স্থাপন করল।
১২সীন মরুভূমি থেকে যাত্রা করে দপ্কাতে শিবির স্থাপন করল।
13 দপ্কা ত্যাগ করে তারা আলূশে ছাউনি স্থাপন করল।
১৩দপকা থেকে যাত্রা করে আলূশে শিবির স্থাপন করল।
14 আলূশ ত্যাগ করে তারা রফীদীমে ছাউনি স্থাপন করল, যেখানে লোকদের পান করার জন্য জল ছিল না।
১৪আলূশ থেকে যাত্রা করে রফীদীমে শিবির স্থাপন করল; সেখানে লোকেদের পান করার জল ছিল না।
15 রফীদীম ত্যাগ করে তারা সীনয় মরুভূমিতে ছাউনি স্থাপন করল।
১৫তারা রফীদীম থেকে যাত্রা করে সীনয় মরুপ্রান্তে শিবির স্থাপন করল।
16 সীনয় মরুভূমি ত্যাগ করে তারা কিব্রোৎ-হত্তাবায় ছাউনি স্থাপন করল।
১৬সীনয় মরুভূমি থেকে যাত্রা করে কিব্রোৎ হত্তাবাতে শিবির স্থাপন করল।
17 কিব্রোৎ-হত্তাবা ত্যাগ করে তারা হৎসেরোতে ছাউনি স্থাপন করল।
১৭কিব্রোৎ হত্তাবা থেকে যাত্রা করে হৎসেরোতে শিবির স্থাপন করল।
18 হৎসেরোৎ ত্যাগ করে তারা রিৎমায় ছাউনি স্থাপন করল।
১৮হৎসেরোৎ থেকে যাত্রা করে রিৎমাতে শিবির স্থাপন করল।
19 রিৎমা ত্যাগ করে তারা রিম্মোণ-পেরসে ছাউনি স্থাপন করল।
১৯রিৎমা থেকে যাত্রা করে রিম্মোণ পেরসে শিবির স্থাপন করল।
20 রিম্মোণ-পেরস ত্যাগ করে তারা লিব্নায় ছাউনি স্থাপন করল।
২০রিম্মোণ পেরস থেকে যাত্রা করে লিব্নাতে শিবির স্থাপন করল।
21 লিব্না ত্যাগ করে তারা রিস্সায় ছাউনি স্থাপন করল।
২১লিব্না থেকে যাত্রা করে রিস্সাতে শিবির স্থাপন করল।
22 রিস্সা ত্যাগ করে তারা কহেলাথায় ছাউনি স্থাপন করল।
২২রিস্সা থেকে যাত্রা করে কহেলাথায় শিবির স্থাপন করল।
23 কহেলাথা ত্যাগ করে তারা শেফর পর্বতে ছাউনি স্থাপন করল।
২৩কহেলাথা থেকে যাত্রা করে শেফর পর্বতে শিবির স্থাপন করল।
24 শেফর পর্বত ত্যাগ করে তারা হরাদায় ছাউনি স্থাপন করল।
২৪শেফর পর্বত থেকে যাত্রা করে হরাদাতে শিবির স্থাপন করল।
25 হরাদা ত্যাগ করে তারা মখেলোতে ছাউনি স্থাপন করল।
২৫হরাদা থেকে যাত্রা করে মখেলোতে শিবির স্থাপন করল।
26 মখেলোৎ ত্যাগ করে তারা তহতে ছাউনি স্থাপন করল।
২৬মখেলোৎ থেকে যাত্রা করে তহতে শিবির স্থাপন করল।
27 তহৎ ত্যাগ করে তারা তেরহে ছাউনি স্থাপন করল।
২৭তহৎ থেকে যাত্রা করে তেরহে শিবির স্থাপন করল।
28 তেরহ ত্যাগ করে তারা মিৎকায় ছাউনি স্থাপন করল।
২৮তেরহ থেকে যাত্রা করে মিৎকাতে শিবির স্থাপন করল।
29 মিৎকা ত্যাগ করে তারা হশ্মোনায় ছাউনি স্থাপন করল।
২৯মিৎকা থেকে যাত্রা করে হশ্মোনাতে শিবির স্থাপন করল।
30 হশ্মোনা ত্যাগ করে তারা মোষেরোতে ছাউনি স্থাপন করল।
৩০হশ্মোনা থেকে যাত্রা করে মোষেরোতে শিবির স্থাপন করল।
31 মোষেরোৎ ত্যাগ করে তারা বনেয়াকনে ছাউনি স্থাপন করল।
৩১মোষেরোৎ থেকে যাত্রা করে বনে-য়াকনে শিবির স্থাপন করল।
32 বনেয়াকন ত্যাগ করে তারা হোর্-হগিদ্গদে ছাউনি স্থাপন করল।
৩২বনে-য়াকন থেকে যাত্রা করে হোর্-হগিদ্গদে শিবির স্থাপন করল।
33 হোর্-হগিদ্গদ ত্যাগ করে তারা যট্বাথায় ছাউনি স্থাপন করল।
৩৩হোর্-হগিদ্গদ থেকে যাত্রা করে যট্ বাথাতে শিবির স্থাপন করল।
34 যট্বাথা ত্যাগ করে তারা অব্রোণায় ছাউনি স্থাপন করল।
৩৪যট-বাথা থেকে যাত্রা করে অব্রোণাতে শিবির স্থাপন করল।
35 অব্রোণা ত্যাগ করে তারা ইৎসিয়োন-গেবরে ছাউনি স্থাপন করল।
৩৫অব্রোণা থেকে যাত্রা করে ইৎসিয়োন গেবরে শিবির স্থাপন করল।
36 ইৎসিয়োন-গেবর ত্যাগ করে তারা সীন মরুভূমিতে, কাদেশে ছাউনি স্থাপন করল।
৩৬ইৎসিয়োন গেবর থেকে যাত্রা করে সিন মরুপ্রান্তে অর্থাৎ কাদেশে শিবির স্থাপন করল।
37 কাদেশ ত্যাগ করে তারা ইদোমের সীমানায়, হোর পর্বতে ছাউনি স্থাপন করল।
৩৭কাদেশ থেকে যাত্রা করে ইদোম দেশের শেষে অবস্থিত হোর পর্বতে শিবির স্থাপন করল।
38 সদাপ্রভুর আদেশে যাজক হারোণ হোর পর্বতে উঠে গেলেন। ইস্রায়েলীদের মিশর থেকে বের হওয়ার পর, চল্লিশতম বছরের পঞ্চম মাসের প্রথম দিনে, তিনি সেখানে প্রাণত্যাগ করলেন।
৩৮হারোণ যাজক সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে হোর পর্বতে উঠে মিশর থেকে ইস্রায়েল সন্তানদের বের হবার চল্লিশ বছরের পঞ্চম মাসে, সেই মাসের প্রথম দিনের সেখানে মারা গেলেন।
39 হোর পর্বতে মারা যাবার সময় হারোণের বয়স হয়েছিল, 123 বছর।
৩৯হোর পর্বতে হারোণের মৃত্যুর দিন তাঁর একশো তেইশ বছর বয়স হয়েছিল।
40 কনানীয় রাজা অরাদ, যিনি কনানের নেগেভ অঞ্চলে বসবাস করতেন, তিনি শুনলেন যে ইস্রায়েলীরা আসছে।
৪০কনান দেশের দক্ষিণ অঞ্চলে বসবাসকারী কনানীয় অরাদের রাজা ইস্রায়েল সন্তানদের আসার খবর শুনলেন।
41 তারা হোর পর্বত ত্যাগ করে সল্মোনায় ছাউনি স্থাপন করল।
৪১তারা হোর পর্বত থেকে যাত্রা করে সল্মোনাতে শিবির স্থাপন করল।
42 সল্মোনা ত্যাগ করে তারা পূনোনে ছাউনি স্থাপন করল।
৪২সলমোনা থেকে যাত্রা করে পূনোনে শিবির স্থাপন করল।
43 পূনোন ত্যাগ করে তারা ওবোতে ছাউনি স্থাপন করল।
৪৩পূনোন থেকে যাত্রা করে ওবোতে শিবির স্থাপন করল।
44 ওবোৎ ত্যাগ করে তারা মোয়াবের সীমানায় ঈয়ী-অবারীমে ছাউনি স্থাপন করল।
৪৪ওবোৎ থেকে যাত্রা করে মোয়াবের প্রান্তস্থিত ইয়ী-অবারীমে শিবির স্থাপন করল।
45 তারা ঈয়ী-অবারীম ত্যাগ করে দীবোন গাদে ছাউনি স্থাপন করল।
৪৫ইয়ীম থেকে যাত্রা করে দীবোন-গাদে শিবির স্থাপন করল।
46 তারা দীবোন গাদ ত্যাগ করে অল্মোন দিব্লাথয়িমে ছাউনি স্থাপন করল।
৪৬দীবোন-গাদ থেকে যাত্রা করে অলমোন-দিব্লাথয়িমে শিবির স্থাপন করল।
47 অল্মোন দিব্লাথয়িম ত্যাগ করে তারা নেবোর কাছে অবারীম পর্বতমালায় ছাউনি স্থাপন করল।
৪৭অলমোন-দিব্লাথয়িম থেকে যাত্রা করে নবোর সামনে অবস্থিত পর্বতময় অবারীম অঞ্চলে শিবির স্থাপন করল।
48 অবারীম পর্বতমালা ত্যাগ করে জর্ডন সমীপে, যিরীহোর অপর পাশে, মোয়াবের সমতলে ছাউনি স্থাপন করল।
৪৮পর্বতময় অবারীম অঞ্চল থেকে যাত্রা করে যিরীহোর পাশে যর্দ্দনের কাছে অবস্থিত মোয়াবের উপভূমিতে শিবির স্থাপন করল।
49 সেখানে, তারা মোয়াবের সমতলে, জর্ডন বরাবর, বেথ-যিশীমোৎ থেকে আবেল শিটিম পর্যন্ত ছাউনি স্থাপন করল।
৪৯সেখানে যর্দ্দনের কাছে বৈৎ-যিশীমোৎ থেকে আবেল-শিটীম পর্যন্ত মোয়াবের উপভূমিতে শিবির স্থাপন করে থাকল।
50 জর্ডন সমীপে, যিরীহোর অপর পাশে, মোয়াবের সমতলে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
৫০তখন যিরীহোর কাছাকাছি যর্দ্দনের পাশে অবস্থিত মোয়াবের উপভূমিতে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
51 “ইস্রায়েলীদের সঙ্গে কথা বলো এবং তাদের বলো, ‘তোমরা যখন জর্ডন অতিক্রম করে কনানে যাবে,
৫১“তুমি ইস্রায়েল সন্তানদের বল, তাদেরকে বল, ‘তোমরা যখন যর্দ্দন পার হয়ে কনান দেশে উপস্থিত হবে,
52 সেখানকার সমস্ত অধিবাসীদের বিতাড়িত করবে। তাদের সমস্ত ক্ষোদিত প্রতিমা ও ছাঁচে ঢালা দেবমূর্তি বিনষ্ট এবং তাদের উচ্চস্থলগুলি ধ্বংস করবে।
৫২তখন তোমাদের সামনে থেকে সেই দেশে বসবাসকারী সবাইকে অধিকারচ্যুত করবে এবং তাদের সমস্ত প্রতিমা ভেঙে দেবে, সমস্ত ছাঁচে ঢালা মূর্ত্তি নষ্ট করবে ও সমস্ত উঁচু জায়গাগুলি উচ্ছেদ করবে।
53 দেশ দখল করে তার মধ্যে উপনিবেশ স্থাপন করবে, কারণ আমি ওই দেশ তোমাদের অধিকারের জন্য দিয়েছি।
৫৩তোমরা সেই দেশ অধিকার করে তার মধ্যে বাস করবে; কারণ আমি অধিকারের জন্য সেই দেশ তোমাদেরকে দিয়েছি।
54 গোষ্ঠী অনুসারে গুটিকাপাত দ্বারা সেই দেশ তোমরা ভাগ করবে। বেশি লোককে বেশি অংশ এবং যাদের লোকসংখ্যা অল্প তাদের অল্প অংশ দেবে। গুটিকাপাত দ্বারা তাদের যা নির্ধারিত হবে তা তাদেরই। তোমাদের পৈতৃক গোষ্ঠী অনুযায়ী তা বণ্টন করবে।
৫৪তোমরা গুলিবাঁটের মাধ্যমে নিজেদের গোষ্ঠী অনুসারে দেশ অধিকার ভাগ করে নেবে; বেশি লোককে বেশি অংশ ও অল্প লোককে অল্প অংশ দেবে; যার অংশ যেখানে পড়ে, তার অংশ সেইখানে হবে; তোমরা নিজেদের পূর্বপুরুষদের বংশ অনুসারে অধিকার পাবে।
55 “‘কিন্তু, যদি তোমরা সেই দেশনিবাসীদের তাড়িয়ে না দাও, যাদের তোমরা বসবাস করার অনুমতি দেবে, তারা তোমাদের চোখের শূল ও বুকের অঙ্কুশস্বরূপ হবে। যে দেশে তোমরা বসবাস করবে, সেখানে তারা তোমাদের ক্লেশ দেবে।
৫৫কিন্তু যদি তোমরা নিজেদের সামনে থেকে সেই দেশে বসবাসকারীদেরকে অধিকারচ্যুত না কর, তবে যাদেরকে অবশিষ্ট রাখবে, তারা তোমাদের চোখে আপত্তিকর এবং তোমাদের পাশে কাঁটার মত হবে। তোমরা যে ভূমিতে বাস কর সেখানে তাদের জীবনযাত্রাকে কষ্টকর করবে।
56 তখন আমি তোমাদের প্রতি তাই করব, যা আমি তাদের প্রতি করতে মনস্থ করেছিলাম।’”
৫৬তখন আমি তাদের প্রতি যা করব ভেবেছিলাম, তা তোমাদের প্রতি করব’।”